Connect with us

লাইফস্টাইল

হার্ট ভালো রাখতে যে মসলা খাবেন

Published

on

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

সুস্থ থাকার জন্য হার্ট ভালো রাখার বিকল্প নেই। সেজন্য নিজের প্রতি হতে হবে বাড়তি যত্নশীল। নয়তো হার্টের অসুখ একবার দেখা দিলে তা মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। ঠিক কোন নিয়মগুলো মেনে চললে হার্ট ভালো রাখা সহজ হবে সেকথা অনেকেই বুঝতে পারেন না। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ থাকে প্রথমেই তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার। এর বদলে খেতে হবে পর্যাপ্ত সবুজ শাক ও সবজি। সেইসঙ্গে প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে একটি বিশেষ মসলা। নাম তার মৌরি। এতে উপকার পাওয়া যাবে দ্রুতই।

ছোট্ট একটি মসলা মৌরি। এটি সুগন্ধযুক্ত মসলা। তবে এর গন্ধ কেউ পছন্দ করেন, কেউ করেন না। তাতে অবশ্য এই মসলার গুণ একটুও কমে না। বরং আপনার হার্ট ভালো রাখার ক্ষেত্রে এটি কাজ করে দুর্দান্তভাবে। তাই হার্ট ভালো রাখতে এর উপকারিতা ও কার্যকারিতা আগে জেনে নিয়ে এরপর প্রতিদিনের খাবারে যোগ করতে হবে উপকারী মসলা মৌরি। তাই হার্টের অসুখ তো দূরে থাকবেই সেইসঙ্গে আরও অনেক অসুখ কাছে ঘেঁষতে পারবে না।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
আমাদের রক্তে জমা থাকে কোলেস্টেরল নামক মোম জাতীয় একটি উপাদান। কিন্তু কোনো কারণে যদি রক্তে এই মোম জাতীয় উপাদান স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তাহলে তা হার্টের রক্তনালীর ভেতরে জমে যেতে পারে। যেখান থেকে ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাকের মতো প্রাণঘাতী সমস্যা। তাই যেভাবেই হোক সবার আগে কোলেস্টেলরকে নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। বাড়তি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনতে আপনাকে সাহায্য করবে ফাইবার সমৃদ্ধ মৌরি। বিশেষজ্ঞরা হাইপারলিপিডিমিয়ায় আক্রান্তদের নিয়মিত মৌরি খাওয়ার পরামর্শ দেন।

হার্ট ভালো রাখে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌরিতে থাকে পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। আমাদের হার্টকে ভালো রাখতে বেশ কার্যকরী এসব উপাদান। যে কারণে নিয়মিত মৌরি খেলে তা হার্টের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাজ করবে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারাও নিয়মিত মৌরি খেতে পারেন। কারণ এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও মূখ্য ভূমিকা রাখে। নিয়মিত এই মসলা খাবারের পাতে রাখলে দূরে থাকতে পারবেন অনেক রোগ থেকেই। হার্ট ভালো রাখা ছাড়াও এটি পেটের সমস্যা দূর করা, ক্যান্সার দূরে রাখাসহ আরও অনেক কাজ করে। বুঝতেই পারছেন, কেন প্রতিদিন মৌরি খাওয়া জরুরি?

যেভাবে খাবেন
এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন এসেছে যে, হার্ট ভালো রাখা এবং সুস্থ থাকার জন্য মৌরি কীভাবে খাবেন? এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো প্রতিবেলার মূল খাবার খাওয়ার পর এক চা চামচ মুখে পুরে খেয়ে নেওয়া। এর পাশাপাশি আরেকটি উপায় হলো মৌরি ভেজানো পানি পান করা। সেজন্য প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে করে এক গ্লাস পরিষ্কার পানিতে এক চা চামচ মৌরি মিশিয়ে ভিজতে দিন। গ্লাসটি ঢেকে রাখুন। সকালে উঠে পানিটুকু ছেঁকে খেয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত খেলেই উপকার পাবেন।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল

রোদে ত্বক ভালো রাখবেন যেভাবে

Published

on

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

রোদের তাপে বেশ অস্থির হয়ে উঠেছি আমরা। ঘর থেকে বাইরে বের হলেই যেন আগুনের হলকা লাগছে পুরো শরীরে। বাইরে বের হওয়ার আগে এবং ফিরে একাধিক বার গোসল করেও একটু আরাম পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ত্বক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোদ এবং তাপ স্বাভাবিক প্রাকৃতিক বিষয়। রোদ কড়া বা হালকা যাই হোক না কেন, মৌসুমটা শীত হোক বা গ্রীষ্ম, সূর্যের তাপ কিংবা অতি বেগুনি রশ্মি সব সময়ই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই নিজেকেই সাবধানে সবদিক রক্ষা করে চলতে হবে। তার জন্য কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।

রোদ যাই থাক, দিনের বেলা ঘর থেকে বের হওয়ার ১০-১৫ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা উচিত। বাজারে এখন এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর যুক্ত ক্রিম, লোশন, পাউডার, লিপ বাম, স্প্রে ইত্যাদি প্রসাধনী পাওয়া যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো ব্যবহার করুন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ম্যাট ধরনের সানস্ক্রিন ও শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আর স্বাভাবিক কিংবা মিশ্র ত্বকের জন্য ‘অল স্কিন টাইপ’ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যায়।

ত্বক সব সময় ঠান্ডা ও পরিষ্কার রাখতে হবে। তাই প্রতিদিন ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।

ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পানির বিকল্প নেই। দিনে তিন-চার লিটার পানি আধা গ্লাস করে একটু পর পর পান করতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো ফলের রস পান করাও উপকারী।

রোদ থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনী ব্যবহারে এমনকি রোদে পোড়া ভাব দূর করতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারেও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন রূপবিশেষজ্ঞরা। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে এবং রোদ থেকে ঘরে এসে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।

ঘর থেকে বের হওয়ার আগে স্নান করে নেওয়া ভালো। এ সময় যেহেতু প্রচুর ঘাম হয় তাই ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক। এ জন্য পানিতে কয়েক ফোঁটা বেনজয়েন এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে স্নান করলে ঘামের দুর্গন্ধ হবে না এবং রোদে ত্বক কালচেও হবে না। ওষুধের দোকানে বা সুপারশপে এই তেল পাবেন। চার ঘণ্টা পর পর ল্যাভেন্ডার অয়েল সমৃদ্ধ ওয়েট টিস্যু দিয়ে ত্বক মুছে নিতে হবে।

যেকোনো ধরনের ত্বকের জন্যই অ্যালোভেরা পেস্ট উপকারী। রাতে টকদই, ডিমের সাদা অংশ ও ময়দার মিশ্রণ প্যাক হিসেবে ত্বকে ব্যবহার যেতে পারে। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এ ছাড়া সুজি হালকা ভেজে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা যায়। এটি স্ক্রাবের কাজও করবে। স্ট্রবেরি, টকদই ও ময়দার মিশ্রণ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো। আর শুষ্ক ত্বকের জন্য ব্যবহার করা যাবে দুধের সর, যেকোনো বাদাম, মধু ও সামান্য চিনির মিশ্রণ।

যাদের ত্বক পাতলা তারা যেন বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলেন। আর রোদে বের হলে অবশ্যই ত্বক বুঝে সানব্লক ব্যবহার করতে হবে এবং সঙ্গে রাখতে হবে ছাতা।

বাইরে থাকলে দুই ঘণ্টা পর পর নতুন করে ত্বকে সানব্লক ব্যবহার করতে হবে। কিছু ফেস পাউডারও সানব্লকের কাজ করে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা এমন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। রোদচশমা এবং হ্যাটজাতীয় বড় টুপি ব্যবহার করতে হবে, যেন মুখের চোয়াল ও এর আশপাশের স্থানে রোদ না লাগে। এরপরও যদি ত্বক লাল হয়ে জ্বালা করে, তবে বরফ ঘষতে হবে অথবা ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

গরমে ডিম খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর?

Published

on

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

বাড়িতে যখন কোনো শাকসবজি নেই, মাছ-মাংসও শেষ। তখন একমাত্র ভরসা ডিম। পোচ, অমলেট হোক বা সেদ্ধ— পাতে ডিম থাকলে আর চিন্তা নেই। কিন্তু যে হারে গরম পড়েছে, তাতে রোজ ডিম খাওয়া উচিত? গরমে হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। যাতে তপ্ত দিনেও শরীর ঠান্ডা থাকে। এই অবস্থায় ডিম খাওয়া কি সুরক্ষিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

গরমে হালকা খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, গরমের খাদ্যতালিকায় রাখতেই পারেন ডিমকে। ডিম হল সুপারফুড। পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি, জিংক ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর ডিম। স্বাস্থ্যে একাধিক উপকারিতা প্রদান করে ডিম। এমনকি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে। হজমের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিনই ডিম খাওয়া যায়। কিন্তু একটার বেশি ডিম খেলে এই গরমে কি শারীরিক সমস্যা বাড়বে?

অনেক সময় একই দিনে দুই-তিনটি ডিম খেয়ে ফেলেন। হজমের গন্ডগোল না থাকলে দুইটি ডিম খাওয়াই যায়। কিন্তু এখন যেহেতু মারাত্মক গরম পড়েছে, তাতে দিনে বেশি ডিম না খাওয়াই ভালো। অনেকের ধারণা, গরমকালে ডিম খাওয়া উচিত নয়, এতে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এটা শুধু ধারণা মাত্র। ডিমের মধ্যে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে, যা আদতে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু গরমে ভারী খাবার একটু এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

যেহেতু ডিমের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, তাই গরমে বুঝেশুনে ডিম খাওয়াই ভালো। প্রচণ্ড গরমে হালকা খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, ডিম খাওয়াতে কোনও ক্ষতি নেই। সীমিত পরিমাণেই ডিম খাওয়া উচিত। গরমে দিনে দুইটির বেশি ডিম খাবেন না। অতিরিক্ত ডিম খেলে হজমের সমস্যা বাড়তে পারে।

গরমকালে ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এতে মুখরোচক খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে পারবেন। এতে সহজেই ওজন কমবে। আর দেহে পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হবে। তাই স্বাস্থ্যের কোনও গন্ডগোল না থাকলে রোজ একটি করে ডিম খেতে পারেন।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

গরমে পানিশূন্যতা রোধে যে ১০ সবজি খাবেন

Published

on

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে মাত্রাতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর আশঙ্কাজনক হারে পানি হারাতে শুরু করে। পরিণতিতে দেখা দেয় পানিশূন্যতা, যার দীর্ঘস্থায়ীত্ব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। মানবদেহের এই ভারসাম্যহীনতা মাথা ঘোরা, ক্লান্তি ও শুষ্ক মুখমণ্ডলের মতো উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে শুরু করে।

অসহনীয় খরতাপের সময়টাকে মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উচ্চ পানীয় উপাদান সমৃদ্ধ শাকসবজি। এই খাবারগুলো শরীরের হারানো পানি পুনরায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দেহের রোগমুক্তিতেও সাহায্য করে। চলুন, তীব্র গরমে পানিশূন্যতা দূর করতে সেই শাকসবজিগুলোর ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক। যে সবজিগুলো তীব্র গরমে শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে সক্ষম-

শসা

প্রায় ৯৫ শতাংশ পানিতে পরিপূর্ণ শসা গরমের জন্য উপযোগী সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে সহায়তা করে। শসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে বিটা ক্যারোটিন। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ফ্রি র‍্যাডিকেল হলো জোড়াহীন ইলেকট্রন, যা কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে।

রোদের তীব্র রশ্মির কারণে ত্বকে রোদে পোড়া ব্যথা, ফোলাভাব এবং ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই অবস্থা থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় সাহায্য করতে পারে শসা। চোখের নিচে এক বা দুই টুকরো শসা রাখলে চোখের কালো দাগ ও ফোলাভাব কমে আসে।

টমেটো

বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও পটাশিয়ামের আধার টমেটোতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৫ শতাংশ। লাইকোপিন নামক পদার্থ টমেটোর উজ্জ্বল লাল রঙের কারণ। শুধু তাই নয়, এই উপাদানের মধ্যে রয়েছে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্য। তাই এই ফলের রয়েছে মানবদেহের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা।

এই একই কারণে টমেটো ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। লাইকোপিনের পাশাপাশি অন্যান্য উদ্ভিদ যৌগ রোদে পোড়া থেকে রক্ষার কাজে অংশ নেয়। স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের মতো ডিজিটাল ডিভাইস থেকে এক ধরনের নীল আলো নির্গত হয়, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর। টমেটোতে থাকা লুটেইন এবং জিক্সানথিন নামক পদার্থ এই নীল আলোর বিরুদ্ধে চোখের সুরক্ষায় কাজে লাগে। উপরন্তু, এগুলো চোখের ক্লান্তি এবং চোখের উপর চাপ জনিত কারণে মাথাব্যথা উপশমে সাহায্য করতে পারে।

পালং শাক

তাজা, হিমায়িত, বাষ্প বা দ্রুত সিদ্ধ যে কোনো অবস্থায়ই পালং শাক বেশ পুষ্টিকর একটি খাবার। কাঁচা পালং শাকে রয়েছে ৯১ শতাংশ পানি, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও ফোলেট। এই শাকে থাকা লুটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্যজনিত কারণে চোখের রোগ ও ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে।

এছাড়া লুটেইন চোখের লেন্সের উপর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করতে সক্ষম। শরীরের ত্বকসহ নানা ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের টিস্যু বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য, যা পালং শাকের অন্যতম উপাদান। শুধু তাই নয়, ভিটামিন এ ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এর ফলে মুখে সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা কমে যায়।

মূলা

মাঝারি পরিমাণ ভিটামিন সি সম্পন্ন কাঁচা মূলায় পানির অংশ ৯৫ শতাংশ। তবে এর পাতায় থাকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। শিকড়ের চেয়ে পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যাটিচিন, পাইরোগালল, ভ্যানিলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য ফেনোলিক যৌগ। এগুলো সম্মিলিতভাবে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে শরীরকে রীতিমতো একটি প্রতিরক্ষা দূর্গে পরিণত করে।

এছাড়াও মূলায় রয়েছে কিডনি বিশোধনের ক্ষমতা। এটি পাকস্থলির বিভিন্ন এনজাইমকে সক্রিয়করণে সাহায্য করে। এই এনজাইমগুলো নানা ধরনের বিষক্রিয়া থেকে কিডনিসহ আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাকে মুক্ত রাখে।

ফুলকপি

৯২ শতাংশ পানি সম্পন্ন এই মৌসুমি সবজিটি সুপার ফুড নামে পরিচিত। শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই সবজি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ক্রুসিফেরাস সবজি হিসেবে ফুলকপি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। ফাইবার স্বাস্থ্যকর হজম বজায় রেখে বিভিন্ন হজমজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়। ফুলকপিতে থাকা উপাদানগুলো অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলোর কারণে শরীরের প্রদাহ, হৃদরোগ, ডিমেনশিয়া ও স্থূলতার ঝুঁকি কমে।

ফুলকপি হলো কোলিনের অন্যতম সেরা উৎস। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, স্মৃতিশক্তি ও পেশী নিয়ন্ত্রণসহ অনেক স্বাস্থ্যকর স্নায়ুতন্ত্রের ক্রিয়াকলাপের জন্য কোলিন অপরিহার্য। শরীরে অভ্যন্তরে এই পুষ্টির প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বয়স-সম্পর্কিত জ্ঞানীয় রোগ, কিডনির সমস্যা এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমতে থাকে।

গাজর

ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গাজরে প্রায় ৮৬ থেকে ৯৫ শতাংশ পানি থাকে। গাজরের বিটা ক্যারোটিন নামক রঞ্জকটি মূলত শরীরের অভ্যন্তরে ভিটামিন এ-তে পরিবর্তিত হয়। স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্য বহুল পরিচিত পুষ্টিগুণ ভিটামিন এ। চামড়ার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে বিটা ক্যারোটিন ত্বককে রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে।

এছাড়া স্থূলতা, পানিশূন্যতা, বার্ধক্য জনিত বলিরেখাসহ নানা সমস্যা নিরসনে গাজরের অবদান অপরিসীম। গাজরে থাকা ভিটামিন সি শরীরকে কোলাজেন তৈরি করতে সহায়তা করে। কোলাজেন এমন একটি প্রোটিন যা ত্বকের গঠন, স্থিতিস্থাপকতা, শক্তি এবং কোষের পুনঃবৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া এর সূর্যের অতি-বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে।

পুদিনাপাতা

ভিটামিন এ এবং সি-এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাসের একটি সমৃদ্ধ উৎস পুদিনাপাতা। সতেজ পুদিনা পাতায় পানির পরিমাণ ৮৩.৮৫ শতাংশ। এই সবজির রয়েছে হালকা অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি মৃত ত্বকের কোষগুলোকে পরিষ্কার করে ত্বককে যে কোনো সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।

এছাড়াও পুদিনাপাতা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে নরম রেখে প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করে। এর ব্যাকটেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট্য ত্বককে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে। ফলশ্রুতিতে মুখে ব্রণ ওঠা ও কালো দাগ দেখা দেওয়া ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে।

পেঁয়াজকলি

গ্রীষ্মের খরতাপে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটানোর উৎকৃষ্ট সবজি পেঁয়াজকলি, যার প্রায় ৮৯ ভাগ পানি। এতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড স্বাস্থ্যকর ত্বকের কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে ত্বকে যে কোনো লালভাব এবং ফোলাভাব দমন হয়। পেঁয়াজকলিতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিক্যালে বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ব্রণ, কালো দাগ এবং ত্বকের জ্বালা কমাতে সহায়তা করে।

ভিটামিন সি-এর এই প্রাকৃতিক উৎস প্রদাহ-বিরোধী ক্ষমতার অধিকারী। এছাড়াও এটি মলমূত্রতন্ত্রের স্বাস্থ্যকর কোষগুলোর অম্লত্ব দূরীকরণে অংশ নেয়। এর ফলে শরীর থেকে বর্জ্য এবং অপ্রয়োজনীয় খাদ্যের অবশিষ্টাংশগুলো সঠিকভাবে নির্মূল হয়।

ঢেঁড়শ

ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁচা ঢেঁড়শে পানির পরিমাণ ৯০ শতাংশ। এই সবজি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে থাকা পটাসিয়ামের রয়েছে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা।

শরীরের অভ্যন্তরে বিষক্রিয়া নির্মূলে ঢেঁড়শের পানি বেশ কার্যকরী। এর উচ্চ ফাইবার সামগ্রী অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সুবিধা দেয়। ফাইবার হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। এছাড়াও এটি পরিপাকতন্ত্রে কোলেস্টেরলের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে রক্ত প্রবাহে কোলেস্টেরলের শোষণ প্রতিরোধ করে। এতে করে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে আসে।

লাউ

প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ আরও একটি সবজি লাউ, যার ৯৬.১ শতাংশ পানি। পানিশূন্যতা নিরসণের পাশাপাশি এটি হজম এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ উপযোগী। লাউ একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। সেই সঙ্গে মূত্রনালীর রোগের চিকিৎসায় লাউয়ের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও কিডনির প্রদাহ নিরাময়, জন্ডিসের চিকিৎসা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে লাউ বেশ কার্যকর।

ভিটামিন সি এবং জিঙ্কের একটি ভালো উৎস হওয়ায় এই সবজি ত্বকের জন্য যথেষ্ট উপকারী। বিশেষ করে ভিটামিন সি অতিবেগুনি বিকিরণ দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে। তাছাড়া লাউ ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণগুলো দূর করতেও যথেষ্ট কার্যকর।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবিলার চার উপায়

Published

on

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

কোষ্ঠকাঠিন্য সত্যিই হতাশাজনক হতে পারে! আশেপাশে এমন অনেক লোক আছে যারা প্রতিদিন সকালে মলত্যাগ করতে সমস্যায় পড়েন। আসলে টয়লেটে দীর্ঘ সময় কাটানো এবং তারপরও হালকা বোধ না করা এমন একটি বিষয় যা সারা দিনের জন্য আপনার মেজাজ নষ্ট করতে পারে। আপনি যদি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে এর সমাধান জেনে নেওয়া জরুরি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অন্ত্রের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। দুর্বল পাচনতন্ত্রকে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এর সমাধান করা যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবিলা করার জন্য ভারতীয় পুষ্টিবিদ শিখা গুপ্তা কিছু দরকারী টিপস দিয়েছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

মূল কারণ বুঝুন
বর্তমানে অস্বস্তিকর হজমের সমস্যা যেমন পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি দেখা যায়। যা ইঙ্গিত দেয় যে আমাদের অন্ত্রের ট্র্যাক্ট ভারসাম্যের বাইরে থাকতে পারে। যদিও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এটি সমাধানের ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিবিদ শিখা সমস্যাটি সঠিকভাবে মোকাবিলার জন্য নির্দিষ্ট কারণটি বোঝার পরামর্শ দেন। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের একটি রিপোর্ট অনুসারে, কোষ্ঠকাঠিন্যের কিছু প্রধান কারণ হলো ওষুধ, ব্যায়ামের অভাব, পর্যাপ্ত তরল না খাওয়া, খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার না থাকা, ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম, মলত্যাগের তাগিদ উপেক্ষা করা ইত্যাদি। অভ্যাস বা জীবনযাত্রার পরিবর্তন যেমন ভ্রমণ, গর্ভাবস্থা এবং বার্ধক্য, অন্ত্রের কার্যকারিতার সমস্যা ইত্যাদিও কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।

পর্যাপ্ত দ্রবণীয় ফাইবার খান
ইন্টারনেটে মলকে নরম করার উপায় খুঁজলে যে তালিকা পাবেন তার শীর্ষে থাকবে ‘ফাইবার গ্রহণ বৃদ্ধি’। আর সেখানেই আমাদের বেশিরভাগ ভুল হয়ে যায়, বলছেন পুষ্টিবিদ শিখা। তার মতে, ভালো ফলাফলের জন্য কোনো ধরনের ফাইবার খাওয়া উচিত তা জানা জরুরি। এবং এর উত্তর হলো দ্রবণীয় ফাইবার। দ্রবণীয় ফাইবার পানি ধরে রাখে এবং অদ্রবণীয় ফাইবারের তুলনায় মলের মধ্যে আর্দ্রতা এবং বাল্ক যোগ করে, যা এটিকে শুষ্ক এবং কঠিন করে তুলতে পারে, তিনি ব্যাখ্যা করেন।

ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার খান
বিশেষজ্ঞের মতে, ম্যাগনেসিয়াম অন্ত্রে পানির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে, যা স্বাস্থ্যকর মলত্যাগে সাহায্য করে। যদিও ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট ওষুধের দোকানে সহজে পাওয়া যায়, তবে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন বজায় রাখার জন্য পুষ্টির প্রাকৃতিক উৎস বেছে নেওয়াই ভালো। আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় তাই ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন।

প্রোবায়োটিক খান
আমরা সবাই প্রোবায়োটিক এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের মধ্যে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক সম্পর্কে ভালোভাবে জানি। এ ধরনের খাবার স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম তৈরি করতে সাহায্য করে যা হজম, বিপাক এবং অন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞ ব্যাখ্যা করেছেন যে প্রোবায়োটিকগুলো শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা কোলনের পিএইচ মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং বিপাক বাড়ায়। এই সমস্ত কারণে অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

গরমে মেঝেতে ঘুমানোর ৪ উপকারিতা

Published

on

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

তীব্র গরমে প্রাণ অতিষ্ঠ। এমন দিনে একটুর স্বস্তির জন্য আমরা কত কী করি। আরামের নরম বিছানা এই সময়ে অসহ্য মনে হয়। কারণ তীব্র তাপের কারণে বিছানায় ঘুমানো যে মুশকিল হয়ে যায়! তখন ঘুমের জন্য অনেকে বেছে নেন মেঝেকে। মেঝের উপর বালিশ দিয়ে দিব্যি ঘুমিয়ে যান। মেঝের ঠান্ডায় একটু হলেও শরীর জুড়ায়। কিন্তু এতে কি উপকার হয় নাকি ক্ষতি হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক মেঝেতে ঘুমালে শরীরে কী ঘটে-

পিঠে ব্যথা কমে

মেঝেতে ঘুমালে মেরুদণ্ড ভালোভাবে সোজা হয়ে থাকে। এর ফলে যাদের পিঠে ব্যথার মতো সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে উপকার মিলতে পারে। কারণ মেরুদণ্ড সোজা হয়ে থাকলে পিঠে আরাম পাওয়া যায় আর সমস্যাও অনেকটা কমে আসে। সেইসঙ্গে এই অভ্যাসের ফলে কমতে পারে কোমরের ব্যথাও। তাই মেঝেতে ঘুমানোকে মোটেই ক্ষতিকর অভ্যাস বলা যাচ্ছে না।

ঘুমের সমস্যা দূর হয়

গরমের সময়ে অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। গরমের ফলে বারবার ঘুম ভেঙে যেতে পারে বা ভালোভাবে ঘুম না-ও হতে পারে। এক্ষেত্রে মেঝেতে ঘুমালে আরামে ঘুমানো সম্ভব। ফলে অনিদ্রা বা ঘুম না হওয়ার সমস্যা অনেকটাই দূর হয়। তাই গরমের সময়ে আপনি মেঝেতে ঘুমাতেই পারেন।

ঘাড়ে ব্যথা কমে

ঘুমের সময় ঘাড় সোজা করে না রাখলে ঘাড় ও পিঠে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি আকাবাঁকা হয়ে ঘুমান তাহলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। তবে মেঝেতে ঘুমালে এ ধরনের এই সমস্যা এড়ানো যায়। কারণ এক্ষেত্রে ঘাড় সোজা রাখা সহজ হয়।

রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়

শরীর সুস্থ রাখার জন্য রক্ত সঞ্চালন ভালো হওয়া জরুরি। আপনি যদি মেঝে বা শক্ত জায়গায় ঘুমান তাহলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। তাই মেঝেতে ঘুমালে এমন উপকার পাওয়া যাবে। তবে আপনার যদি ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তাহলে মেঝেতে না ঘুমানোই ভালো। আবার অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে মেঝে ভালোভাবে পরিষ্কার করে তারপরই ঘুমাবেন।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
জাতীয়4 hours ago

সর্বজনীন পেনশনের গ্রাহক এক লাখ ছাড়াল

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

রূপালী ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

মালেক স্পিনিংয়ের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

মুনাফা থেকে লোকসানে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

লোকসান কাটাতে পারেনি মেট্রো স্পিনিং

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
অর্থনীতি6 hours ago

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের বৈঠক

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

জেনেক্স ইনফোসিসের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

লোকসান কাটাতে পারেনি তাল্লু স্পিনিং

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
কর্পোরেট সংবাদ6 hours ago

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আরও ৩৯ হাজার ৬৮০ বই দিলো বিকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার7 hours ago

শাহজিবাজার পাওয়ারের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার7 hours ago

বেস্ট হোল্ডিংসের আয় বেড়েছে ৪৫ শতাংশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার7 hours ago

লোকসানে গোল্ডেন হারভেস্ট

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার7 hours ago

শাইনপুকুর সিরামিকসের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার7 hours ago

ইউনিক হোটেলের আয় কমেছে

Baraka Power
পুঁজিবাজার7 hours ago

বারাকা পাওয়ারের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার7 hours ago

ম্যারিকো বাংলাদেশের ২০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার7 hours ago

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার7 hours ago

সামিট পাওয়ারের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার8 hours ago

এনার্জিপ্যাকের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার8 hours ago

বড় লোকসানে ন্যাশনাল টি

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার8 hours ago

পিপলস ইন্স্যুরেন্সের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ