খেলাধুলা
জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য টাইগারদের দল ঘোষণা
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আসন্ন এই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
চোটের কারনে লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চোট কাটিয়ে সর্বশেষ বিপিএল দিয়ে খেলায় ফেরেন তিনি। খেলছেন চলমান ডিপিএলেও। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরতে যাচ্ছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
১৫ সদস্যের এই দলে ফিরেছেন আফিফ হোসেনও। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার মূলত অফ ফর্মের কারণে বাদ পড়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি ভালো না করলেও আবার তাকে দলে ফিরিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ডিপিএলে পারফর্ম করায় সুযোগ মিলেছে পারভেজ হোসেন ইমনেরও। এই তরুণ ওপেনার ডিপিএলে ধারবাহিক রান পেয়েছেন। তাছাড়া প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।
প্রথম তিন ম্যাচের স্কোয়াডে নেই সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। সাকিব এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। দেশের ফিরে ডিপিএলে এক-দুইটা ম্যাচ খেলবেন তিনি। এরপর এই সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে খেলতে পারেন তিনি। আর আইপিএলে ব্যস্ত থাকায় প্রথম তিন ম্যাচে নেই মুস্তাফিজ। ২ মে দেশে ফিরবেন এই পেসার। শেষ দুই ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা আছে তারও।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ স্কোয়াড
বাংলাদেশ দল নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসাইন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসাইন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
মাহমুদউল্লাহ’র অবসর নিয়ে যা বললেন পাপন
টেস্ট ক্রিকেট থেকে আচমকাই অবসর নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বর্তমানে সাদা বলের ক্রিকেটে খেলে যাচ্ছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তবে আসন্ন বিশ্বকাপের পরই মাহমুদউল্লাহ টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেবেন কি না এমন একটা প্রশ্ন উঠছে। আজ রোববার মিরপুরে বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজুমল হাসান পাপন এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বৈঠকে মাহমুদউল্লাহর অবসর প্রসঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিকেলে গণমাধ্যমে পাপন বলেন, ও (মাহমুদউল্লাহ) অবসর নেবে! এসব নিয়ে কোনো কথাই হয়নি, কী বলছেন আপনারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে অবসর নেবে এরকম কোনো কথা আমাদের সাথে হয়নি এবং আমার মনে হয় না এরকম কিছু আছে। কারণ ও এখনো খেলছে খেলুক।
গেল বছর ওয়ানডে থেকে বাদ পড়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যারিয়ার নিয়েই শঙ্কা জেগেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেকে প্রমাণ করেই ভারত বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছিলেন টাইগার এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সুযোগ পেয়েই ব্যাট হাতে পারফর্ম করে দেখিয়েছেন তিনি। সব হারানোর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অল্প কিছু প্রাপ্তির একটি ছিল রিয়াদের ব্যাটিং।বিশ্বকাপের সেই ফর্ম টেনে এনেছেন টি-টোয়েন্টিতেও। ব্যাট হাতে ভালো ফর্মে আছেন রিয়াদ।
এদিকে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে অনুশীলনের সময় চোট পান তাসকিন। তার মাংসপেশিতে চোট লেগেছে বলে জানা গেছে। সেটি কতটা গুরুতর? তার সর্বশেষ খবর দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘শুনেছি (তাসকিনের ইনজুরির খবর)। আজকেই আমরা খোঁজ নিয়েছি ওর ইনজুরি আছে। এখন কালকে সকালে রিপোর্টটা পাওয়ার পর আমাদের দেখতে হবে কতদিন লাগতে পারে, ওর কী হিল আপ করার কোনো সুযোগ আছে কি না। নরমালি দুই থেকে তিন সপ্তাহ হয়তো ব্রেক দেবে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
স্ট্রাইকরেট নিয়ে অধিনায়কের ভিন্নরকম বক্তব্য
টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। টি-টোয়েন্টির সিরিজ জিতেছেন। তবু অস্বস্তি যেন কাটছে না বাংলাদেশের জন্য। কারণ বাংলাদেশের ব্যাটিংটাই যে আদতে টি-টোয়েন্টিসুলভ না। বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের কাছ থেকে ভালো স্ট্রাইকরেটের ব্যাটিং দেখা যায়নি পুরো সিরিজে। ফ্ল্যাট উইকেটে ১৫০ বা ১৬০ যে নিরাপদ না তা বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছে টাইগাররা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্তর কাছে ঘুরেফিরে এলো সেই স্ট্রাইকরেট প্রসঙ্গ। অধিনায়ক শান্ত নিজে ভুগেছেন রানখরায়। দলের বাকিদের অবস্থাও অনেকটা তেমনই। তবে স্ট্রাইকরেট প্রশ্নে তার বক্তব্য ভিন্ন। অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘আমার কাছে সেটা মনে হয় না। কারণ আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। স্ট্রাইক রেট, স্ট্রাইক রেট…কিন্তু জিনিসটা হলো যে আপনি যদি চিন্তা করেন আমরা সম্প্রতি ভালো উইকেটে খেলা শুরু করেছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খেললাম, ওটা ভালো উইকেটে খেলেছি। কিন্তু এই জিনিসটা সময় দিতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলার শুরু করি, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে। এটা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হলে হবে না, আমরা যে বিপিএলে খেলি ওই জায়গাতেও ভালো উইকেটে খেলতে হবে অনেক লম্বা সময় ধরে তারপর আপনি এই পার্থক্যটা দেখতে পাবেন।’
আইপিএলে রানের বন্যা দেখা গিয়েছে এবারে। প্রায় ম্যাচেই ছিল দুইশ এর বেশি রান। এমন রানবন্যার প্রসঙ্গে শান্তর ভাষ্য, ‘আমার তো মনে হয় না। কারণ আইপিএল যে উইকেটে হয়েছে..আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মেলানোই যাবে না। আমার মনে হয় লাস্ট ইয়ার পিএসএলেও এরকম রান হয়েছে, ২০০ প্লাস, আড়াইশ রানও হয়েছে । কিন্তু আন্তর্জাতিকে আমি যতটুকু জানি ১৬০ থেকে ১৭৫-১৮০, ২০০ রান যদি কোনো দল করে এটা খুব ভালো স্কোর।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা আগামীকাল
দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী জুন মাসের ২ জুন থেকে আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে চার-ছক্কার এবারের আসর। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা প্রায় সব দেশই নিজেদের দল ঘোষণা করেছে, অবশ্য দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ। তবে আগামীকাল রোববার বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করতে যাচ্ছে বিসিবি।
দল ঘোষণা করার খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তিনি বলেন, ‘সব কিছু চূড়ান্ত, এখন ক্রিকেট অপরারেশন্সের সবুজ সংকেত পেলেই আমরা দিব। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি। কাল ম্যাচ শেষে বিকেলের হয়তোবা দল ঘোষণা করব আমাদের নির্দেশ দেওয়া হলে।’
সাম্প্রতিক সময়ে লিটন দাসের ব্যাটে নেই রান। যা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রিকেটভক্তরা। লিটনের বিশ্বকাপ দলে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ ভক্তদের মনে। এ নিয়ে জানতে চাইলে লিপু জানান, একবারে দল ঘোষণার সময়ই কথা বলবেন বিস্তারিত।
এদিকে বিসিবির সহকারী নির্বাচক হান্নান সরকার দল ঘোষণা নিয়ে বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি দল ঘোষণা করার জন্য। বাকিটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। যেহেতু কাল ম্যাচ আছে বোর্ড যখন বলবে তখন দল দিব। সেটা কাল হোক আর পরশু হোক।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে আভাস অবশ্য আগেই মিলেছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কথায়। দলের এই টপঅর্ডার ব্যাটার বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলের বেশিরভাগ সদস্য যাবেন বিশ্বকাপে অংশ নিতে।
বাংলাদেশ জাতীয় দল ঘোষণা করা বাকি থাকলেও মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে আগেই। গত ১ মে ছিল আইসিসির কাছে দল পাঠানোর শেষ সময়। নির্ধারিত সেই সময় মেনেই আইসিসির টেবিল দল পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। অবশ্য আগামী ২৫মে পর্যন্ত আইসিসির অনুমতি ছাড়াই দলে পরিবর্তন আনতে পারবে বিসিবি। এরপর থেকে পরিবর্তনের জন্য অনুমতি লাগবে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আছে ‘ডি’ গ্রুপে। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে অপেক্ষা করছে শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দুই দল। এছাড়া দুই সহযোগী দেশ নেপাল ও নেদারল্যান্ডস থাকবে গ্রুপসঙ্গী হিসেবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে জিম্বাবুয়েকে হারালো বাংলাদেশ
যেন কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেলো গুলি। টানা তিন জয়ের পর চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রায় হারতেই বসেছিল বাংলাদেশ। মান বাঁচালেন বোলাররা।
রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ২ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল মোটে ২১ রান। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান দারুণ বোলিং করে মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। শেষ ওভারে দরকার ১৪। পেসারদের কোটা শেষ। সাকিব আল হাসানের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
সাকিবের প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লংঅনে ক্যাচ দিয়েছিলেন ওয়েলিংটন মাসাদাকাদজা। আগের ওভারেই দারুণ এক ক্যাচ নেওয়া তানজিদ তামিম ফেলে দেন এবার। পরের বলে মুজারবানি রান নিতে না পারলেও তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন।
৩ বলে দরকার ৭। হাতে ২ উইকেট। জিম্বাবুয়ের তখনও জেতার সুযোগ ছিল।
ছোট পুঁজি নিয়ে প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। তার শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে মিডঅনে সাকিবের দুর্দান্ত নিচু ক্যাচ হন ব্রায়ান বেনেট (০)।
মারমুখী শুরু করেছিলেন সিকান্দার রাজা। তাকেও দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তাসকিন। ১০ বলে ১৭ করে ফেরেন জিম্বাবুইয়ান অধিানয়ক।
এরপর সাকিবের আঘাত। তানিওয়াশে মারুমানিকে(১৩ বলে ১৪) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
সেখান থেকে ক্লাইভ মাদান্দে আর জোনাথান ক্যাম্পবেলের প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা। ইনিংসের দশম ওভারে সেই জুটিটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। তার ঘূর্ণি বলে রিভার্স খেলতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লিউ হন মাদান্দে (১৮ বলে ১২)।
তার এক বল আগেই আউট হতে পারতেন ক্যাম্পবেল। ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তাওহিদ হৃদয়। পরের ওভারে আরও এক ড্রপ। এবার তানজিম সাকিবের বলে সোজা আকাশে তুলে দিয়েছিলেন রায়ান বার্ল। কিন্তু দৌড়ে গিয়ে জাকের আলী ক্যাচটা গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি।
৫৭ রানে জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট তুলে নিয়েও স্বস্তিতে ছিল না বাংলাদেশ। জীবন পেয়ে পঞ্চম উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল আর রায়ান বার্ল গড়েন ৩০ বলে ৩৫ রানের জুটি। অবশেষে দলীয় ৯২ রানে এই জুটিটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান।
১৫তম ওভারে জোড়া শিকার করেন কাটার মাস্টার। বার্ল (২০ বলে ১৯) বড় শট খেলতে গেলে মিডঅনে দারুণ ডাইভিং ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। লুক জঙউই (১) ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন রিশাদের হাতে। একশর আগে (৯৪) রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
তবে ক্যাম্পবেল একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন। ২৭ বলে ৩১ করে তিনি শেষ পর্যন্ত হন সাকিবের শিকার। জিম্বাবুয়ের সব আশা ভরসা শেষ হয়ে যায় তাতেই।
এর আগে শতরানের ওপেনিং জুটির পর নাটকীয় ব্যাটিং ধসে ৪২ রানে ১০টি উইকেট হারায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। স্বাগতিক দল ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয় ১৪৩ রানে।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। অফফর্মে থাকা লিটন দাস একাদশে নেই। তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার।
ঝড়টা অবশ্য তানজিদ তামিমই তোলেন। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে যে ৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ, তার মধ্যে ৪১ রানই তামিমের। এই রান তিনি করেন ২৭ বল খেলে। সৌম্য কেবল সাপোর্ট দিয়ে গেছেন পাওয়ার প্লেতে।
দুজন দারুণ খেলে গেছেন এরপরও। ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০০ করে বাংলাদেশ। তবে ১২তম ওভারে এসে জোড়া ধাক্কা। লুক জঙউই ভাঙেন ৬৮ বলে ১০১ রানের ওপেনিং জুটি।
মারকুটে তামিম ৩৪ বলে ফিফটি করেন। তবে ফিফটির পর ইনিংস আর বড় করতে পারেননি। ৩৭ বলে ৭ চার আর ১ ছক্কায় ৫২ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ওই ওভারেই তার আরেক সঙ্গী সৌম্য এলবিডব্লিউ হন। ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি আর দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি।
তাওহিদ হৃদয় শুরুটা করেছিলেন ভালো। কিন্তু এবার ৮ বলে ১২ রানেই সিকান্দার রাজার ঘূর্ণিতে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। পরের ওভারে সাকিব আল হাসান ৩ বলে ১ করে বোল্ড হন বেনেটের বলে।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে বাঁচাবেন কী, ওই ওভারেই বোল্ড হন তিনিও। ৭ বলে অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান।
বিনা উইকেটে ছিল ১০১। সেখান থেকে আর ২২ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ১২৩ রানে ৫ উইকেট খোয়ানোর পর জাকের আলিও হাল ধরতে পারেননি। ৭ বলে ৬ করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টাইগাররা।
জিম্বাবুয়ের লুক জঙউই ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ২টি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা আর ব্রায়ান বেনেট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
১৪৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বলেই বোধ হয় সম্ভব! একটা সময় যে দলের স্কোর মনে হচ্ছিল দুইশর কাছাকাছি চলে যেতে পারে, সেই দলটিই ২০ ওভারের আগেই অলআউট হয়ে গেলো ১৪৩ রানে।
শতরানের ওপেনিং জুটির পর ৪২ রানে ১০টি উইকেট হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১৯.৫ ওভারে হয়েছে অলআউট। অর্থাৎ জিততে হলে জিম্বাবুয়েকে করতে হবে ১৪৪।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। অফফর্মে থাকা লিটন দাস একাদশে নেই। তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার।
ঝড়টা অবশ্য তানজিদ তামিমই তোলেন। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে যে ৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ, তার মধ্যে ৪১ রানই তামিমের। এই রান তিনি করেন ২৭ বল খেলে। সৌম্য কেবল সাপোর্ট দিয়ে গেছেন পাওয়ার প্লেতে।
দুজন দারুণ খেলে গেছেন এরপরও। ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০০ করে বাংলাদেশ। তবে ১২তম ওভারে এসে জোড়া ধাক্কা। লুক জঙউই ভাঙেন ৬৮ বলে ১০১ রানের ওপেনিং জুটি।
মারকুটে তামিম ৩৪ বলে ফিফটি করেন। তবে ফিফটির পর ইনিংস আর বড় করতে পারেননি। ৩৭ বলে ৭ চার আর ১ ছক্কায় ৫২ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ওই ওভারেই তার আরেক সঙ্গী সৌম্য এলবিডব্লিউ হন। ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি আর দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি।
তাওহিদ হৃদয় শুরুটা করেছিলেন ভালো। কিন্তু এবার ৮ বলে ১২ রানেই সিকান্দার রাজার ঘূর্ণিতে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। পরের ওভারে সাকিব আল হাসান ৩ বলে ১ করে বোল্ড হন বেনেটের বলে।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে বাঁচাবেন কী, ওই ওভারেই বোল্ড হন তিনিও। ৭ বলে অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান।
বিনা উইকেটে ছিল ১০১। সেখান থেকে আর ২২ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ১২৩ রানে ৫ উইকেট খোয়ানোর পর জাকের আলিও হাল ধরতে পারেননি। ৭ বলে ৬ করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টাইগাররা।
জিম্বাবুয়ের লুক জঙউই ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ২টি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা আর ব্রায়ান বেনেট।