ব্যাংক
মোংলায় রূপালী ব্যাংকে আগুন
বাগেরহাটে মোংলায় রূপালী ব্যাংক পিএলসির শাখায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে পৌর শহরের নিউমেইন রোড এলাকার তৃতীয় তলার ভবনের ওই ব্যাংকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ কাইমুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পৌর শহরের নিউমেইন রোড এলাকায় তৃতীয় তলার একটি ভবনে ওই ব্যাংকের পিএলসির শাখায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট একঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
খেলাপিদের বিরুদ্ধে মামলা না করার আহ্বান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
ব্যাংক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় বিতরণ করা হচ্ছে ঋণ। নামে-বেনামে দেওয়া এই ঋণ মেয়াদ শেষে ব্যাংকেও ফিরছে না। ফলে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। পাশাপাশি তারল্য সংকটে ভুগছে নানান তফসিলি ব্যাংক। ব্যাংক খাতের এমন দুর্দিনে খেলাপিদের বিরুদ্ধে মামলা না করার নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে মামলার পরিবর্তে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে ঋণ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।
রোববার (১২ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দ্রুত আদায়ে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই আইন অনুসারে আদালত রায় বা আদেশ প্রদানের আগে মামলার যেকোনো পর্যায়ে উভয় পক্ষ আদালতের অনুমতিক্রমে বিকল্প পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য জারি করা নোটিশে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বা সদিচ্ছাকে বিবেচনায় নিয়ে কেস টু কেস ভিত্তিতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা। ব্যাংকার ও গ্রাহক উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিআইএসিসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানে তালিকাভুক্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ মধ্যস্থতাকারী অথবা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আইনজীবী, অথবা অন্য যেকোনো উপযুক্ত ব্যক্তি যাদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সফলতার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে তাদেরকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নির্বাচন করা।
মধ্যস্থতাকারী নিযুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিরোধীয় পক্ষগণ ও মধ্যস্থতাকারী পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে পারিশ্রমিকের পরিমাণ, পরিশোধকারী পক্ষ ইত্যাদি নির্ধারণ এবং যথাসময়ে তা পরিশোধ নিশ্চিত করা। মধ্যস্থতাকে সফল করা এবং খেলাপি ঋণ দ্রুত আদায়ের স্বার্থে প্রয়োজনে কেস টু কেস ভিত্তিতে বিদ্যমান নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাংক কর্তৃক ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
এদিকে এডিআররের কার্যক্রম গতিশীল করতে লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছে আর্থিক খাতের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগামী ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রত্যেক ব্যাংকের খেলাপি ঋণস্থিতির ন্যূনতম ১ শতাংশ নগদ আদায় এডিআর’র মাধ্যমে করতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতেও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
এনসিসি ব্যাংকের নতুন এমডি শামসুল আরেফিন
এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন এম. শামসুল আরেফিন। এর আগে তিনি একই ব্যাংকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ক্যামেলকো, চিফ রিস্ক অফিসার, ক্রেডিট রিস্ক করপোরেট বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং বিভাগের প্রধানসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
শামসুল আরেফিন ১৯৯৪ সালে ইস্টার্ন ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে তিনি ওয়ান ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও এসবিএসি ব্যাংকে বিভিন্ন পদে ছিলেন।
তিনি ভারতের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম. (সম্মান) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম. (ফিন্যান্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবনের সব পর্যায়ে তিনি প্রথম শ্রেণি অর্জন করেন। পরে তিনি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ (ফিন্যান্স) করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সোনালী-বিডিবিএল একীভূতকরণে চুক্তি সই
নানান অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যর্থ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) একীভূত করছে অপর রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক। পদ্মা-এক্সিমের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে চুক্তি করেছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক দুটি।
দুই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদই মার্জারের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১২ মে) একীভূতের প্রাথমিক চুক্তি সম্পন্ন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভপতিত্বে দুই ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি শেষে বিডিবিএল চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস বলেন, বিডিবিএল-এর চারটি ইনডিকেটরের মধ্যে তিনটিই বেশ ভালো আছে। শুধু খেলাপিতে একটু দুর্বল অবস্থায় আছে। এর আগে খেলাপি ঋণ যেটা ৪১ শতাংশ ছিল, আমরা সেটি কমিয়ে ৩৪ শতাংশে নিয়ে এসেছি। যদিও মার্জারের যে নীতিমালা, সেখানে চারটি ইন্ডিকেটরের মধ্যে খেলাপি ঋণের বিষয়টা আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এক বছরে আমরা খেলাপিতে ৪১ থেকে ৩৪ শতাংশে এসেছি। ছয় মাসে ৩৪ থেকে ১০ বা ১৫ শতাংশে আসা সম্ভব নয়। খেলাপি ঋণ শুধুই আমার অ্যাকটিভনেস নয়, যে খেলাপি তাকেও এগিয়ে আসতে হবে। সে এগিয়ে না এলে তার জামানত বিক্রি করতে গেলেও অনেক ধাপ, যেমন- অর্থঋণ আদালত, অর্থ আদালত, মামলা এসব ধাপ অতিক্রম করে আসতে হবে। যেটা ছয় মাসে সম্ভব নয়।
সময় নিয়ে খেলাপি আদায় সম্ভব কি না? এ বিষয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলো যেমন গ্যারান্টি দিচ্ছে, আগামী এক বছরে এত হাজার কোটি টাকা আনবো, আমি সেই গ্যারান্টি দিতে পারছি না। আমাদের ব্রাঞ্চের সংখ্যা কম। মাত্র ৫০টি শাখা। বাংলাদেশ ব্যাংক তো আর আমাকে ৫-১০ বছর সময় দেবে না।
বিডিবিএলের কর্মীরা মার্জারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে খোলা চিঠি দিয়েছেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিডিবিএল চেয়ারম্যান বলেন, এখানে কেউ একা নয়, দুই ব্যাংকের পর্ষদ মিলে একীভূতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাজেই পর্ষদ অনেক কিছু প্লাস-মাইনাস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেটা বেটার, সেটাই করা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, অনেক চিন্তা ভাবনা করেই দুই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ মার্জারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোনো চাপের মুখে নয়, বরং নিজেরাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে দুই ব্যাংকের দুই ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। যেগুলা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। বিডিবিএলের চেয়ারম্যানের কিছু প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সেগুলোর সন্তোষজনক জবাব দিয়েছেন।
সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম বলেন, সোনালী ব্যাংকের ডিপোজিট এক লাখ পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে বিডিবিএলে এর প্রায় ৫০ ভাগের এক ভাগ। এতে সোনালী ব্যাংকে খুব বেশি ইফেক্ট পড়বে না। আবার বিডিবিএলের এমপ্লয়ীদের শঙ্কিত বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নাই।
এদিকে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে তাড়াহুড়ো করে একীভূত করণের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ঝুঁকিতে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পরামর্শ দিয়ে আসছে আইএমএফ। তারই অংশ হিসেবে রোডম্যাপ ঠিক করা হয়। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে এক বছর সময় দিয়ে ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন, পিসিএ’ নীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত বুধবারও আইএমএফ সংবাদ সম্মেলনে দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতের বিষয়টি বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল, চুক্তি আগামীকাল
পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের পর এবার রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) একীভূত হচ্ছে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল রবিবার (১২ মে) দুই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একীভূতের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারে।
একীভূতের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক দুটির বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, মার্জারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ছিল, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পর্ষদ অনুমোদন দিয়েছে। গত বুধবার বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ সভায়। দুটো সরকারি ব্যাংক একমত হওয়ায় মার্জ (একীভূত) হবে। ব্যাংক দুটির বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করার পরে রোববার চুক্তি হচ্ছে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী মার্জার প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।
ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে তাড়াহুড়ো করে একীভূত কারার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এখন ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে পাঁচ দুর্বল ব্যাংকের চারটিই রাজি নয়। এখন পর্যন্ত ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই এর বিপক্ষে মত দিয়েছে। এসব ব্যাংকের মধ্যে দুটি ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে, একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা আন্দোলনে নেমেছেন। ক্ষুব্ধ আরেক ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
ঝুঁকিতে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরামর্শ দিয়ে আসছে আইএমএফ। তারই অংশ হিসেবে রোডম্যাপ ঠিক করা হয়। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে এক বছর সময় দিয়ে ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ)’ নীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বুধবারও আইএমএফ সংবাদ সম্মেলনে দুর্বল ব্যাংকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতের বিষয়টি বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়। এতে নতুন করে দুটো ব্যাংক একীভূত করতে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সুরাহা না হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছেন ব্যাংক বিটের সাংবাদিকরা। বুধবার (৮ মে) দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়কট করে বেরিয়ে আসেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকসহ ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকরা জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য সংগ্রহে প্রবেশ ইস্যুর বিষয়ে সুরাহা হয়েছে কি-না। সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে সংবাদ সম্মেলনটি বর্জনের ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যাংক বিটের রিপোর্টাররা। তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। ইতোমধ্যে টিআইবি, নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) নিন্দা জানিয়েছে।
পৃথক পৃথক বার্তায় সংগঠনগুলো জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে এমন অলিখিত এ নিষেধাজ্ঞা স্বাধীন সাংবাদিকতা, গণতন্ত্র এবং মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের। তবে মেলেনি সমাধান। পরে গত ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন। পরে ওইদিন বেলা ১১টায় ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ব্যাংকে প্রবেশ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরও বিষয়টি সমাধান হয়নি।
আলোচনা শেষে ওইদিন (২৫ এপ্রিল) ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা নেই। তবে, বর্তমানে কড়াকড়ি অবস্থানে আছে। এর আগে কখনও এমন কঠোর হতে দেখিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। এসব সমাধানে গভর্নরের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ) ৮ মের পর ব্যাংক বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। কীভাবে আগের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধে প্রবেশ করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
ওইদিনের বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন। তবে, কোনো কর্মকর্তা যদি সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে, আগের মতো তারা অবাধে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।