সারাদেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে বেঁকে গেলো রেললাইন
তীব্র তাপপ্রবাহে ঈশ্বরদীতে বেঁকে গেছে রেললাইন। শুক্রবার দুপুরে ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে ষ্টেশনের কাছে রেললাইনের পাত বেঁকে যায়। এতে করে রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ ট্রেন প্রায় এক ঘণ্টা আটকে থাকার পর পাস থ্রো করে অন্য লাইনে ঘুরে যায়।
রেলওয়ের কর্মচারীরা প্রায় ২ ঘণ্টা রেললাইনের ওপর পানি ঢেলে তাপমাত্রা কমিয়ে স্বাভাবিক করার পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
রেলওয়ের ঈশ্বরদী বাইপাস ষ্টেশনে কর্মরত স্থানীয় শ্রমিক শুভ হোসেন জানান, কপোতাক্ষ ট্রেন ঈশ্বরদী ষ্টেশন থেকে ছাড়ার পর ঈশ্বরদী বাইপাস ষ্টেশনের কাছে আসার আগেই দূর থেকে রেললাইন বাঁকা মনে হওয়ায় ষ্টেশন মাষ্টার তাওলাদ হোসেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের জানান। পরে বিভাগীয় রেলের পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ট্রেনটিকে অন্য রেললাইন দিয়ে থ্রো পাস করার ব্যবস্থা করেন।
ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার তাওলাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রচণ্ড রোদে রেললাইন ২৫ ফুট বেঁকে গেছে। পরে রেলওয়ে অফিসের লোকজন লাইনের ওপর পানি ঢেলে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পর রেলপথ স্বাভাবিক হয়।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, তীব্র গরমে রেললাইন বেঁকে গেছে। এজন্য সাময়িক অসুবিধা হয়েছে। পরে প্রকৌশলীদের সহায়তায় বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
আদালতের আদেশের কারণে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (৬ মে) কমিশন এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান। ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনাও পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ছালেহা বেগম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন নম্বর ৪৭৩৪/২০২৪ দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ২৫ এপ্রিল আদেশে মনোনয়নপত্রটি বৈধ প্রার্থীর তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ দেন।
পরে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে সিএমপি নম্বর ৩৬৫/2024 ও সিপিএলএ নম্বর ১৪৮৬/২০২৪ দায়ের করলে ৬ মে তারিখের আদেশে ‘No Order’ দেওয়া হয়।
এমতাবস্থায় বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সব পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
আগামী ৮ মে ১৪০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করবে ইসি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চট্টগ্রামে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫৪ ফুট প্রস্থের প্রকল্পের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হয় গত ১৪ নভেম্বর। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ ফ্লাইওভার’ নামে চট্টগ্রামে প্রথম এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন।
বর্তমানে লাইট লাগানো, সিসি ক্যামেরা বসানো, নিরাপত্তা বলয় ঠিক করাসহ সকল প্রকার প্রস্তুতি শেষ হলে এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হতে পারে। তবে আসন্ন ঈদুল আযহার আগেই চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের জুনে।
জানা যায়, সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়।
প্রথমে তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হলেও পরে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট
আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো সিলেট বিভাগ। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে বিভাগের চার জেলা একসঙ্গে ব্ল্যাক আউট (পুরো গ্রিড অকার্যকর) হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে এ বিপর্যয়ের কারণে পিডিবির গ্রাহকরা ছাড়াও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরাও অন্ধকারে রয়েছেন।
তবে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাসপাতাল ও স্থাপনার বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে নয়টায় পাওয়া সর্বশেষ খবরে সিলেট ছাড়াও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের গ্রাহকরা অন্ধকারে রয়েছেন। কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বলে জানা গেছে। আকষ্মিক এ বিপর্যয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির জানান, আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা সিলেট বিভাগ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের একেবারে ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও ৬-৭ ঘণ্টা লাগতে পারে। আবার কম সময়ের মধ্যেও সচল করা সম্ভব হতে পারে।
তিনি বলেন, এর আগে যখন সিলেটে এরকম বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল, তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে যত সময় লেগেছিল এবারও তত সময় লাগতে পারে। পাওয়ার স্টেশন চালু হতে একটু সময় লাগে। অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলে হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল ও স্থাপনা যেগুলো খুবই জরুরি। বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখতে আশুগঞ্জ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হয়েছে। এটি দিয়ে আপাতত এ হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
এদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলা হয়-১৩২ কেভি গ্রিড লাইন ট্রিপ (বিপর্যয়) করায় দপ্তরের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। এতে গ্রাহকদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়।
বিউবো সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎসরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে বিভাগের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলায় বিউবো ও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা ভোগান্তিতে পড়েন। শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে বিভাগের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পানি সংকটে বন্ধের ঝুঁকিতে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র
দেশজুরে চলমান তাপদাহ ও খরায় পর্যাপ্ত পানির অভাবে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটিতেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। চালু রয়েছে শুধু একটি ইউনিট। আর সহসাই বৃষ্টি না হলে এটিও যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে পুরো কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহ।
তিনি জানান, এ সময়ে কাপ্তাই লেকে পানি থাকার কথা ৮৫ মিটার এমএসএল (মিন সি লেভেল)। কিন্তু আজ শনিবার (৪ মে) সকাল ৮টায় পানি ছিল ৭৩.৬০ মিটার এমএসএল। সন্ধ্যা ৬টায় পানির লেভেল কমে হয়েছে ৭৩.৫৮ মিটার এমএসএল। প্রচণ্ড গরমে পানির লেভেল দ্রুত কমে যাচ্ছে। পানির লেভেল ৬৮ এমএসএল নেমে এলে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এখন যেভাবে পানি কমে যাচ্ছে, তাতে চালু থাকা ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনও যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের ২৪২ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। চালু থাকা ইউনিটের ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউনিট চালু থাকলেও তা থেকে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, বৃষ্টি হলেই কেবল বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হবে। এজন্য বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে চেয়ে আছি।
জানা যায়, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সর্বনিম্ন ব্যয় হয় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। ইউনিটপ্রতি গড় ব্যয় মাত্র ২৮-৩০ পয়সা। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিক থেকে কাপ্তাই লেকে পানি কমতে থাকে। মার্চে গিয়ে তা আরও কমে যায়। এখন একবারেই কমে যাচ্ছে। এভাবে কমতে থাকলে যেকোনো সময় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটেরই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পানির পাইপলাইনে ময়লা ও কচুরিপানা ঢোকার পর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যা হয়।
আজ শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই দুটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়নি।
এপিএসসিএল সূত্রে জানা যায়, এপিএসসিএল-এর ছয়টি কেন্দ্র থেকে মোট এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের স্টিম টারবাইন চালু রাখতে মেঘনা নদী থেকে পাম্পের মাধ্যমে পাইপ দিয়ে পানি আনতে হয়। শুক্রবার রাতে ঝড়ের সময় ওই পাইপ দিয়ে ময়লা ও কচুরিপানা ঢুকে পড়ে। এতে পাওয়ার প্লান্টের নর্থ ও সাউথ স্টিম টারবাইন অংশ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে সংশ্লিষ্টরা সেগুলো সরিয়ে উৎপাদন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।
এপিএসসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লা জানান, পানির পাইপে স্প্রিং নেট ভেঙে ময়লা ঢুকে সমস্যা সৃষ্টি হয়। সৃষ্ট সমস্যায় দুটি ইউনিটে প্রায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হবে।
কাফি