আন্তর্জাতিক
এলএনজি রপ্তানি বন্ধ করবে মিসর
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আগামী মাস থেকে রফতানি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিসর। দেশটিতে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন কমছে। তার ওপর গ্রীষ্ম মৌসুমকে কেন্দ্র করে বাড়ছে চাহিদা। এমন বাস্তবতায় স্থানীয় চাহিদা মেটাতেই রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস।
সংকটের কারণে মিসর ছয় বছরের মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো এলএনজি আমদানি করেছে। দেশটি এরই মধ্যে ভিটল ও ট্রাফিগুড়া থেকে দুই কার্গো এলএনজি কিনেছে। এর মধ্যে একটি কার্গো ১৩ এপ্রিল জর্ডানের আকাবা টার্মিনাল থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।
মিসরের রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস কোম্পানি ইগ্যাস সম্প্রতি একটি এলএনজি কার্গো কিনতে দরপত্র আহ্বান করে। এ দরপত্রের আওতায় আগামী ১৮-১৯ মে কার্গোটির ডেলিভারি হতে পারে।
এলএনজি রফতানিতে ২০২৩ সাল ছিল মিসরের জন্য সবচেয়ে হতাশাজনক। কারণ ওই সময় দেশটির রফতানি ৫০ শতাংশ কমে ৩৭ লাখ টন নেমে যায়। এক বছরের ব্যবধানে উৎপাদন কমে প্রায় ১০ শতাংশ। ওই বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশটি কোনো এলএনজি কার্গো রফতানি করেনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরও বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
চীনা পণ্যের ওপর আবারো বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসন। এ তালিকায় থাকছে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি), সেমিকন্ডাক্টর, সৌর সরঞ্জাম ও চিকিৎসাসামগ্রী। চলতি সপ্তাহেই এ-সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই মার্কিন কর্মকর্তা। খবর এপি।
সূত্রটি জানিয়েছে, চীনা ইভির ওপর শুল্ক চার গুণ হতে পারে। এতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্ক বেড়ে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসায় এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করেননি তারা।
মার্কিন কর্মকর্তারা চীনের ইভি ও অন্যান্য পণ্যের অতিরিক্ত উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন। তাদের দাবি, চীনের কম দামি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজারকে প্রভাবিত করছে। একই সঙ্গে তাদের প্রযুক্তি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্রসহ শিল্পোন্নত দেশগুলোর আশঙ্কা, কম দামি চীনা পণ্য রফতানি ঢেউ তাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে প্রভাবিত করবে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগটি আরো প্রকট। কারণ চীনের গ্রিন এনার্জি থেকে উৎপাদিত পণ্যগুলো ডেমোক্র্যাটদের মূল্যস্ফীতি হ্রাস আইনের মাধ্যমে করা জলবায়ুবান্ধব বিনিয়োগগুলোকে দুর্বল করবে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২২ সালের আগস্টে এ-সংক্রান্ত আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ১৯ হাজার অভিবাসী গ্রেপ্তার
দেশজুড়ে এক সপ্তাহের অভিযান চালিয়ে আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। রবিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ১৯ হাজার ৭১০ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সৌদিতে অবৈধভাবে বসবাস, শ্রম ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
বিবৃতিতে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১২ হাজার ৯৬১ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইনে ৪ হাজার ১৭৭ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন করায় আরও ২ হাজার ৫৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া সৌদি আরবে অবৈধ উপায়ে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ৯৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ ইয়েমেনি, ৫৪ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ৩ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি অবৈধভাবে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টার সময় আরও ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, একই সময়ে সৌদির আবাসন, সীমান্ত এবং কাজের বিধিবিধান লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন, আশ্রয় এবং নিয়োগে জড়িত থাকার দায়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে গ্রেপ্তারকৃত ৪৯ হাজার ৪০৭ জন আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে কেবল নারীই রয়েছেন ৩ হাজার ৬৫ জন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪০ হাজার ৩৯১ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ১৩ হাজার ৩৮৩ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩ হাজার ১৬ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া প্রস্তুতি চলছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা বেড়েছে ৩ শতাংশ
ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে গত বছর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল বৈশ্বিক স্বর্ণের চাহিদা। চলতি বছরও একই পথে হাঁটছে মূল্যবান ধাতুটির বাজার। বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এর চাহিদা (ওটিসিসহ) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৩ শতাংশ। সম্প্রতি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের গোল্ড ডিমান্ড ট্রেন্ডস শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)।
ডব্লিউজিসি জানায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ওটিসিসহ সব খাত মিলিয়ে স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা বেড়ে ১ হাজার ২৩৮ টনে দাঁড়িয়েছে। তবে ওটিসি বাদে চাহিদা ৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ১০২ টনে নেমেছে।
ওটিসি বা ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট বলতে মূলত এমন বিকেন্দ্রীকৃত বাজারকে বোঝায়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট কোনো এক্সচেঞ্জের পরিবর্তে সরাসরি নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য সম্পাদন করে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণ কেনাবেচার ক্ষেত্রে ওটিসি বাজারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ডব্লিউজিসির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, স্বর্ণের চাহিদা বাড়ার পেছনে বেশকিছু বিষয় শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওটিসি বাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোয় ক্রয় বেড়ে যাওয়া ও এশিয়ার বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা। এদিকে চাহিদা বাড়ায় প্রথম প্রান্তিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ধাতুটির গড় দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে। প্রতি আউন্সের মূল্য স্থির হয় ২ হাজার ৭০ ডলারে। এক বছরের ব্যবধানে দাম ১০ শতাংশ ও এক প্রান্তিকের ব্যবধানে ৫ শতাংশ বেড়েছে।
বাজারের অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিপুল পরিমাণে স্বর্ণ কিনেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ২৯০ টন স্বর্ণ কিনেছে ব্যাংকগুলো।
এছাড়া গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের বার ও কয়েনে বিনিয়োগের পরিমাণও আগের প্রান্তিকের তুলনায় ৩ শতাংশ বেড়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১২ টনে। যদিও গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় বিনিয়োগের পরিমাণ একই রয়েছে।
স্বর্ণের দাম রেকর্ড পরিমাণে বাড়লেও প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী গহনার চাহিদা মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। গত বছরের তুলনায় গহনার চাহিদা মাত্র ২ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউজিসি। অন্যদিকে ইলেকট্রনিকস খাতে স্বর্ণের বিনিয়োগ চাহিদা গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেড়েছে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে খনি থেকে বৈশ্বিক স্বর্ণ উত্তোলন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাংশ বেড়ে ৯৮৩ টনে দাঁড়িয়েছে। রিসাইক্লিংও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেড়ে ৩৫১ টনে পৌঁছেছে, যা ২০২০ সালের প্রথম প্রন্তিকের পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
এ বিষয়ে ডাব্লিউজিসির সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক লুইস স্ট্রিট বলেন, স্বর্ণের দাম অব্যাহত বাড়ছে। গত মার্চে ধাতুটির দাম সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছে। মূল্যবৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে ভূরাজনৈতিক ও চলমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোয় ক্রয় বেড়ে যাওয়া এবং ওটিসি বাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধিও স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান তিনি।
বাজার পর্যবেক্ষকরা জানান, বিশ্বজুড়ে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে চলতি বছরের শুরু থেকেই আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে স্বর্ণের দাম। নতুন করে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত ধাতুটির বাজারকে আরো ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্রমাগত বাড়ছে ঝুঁকি। এমন বাস্তবতায় নিরাপদ বিনিয়োগমাধ্যম হিসেবে বাড়ছে স্বর্ণের চাহিদা।
বাজার বিশ্লেষক কার্লো আলবার্টো দে কাসা বলেন, এশিয়ার দেশগুলোয় স্বর্ণের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে চীনে চাহিদা বাড়ার হার অনেক বেশি। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোয়ও ধাতুটির ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা যাচ্ছে। বাজারে ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি যেমন রয়েছে, তেমনি বিশ্বজুড়ে সুদহার কমানোর সম্ভাবনাও বাড়ছে। এসব কারণেই মূলত স্বর্ণের দাম বেড়ে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত অন্তত ৬০
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট এই বন্যায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ। আজ শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছেন এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিবিসি বলছে, দেশটি উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আরও কয়েক ডজন লোক নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার রাতে এই অঞ্চলে আরও দুটি ঝড়ের পূর্বাভাসের দেওয়া হয়েছিল। এতে করে সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘরের মধ্য দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ভয়াবহ এই বন্যা দেশটির এই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
মূলত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে অস্বাভাবিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বন্যায় দেশটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বিবিসিকে বলেছেন, যারা মারা গেছেন তারা বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার মানুষ। সেখানে দুই শতাধিক মানুষ তাদের ঘরের মধ্যে আটকা পড়েছেন।
আফগান সরকারের এই কর্মকর্তা এর আগে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টারগুলোকে বাঘলানে পাঠানো হয়েছে। এই এলাকাটি রাজধানী কাবুলের সরাসরি উত্তরে অবস্থিত। তবে রাতে দৃষ্টিশক্তির ঘাটতির কারণে ‘অপারেশন সফল নাও হতে পারে’ বলে জানান তিনি।
এদিকে, স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি কর্মীরা ‘কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান করছেন’। এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ঘরবাড়ি হারিয়েছে এমন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।
এছাড়া বন্যার জেরে কাবুলের সাথে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনে বাংলাদেশসহ ১৪৩ দেশের ভোট
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে জাতিসংঘে ভোটাভুটি হয়েছে। এতে দেশটির পক্ষে বাংলাদেশসহ ১৪৩ দেশ ভোট দিয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শুক্রবার (১০ মে) এ বিষয়ে ভোটাভুটি হয়।
সাধারণ পরিষদের এ প্রস্তাবে ১৪৩ দেশ পক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ বিপেক্ষে ভোট দিয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ২৫ দেশ।
এ প্রস্তাব ফিলিস্তিনিকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেয় না, তবে কেবল তাদের যোগদানের যোগ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
২০১১ সালে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। সেই আবেদন এখনো পড়ে আছে। গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আয়োজন করা হয়। সেখানে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘে পূণ সদস্যপদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় তা আর পাস হয়নি।
তবে পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আবারও সচল করার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিন। সাধারণ পরিষদে আজ এই প্রস্তাব পাস হলে কার্যকরভাবে তা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
কোনো দেশকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ পেতে হলে অবশ্যই নিরাপত্তা পরিষদের ছাড়পত্র লাগবে। নিরাপত্তা পরিষদ ছাড়পত্র দিলে বিষয়টি উঠবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট এই পরিষদের কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দিলেই তবে ওই দেশটি জাতিসংঘে প্রবেশ করতে পারবে।
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দিতে না পারলেও শুক্রবারের প্রস্তাব পাস হলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে কিছু বাড়তি সুবিধা পাবে দেশটি। যেমন সাধারণ পরিষদে অন্যান্য সদস্য দেশের মতো ফিলিস্তিনের জন্য সিট বরাদ্দ থাকবে। তবে তারা কোনো প্রস্তাবে ভোট দিতে পারবে না।
সাত মাসের বেশি সময় ধরে গাজা যুদ্ধ চলছে। ইসারয়েলি হামলায় সেখানে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনে এই যুদ্ধের মধ্যে আবারও দ্বিরাষ্ট্রীয় সমধানের বিষয়টি আলোচনায় আসছে। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমধানের মূল কথা হলো ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাশাপাশি অবস্থান করবে।