ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ৯ মে থেকে শুরু হবে। মৌখিক পরীক্ষা শেষ হবে ১২ জুন। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৌখিক পরীক্ষার সময় সব সনদপত্র, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের মূল কপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩’র তৃতীয় গ্রুপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) জন্য গত ১৪ জুন বিজ্ঞাপন প্রকাশ হয়। এর আলোকে ২৯ মার্চ ২১ জেলায় (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের অবগতির জন্য জানানো হয়েছে, অনলাইনে আবেদনের আপলোডকৃত ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব ও স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ন্যূনতম ৯ম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে। এরপর ৬ মে’র মধ্যে স্ব-স্ব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা দেওয়ার সময় এসব কাগজপত্রের মূল কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রদর্শন করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা ৬ মে’র মধ্যে উপরে উল্লিখিত কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১৮তম নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী।
বুধবার (১৫ মে) রাতে এ ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এনটিআরসিএ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি টেস্টে স্কুল-২, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে মোট ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।
এই প্রিলিমিনারি টেস্টের ফলাফল বুধবার অপরাহ্ণে প্রকাশ করা হয়। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জনসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড় হার ৩৬ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ একাডেমি করা হবে: ইউজিসি
সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের বুনিয়াদীসহ নানা প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ একাডেমি থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য এমন কোনো একাডেমি নেই। এবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
বুধবার (১৫ মে) ইউজিসি সভা কক্ষে বিশ্ব ব্যাংক প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের আওতায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মানোন্নয়নে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ট্রেনিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর আওতায় শিগগিরিই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে যা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে। এর ফলে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
সভায় ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভুঁইয়া, হিট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি আসাহাবুর রহমানসহ ইউজিসি ও বিশ্ব ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ও রূপান্তরে গৃহীত হিট প্রকল্প যথাসময়ে শুরু করা প্রয়োজন। হিট প্রকল্পের আওতায় ইউনিভার্সিটি টিচার্স ট্রেনিং একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলে শিক্ষকদের সক্ষমতা বাড়বে। এছাড়া, একাডেমিক ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় প্রায়োগিক গবেষণাকর্ম পরিচালনার সুযোগ তৈরি হবে। এর মাধ্যমে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্ভব হবে। গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির প্যাটেন্ট ও তার বাণিজ্যিকীকরণ সম্ভব হবে। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে যাবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিরল রোগে ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীর বিরল ভাস্কুলাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম সামিয়া আক্তার ফুল। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বাসা পাবনা জেলার সদর উপজেলায়। ৩ ভাইবোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। গণিত বিভাগের সভাপতি তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, এডমিশন টেস্টের সময় থেকেই সামিয়া অসুস্থ ছিল। তবে তখন ক্যান্সার ধরা না পড়লেও এবছর রোজার মাস থেকে সে আবারো অসুস্থ হয়ে যায়। চিকিৎসাকালীন সময়ে তার কাশির সাথে ব্লাড যাচ্ছিলো, রক্তের ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বাধছিল। সর্বশেষে বমির পাশাপাশি সে শক্ত কোনো খাবারও খেতে পারছিলো না। এছাড়াও সে এনিমিয়াতেও আক্রান্ত ছিল।
সামিয়ার বান্ধুবি জেরিন আক্তার মিম বলেন, সামিয়া আমার ছোটবেলার বান্ধবী। ফুলের মতোই হাসিখুশি মেয়ে হওয়ায় ওর ফুল নামটা সবার পছন্দের ছিল। আমাদের স্কুল, কলেজ একসাথে ছিল। ইবিতেও আমরা একসাথেই এসেছিলাম। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছিনা যে ও আর নেই। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।
সামিয়ার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভাগের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সজীব আলী বলেন, সে বিভাগের প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল। রোজার আগে সে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবে বলে জানায়। কিন্তু আজ সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছে। তার মতো এমন এক মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
চাকরির সুযোগ দিচ্ছে এসিআই
অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে (এসিআই) ‘এরিয়া সেলস ম্যানেজার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এসিআই)
বিভাগের নাম: ইনস্টিটিউশন (কনজিউমার ব্র্যান্ডস)
পদের নাম: এরিয়া সেলস ম্যানেজার
পদসংখ্যা: ০১ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক
অভিজ্ঞতা: ০৪ বছর
বেতন: ৩৫,০০০-৪৫,০০০ টাকা
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: নির্ধারিত নয়
কর্মস্থল: যে কোনো স্থান
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা Advanced Chemical Industries Limited (ACI) এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩০ মে ২০২৪
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের নতুন চেয়রাম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রেজাউল করিম। মঙ্গলবার (১৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-২ শাখার উপসচিব মোছা. রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। রেজাউল করিম শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করা নারায়ণ চন্দ্র নাথের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিজ বেতন ও বেতনক্রমে পদায়ন করা হলো।
এর আগে, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতারের অবসরোত্তর ছুটির পর পদটি শূন্য হয়। পদাধিকার বলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বোর্ড সচিব অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র নাথ।
অধ্যাপক রেজাউল করিম ১৫তম বিসিএস এ যোগ দিয়ে ১৯৯৫ সালে প্রভাষক হিসেবে সিলেটের এমসি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে প্রভাষক হিসেবে চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা করেন। ২০০২ সালে হাতিয়া সরকারি কলেজ, একই বছরে সহকারী অধ্যাপক পদে স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, ২০০৫ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরে সহকারী অধ্যাপক পদে পদায়ন হন।
পরবর্তীতে ২০০৭ সালে পটিয়া সরকারি কলেজ, ২০১০ সালে চট্টগ্রামের সরকারি সিটি কলেজ, ২০১৩ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদায়ন হন। ২০১৬ সালে কক্সবাজার সরকারি কলেজ এবং একই বছর চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা করেন। পরে চট্টগ্রাম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হন। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এমআই