অর্থনীতি
টাকার অংক না বাড়িয়ে ‘ঋণের কিস্তি’ বাড়াতে পারবে ব্যাংক
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশেও বাড়ছে সুদহার। এতে করে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকার পরিমাণও বাড়ছে। ফলে অনেক গ্রাহক সময়মত ঋণের কিস্তি পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় ঋণের কিস্তির টাকার অংক না বাড়িয়ে ব্যাংকগুলো বাড়তি সুদ আদায়ের জন্য কিস্তির সংখ্যা বাড়াতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৮ এপ্রিল এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পাঠিয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টা বলছেন, নতুন সুদহারের কারণে মেয়াদি শিল্প ঋণ ও ব্যক্তি পর্যায়ের গৃহঋণের কিস্তির টাকার অংক বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ছে না। এতে করে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে গ্রাহকদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক কিস্তির টাকার পরিমাণ না বাড়িয়ে কিস্তির সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলছে, গত বছরের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাংকগুলো যে সুদহারে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করেছিল, সেটি অপরিবর্তিত রাখতে হবে। নতুন সুদহারের কারণে কোনো গ্রাহকের কিস্তির পরিমাণ বেড়ে গেলে অতিরিক্ত অর্থ স্থানান্তর করতে হবে সুদ বিহীন আলাদা ব্লকড হিসাবে। শিল্প ও গৃহঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন সুদহারের কারণে অতিরিক্ত যে অর্থ আলাদা হিসাবে যোগ হবে, তা আগের সমপরিমাণ কিস্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য বাড়তি যে সময় লাগবে, সেই সময়ের মধ্যে বাড়তি সুদ পরিশোধ করা যাবে কিস্তিতে। এ ক্ষেত্রে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঋণ স্থিতি বিবেচনায় নিতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, কোনো ব্যক্তির গৃহঋণের ক্ষেত্রে গত বছরের ১ জুলাইয়ের আগে সুদাসলে মাসিক কিস্তির পরিমাণ ছিল ১০ হাজার টাকা। ওই সময় ১০ শতাংশ সুদহারে এ কিস্তি আদায় করা হতো। এখন সুদহার বেড়ে হয়েছে ১৫ শতাংশ। তাতে ওই ঋণগ্রহীতার কিস্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫০০ টাকা। নতুন সুদহারের কারণে কিস্তি বাবদ বাড়তি যে ৫০০ টাকা বেড়েছে, সেটি প্রতি মাসের কিস্তির মাধ্যমে আদায় করা যাবে না। বাড়তি এই ৫০০ টাকা আলাদা একটি ব্লকড হিসাবে স্থানান্তর করে গ্রাহকের ঋণের মেয়াদ পূর্তির পর তা আদায়ের উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকগুলো তাদের নিয়মিত গ্রাহকদেরই এই সুবিধা দিতে পারবে। প্রচলিত ব্যাংকিং ধারার পাশাপাশি ইসলামি শরিয়াহ ব্যাংকের গ্রাহকেরাও একই ধরনের সুবিধা পাবেন। কিন্তু আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে অশ্রেণিকৃত ঋণের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া যাবে না। আবার রূপান্তরিত মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। পাশাপাশি ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বা কোনো কোম্পানিকে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার গঠিত প্রণোদনা বা বিশেষ তহবিলের আওতায় প্রদত্ত ঋণের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা কার্যকর হবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের তৃতীয় মাস মার্চে ঋণের সুদহার হবে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ আর ভোক্তা ঋণের সুদহার পড়বে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ আর জানুয়ারিতে ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ভোক্তা ঋণের সুদহার ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ ছিল। এভাবে ধারাবাহিক ঋণের সুদহার বাড়ছে। এতে গ্রাহকের কিস্তির অঙ্কও বেড়ে যাচ্ছে। তাই ঋণগ্রহীতার ঋণ পরিশোধের সুবিধার্থে ঋণের কিস্তির টাকার পরিমাণ না বাড়িয়ে কিস্তির সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের বৈঠক
প্রবাসীদের শীর্ষ সংগঠন এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের (ইউ.এ.ই) সভাপতি মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিশ্বের সকল প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় মহামান্য রাষ্ট্রপতির সামনে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকল বিষয় মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সকল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অসহায় প্রবাসীদের মৃতদেহ সম্পূর্ণ সরকারি খরচে দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ওমানের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং প্রবাসীদের জন্য ওয়েজ আর্নার বন্ডে বিনিয়োগের সীমা অবমুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যার ফলে দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে তারা রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী সিআইপি (ওমান) এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেশের এবং প্রবাসীদের কল্যাণার্থে পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির সামনে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি করোনাকালীন সময়ে সংগঠটির পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ নিজ খরচে অসহায় প্রবাসীদের মৃতদেহ দেশে প্রেরণ এবং দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রতি বছর পরিচালিত গ্লোবাল বিজনেস সামিটসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়গুলো রাষ্ট্রপতির সামনে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেন।
বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি থাতেইয়ামা কবির সিআইপি (জাপান), সহ-সভাপতি মোঃ মনির হোসেন সিআইপি (ইউ.এ.ই), সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান মিঞা সিআইপি (ওমান), আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী শাহ আলম সিআইপি (সুইডেন), কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান সিআইপি (ওমান), এবং সহ-কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইজাজ হোসেন সিআইপি (ইউ.এ.ই)।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ছয় দফায় স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৭ হাজার ৯৬৭ টাকা
টানা ছয় দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে হচ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল ২৮ এপ্রিল এবং এর আগে ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল পাঁচ দফা সোনার দাম কমানো হয়। ২৮ এপ্রিল ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ৩১৫ টাকা কমানো হয়।
এর আগে ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে ছয় দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৯৬৭ টাকা কমলো।
তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়েছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
প্রযুক্তি খাতে করছাড়ের মেয়াদ না বাড়ানোর পরামর্শ আইএমএফের
২০২৪ সালে শেষ হচ্ছে ২৭টি ডিজিটাল পরিষেবা খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ। তবে তথ্যপ্রযুক্তিতে কর অব্যাহতির মেয়াদ আর বাড়াতে চায় না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ আর না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে দিনব্যাপী আয়কর, মূসক ও শুল্ক অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের আলোচনায় বিষয়টি উঠে এসেছে।
বৈঠকে উপস্থিত নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এসময় সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আইএমএফ কর্মকর্তাদের জানিয়েছে এনবিআর। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়াও তিন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা ও আইএমএফের ৬ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, আইএমএফ মিশনের পক্ষ থেকে আগামী তিন বছরের মধ্য যাবতীয় কর অব্যাহতি তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে এনবিআর কর্মকর্তারা তথ্য প্রযুক্তিখাতের সামগ্রিক চিত্র ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। কর অব্যাহতি থাকার ফলে এ খাতের উত্থান হয়েছে এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন বলে জানান। তবে এ বিষয়ে একমত হয়নি আইএমএফ মিশন।
তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৪৫ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সরকারের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য। কর অব্যাহতি তুলে দিলে এ খাতের ক্রমবর্ধমান বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন খার সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি অনুধাবন করে এ খাতে কর অবকাশ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়াতে সম্প্রতি এনবিআরকে চিঠি দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সূত্রমতে, যে কোন সেবার বিপরীতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর করার বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছে। পোশাক, ফুটওয়্যার, এলপিজি, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য খাত কর অবকাশ থেকে সরানোর পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। এছাড়া পেট্রোবাংলার কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়, অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা যায় কি না তা জানতে চেয়েছে আইএমএফ। পাশাপাশি তিনটি অনুবিভাগে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কথা বলেছে সংস্থাটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় ব্যবসায়ীরা
নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে জেলা চেম্বারগুলো। জেলা চেম্বারের সক্ষমতা বৃদ্ধিবিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় জেলা চেম্বারের নেতারা এ দাবি জানান। আজ রোববার মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই আইকনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, নতুন উদ্যোক্তা তৈরিসহ সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে জেলা চেম্বারগুলো। কিন্তু আয়ের উৎস সংকীর্ণ। অনেক জেলা চেম্বারের নিজস্ব ভবন নেই। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দক্ষ লোকবলের অভাবে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন দেশের বিভিন্ন জেলা চেম্বার। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে তারা। পাশাপাশি সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআইয়েরও।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, জেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জেলা চেম্বারগুলো। দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। জেলা চেম্বার ও উইমেন চেম্বারের বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে এফবিসিসিআই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
চেম্বারের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের আয়োজন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য একটি তহবিল গঠনের কাজ চলছে বলেও জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি, হয়রানি বন্ধ ও চেম্বারের আয়ের উৎস বৃদ্ধিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এফবিসিসিআই শিগগিরই আলোচনায় বসবে। চেম্বার পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তাও আছে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় ব্যাংকঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য জেলা চেম্বার সহযোগিতার বড় একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে বলে মন্তব্য করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর।
জেলা চেম্বারগুলোর উন্নয়নে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে প্রতিটি চেম্বারে গিয়ে সভা করার সুপারিশ করেন কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও এফবিসিসিআইর পরিচালক সুজীব রঞ্জন দাস।
এফবিসিসিআইসহ এর অধিভুক্ত বাণিজ্য সংগঠনগুলো স্মার্ট করার লক্ষ্যে এফবিসিসিআই অ্যাপ তৈরির কাজ চলছে বলেও সভায় জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. খাইরুল হুদা, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, যশোদা জীবন দেবনাথ, মো. মুনির হোসেন, সাবেক প্রথম সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, এফবিসিসিআইর পরিচালকেরা, বিভিন্ন জেলা চেম্বারের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফ্রান্সের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহী এফবিসিসিআই
ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার ও দক্ষতা উন্নয়নে দেশটির সহযোগিতা চায় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। বাণিজ্য জোরদারে ফ্রান্সের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন মেদেফের সঙ্গে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনেও আগ্রহের কথা জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় অবস্থানরত ফ্রান্স দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জনান এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। ফ্রান্স দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে আমিন হেলালী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম রফতানি পণ্যের বাজার হিসেবে ধরা হয় ফ্রান্সকে। দেশটিতে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্যসহ বেশ কয়েকটি পণ্য রফতানি করছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য জোরদারে বাংলাদেশ রফতানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে আমিন হেলালী ফরাসি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করতে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান (টিটো), এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর ও ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যাটাচে ইয়ান রিগেলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এমআই