আন্তর্জাতিক
স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
প্রায় প্রতিনিয়তই বিশ্ববাজারে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। একের পর এক রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে আরেক ধাপ বাড়লো এই দাম। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আউন্স প্রতি স্বর্ণের দাম ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৩০০ ডলার।
শুক্রবার স্পট মার্কেটে দুই হাজার ৩২৭ দশমিক ৬০ ডলারে উঠেছে এক আউন্স স্বর্ণের দাম। এর আগে গত ৪ এপ্রিল লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২ হাজার ২৯৪ দশমিক ৯৯ ডলারে উঠে যায়। পরে অবশ্য দাম স্থির হয়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৯২ দশমিক ৩১ ডলারে। অর্থাৎ, প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়েছে মাত্র একদিনের ব্যবধানে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে মার্চ মাসে প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ২০২২ সালের নভেম্বরের পর যা একক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধির রেকর্ড।
বিশ্ববাজারের প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। বর্তমানে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকায়। যা গত ২২ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক কারণেও নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে মানুষ ঝুঁকছেন স্বর্ণের দিকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বৈশ্বিক অবকাঠামো খাতে বড় ঘাটতির আশঙ্কা
বৈশ্বিক অবকাঠামো খাতে টেকসই উন্নয়নের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তবে সে অনুপাতে অর্থের জোগান নিয়ে সংশয় রয়েছে খাতসংশ্লিষ্টদের একটি অংশে। সম্প্রতি এ ধরনের মন্তব্য করেন ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) গ্রুপের প্রধান মোহাম্মদ আল জাসের।
তিনি জানান, এ খাতে বিশ্বব্যাপী ঘাটতি ২০৪০ সাল নাগাদ ১৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে। আল জাসের বলেন, আগামী বিশ্বের জন্য দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও টেকসই অবকাঠামো প্রকল্প দরকার। কারণ বিশ্বব্যাপী অবকাঠামোগত অর্থায়নের ব্যবধান ২০৪০ সালের মধ্যে প্রায় ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সম্প্রতি আইডিবির বার্ষিক সভা ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মোহাম্মদ আল জাসের বলেন, ‘টেকসই অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অর্থায়নে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন।’
তার ভাষ্যে, ‘অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রথাগত পাবলিক ফাইন্যান্সিং মেকানিজমগুলো। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল জোগাড় করতে বিশ্বে একটি নতুন পদ্ধতির প্রয়োজন।’
নতুন পদ্ধতি হিসেবে ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার উল্লেখ করে আল জাসের বলেন, ‘এখানেই ইসলামিক ফাইন্যান্স আলোর রশ্মি হিসেবে আবির্ভূত হয়। এর সম্পদভিত্তিক ও ঝুঁকি ভাগাভাগি-সংক্রান্ত নীতিগুলো দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চাহিদার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামিক ফাইন্যান্স পরিবেশগত দায়বদ্ধতার ওপর জোর দিয়ে এ প্রচেষ্টাগুলোকে সমর্থন করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এলএনজি রপ্তানি বন্ধ করবে মিসর
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আগামী মাস থেকে রফতানি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিসর। দেশটিতে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন কমছে। তার ওপর গ্রীষ্ম মৌসুমকে কেন্দ্র করে বাড়ছে চাহিদা। এমন বাস্তবতায় স্থানীয় চাহিদা মেটাতেই রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস।
সংকটের কারণে মিসর ছয় বছরের মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো এলএনজি আমদানি করেছে। দেশটি এরই মধ্যে ভিটল ও ট্রাফিগুড়া থেকে দুই কার্গো এলএনজি কিনেছে। এর মধ্যে একটি কার্গো ১৩ এপ্রিল জর্ডানের আকাবা টার্মিনাল থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।
মিসরের রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস কোম্পানি ইগ্যাস সম্প্রতি একটি এলএনজি কার্গো কিনতে দরপত্র আহ্বান করে। এ দরপত্রের আওতায় আগামী ১৮-১৯ মে কার্গোটির ডেলিভারি হতে পারে।
এলএনজি রফতানিতে ২০২৩ সাল ছিল মিসরের জন্য সবচেয়ে হতাশাজনক। কারণ ওই সময় দেশটির রফতানি ৫০ শতাংশ কমে ৩৭ লাখ টন নেমে যায়। এক বছরের ব্যবধানে উৎপাদন কমে প্রায় ১০ শতাংশ। ওই বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশটি কোনো এলএনজি কার্গো রফতানি করেনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো জাপান
জাপানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বনিন দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০৩ দশমিক ২ কিলোমিটার (৩১২.৭ মাইল) গভীরে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল রাজধানী টোকিও থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণের পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র বলেছে, জাপানে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। জাপানের ভূমিকম্প কেন্দ্র বলেছে, বনিনে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ফলে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করার প্রয়োজন হয়নি।
এর আগে ২২ এপ্রিল এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানের প্রতিবেশী তাইওয়ান। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। তার আগে ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর স্বশাসিত দ্বীপ অঞ্চলটিতে এক হাজারের মতো আফটারশকের ঘটনা ঘটেছে।
তাইওয়ানের মতো জাপানও একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে দেশটির শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম কমলো
অবশেষে চলতি সপ্তাহে এশিয়ার স্পট মার্কেটে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম কমেছে। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে গত ২ মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথম জ্বালানি পণ্যটির দর কমলো।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হতে পারে। সঙ্গত কারণে এলএনজির সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ হ্রাস পেয়েছে। ইতোমধ্যে এশীয় অঞ্চলে চাহিদা দুর্বল হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দরপতন ঘটেছে।
আলোচ্য সময়ে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় আগামী জুনের এলএনজির গড় সরবরাহ মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে। এই সপ্তাহে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের (এমএমবিটিইউ) দর স্থির হয়েছে ১০ ডলার ২০ সেন্টে।গত সপ্তাহে যা বিগত ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল। সেখান থেকে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য হ্রাস পেলো।শিল্প কারখানা সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি মাসে এশিয়ার স্পট মার্কেটে বিগত ১৫ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল এলএনজির দাম। গত মার্চের পর থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহে জ্বালানিটির দর বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশেষে এবার তা কমলো।
শিল্প-কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এলএনজির বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ফলে এশীয় ক্রেতাদের কাছে চাহিদা কমেছে।
ক্রেতাদের উদ্দেশে লেখা এক নোটে বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাইস্টাড এনার্জির বিশ্লেষকরা বলেন, প্রত্যাশা করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাত প্রশমিত হবে। ফলে এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজির দরপতন ঘটেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ফিউচার মার্কেটে কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম
ফিউচার মার্কেটে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম। প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলের দামে নিম্নমুখী প্রবণতার পাশাপাশি শীর্ষ দেশগুলোয় উৎপাদন বাড়ার খবর পাম অয়েলের দাম কমার পেছনে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে গতকাল জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম ৯২ রিঙ্গিত বা ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৮৫০ রিঙ্গিতে (৮০৫ ডলার ২৭ সেন্ট)।
ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে গতকাল ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। সেখানে পাম অয়েলের দাম কমেছে ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় পাম অয়েলের। বিপুল সরবরাহ ও প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য তেলের তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ায় ব্যবসায়ীদের কাছে এর কদর বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি দাম কমে যাওয়ায় পাম অয়েলের চাহিদা কমছে। পাম অয়েল ক্রেতারা দামের সুবিধা নিতে প্রতিদ্বন্দ্বী এসব তেলের বাজারে ঝুঁকছেন। এতে পণ্যটির মূল্য পুনরুদ্ধার ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।