অর্থনীতি
আয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়ায় যেসব বিপদ হতে পারে
কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) হওয়া সত্ত্বেও দেশের অনেকেই বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেননি। অতিরিক্ত সময় দেওয়ার পরেও রিটার্ন জমা না দেওয়ায় বেশ বিপাকে পড়বেন করদাতা। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আয়কর রিটার্ন না দিলে ৪৩ সেবা পেতে বিপত্তিতে পড়বেন।
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক রিটার্ন দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ জানুয়ারি। এবার রিটার্ন জমা দিতে দুই মাসের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হলেও অনেকেই রিটার্ন দিতে পারেননি। যদিও এখন করদাতারা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন, তবে তাঁরা কোনো কর রেয়াত পাবেন না এবং তাঁদের জরিমানাও দিতে হবে।
রিটার্ন জমার নির্ধারিত শেষ দিন ছিল গত ৩০ নভেম্বর। কিন্তু পরে তা বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি করা হয়। গত বুধবার এই সময়ও শেষ হয়ে গেছে।
নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময় পেরোনোর পর যাঁরা রিটার্ন জমা দেবেন, তাদের যাতায়াত ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা—এ ধরনের ভাতার ওপর কর বসবে। এসব আয়ে কোনো কর রেয়াত মিলবে না। বিনিয়োগজনিত কর রেয়াতসহ সব ধরনের কর–সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে। এতে তুলনামূলকভাবে বেসরকারি চাকরিজীবী করদাতারা বেশি বিপাকে পড়বেন।
একজন চাকরিজীবী করদাতা মূল বেতন ছাড়াও যাতায়াত, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা পান। নতুন আইনে এসব ভাতা থেকে প্রাপ্ত অর্থের মধ্যে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত কিংবা বার্ষিক মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশের মধ্য যেটি কম, তা করমুক্ত থাকবে। কিন্তু এখন ওই করদাতা রিটার্ন দিতে গেলে এই সুবিধা বাদ যাবে।
কর কমানোর উপায় হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু খাতে বিনিয়োগ করা। যেমন সঞ্চয়পত্র, শেয়ারবাজার, বন্ড ইত্যাদি। এসব খাতে বিনিয়োগ করলে কর রেয়াত পাওয়া যায়। কিন্তু এখন রিটার্ন দিলে বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত নেওয়া যাবে না। এ ছাড়া কোনো করদাতা প্রবাসী আয় পেলে কিংবা বিদেশ থেকে কোনো আয় এলে তা করমুক্ত হয়। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে রিটার্ন জমা না দেওয়ার কারণে এখন সেই সুবিধাও মিলবে না।
নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, কর দিবস–পরবর্তী যেকোনো সময় করদাতা রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। ওই করদাতার মোট করের ওপর জরিমানা আরোপের সুযোগও আছে। আইনে উপ–কর কমিশনারকে প্রদেয় করের ওপর ১০ শতাংশ হারে জরিমানা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই জরিমানা পরিমাণ হবে সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা। প্রয়োজনে প্রতিদিনের জন্য ৫০ টাকা করে জরিমানা আরোপ করা যাবে। রিটার্ন জমা দিচ্ছেন কিন্তু আরোপযোগ্য কর হয়নি, এমন করদাতাদের সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে।
দেশে বর্তমানে প্রায় ৯৯ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। এ বছর তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৪০ হাজার ৪০৬ জন করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় পাঁচ লাখের কিছু বেশি। এ বছর রিটার্ন বাবদ কর পাওয়া গেছে ৫ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ছয় দফায় স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৭ হাজার ৯৬৭ টাকা
টানা ছয় দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে হচ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল ২৮ এপ্রিল এবং এর আগে ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল পাঁচ দফা সোনার দাম কমানো হয়। ২৮ এপ্রিল ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ৩১৫ টাকা কমানো হয়।
এর আগে ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে ছয় দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৯৬৭ টাকা কমলো।
তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়েছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
প্রযুক্তি খাতে করছাড়ের মেয়াদ না বাড়ানোর পরামর্শ আইএমএফের
২০২৪ সালে শেষ হচ্ছে ২৭টি ডিজিটাল পরিষেবা খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ। তবে তথ্যপ্রযুক্তিতে কর অব্যাহতির মেয়াদ আর বাড়াতে চায় না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ আর না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে দিনব্যাপী আয়কর, মূসক ও শুল্ক অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের আলোচনায় বিষয়টি উঠে এসেছে।
বৈঠকে উপস্থিত নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এসময় সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আইএমএফ কর্মকর্তাদের জানিয়েছে এনবিআর। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়াও তিন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা ও আইএমএফের ৬ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, আইএমএফ মিশনের পক্ষ থেকে আগামী তিন বছরের মধ্য যাবতীয় কর অব্যাহতি তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে এনবিআর কর্মকর্তারা তথ্য প্রযুক্তিখাতের সামগ্রিক চিত্র ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। কর অব্যাহতি থাকার ফলে এ খাতের উত্থান হয়েছে এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন বলে জানান। তবে এ বিষয়ে একমত হয়নি আইএমএফ মিশন।
তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৪৫ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সরকারের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য। কর অব্যাহতি তুলে দিলে এ খাতের ক্রমবর্ধমান বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন খার সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি অনুধাবন করে এ খাতে কর অবকাশ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়াতে সম্প্রতি এনবিআরকে চিঠি দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সূত্রমতে, যে কোন সেবার বিপরীতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর করার বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছে। পোশাক, ফুটওয়্যার, এলপিজি, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য খাত কর অবকাশ থেকে সরানোর পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। এছাড়া পেট্রোবাংলার কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়, অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা যায় কি না তা জানতে চেয়েছে আইএমএফ। পাশাপাশি তিনটি অনুবিভাগে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কথা বলেছে সংস্থাটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় ব্যবসায়ীরা
নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে জেলা চেম্বারগুলো। জেলা চেম্বারের সক্ষমতা বৃদ্ধিবিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় জেলা চেম্বারের নেতারা এ দাবি জানান। আজ রোববার মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই আইকনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, নতুন উদ্যোক্তা তৈরিসহ সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে জেলা চেম্বারগুলো। কিন্তু আয়ের উৎস সংকীর্ণ। অনেক জেলা চেম্বারের নিজস্ব ভবন নেই। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দক্ষ লোকবলের অভাবে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন দেশের বিভিন্ন জেলা চেম্বার। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে তারা। পাশাপাশি সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআইয়েরও।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, জেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জেলা চেম্বারগুলো। দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। জেলা চেম্বার ও উইমেন চেম্বারের বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে এফবিসিসিআই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
চেম্বারের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের আয়োজন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য একটি তহবিল গঠনের কাজ চলছে বলেও জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি, হয়রানি বন্ধ ও চেম্বারের আয়ের উৎস বৃদ্ধিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এফবিসিসিআই শিগগিরই আলোচনায় বসবে। চেম্বার পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তাও আছে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় ব্যাংকঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য জেলা চেম্বার সহযোগিতার বড় একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে বলে মন্তব্য করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর।
জেলা চেম্বারগুলোর উন্নয়নে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে প্রতিটি চেম্বারে গিয়ে সভা করার সুপারিশ করেন কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও এফবিসিসিআইর পরিচালক সুজীব রঞ্জন দাস।
এফবিসিসিআইসহ এর অধিভুক্ত বাণিজ্য সংগঠনগুলো স্মার্ট করার লক্ষ্যে এফবিসিসিআই অ্যাপ তৈরির কাজ চলছে বলেও সভায় জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. খাইরুল হুদা, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, যশোদা জীবন দেবনাথ, মো. মুনির হোসেন, সাবেক প্রথম সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, এফবিসিসিআইর পরিচালকেরা, বিভিন্ন জেলা চেম্বারের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফ্রান্সের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহী এফবিসিসিআই
ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার ও দক্ষতা উন্নয়নে দেশটির সহযোগিতা চায় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। বাণিজ্য জোরদারে ফ্রান্সের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন মেদেফের সঙ্গে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনেও আগ্রহের কথা জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় অবস্থানরত ফ্রান্স দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জনান এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। ফ্রান্স দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে আমিন হেলালী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম রফতানি পণ্যের বাজার হিসেবে ধরা হয় ফ্রান্সকে। দেশটিতে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্যসহ বেশ কয়েকটি পণ্য রফতানি করছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য জোরদারে বাংলাদেশ রফতানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে আমিন হেলালী ফরাসি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করতে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান (টিটো), এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর ও ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যাটাচে ইয়ান রিগেলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৮ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
তথ্য মতে, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
গত মার্চ মাসে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।
এসএম