Connect with us

ধর্ম ও জীবন

বিয়ের খুতবা কখন, কীভাবে পড়তে হয়?

Published

on

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম সুন্নাত বিয়ে। তিনি বিয়েকে সুন্নাত ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, বিয়ে আমার সুন্নত। অতএব যে আমার সুন্নত পালন থেকে বিরত থাকবে, সে আমার অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (ইবনে মাজাহ)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

وَ اَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَ الصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَ اِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِهِمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ وَ لۡیَسۡتَعۡفِفِ الَّذِیۡنَ لَا یَجِدُوۡنَ نِکَاحًا حَتّٰی یُغۡنِیَهُمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ ؕ

তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। যারা বিয়েতে সামর্থ্য নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে— যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেন। (সূরা নুর, (২৪), আয়াত, ৩২-৩৩)

বিবাহিত জীবনব্যবস্থা যে শুধু কামনা-বাসনা দমন করে তা নয়, জাতীয় সত্তার পবিত্রতা অক্ষুণ্ন রাখার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় গুণাবলিকেও দুর্বার গতিতে উজ্জীবিত ও উদ্দীপ্ত করে তোলে। বৈবাহিক যোগসূত্র ছাড়া নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ইসলাম কখনই অনুমতি দেয় না।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবকদের বিয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান রক্ষা করে। (বুখারি, হাদিস, ৫০৬৬; মুসলিম, হাদিস, ১৪০০)

বিয়ের অন্যতম অনুষঙ্গ বিয়ের খুতবা। সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব-কবুলের আগে বিয়ের খুতবা পড়া সুন্নত। তবে খুতবা পড়া ফরজ কিছু নয়। এজন্য শরীয়ত নির্ধারিত সাক্ষীর উপস্থিতিতে যদি বিশুদ্ধভাবে বিয়ের ইজাব-কবুল হয়ে যায় এবং উপস্থিত সাক্ষীরা ইজাব-কবুলের শব্দগুলো শুনে তাহলে বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।

ইজাব-কবুলের আগে খুতবার শব্দগুলো পড়া না হলেও এতে বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়বে না। (ফতোয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ, ৬১২২৫৩ ফতোয়া, ১২৬২-৯৫৩)

এই খুতবা দাঁড়িয়ে দেওয়া সুন্নত। তবে বসে দিলেও কোনো গুনাহ নেই। তাতে বিবাহের কোনো ক্ষতি হবে না। (জামেউল ফাতাওয়া,ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ) তবে অবশ্যই খুতবা আরবীতে দিতে হয়। নিচে বিয়ের আরবি খুতবা, উচ্চারণ ও অর্থসহ তুলে ধরা হলো-

إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونؤمن به ونتوكل عليه، ونعوذ بالله من شرور انفسنا ومن سيئات اعمالنا، من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له، واشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له، واشهد ان سيدنا ومولانا محمد عبده و رسوله، الذي أُرسل الى الناس كافةً بشيرا ونذيرا، وداعيا الى الله بإذنه سراجا وقمرا منيرا، اما بعد

فأعوذ بالله من الشيطان الرجيم، بسم الله الرحمن الرحيم، يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ (سورة آل عمران : 102)

وقال تعالى: يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ، واحِدَةٍ، وخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا ونِسَاءً واتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ والْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا (سورة النساء:1)

وقال تعالى: يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا، يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا (سورة الأحزاب: 70-71)

وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذا تزوج العبد فقد استكمل نصف الدين فليتق الله في النصف الباقي (صحيح الترغيب والترهيب للامام الالباني رحمه الله)

وقال عليه الصلاة والسلام: النِّكَاحُ من سُنَّتِي فمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَليسَ مِنِّي ، و ايضا قال: تَزَوَّجُوا الوَدُودَ الوَلودَ ، فإني مُكَاثِرٌ بكم الأنبياءَ يومَ القيامةِ (أخرجه أحمد: 13594)

বাংলা উচ্চারণ :

ইন্নাল হামদা লিল্লাহি, নাহমাদুহু ওয়া নাস্তাইনুহু, ওয়া নাস্তাগফিরুহু, ওয়া নাঊযুবিল্লাহি মিন শুরুরি আনফুসিনা, ওয়ামিন সায়্যিআ-তি আ’মালিনা, মাই ইয়াহদিহিল্লাহু, ফালা মুদ্বিল্লালাহ, ওয়া মাই উদলিল ফালা হাদিয়া লাহ।

ওয়া আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহ, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহ, আল্লাযি উরসিলা ইলান্না-সি কা-ফ্ফাতাম, বাশীরাও ওয়া নাযিরা।
ওয়া দা-ইয়ান ইলাল্লা-হী বিইযনিহী ওয়া সিরাজাও, ওয়া ক্বামারাম মুনীরা। আম্মা বা’দ!

ফাআঊযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজিম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ‘ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানুত-তাকুল্লাহা হাক্কা তুকাতিহি ওয়ালা তামুতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমুন।’

ওয়া-ক্বালা তায়ালা: ‘ইয়া আইয়্যুহান্নাসুত-তাকু রাব্বাকুমুল লাযি খালাকাকুম মিন নাফসিও ওয়াহিদাতিও, ওয়া-খালাকা মিনহা যাওজাহা, ওয়া-বাচচা মিনহুমা রিজালান কাসিরাও ওয়া নিসা, ওয়াত-তাকুল্লাহাল্লাযি তাসা আলুনা বিহি, ওয়াল আরহাম, ইন্নাল্লাহা কা-না আলাইকুম রাকিবা।’

ওয়া-ক্বালা তায়ালা: ‘ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানুত তাকুল্লাহা, ওয়া কূ-লূ কাওলান চাদিদা। ইউসলিহ লাকুম আ-মালাকুম ওয়াগ ফির-লাকুম যুনুবাকুম, ওয়ামাই য়ূতিয়িল্লাহা ওয়া রাসূলাহু ফাকাদ ফাযা ফাওযান আযিমা।’

ওয়া-ক্বালা আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম: ‘ইযা তাযাওয়াযাল আবদু, ফাকাদ ইসতাকমালা নিসফাদ দ্বীন‚ ফাল-ইয়াত্তাক্বিল্লাহা ফীন নিসফিল বাক্বী।’ (শুয়াবুল ঈমান)

ওয়া-ক্বালা আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম: ‘আন্নিকাহু মিন সুন্নাতী, ফামান রাগিবা আন সুন্নাতি ফালাইসা মিন্নী।’ ওয়া-ক্বালা আইজান: তাজাওয়্যাজুল ওয়ালু-দাল ওয়াদু-দা, ফা-ইন্নি মুকাচিরুম বিকুমুল আম্বিয়া, ইয়াউমাল কিয়ামাহ।

বাংলা অনুবাদ :

নিশ্চয়ই প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তার প্রশংসা করছি। তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করছি এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা আমাদের নফসের অকল্যাণ থেকে এবং আমাদের খারাপ কর্মগুলো থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত করেন তাকে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারেনা, আর আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তাকে কেউ হেদায়াত দিতে পারেনা এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই এবং মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।

হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে সত্যিকারে ভয় করো এবং মুসলিম না হয়ে তোমরা মৃত্যুবরণ করো না।

হে মানবজাতি! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো যিনি তোমাদেরকে একটি প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকেই তার জোড়াকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের থেকে বহু নর-নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন। ভয় করো যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট জিজ্ঞাসা করো এবং সতর্ক থাকো রক্ত আত্মীয়তার বন্ধন সম্পর্কে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপর তিক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন। (সূরা নিসা, আয়াত, ১)

হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্য কথা বলো। তিনি তোমাদের কর্মক্ষেত্র ত্রুটি মুক্ত করবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে তারা অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করে। (সূরা আহযাব, আয়াত, ৭০-৭১)

আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বান্দা যখন বিবাহ করে তখন সে তার অর্ধেক দ্বীন পূর্ণ করে নেয়। অতএব তাকে তার অবশিষ্ট অর্ধেক দ্বীনের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করা উচিত।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ধর্ম ও জীবন

ওমরাহ নিয়ে সুখবর জানালো সৌদি আরব

Published

on

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

এখন থেকে যেকোনো ভিসায় ওমরাহ পালন করা যাবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এর বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে ওমরাহ পালন করা যাবে। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি ওমরাহ করতে পারবেন। ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে ওমরাহ করতে কোনো বাধা নেই।

এদিকে পবিত্র হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল থেকে দেশটির স্থানীয় বাসিন্দা ও সেখানে বসবাসকারী মুসলিম বিদেশি নাগরিকদের হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়। এতে আবাসন সুবিধা বিবেচনায় ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়াল পর্যন্ত চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে আসন্ন হজের প্রস্তুতি হিসেবে ওমরাহ পালনের সময়সীমা ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। আগামী ২৯ জিলকদ (৬ জুন) এর মধ্যে ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরব ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সৌদি আরবে প্রবেশের পর থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত ওমরাহ ভিসার মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

রিজিক বাড়ানোর ১২ আমল

Published

on

রিজিক বাড়ানোর ১২ আমল

প্রতিটি প্রাণীর জীবনধারণের জন্য আল্লাহ–তাআলার এমন বিশেষ দানকে রিজিক বলা হয়, যা নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী প্রদান করা হয়; আর তার মাধ্যমে প্রাণীটির সার্বিক উপকার সাধিত হয়। রিজিক সেটাই, যা বান্দার উপকারে আসে। উপকারে আসার বিষয়টিও ব্যাপক—ইহকাল ও পরকাল তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং কোনো ব্যক্তি মানুষ বা প্রাণী যদি ইহকালে রিজিকপ্রাপ্ত না হয়, পরকালে সে অবশ্যই তা পাবে।

অনুরূপভাবে যা কিছু মানবদেহ ও আত্মার খোরাক মেটায়, তা-ই রিজিক। মোট কথা, আল্লাহ–তাআলার এক বিশেষ অনুগ্রহের নাম রিজিক, যা তিনি মানুষসহ সব প্রাণীকে নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী দিয়ে থাকেন। তবে কিছু আমলের মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি ঘটে এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসে। রিজিক বাড়ানোর ১২ আমল করবেন যেভাবে-

১. তওবা-ইস্তিগফার করা

তওবা-ইস্তিগফার করার মাধ্যমে বান্দার রিজিক বাড়ে। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আমি তাদের বলেছি, নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে উন্নতি দান করবেন এবং তোমাদের বাগবাগিচা এবং নদীনালা দান করবেন।’ (সুরা নুহ, আয়াত: ১০-১২; সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত: ৮২)

ইবনে আব্বাস (রা.)–র বিবরণে আছে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাগাতার তওবা-ইস্তিগফার করবে; আল্লাহ–তাআলা সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন; সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ১,৫১৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩,৮১৯; মুস্তাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২৯১, হাদিস: ৭,৬৭৭)

২. পরহেজগারি অবলম্বন এবং আল্লার ওপর ভরসা রাখা

যেসব কাজকর্ম বা আমলে রিজিকে প্রবৃদ্ধি ঘটে; তার মধ্যে তাকওয়া-পরহেজগারি অবলম্বন করা এবং তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা অন্যতম। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর যে আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করবে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দান করবেন, যার কল্পনাও সে করতে পারবে না ।’ (সুরা সাদ, আয়াত: ৩৫)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথার্থভাবে ভরসা রাখো। তিনি তোমাদের সেভাবে রিজিক দান করবেন, যেভাবে তিনি পাখিদের দান করে থাকেন। পাখিরা সকালে ক্ষুধার্ত অবস্থায় (খালি পেটে) বাসা থেকে বের হয় এবং সন্ধ্যায় উদর পূর্ণ করে বাসায় ফেরে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২,৩৪৪; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪,১৬৪)

৩. হজ-ওমরাহ পালন

বারবার হজ ও ওমরাহ পালন করার দ্বারা রিজিকে প্রবৃদ্ধি ঘটে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)–র বিবরণে আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা লাগাতার হজ ও ওমরাহ পালন করতে থাকো। কারণ, এর দ্বারা এমনভাবে অভাব ও গুনাহ দূরীভূত হয়; যেমনভাবে কামারের হাপর লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা দূর করে দেয়।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৮১০; নাসায়ি, হাদিস: ২,৬৩১)

৪. হিজরত করা এবং জিহাদে অংশ নেওয়া

আল্লাহ–তাআলার রাস্তায় হিজরত করা ও জিহাদে অংশগ্রহণ করার দ্বারা রিজিকে বরকত হয়। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহ–তাআলার রাস্তায় হিজরত করবে; জমিনে বহু আশ্রয়স্থল ও সচ্ছলতা পাবে সে।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১০০)

ইবনে উমর (রা.)–র বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার বর্শার ছায়াতলে আমার রিজিক রাখা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৫,৬৬৭; বায়হাকি, হাদিস: ১,১৫৪)

৫. নামাজ আদায়

সময়মতো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে রিজিক বাড়ে। নামাজ আদায় করার ফাঁকে ফাঁকে কাজ ও ব্যবসা–বাণিজ্য করতে হবে; কাজ ও ব্যবসা–বাণিজ্য করার ফাঁকে ফাঁকে নামাজ নয়। একই সঙ্গে আল্লাহ–তাআলার ইবাদত পালনে নিজেকে ঝামেলামুক্ত করতে হবে। আল্লাহ–তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আর আপনি পরিবার-পরিজনকে নামাজ আদায়ের আদেশ দিন এবং নিজেও তার ওপর অটল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমিই আপনাকে রিজিক দিই। আর মুত্তাকিদের জন্যই শুভ পরিণাম।’ (সুরা ত্বহা, আয়াত: ১৩২)

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ–তাআলা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য তুমি তোমার অন্তরকে খালি করো। আমি তোমার অন্তরকে অভাবমুক্ত হিসেবে পরিপূর্ণ করে দেব এবং তোমার দরিদ্র্যের পথ দূর করে দেব। আর যদি তা না করো; আমি তোমার হাত (দুনিয়ার) ব্যস্ততায় পূর্ণ করে দেবো এবং তোমার অভাব মেটাব না।’ (তিরমিজি, হাদিস–২,৪৬৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪,১০৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৮,৬৯৬)

৬. আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা

রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম আরেকটি আমল হচ্ছে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা। আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচরণ করতে এবং তাঁদের হক যথাযথভাবে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ–তাআলা। (সুরা নিসা, আয়াত: ৩৬; সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ২৬) আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে আমি বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কামনা করে তার রিজিক প্রশস্ত করে দেওয়া হোক এবং আয়ু দীর্ঘ করা হোক—সে যেন তার আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে।’ (বুখারি, হাদিস: ৫,৯৮৫; মুসলিম, হাদিস: ৪,৬৩৯)

আরও পড়ুন: যে কারণে আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করে দেন

৭. আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় এবং দান-সদকা

দান-সদকা করার মাধ্যমে রিজিক বাড়ে। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় করো; তিনি তার বিনিময় দেবেন। তিনিই উত্তম রিজিকদাতা।’ (সুরা সাবা, আয়াত: ৩৯) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা অবতরণ করে। তাদের একজন বলে, হে আল্লাহ! দানকারীকে তার দানের জন্য উত্তম প্রতিদান দিন। অপরজন বলে, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করে দিন।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৪৪২, মুসলিম, হাদিস: ১,০১০)

৮. শোকর আদায় বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

যেসব কাজকর্ম বা আমলে রিজিক বাড়ে, তার মধ্যে অন্যতম হলো আল্লাহ–তাআলা যেসব নিয়ামত দান করেছেন, তার শোকর আদায় করা বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। কারণ, শোকর আদায় করার দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘যদি তোমরা শোকর আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের (নিয়ামত) বাড়িয়ে দেব। আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আজাব বড় কঠিন।’ (সুরা ইব্রাহিম, আয়াত: ৭)

৯. বিয়ে করা

আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত এবং তোমাদের দাস–দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদের বিয়ে করিয়ে দাও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, আল্লাহ–তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। কারণ, আল্লাহ–তাআলা প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নূর, আয়াত: ৩২) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষকে সাহায্য করাকে আল্লাহ–তাআলা নিজ দায়িত্ব হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তিন শ্রেণির অন্যতম হলো—বিয়ে করতে আগ্রহী সেই ব্যক্তি, যিনি বিয়ে করে পবিত্র জীবন যাপন করতে ইচ্ছুক।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১,৬৫৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২,৫১৮)

১০. গরিব-অসহায়ের প্রতি সদয় হওয়া

যেসব কাজকর্ম বা আমলে রিজিক বাড়ে, তার অন্যতম হলো গরিব-অসহায় মানুষের প্রতি সদয় হওয়া। রাস্তাঘাটে গরিব-অসহায় মানুষকে হাত বাড়াতে দেখলেই সবাইকে এক পাল্লায় মেপে খারাপ আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র ইরশাদ করেছেন, ‘তাদের (ধনী লোকদের) সম্পদে প্রার্থী (দরিদ্র) ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত: ১৯)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে থাকা দুর্বলদের কারণে তোমাদের সাহায্য করা হয় এবং রিজিক প্রদান করা হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ২,৮৯৬)

১১. আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা

যেসব কাজকর্ম বা আমলে রিজিক বাড়ে, এর মধ্যে অন্যতম হলো আল্লাহ–তাআলার কাছে প্রার্থনা করা। কারণ, আমরা এমন এক স্রষ্টার সৃষ্টি—যিনি চাইলে খুশি; না চাইলে অখুশি। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো; আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন, আয়াত: ৬০)

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)–এর বিবরণে আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হওয়ার পর মানুষের কাছে সোপর্দ করে, অর্থাৎ অভাব দূরীকরণে মানুষের ওপর নির্ভরশীল হয়; তার অভাব মোচন করা হয় না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হওয়ার পর প্রতিকারের জন্য আল্লাহ–তাআলার ওপর নির্ভরশীল হয় (দোয়া-প্রার্থনা করে) অবিলম্বে অথবা বিলম্বে আল্লাহ–তাআলা তাকে রিজিক দান করেন।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২,৮৯৬ ও ২,৩২৬; মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৪২১৯)

১২. রিজিক অর্জনের চেষ্টায় থাকা

আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে (জমিনে) ছড়িয়ে পড়ো আর আল্লাহর অনুগ্রহ (রিজিক) সন্ধান করো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ১০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি রশি নিয়ে সকালবেলা পাহাড়ের দিকে বের হয়। এরপর লাকড়ি সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং দানও করে। মানুষের কাছে হাত পাতার চেয়ে তার জন্য এটা উত্তম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৪৮০; মুসলিম, হাদিস: ১,০৪২)

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

যে কারণে আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করে দেন

Published

on

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে জাকাত। জাকাত পার্থিব জীবনে যেমন দারিদ্র্যবিমোচনে সহায়তা করে, তেমনি পরকালের কঠিন দিনে স্বস্তি দেয়।

হজরত আবদুল্লাহ বিন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেন, হে মুহাজিরগণ! তোমরা ৫টি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারি আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোনো জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের ওপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুসিবত। আর জাকাত আদায় না করলে তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকত তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোনো জাতি আল্লাহ ও তার রাসুলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের ওপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ৪০১৯)

ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইসলামের ভিত্তি ৫টি বিষয়ের ওপর। এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল। নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, জাকাত আদায় করা, হজ করা ও রমজান মাসে রোজা রাখা। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮)

সঠিকভাবে জাকাত আদায় বিত্তবানদের অন্তর পরিশুদ্ধ করে এবং তাদের সম্পদকে পবিত্র করে। তাই এটিকে কোরআনের সাফল্যের অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আল্লাহতায়ালা সুরা মুমিনুনের ১-৫ আয়াতে বলেছেন, অবশ্যই মুমিনরা সফল। যারা নামাজে বিনম্র থাকে, অনর্থক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে, যারা জাকাত আদায় করে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সংযত রাখে।

ইসলামে অত্যাবশ্যক বিধানগুলোর একটি জাকাত। কেউ জাকাতের বিধান অস্বীকার করলে সে মুসলিম থাকবে না। তাই যথাযথভাবে জাকাত আদায় করা কর্তব্য। নতুবা পরকালে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

তিন লাখ বৃক্ষ রোপনের ঘোষণা শায়খ আহমাদুল্লাহর

Published

on

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

চলতি বছর তিন লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা দিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে মুসল্লিদের নিয়ে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজশেষে সাংবাদিকদের এ ঘোষণা দেন তিনি।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, গতবছর আস-সুন্নাহর উদ্যোগে এক লাখ গাছ রোপন করা হয়, যার মধ্যে ৩০ হাজার লেবুর গাছ ছিল। কারণ গরমে লেবুর প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও প্রচুর পেয়ারা গাছ ও আম গাছসহ দেশীয় ফল গাছ লাগানোর চেষ্টা করেছি। এ বছর আমরা তিন লাখ গাছ রোপন করার কাজ ইতিমধ্যে হাতে নিয়েছি এবং কর্মসূচি শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, যখন অনাবৃষ্টির সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে, যখন তীব্র গরমে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় তখন মুসলমান হিসেবে আমাদের করণীয় হলো- আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনার দোয়া করা। তিনি বলেন, বিগত কয়েকবছর ধরে দেশে গরমের তীব্রতা বেড়েছে।

‘ফলে পশু-পাখি, প্রাণীকুল ও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। ফসলের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষেরা কাজ করতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমাদের সবার উচিত হবে- তাওবা-ইস্তেগফার করা। নিজেদের সংশোধন করা এবং আত্মশুদ্ধির জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করা।’

এসময় তিনি ইমামদের প্রতি যার যার এলাকায় সালাতুল ইসতিসকা নামাজের জন্য অনুরোধ করেন। পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে গাছ লাগানোর আহবান জানান।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমরা প্রত্যেকে অন্তত ৫টি করে গাছ লাগানোর দায়িত্ব নিতে পারি। কারণ দেশে যে পরিমাণ মানুষ রয়েছে সে পরিমাণ উদ্ভিদ নেই। সেই অভাবটা দূর করতে হবে। চারাগুলোর পরিচর্যারও আহ্বান করেন তিনি। বলেন, শুধু চারা রোপন করা নয়, সেগুলোর পরিচর্যাও করতে হবে। আমরা নানাভাবে পরিবেশকে ধ্বংস করেছি, এর প্রায়শ্চিতস্বরূপ তাওবা-ইস্তেগফার ও প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করা উচিত।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

নয় বছর পর ইরানিদের ওমরাহ পালনের সুযোগ

Published

on

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

দীর্ঘ ৯ বছর পর পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ পেয়েছেন ইরানের নাগরিকেরা। ইরানের ওপর সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর প্রথম দফায় ৮৫ জন ইরানি ধর্মীয় এ বিধান পালনের সুযোগ পেলেন। ওমরাহযাত্রীদের বহনকারী উড়োজাহাজটি সোমবার (২২ এপ্রিল) তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয়। ২০১৬ সালের পর এটিই প্রথম কোনো ফ্লাইট।

তেহরানের বিমানবন্দরে ওমরাহযাত্রীদের বিদায় অনুষ্ঠানে ইরানে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন সৌদ আল-আনজি উপস্থিত ছিলেন। তিনি আল্লাহর দরবারে তাদের সফলতার দোয়া করেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ২০১৬ সাল থেকে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। ওই বছর সৌদি আরব এক শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। পরে তেহরানের সৌদি দূতাবাসে হামলা হয়। এ ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে।

পরে গত বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বরে ইরানিদের ওমরাহ পালনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি আরব। কিন্তু এরপরও ওমরাহযাত্রীদের নিয়ে তেহরান থেকে কোনো ফ্লাইট সৌদি আরবে যায়নি। ইরান এর জন্য কারিগরি সমস্যার কথা বলে আসছিল।

রয়টার্স বলছে, গত বছর সম্পর্ক পুনরায় শুরু হওয়ার আগে ইরানিরা শুধু হজ পালন করতে সৌদিতে যেতে পারতেন। তবে এবার নয় বছর পরে ওমরাহ পালনের সুযোগ পেলেন তারা।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
জাতীয়3 hours ago

সর্বজনীন পেনশনের গ্রাহক এক লাখ ছাড়াল

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার3 hours ago

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার3 hours ago

রূপালী ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার3 hours ago

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার3 hours ago

মালেক স্পিনিংয়ের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার4 hours ago

মুনাফা থেকে লোকসানে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার4 hours ago

এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার4 hours ago

লোকসান কাটাতে পারেনি মেট্রো স্পিনিং

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার4 hours ago

কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
অর্থনীতি5 hours ago

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের বৈঠক

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

জেনেক্স ইনফোসিসের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

লোকসান কাটাতে পারেনি তাল্লু স্পিনিং

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
কর্পোরেট সংবাদ5 hours ago

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আরও ৩৯ হাজার ৬৮০ বই দিলো বিকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

শাহজিবাজার পাওয়ারের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

বেস্ট হোল্ডিংসের আয় বেড়েছে ৪৫ শতাংশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার5 hours ago

লোকসানে গোল্ডেন হারভেস্ট

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

শাইনপুকুর সিরামিকসের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

ইউনিক হোটেলের আয় কমেছে

Baraka Power
পুঁজিবাজার6 hours ago

বারাকা পাওয়ারের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

ম্যারিকো বাংলাদেশের ২০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

সামিট পাওয়ারের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

এনার্জিপ্যাকের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

বড় লোকসানে ন্যাশনাল টি

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

পিপলস ইন্স্যুরেন্সের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ