জাতীয়
জিম্মি নাবিকদের দুম্বা-ছাগল খাওয়াচ্ছে জলদস্যুরা
সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের খাওয়ানোর জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনছে জলদস্যুরা। তবে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে নাবিকেরা কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছেন।
জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকেরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তাদের বরাতে শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। সে সময় ১০০ দিন পর নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই জাহাজে থাকা নাবিকরা জানান, তখন জাহাজটির খাবার ফুরিয়ে গেলে জলদস্যুরা তাদের জন্য প্রতি সপ্তাহে দুটি করে দুম্বা নিয়ে আসত।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা একটার দিকে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সশস্ত্র জলদস্যুরা মাত্র ১৫ মিনিটে ২৩ নাবিককে জিম্মি করে জাহাজটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না: ইসি আলমগীর
স্থানীয় নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। প্রভাব বিস্তার না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা তাদের আহ্বান জানিয়েছি। এ ছাড়া সরকার এবং দলের পক্ষ থেকেও তাদের নিষেধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, সরকারে যারা সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের সঙ্গে সভা করেছি। সেখানে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে যে এমপি ও মন্ত্রীরা কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। প্রভাব বিস্তার দুই রকম রয়েছে। একটি দৃশ্যমান ও আরেকটি অদৃশ্যমান। কোনো এমপি-মন্ত্রী যদি প্রার্থীর সঙ্গে প্রচার-প্রচারণায় থাকেন, প্রার্থীর সভায় থাকেন অথবা টেলিফোনে বা ভিডিও বার্তা পাঠাচ্ছেন প্রার্থীর পক্ষে সেরকম কিছু হলে আমাদের যে আচরণ বিধিমালা রয়েছে তা মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিও।
ইসি মো. আলমগীর বলেন, গতকাল রোববার যে নির্বাচন হয়েছে সেখানে ভোটার উপস্থিতি ভালো ছিল। কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে ৭০ শতাংশ ও কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে ৮০ শতাংশ, আবার কোথাও ৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল এই গরমের মধ্যেও। মানুষের মধ্যে এখন একটা আস্থা এসেছে যে ভোট দেওয়া যায়। আমার ভোট আমি দিতে পারব। আমরা আশা করি আপনাদের রাজবাড়ীতে যে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানেও ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে। তবে এই তীব্র গরমে মানুষের একটু কষ্ট হবে তবে বাংলাদেশের মানুষ ভোটকে উৎসব হিসেবে মনে করে।
তিনি আরও বলেন, বড় দলগুলোর তেমন প্রভাব নেই। দলীয়ভাবে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। তবে তাদের সমর্থকরা অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন। দল থেকে তারা সমর্থন পাচ্ছেন না। অপরদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে। তারাও দল থেকে কাউকে সেভাবে সমর্থন দিচ্ছে না। স্থানীয়ভাবে কোনো এমপি-মন্ত্রী অথবা সরকারের কোনো কর্মকর্তা যারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আছেন তাদের আত্মীয়স্বজন থাকলে তারা যেন তাদের সমর্থন না দেন, প্রচার প্রচারণায় অংশ না নেন সে বিষয়ে তাদের কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারা পক্ষ নিলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং যে এমপি-মন্ত্রী বা সরকারি কর্মকর্তা পক্ষ নেবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুই বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে দিনের তাপমাত্রা
বেশ কিছুদিন ধরে দেশে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অতীতের তুলনায় এবার এপ্রিল মাসে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সকালে সংস্থাটির দেওয়া আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার বিষয়ে জানানো হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, যশোর ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ করতে পারে।
ঢাকায় দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডে ছয়দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংকক পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচায় উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তিনি বলেন, সরকারি এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এই গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।
সফর চলাকালীন ২৬ এপ্রিল থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। উভয় নেতার উপস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
নথির মধ্যে সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত অভিপ্রায় পত্রও রয়েছে।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন।
গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। এই অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।
তিনি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিরসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সংলাপ শান্তি আনতে পারে।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ
আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এদিনে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল দেশের উপকূলীয় জনপদ। সেদিন আড়াইশ’ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত এবং ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল উপকূলীয় জনপদ। সেদিনের ঘটনায় দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়। ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়।
সেদিনের ভয়াল এই ঘটনা এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় চট্টগ্রামের উপকূলবাসীকে। দুঃসহ সে স্মৃতি আজও কাঁদায় স্বজনহারা মানুষগুলোকে।
ওই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিল ফসলের ক্ষেত, লাখ-লাখ গবাদি পশু। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ছিল দেড় বিলিয়ন ডলার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ভোলা, হাতিয়া, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, কক্সবাজারের চকরিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায়। এই ঘূর্ণিঝড়ের ২৮ বছরেও সেসব উপকূলীয় এলাকা এখনো অরক্ষিত।
সেদিনের ঘটনায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হালিশহর, আগ্রাবাদ, কাটঘর, বন্দর, পতেঙ্গাসহ নগরীর উল্লেখযোগ্য এলাকা। বন্দর থেকে ছিটকে যায় নোঙর করা বড় বড় জাহাজ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নৌবাহিনীর জাহাজ। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় নৌবাহিনীর অনেক অবকাঠামো। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজ। শিশু-সন্তান ও পরিবার নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় জলোচ্ছ্বাসে আটকা পড়েন নৌ ও বিমান বাহিনীর বহু সদস্য। ভেসে যায় অনেকের আদরের ছোট্ট শিশু।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ
থাইল্যান্ডে ছয়দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্র জানিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে (স্থানীয় সময়) ব্যাংকক ত্যাগ করবেন।’
শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকেলে দেশটিতে পৌঁছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারি এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এই গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
সফর চলাকালিন ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় নেতার উপস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
নথিগুলো হচ্ছে-: একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি অভিপ্রায় পত্র।
নথির মধ্যে সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত অভিপ্রায় পত্রও রয়েছে।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন।
গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। এই অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।
তিনি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিরসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সংলাপ শান্তি আনতে পারে।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা ও ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।