আবহাওয়া
৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙল চলমান তাপপ্রবাহ
চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল এবং ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড শুক্রবার ভাঙতে চলেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক। টানা অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে গত ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর পর ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগে তাপমাত্রা বাড়ে এবং দুই দিন তা অব্যাহত থাকে। ৮ এপ্রিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ৯ ও ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল।
৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও জলবায়ু সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে বোঝা যায়, গত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশে উষ্ণতার মাত্রা ও এর স্থায়িত্ব বাড়ছে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি।
সম্প্রতি আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন’ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দুটোই বাড়লেও দ্রুত বাড়ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির জুলি অ্যান রাইগলি গ্লোবাল ফিউচারস ল্যাবরেটরির সিনিয়র গ্লোবাল ফিউচার সায়েন্টিস্ট অধ্যাপক রাশেদ চৌধুরী বলেন, এল নিনো লা নিনায় পরিণত হচ্ছে এবং চলতি বছর সর্বোচ্চ উষ্ণতম হিসেবে রেকর্ড হতে পারে।
এল নিনোর সময় মৌসুমী বায়ু দুর্বল হয়ে যায়, প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিভাগের পানি উষ্ণ হয়ে ওঠে এবং পূবের বাতাস স্বাভাবিকের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে।
লা নিনার সময় সমগ্র প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বাতাস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শক্তিশালী থাকে। একই সঙ্গে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগই স্বাভাবিকের চেয়ে শীতল থাকে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের গত ৪ এপ্রিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ুবিদ ও আবহাওয়া ইতিহাসবিদ ম্যাক্সিমিলিয়ানো হেরেরার মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে একটি ‘ঐতিহাসিক তাপপ্রবাহ’ অনুভব করা হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
১৩ অঞ্চলে ৮০ কি.মি বেগে ঝড়ের শঙ্কা
ঢাকাসহ দেশের ১৩টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। আবহাওয়া অফিস সকালেই বলেছিল দেশের ছয়টি বিভাগে কালবৈশাখী হতে পারে।
সে পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম শহরে বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। রোদের তাপ তেমন মেলেনি। বিকেলের দিকে আকাশ পুরোটা মেঘে ঢেকে যায়। তার সঙ্গে বইতে শুরু করে দমকা বাতাস। এরপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে বজ্রপাত শুরু হয়। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাতও হতে থাকে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন রাত ১টা পর্যন্ত এক পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বরিশাল, কুমিল্লা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বুধবার (০৮ মে) বিকেল চারটা পর্যন্ত দেওয়া সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, এ সময়ের মধ্যে দেশের সব বিভাগে বজ্রঝড়, কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যা আগামী ১৫ মে’র পর আসতে পারে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা থেকে একটি নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ সোমবার আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে ১৫ তারিখের পর দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রবিবার কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ও ঢাকায় হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার।
তিনি জানান, খুলনা বাগেরহাটসহ রাজশাহী অঞ্চলে রবিবার বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে আজ এসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আজও সারাদেশেই বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
বৃষ্টির পরেও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস
রাজধানী ঢাকার বাতাস আজ সোমবার সকাল ১০টায় সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর। এই সময় বায়ুদূষণে বিশ্বের ১১৯টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান সপ্তম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ১২৩। বাতাসের এই মানকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
সূচকে গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশ্বের ১১৮টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম। স্কোর ছিল ১১৪। এই মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর।
আগের দিন, অর্থাৎ শনিবারও ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল। সেদিন সকাল ১০টায় বায়ুদূষণে বিশ্বের ১১৯টি শহরের মধ্যে ঢাকা ১২তম অবস্থানে ছিল। স্কোর ছিল ১১৪।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
আজ সকাল ১০টায় বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল ভারতের নয়াদিল্লি। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ২৯০। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে নেপালের কাঠমান্ডু ও পাকিস্তানের লাহোর। দুটি শহরের স্কোর একই, ১৮১।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস।
স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।
ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষদের মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি. বেগে বৃষ্টির আভাস
লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের অধিকাংশ জায়গায়ই বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হবে। আর যেসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সেটিও প্রশমিত হবে। আবহাওয়া অফিসের এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার (৬ মে) সকালে দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ০২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া রংপুর এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ০১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলঅ হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে। আগামী ৬ এবং ৭ মে এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহ কমার ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অধিকাংশ জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। ফলে সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা জারি
আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে আগামীকাল সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার বিষয়ও জানানো হয়েছে।
রবিবার (৫ মে) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আজ (৫ মে) বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল (সোমবার) থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে।
এদিকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কি. মি. বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। যা দমকা হাওয়া আকারে ৪০-৫০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আজ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।