কর্পোরেট সংবাদ
সিলেটে ওয়ালটনের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইন শুরু
সেরা পণ্যে সেরা অফার স্লোগানে সিলেটে শুরু হয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম।
ঈদকে সামনে রেখে রবিবার (১০ মার্চ) সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার কুশিয়ারা কনভেনশন হলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ওয়ালটনের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
উদ্দেশ্য, আগের মতো ‘সিজন-২০’ এও গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি, ওয়ালটন পণ্য কিনে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা সম্পর্কে গ্রাহকদের অবহিত করার পাশাপাশি দেশীয় শিল্পের টেকসই বিকাশ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে দেশি পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, ওয়ালটন প্লাজার চিফ সেলস এক্সিকিউটিভ ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান, শাহজালাল হোসেন লিমন ও শাহজাদা সেলিম প্রমুখ।
ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের সিলেট জোনের আওতাধীন বিভিন্ন জেলার ২ শতাধিক পরিবেশক, প্লাজা ম্যানেজার ও বিক্রয় প্রতিনিধি অংশ নেন।
ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান বলেন, দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে দেশে তৈরি পণ্যের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এতে দেশের অর্থ দেশে থাকবে। দেশীয় শিল্পের টেকসই বিকাশের সঙ্গে তৈরি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
তিনি আরও বলেন, গাজীপুরে নিজস্ব কারখানায় বিশ্বমানের পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। বিশ্বের সেরা সেলস টিম রয়েছে ওয়ালটনের। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশব্যাপী ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে ওয়ালটন পণ্য।
অনুষ্ঠানে সিলেট জোনের সংশ্লিষ্ট প্লাজা ম্যানেজার, পরিবেশক ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের ব্যতিক্রমী ও সাড়া জাগানো বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালানোর পরামর্শ দেন দিদারুল আলম খান।
ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম বলেন, ওয়ালটন পণ্য এখন ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। ওয়ালটন গ্রাহকদের হাতে শুধু বিশ্বমানের পণ্যই তুলে দিচ্ছে না, সর্বোচ্চ গ্রাহক সুবিধা ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবাও নিশ্চিত করছে। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশের ক্রেতাদের জন্য আবারও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ নিয়ে এসেছে ওয়ালটন। আগের মতো এবারের সিজনও সিলেটসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শতভাগ সফল হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জানা গেছে, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এর আগেও ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন ৩০ জন ক্রেতা। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে সিজন-২০ এ ‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানও আবারও এ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যান কিনে আবারও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।
এছাড়া রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার এ সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাক্তন স্ত্রীর দায়ের করা মামলা থেকে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের অব্যাহতি
প্রাক্তন স্ত্রীর দায়ের করা বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও জালিয়াতির তিনটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বেসরকারি সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তার প্রাক্তন স্ত্রী তাবাসসুম কায়সারের দায়ের করা তিনটি মামলা সম্প্রতি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
জানা গেছে, মামলাগুলো দায়ের হওয়ার পর অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে আদালত ডিবিকে তদন্তের আদেশ দেন। তদন্ত শেষে ডিবি অভিযোগের সঙ্গে বিবাদী আজিজ আল কায়সারের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ হতে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। কিন্তু বাদী তাবাসসুম কায়সার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দরখাস্ত দাখিল করলে আদালত পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিআইবি) দায়িত্ব দেন।
পিআইবি পুনঃতদন্ত করে অভিযোগের সঙ্গে বিবাদীর কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ১৭ এপ্রিল আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। বাদী তাবাসসুম কায়সার আবারও নারাজি দরখাস্ত দায়ের করলে সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তা নামঞ্জুর করে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে আজিজ আল কায়সারকে মামলায় আনা সকল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
এব্যাপারে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কয়েক শ’কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটা প্রচেষ্টা ছিল। ডিভোর্স হতেই পারে। তার সমাধানের জন্য ইসলামী শরিয়াহ আছে, পরিবারের মুরুব্বিরা আছেন। তবে দুঃখজনক যে, আমার প্রাক্তন স্ত্রীর পক্ষের বড় ভাইয়ের দায়িত্ব ছিল যে মুরুব্বির, কিংবা একই দায়িত্ব ওই পরিবারের যে বড় বোনের ছিল, তারা তাদের কাজটা করেননি বলেই সবকিছু এতটা বিশ্রী পর্যায়ে চলে যায়।
একাধিকবার তদন্তে কোনো অপরাধ প্রমাণ না হওয়া সত্ত্বেও বারবার আদালতে তার প্রাক্তন স্ত্রীর নারাজি দরখাস্ত জমা দেওয়ার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সিলেটে আইএফআইসি লারজেস্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক বিজনেস কনফারেন্স
শাখা-উপশাখায় দেশের বৃহত্তম আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির বৃহত্তর সিলেটের সকল শাখা-উপশাখার কর্মীবৃন্দকে নিয়ে ‘আইএফআইসি লারজেস্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক বিজনেস কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সিলেটের একটি মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
সন্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং হেড অব ব্রাঞ্চ বিজনেস মো. রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ আলম সারওয়ার।
বিজনেস কনফারেন্সে সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকের শাখা ও উপশাখাগুলোতে আমানত সংগ্রহ, লোন প্রদান এবং লোন রিকভারিতে সাফল্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সংশ্লিষ্ট শাখা-উপশাখার প্রতিনিধিদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহ আলম সারওয়ার জানান, গত ১১ বছরে আইএফআইসি ব্যাংকের ডিপোজিট ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী জুন মাসের মধ্যে তা বেড়ে ৫০০ শতাংশ হবে। তিনি ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করা আইএফআইসি উপশাখার উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পরিসংখ্যান সবার সামনে তুলে ধরেন এবং ব্যাংকিং সেক্টরের বিবর্তনের সাথে সাথে মানব সম্পদ উন্নয়নের উপর বিশেষ জোর দিয়ে সকল কর্মীবৃন্দকে তাদের চিন্তা চেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তনের আহ্বান জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক কুমিল্লায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হানসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ওয়ালটন এসি কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন সেনেটারি ব্যবসায়ি আব্দুল আলী
ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের দেশব্যাপী চলমান ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’ এর আওতায় এবার এয়ার কন্ডিশনার কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন গাজীপুরের সেনিটারি ব্যবসায়ী মো. আব্দুল আলী। মাত্র ১৫ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তিতে এসি কিনে তিনি পেয়েছেন নগদ ১০ লাখ টাকা। এ নিয়ে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন গ্রাহক।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল, ২০২৪) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী বাজারের ওয়ালটন প্লাজার সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আব্দুল আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং বাংলা চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানে ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।
এরই আওতায় চলতি মাসের ২১ তারিখে রাজাবাড়ী বাজারের ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৭৬ হাজার ৯৯০ টাকা মূল্যের ১.৫ টনের একটি এসি কিস্তিতে কেনেন আব্দুল আলী। এসি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নাম্বার দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার ম্যাসেজ যায়। এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ায় মহাখুশি আব্দুল আলী।
অনুষ্ঠানে আব্দুল আলী বলেন, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মেয়ের রুমে ব্যবহারের জন্য একটি এসি কিনেছি। বাসায় অধিকাংশ পণ্যই ওয়ালটন থেকে নেওয়া। এসব পণ্য খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। এই ভরসায় এবার এসিও কিনেছি ওয়ালটনের। তবে, ওয়ালটনের এসি কিনে যে ১০ লাখ টাকা পাবো, তা কোনোদিন কল্পনাও করিনি। ওয়ালটনকে ধন্যবাদ। ওয়ালটন থেকে পাওয়া টাকা এলাকার মসজিদের উন্নয়নকাজে লাগাবো। এছাড়া, এই টাকায় ওমরা হজ পালনের ইচ্ছা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সবাইকে ওয়ালটনের পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ‘ওয়ালটন আমাদের দেশের পণ্য। ওয়ালটন স্বনামধন্য ব্র্যান্ড। সারা দেশে সফলতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ওয়ালটনের ফ্রিজ, টিভি, এসি, মোবাইলসহ সব পণ্যেরই মান খুবই উন্নত। আমি ওয়ালটনের সঙ্গে আছি, আপনারাও থাকুন। এখন পর্যন্ত ৩৪ জন মানুষকে তারা মিলিয়নিয়ার বানিয়েছেন। এ দিয়ে সহজেই বোঝা যায়, তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।’
চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ওয়ালটন মুখে যা বলে, তা-ই করে। অনেক ব্র্যান্ড গ্রাহককে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখে না। কিন্তু, ওয়ালটন গ্রাহককে দেওয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে। দেশে উৎপাদিত পণ্য কিনলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের মুখ উজ্জ্বল হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- শ্রীপুর থানা যুবলীগের সভাপতি মো. কমরুদ্দীন, ওয়ালটনের সিনিয়র এডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর শাহাদৎ হোসেন, সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর সালেহ আহমেদ, ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার আজিজুর রহমান এবং ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
পালস টেকে এক কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড আইসিটি বিভাগের অধীনে প্রধান সরকার-সমর্থিত ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম পালস টেক লিমিটেডে এক কোটি টাকার বিনিয়োগ ঘোষণা করেছে। এই বিনিয়োগ দেশে ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা খাতকে শক্তিশালী করার একটি বড় মাইলফলক।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকায় এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিনিয়োগের এ ঘোষণা দেয়া হয়। স্টার্টআপ বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আরেফিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ এবং আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পালস টেক লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরেফিন রাফি আহমেদ এবং পালস টেক লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কাজী আশিকুর রসুল উপস্থিত ছিলেন।
পালস টেক লিমিটেড বাংলাদেশের খুচরা ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের জন্য তার ট্রেলব্লাজিং সমাধানের জন্য প্রশংসিত। তারা একটি অল-ইন-ওয়ান B2B SaaS প্ল্যাটফর্মের সাথে খুচরা ফার্মেসিগুলোকে ইনভেন্টরি পরিচালনা করতে নির্বিঘ্নে পণ্যের উত্স এবং ঝামেলামুক্ত ডিজিটাল পরিবেশে সমস্ত লেনদেন ট্র্যাক করতে সরবরাহ করছে। কোম্পানী একটি এন্ড-টু-এন্ড সমাধান স্থাপন করে বাজার থেকে জাল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য অপসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে। তাদের প্রাথমিক ফোকাস হলো ডিজিটাল সমাধানগুলোর সাহায্যে সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজনের জন্য খুচরা ফার্মেসিকে একটি ওয়ান-স্টপ হাবে রূপান্তর করা। তারা ইতিমধ্যেই খুচরা ফার্মেসিকে ডায়াগনস্টিক টেস্ট বুকিং, টেলিমেডিসিন এবং আশেপাশের এলাকায় ওষুধ সরবরাহের জন্য সক্ষম করেছে এবং পাশাপাশি কিছু অন্যান্য পরিষেবাতেও কাজ করছে। কোম্পানি দ্রুত বৃদ্ধি এবং তার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য একটি অবিচল উত্সর্গ প্রদর্শন করেছে।
স্টার্টআপ বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আরেফিন বিনিয়োগের কৌশলগত প্রকৃতির উপর জোর দিয়ে বলেন, পালস টেক লিমিটেডে বিনিয়োগ আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো উন্নত করার জন্য একটি গণনামূলক পদক্ষেপ। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে, আমরা পালস টেককে খুচরা ফার্মা শিল্পে আরও উদ্ভাবন এবং তার পরিষেবাগুলোকে আরও বিস্তৃত করার জন্য ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্য রাখি। যা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অংশীদারিত্বের বিষয়ে স্টার্টআপ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ বলেন, আমরা প্রযুক্তির রূপান্তরকারী শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং পালস টেকের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে গর্বিত কারণ তারা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমাদের বিনিয়োগ তাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আমাদের আস্থা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্টার্টআপ লালন-পালনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
পুঁজির এই নতুন প্রবাহের সাথে, পালস টেক তাদের প্রযুক্তির বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে এবং সারা দেশে খুচরা ফার্মেসিগুলির কার্যকারিতা এবং খাঁটি ওষুধের অ্যাক্সেসযোগ্যতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এর কার্যক্রম প্রসারিত করতে প্রস্তুত। স্টার্টআপ বাংলাদেশের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে অত্যাধুনিক সমাধান প্রদান করে স্বাস্থ্যসেবা খাতে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পালস টেক লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরেফিন রাফি আহমেদ বলেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশকে আমাদের নতুন বিনিয়োগকারী হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তাদের নির্দেশনা এবং সমর্থন আমাদের সাংগঠনিক লক্ষ্য অর্জনে এবং বাংলাদেশের খুচরা ওষুধ শিল্প ও স্বাস্থ্যসেবা ল্যান্ডস্কেপে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
স্টার্টআপ বাংলাদেশ এবং পালস টেক লিমিটেডের মধ্যে এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও প্রযুক্তিগতভাবে সজ্জিত এবং স্বাস্থ্য-সচেতন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির ইঙ্গিত দেয়।