শিল্প-বাণিজ্য
স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনের চার্জ সহনীয় করার দাবি ব্যবসায়ীদের
দেশের স্থলবন্দর এবং শুল্ক স্টেশনসমূহে আমদানিকৃত পণ্যের বিদ্যমান লেবার হ্যান্ডেলিং চার্জ, পণ্য লোড-আনলোড চার্জ, ইকুইপমেন্ট চার্জ কমানোর দাবি জানিয়েছেন আমদানি ও রপ্তানিকারকরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের ল্যান্ড পোর্ট, বর্ডার ট্রেড, ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রান্সশিপমেন্ট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প সম্প্রসারণের সাথে সাথে স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনসমূহ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু ভারত থেকেই আমরা বছরে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে থাকি। যার সিংহভাগই আসে স্থল বাণিজ্যের মাধ্যমে। এমন পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে স্থলবন্দর এবং শুল্ক স্টেশনসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্থলবন্দর, শুল্ক স্টেশনসহ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লিখিত আকারে সুনির্দিষ্ট মতামত ও প্রস্তাবনা আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, এসব যৌক্তিক প্রস্তাবনা নিয়ে এফবিসিসিআই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।
স্ট্যান্ডিং কমিটির কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এবং এফবিসিসিআই পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমেদ জানান, সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পাথর, চুনাপাথর, কয়লা, ফলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয় সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য, ফার্নিচার, পাটসহ প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য। বন্দরসমূহে কয়লা ও পাথর আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে লোড-আনলোড চার্জ অনেক বেশি, যা বাস্তবে বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ১৫ শতাংশ ভ্যাট, যা আমদানিকারকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, আমদানিকৃত কয়লা ও পাথর দীর্ঘদিন রেখে বিক্রি করতে হয় বিধায় আমদানিকারককে এক বছর মেয়াদী ভাড়া বন্দোবস্ত প্রদান ও বন্দরে ডাম্পিং এরিয়া বৃদ্ধির করতে হবে।
স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন আহমেদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী। তিনি বলেন, যোগাযোগের উন্নয়ন হলে পণ্য পরিবহনের ব্যয় কমবে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ব্যবসায়ীরা।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত
বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির ভোক্তা, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও যেসব দেশে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, সেসব দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কা। তবে কোন দেশে কী পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের বছর তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দেশটিতে খরিপ ও রবিশস্যের উৎপাদন কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতের সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশটির এই সংবাদমাধ্যম বলছে, রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হবে। ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদন ও রপ্তানির প্রধান সরবরাহকারী মহারাষ্ট্র প্রদেশ। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ভারতেও পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এর আগে, গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করার কথা জানানো হয়।
ওই সময় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তা বিষয়কবিভাগের সাথে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রপ্তানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল।
বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।
রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। ওই সময় দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘‘দেশের বাজারে সরবরাহ বৃৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।’’
তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত। সেসময় বলা হয়, পেঁয়াজ রপ্তানির এই নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দেশটির সরকার গত বছরের অক্টোবরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রূপিতে বিক্রির লক্ষ্যে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।
গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্টের মাঝে দেশটি থেকে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়। বিশ্বে ভারতের পেঁয়াজের শীর্ষ তিন রপ্তানিকারক বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের এই বাণিজ্য সম্ভাবনা কাজে লাগাতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরার বিকল্প নেই। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও বাংলাদেশে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন।
আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সিনিয়র বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কমিশনার (দক্ষিণ এশিয়া) ক্যাথরিন গ্যালাঘের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিদল এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ এ বিষয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা জানায়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে কানাডা, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে পণ্য রফতানির যথেষ্ট সুযোগ পাওয়া গেলেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিরাট বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এসময় জমি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের যথেষ্ট সরবরাহসহ বাংলাদেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস ও অন্যান্য সুবিধার কথা তুলে ধরে অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনসহ বিনিয়োগের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ করেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সিনিয়র বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কমিশনার (দক্ষিণ এশিয়া) ক্যাথরিন গ্যালাঘের। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জিডিপিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের খাতভিক্তিক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবে বলে জানান তিনি। কৃষি এবং শিক্ষা খাতে দুদেশের মধ্যে ভালো কাজ হয়েছে এবং অন্যান্য খাতেও কাজ হচ্ছে বলে জানান ক্যাথরিন গ্যালাঘের।
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শিগগিরই যৌথভাবে সেমিনার আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয় এসময়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মো. খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. মুনির হোসেন, মহাসচিব মো. আলমগীর। অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিনটন পোবকে, ট্রেড কমিশনার জন সাউথওয়েল, ডেনিস ইটন, সেকেন্ড সেক্রেটারি জশয়া গ্যাকুটান, সিনিয়র ডিরেক্টর মিনহাজ চৌধুরী প্রমুখ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
রাজস্ব ফাঁকি রোধে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্সের অর্থ ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় নিয়ে যেতে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করে ক্যাশলেস পদ্ধতির দিকে যাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০৩১ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে শতভাগ রাজস্ব সংগ্রহের অর্থ ক্যাশলেস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ আগামী ১৭ বছরের মধ্যে শতভাগ ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যেতে চায় এনবিআর। এতে তাত্ক্ষণিক অর্থ জমা হওয়া ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।
গত বুধবার এনবিআরের পক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এনবিআরের বোর্ড প্রশাসন বিভাগের সদস্য মোহাম্মাদ মফিজুর রহমান এবং বোর্ড প্রশাসন-১-এর দ্বিতীয় সচিব সুচিন্তা রানী সরকার স্বাক্ষরিত একগুচ্ছ কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়।
এনবিআর প্রকাশিত সাত দফা কর্মপরিকল্পনায় দেখা যায়, আগামী ২০৪১ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে এসব বাস্তবায়ন করা হবে। কর্মপরিকল্পনাগুলোর মধ্যে করদাতাদের ক্যাশলেস পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়া একটি। বাকিগুলো হলো : এনবিআরে বিদ্যমান সব সিস্টেমের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের সিস্টেমের আন্ত সংযোগ স্থাপন করা।
এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, বিআরটিএ, এনটিএমসি, বিডাম বেপজা, বেজা, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইবাস, বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংক, সিটি করপোরেশন, ভূমি মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, সিসিআইঅ্যান্ডই; উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউটর ও পাইকারি বিক্রি পর্যায়ের, ই-ইনভয়েসিং সিস্টেম চালু করা; টিআরপি সিস্টেম প্রস্তুতকরণের মাধ্যমে কার্যকর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা; রাজস্ববিষয়ক মামলার কার্যক্রম নিষ্পত্তির জন্য ডাটাবেইস তৈরি করা; এনবিআর ও এর আওতাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রযুক্তি-পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন এবং ট্রেনিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রস্তুত করা; স্মার্ট কনটেন্ট প্রস্তুত ও ৩৬০ ডিগ্রি প্রচার কৌশল নেওয়া।
২০২৫ সালের মধ্যে এসব পরিকল্পনার পাঁচটি ২৫ শতাংশ, একটি ৫০ শতাংশ ও আরেকটি ৭৫ শতাংশ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ২০৩১ সালের মধ্যে চারটি পরিকল্পনার ৫০ শতাংশ, দুটির ৭৫ শতাংশ এবং একটি শতভাগ বাস্তবায়ন কর হবে। আর সাতটি পরিকল্পনা শতভাগ শেষ করতে সময় নেওয়া হবে ২০৪১ সাল পর্যন্ত।
এনবিআর জানিয়েছে, কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আয়কর, মূসক, আমদানি-রপ্তানি ও আবগারি শুল্ক আহরণের কার্যক্রম প্রযুক্তিনির্ভর, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ভ্যাট আহরণ-ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হবে, রাজস্ব আহরণ প্রসারিত হবে, রাজস্ববিষয়ক মামলায় প্রযুক্তির ব্যবহার করা যাবে, এনবিআরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে, রাজস্ব আহরণে ক্যাশলেস, উদ্যোক্তামুখী, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি বিনির্মাণে জনমানুষের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
এসব কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪টি এ রকম নতুন নামে-শিরোনামে প্রকল্প ও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এনবিআর সেই আগের মতোই আছে। এগুলো নতুন না।
এগুলো আইওয়াশ। যারা এনবিআরের সংস্কার করবে ও যাদের জন্য করবে তারা কেউই চায় না সংস্কার করা হোক। এনবিআরের সংস্কার তৃতীয় পক্ষ বা রাষ্ট্রকে করতে হবে, চাপ প্রয়োগ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে, তাহলেই এগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে শিল্পমন্ত্রীর আহবান
বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এর আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও কর্মপন্থা নির্ধারণে কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়কে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও গতিশীল মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।
মন্ত্রী বলেন, সার্বিক বিবেচনায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পারফরম্যান্স খুব ভালো। এটিকে আরো এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে দ্বিতীয় বারের মতো এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনাসমূহ ও চলমান প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। মন্ত্রী এ সময় সততা, দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও টিমওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় ও উদযাপনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এ সময় বলেন, এবারের ঈদ যাত্রা বেশ নির্বিঘ্ন ছিল। সাধারণ জনগণকে কোন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এর আলোকে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত ‘কর্মপরিকল্পনা ২০২৪-২০২৮’ শীর্ষক পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার জেরে দেশে বিভিন্ন পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য বিকল্প দেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেসে তিনি এ তথ্য জানান। এসময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ এতে সভাপতিত্ব করেন।
এসময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইরান ও ইসরায়েল হঠাৎ করে হামলা করেছে। এটা আমাদের জানা ছিল না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্য আসে। এখন ইসরায়েল ইরানে পাল্টা হামলা চালাবে কি-না জানি না। তারপর সব বিষয় মাথায় রেখে পণ্যের দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য আমরা বিকল্পভাবে পণ্য আনার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, টিসিবির পণ্যকে দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, টিসিবি কার্ড পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা হালনাগাদ করা হবে।