অর্থনীতি
চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানো লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করতে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।
যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম-বলেন তপন কান্তি ঘোষ।
এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।
কবে নাগাদ এফটিএ সি হতে পারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসেবে এ সুবিধাগুলো দেয় তার জন্য বলবো।
চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কী ধরনের সুবিধা পাবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আর কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে যখন আলাপ করছিলাম তিনি জানিয়েছেন আমের অনেক সম্ভাবনা আছে। পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।
তিনি বলেন, এর বাইরে আরও পণ্য আছে। আমরা এরই মধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা কোয়ালিটি সম্পন্ন চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি হিউজ বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় ডলার রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের এলডিসি গ্রেজুয়েশন পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতের দেশ এবং এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশিদার। চীনে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ১৪-১৫ অক্টোবর চীনের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে এফটিএ সইয়ের বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।
সই এমওইউ বাস্তবায়নের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে উভয় দেশের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত দল (ওয়ার্কিং গ্রুপ) গঠন করা হয়। এ প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২০-২১ জুন সময়ে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত দল খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন করে।
পরবর্তীতে করোনা অতিমারির কারণে এ বিষয়ে অগ্রগতি না হলেও উভয় দেশ যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের নিজ নিজ অংশ প্রস্তুত করে। যার ফলশ্রুতিতে আজ ২৮ মার্চ বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
এখন থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ নিতে হলে লাগবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র। সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো- ইকোনমিক জোন বা সরকার নির্ধারিত শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য কোনো স্থানে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ প্রদান না করা। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে।
এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩-এর ৪১(২)(ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককেও একই নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভিসার নতুন কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ
পেমেন্ট প্রযুক্তিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাব্বির আহমেদ। এখন তিনি ঢাকা অফিসে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে তিনটি দেশে ভিসার সামগ্রিক কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেবেন।
সাব্বির আহমেদ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে ভিসায় যোগদান করেন। সেখানে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব ওয়েলথ অ্যান্ড রিটেইল ব্যাংকিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে তিনি এইচএসবিসিতে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের সিনিয়র লিডারশিপ অবস্থানে কাজ করেন। এছাড়া তিনি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতেও (বিএটি) কাজ করেছেন। দেশের ব্যাংকিং খাতে ২৭ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে সাব্বির আহমেদের।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হিটস্ট্রোকে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ২০ কোটি টাকার মুরগি
ঈদের পর থেকে শুরু হওয়া চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকের কারণে সারা দেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। মারা যাওয়া এই মুরগির আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা।
বিপিএ বলছে, এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদন ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি করা হয়েছে বিপিএর পক্ষ থেকে।
বিপিএ’র সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে— গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারা দেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ছিল ব্রয়লার মুরগি এবং ১০-১৫ শতাংশ ছিল লেয়ার মুরগি। এছাড়া সোনালীসহ অন্যান্য মুরগির ৫ শতাংশ মারা গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২০০ কোটি টাকা। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
বিপিএ আশঙ্কা করছে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্পোরেট ডিম মুরগি সরবরাহকারী ও তেজগাঁও ডিম সিন্ডিকেট ডিম ও মুরগির সংকট তৈরি করবে। জুন থেকে তারা দাম বাড়াতে শুরু করবে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম মারাত্মকভাবে বাড়বে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক দিনের ব্যবধানে আবারও কমলো স্বর্ণের দাম
এক দিনের ব্যবধানে আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। এর আগে, যার দাম ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বেড়েছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।
এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিল বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভরিতে স্বর্ণের দাম কমেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে বাড়লো সুতার দাম
নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে বিভিন্ন প্রকার সুতার দাম বেড়েছে। প্রকারভেদে ২-১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পণ্যটির দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার বাড়তি দাম, দেশীয় বাজারে ডলার সংকট ও এলসি খুলতে নানা জটিলতার কারণে পণ্যটির দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, ১০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি পাউন্ড ৫২-৮০ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫-৭৫ টাকা। ২০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে কেনাবেচা হচ্ছে প্রতি পাউন্ড ৯৭-১২০ টাকায়, যা সপ্তাহ দুয়েক আগে ছিল ৮৫-১১৭ টাকা। ২৪ ও ২৬ কাউন্টের সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে পাউন্ডপ্রতি ১৫০-১৫২ টাকা দরে। এক মাস আগেও এ সুতা বেচাকেনা হয়েছে ১৪৮-১৫০ টাকায়। ২৮ ও ৩০ কাউন্টের সুতা বর্তমান বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৫-১৬৫ টাকা দরে, যা কিছুদিন আগে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা দরে।
এদিকে ২৬, ২৮ ও ৩০ সিভিসি কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা পাউন্ড দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১২০-১২২ টাকা। ৪০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ১৬০-১৭৫ টাকা পাউন্ড দরে, কিছুদিন আগে যা ছিল ১৬০-১৭২ টাকা। ৫০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ১৭৫-১৯৫ টাকা পাউন্ড দরে, দুই মাস আগে যা ছিল ১৭০-১৯০ টাকা।
৬০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে প্রতি পাউন্ড বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২৫ টাকা কেজি দরে। একই সুতা গত মাসে বেচাকেনা হয়েছে ২০৫-২২০ টাকায়। ৮০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে প্রকারভেদে ৩০৫-৩১০ টাকা পাউন্ড দরে, যা কয়েক সপ্তাহ আগে ছিল ২৯০-৩০০ টাকা।
এমআই