কর্পোরেট সংবাদ
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন
বাংলাদেশে ৩০ বছরের গৌরবময় যাত্রা উদযাপন করেছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। এ উদযাপনের জন্য বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও গ্র্যান্ড বলরুমে দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গৌরবের এই ৩০ বছরের পথচলায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বিগত তিন দশক ধরে একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও মানবিক সংস্থা হিসেবে সারা বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে দেশের ৪০টি জেলায় কাজ করছে। ১৯৯৪ সালে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে তার উন্নয়ন প্রচেষ্টা শুরু করে এবং সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের; বিশেষত কন্যাশিশু ও যুব নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, তাদের শিক্ষায়, সুরক্ষায়, তাদের দক্ষতা ও নেতৃত্ব বিকাশে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে চলেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠানের কাজ শুধু রুটিন কাজ করে যাওয়া নয়, প্রতিষ্ঠানের কাজ সমাজ পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করা। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সেই কাজটাই করে চলেছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম সিমিন হোসেন (রিমি); ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী; মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ; প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া রিজিওনাল অফিস, রিজিওনাল ডিরেক্টর ভাগ্যশ্রী ডেঙ্গলে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর অব সাব রিজিওন এশিয়া প্যাসিফিক শ্যারন কেইন এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দের বিশিষ্ট প্রতিনিধিরা, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ও কমিউনিটি-ভিত্তিক সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস বলেন, এখনো প্রতি ৩ জন নারীর একজন তার পরিবার থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। জাতিসংঘের জরিপ অনুযায়ী আমরা জানি এই বৈষম্য দূর করতে ১৩১ বছর লাগবে। বাংলাদেশের সকল স্তরে সমতা ও সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। বিগত ৩০ বছরের অর্জিত অভিজ্ঞতায় আমরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিভিন্ন সফলতা ও অর্জনের গল্প তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ৩০ বছরের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষ্য, রূপান্তরের গল্প: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের অবদান। এ আয়োজনে আরও ছিল প্রকাশনা উন্মোচন, প্রাক্তন প্ল্যান কর্মীদের স্মৃতিচারণ।
উদযাপনের অংশ হিসাবে, বিশিষ্ট প্যানেলিস্টদের সাথে একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল, যা উদযাপনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তন, মেয়ে ও যুব নারীদের ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন।
বিগত ৩০ বছরে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নিবেদিতপ্রাণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশব্যাপী ও কমিউনিটির সাথে শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করেছে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী কিশোরী এবং যুব নারীদের নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করতে, চলমান স্টেরিওটাইপকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত এ দেশে বাল্যবিবাহ রোধ, শিক্ষা, জেন্ডার সমতা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও কিশোরী ও নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য সাফল্যের সাথে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে, যা এই প্রতিষ্ঠানটির কাজের মূল ক্ষেত্র। বিশেষত, গত ১০ বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকার, দূতাবাস, দাতা ও অংশীদার সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক, সমর্থক, সহযোগী যুব ও যুব গোষ্ঠীর সহায়তায় কন্যাশিশুর অধিকার ও চাহিদা পূরণে নিজেদেরকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছে।
রেজিলিয়েন্স এবং মানবিক উৎকর্ষতা গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্ল্যান বাংলাদেশ, দূর্যোগ ও মানবিক সংকটের সময় নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ যে তৎপর কার্যক্রম চালু রেখেছে তা ক্ষতিগ্রস্তদের চাহিদা পূরণ করে সংকটের জন্য একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ প্রদর্শন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সহায়তায় অন্তর্ভুক্তিমূলক মানসম্পন্ন শিক্ষা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং যুব কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তার জন্য দক্ষতা এবং সুযোগের মাধ্যমে সারা দেশে মানবিক কর্মসূচিতে মানসম্পন্ন পরিষেবা প্রদান করছে প্রতিনিয়ত। সরকার, দূতাবাস, দাতা ও অংশীদার সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক, সমর্থক, সহযোগী যুব ও যুব গোষ্ঠী প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে নিরলসভাবে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে সম্ভব হয়েছে এই সাফল্য।
৩০ বছর ধরে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এ দেশের সরকার, স্থানীয় সহযোগী সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবার এবং কমিউনিটির সাথে মেলবন্ধনের সাথে কাজ করে আসছে। প্ল্যান বিশ্বাস করে যে, এই সমন্বিত প্রচেষ্টাই বাল্যবিবাহ সমূলে নির্মূলের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে যা ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য দেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতকরণে সহায়তা করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
চট্টগ্রামে ‘হ্যাপি মার্ট’র ২৭তম শোরুম উদ্বোধন
বেঙ্গল গ্রুপের রিটেইল চেইনশপ ‘হ্যাপি মার্ট’ এর ২৭তম শোরুম উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) চট্টগ্রামের চকবাজারে কাপাসগোলা রোডে নতুন এ শোরুম উদ্বোধন করা হয়।
শোরুমটি উদ্বোধন করেন বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার আব্দুল হামিদ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল রিটেইলস লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো: আতিকুর রহমান, সিনিয়র ইভেন্ট এক্সিকিউটিভ মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও প্রমুখ।
শোরুমটিতে গুণগত মানসম্পন্ন প্লাস্টিক ফার্নিচারসহ হাউজওয়্যার, মেলামাইন, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এই শোরুম থেকে গ্রাহকেরা সহজেই গ্লাসওয়্যার, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, ননস্টিক কুক ওয়্যার, ওয়াটার পিউরিফায়ার, গ্যাস স্টোভ ও বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল ধরণের পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
নতুন এই শোরুমের উদ্বোধন উপলক্ষে হ্যাপি মার্টের নির্দিষ্ট পণ্যের উপর পাওয়া যাচ্ছে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ মূল্য ছাড় দিচ্ছে কোম্পানিটি। অফারটি আগামী ৮ই মে পর্যন্ত চলবে। অফারটি উপভোগ করতে চকবাজারের হ্যাপি মার্ট শোরুম থেকে গ্রাহকদের কেনাকাটা করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স গ্রহণে গাড়ী জিতল কাপাসিয়ার মুঞ্জিল
ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের মেগা পুরস্কার হিসেবে ত্রিশ লাখ টাকার ১৫০০ সিসির প্রাইভেট কার জিতেছেন কাপাসিয়া শাখার অধীন এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মুঞ্জিল।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ও ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফারজানা আলমের উপস্থিতিতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত ড্র-এর মাধ্যমে সৌদি আরব প্রাবাসী মুছাম্মৎ লতিফা সুলতানার পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে তার স্বামী মুঞ্জিল এ মেগা পুরস্কার অর্জন করেন।
এ সময় ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মোঃ আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মোঃ রেজাউল করিম, ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, ফরেইন রেমিট্যান্স সার্ভিসেস ডিভিশন প্রধান মোহাম্মদ শাহাদাত উল্যাহ ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ খালেদ সহ-প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক- ট্রান্সফাস্ট বিশেষ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং ডে-তে ডিজিটাল ড্র এর মাধ্যমে ৩০ জন গ্রাহক ১ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার লাভ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
শুধু নারী কর্মকর্তা দিয়ে ব্রাঞ্চ পরিচালনা করলো ব্র্যাক ব্যাংক
শুধু নারী কর্মকর্তা দিয়ে তিনটি ব্রাঞ্চ পরিচালনা করে ব্যাংকিং খাতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
শুধু নারী কর্মকর্তা দিয়ে ব্রাঞ্চ পরিচালনাবিষয়ক এই পাইলট উদ্যোগটি হলো ব্যাংকে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের এক যুগান্তকারী প্রচেষ্টা। ব্র্যাক ব্যাংকের এই প্রচেষ্টায় গ্রাহক সেবা থেকে শুরু করে ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট পর্যন্ত ব্রাঞ্চের সকল কাজ নারী কর্মকর্তারা পরিচালনা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, ব্রাঞ্চের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত সকল কর্মীও ছিলেন নারী, যা জেন্ডার-ইকুয়ালিটির বিষয়ে ব্যাংকটির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
সপ্তাহব্যাপী চালিত এই পরীক্ষামূলক উদ্যোগটি ছিল ব্যাংকের জন্য এক দুর্দান্ত সাফল্য। সাতমসজিদ রোড ব্রাঞ্চ, মগবাজার ব্রাঞ্চ এবং নিকুঞ্জ সাব-ব্রাঞ্চ শাখা পুরোপুরিভাবে নারী কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, যা গ্রাহকদের কাছ থেকে দারুণ সাড়ার পাশাপাশি ব্যাপক প্রশংসাও অর্জন করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি ব্যাংকটির অবিচল প্রতিশ্রুতিকে সকলের সামনে আরও একবার তুলে ধরেছে।
ব্যাংকটির মূল প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। একটি মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সহায়তা এবং তাঁদের নেতৃত্বস্থানীয় পদে পৌঁছাতে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে থাকে।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন এই উদ্যোগের বিষয়ে বলেন যে, ব্র্যাক ব্যাংক সমাজের প্রত্যেক নারীর সম্ভাবনায় বিশ্বাস করে। আমাদের এই উদ্যোগটি নারীদের এগিয়ে চলার পথে পুরো ব্যাংকিং খাতে ব্র্যাক ব্যাংককে অগ্রণী ভূমিকায় রাখবে।
সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, নারী সহকর্মীদের সম্ভাবনায় বিশ্বাসী ব্র্যাক ব্যাংক কর্মক্ষেত্রে নারীদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে অনুকূল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করেছে। এখানে প্রত্যেক নারী স্ব-স্ব পদে নিজেদের পুর্ণাঙ্গ সম্ভাবনা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছেন। নারী কর্মীদের মাধ্যমে পুরো ব্রাঞ্চ পরিচালনা নিয়ে আমাদের এই উদ্যোগটি নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আমাদের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরই প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা নারীদের ক্যারিয়ার অগ্রযাত্রায় এবং পূর্ণাঙ্গ সম্ভাবনার বিকাশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে থাকি। তাঁদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কর্মজীবনে উন্নতির লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করে থাকে। ভবিষ্যতে আমরা আমাদের এই ‘শুধু নারী কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত ব্রাঞ্চ’ মডেলটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করব।
ব্যাংকিং খাতের শীর্ষস্থানীয় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকে মোট জনবলের ১৫শতাংশই নারী। ব্যাংকটি এই হার ৩০শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ওয়ালটনের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ল ২ মাস
কোরবানির ঈদকে ঘিরে ওয়ালটনের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। ডিজিটাল এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যান কিনে ইতোমধ্যে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন ক্রেতা বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইলেকট্রন্ক্সি ব্র্যান্ডটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া এবং কোরবানি ঈদকে ঘিরে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
চলতি বছরের ১ মার্চ এ ডিজিটাল ক্যাম্পেইন শুরু হয়। এর মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সময় বাড়ানোর কারণে এবার ৩০ জুন পর্যন্ত ক্রেতারা এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে পারবেন।
মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান বলেন, “প্রতিটি বড় উৎসব উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় রোজার ঈদের আগে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিয়েছে ওয়ালটন।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিজন-২০ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ। এছাড়াও পাচ্ছেন নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম থেকে ক্রেতাদেরকে উপহার বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে গোল্ড কিনে সঞ্চয় করার সুযোগ
সোনা কেনাকাটার অ্যাপ ‘গোল্ড কিনেন’ গ্রাহকরা এখন বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের হলমার্ক ও সার্টিফাইড ২২ ক্যারেট গোল্ড কেনা, সঞ্চয়, বিক্রি ও উপহার দিতে পারছেন।
বার ও কয়েন হিসাবে উত্তোলনও করতে পারছেন গ্রাহকরা। দেশের যেকোনো স্থানে নির্দিষ্ট পিক-আপ পয়েন্ট থেকে এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় ঘরে বসেই উত্তোলন করতে পারবেন গ্রাহকরা।
এছাড়া, ৩১ মে পর্যন্ত চলা ক্যাশব্যাক ক্যাম্পেইনের আওতায় গ্রাহকরা অ্যাপ থেকে সোনা কিনে বিকাশে পেমেন্ট করলেই সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত তাৎক্ষণিক ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিকাশ।
এ জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ‘গোল্ড কিনেন’ ও বিকাশ।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ ও চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর, ‘গোল্ড কিনেন’ এর প্রতিষ্ঠাতা কামরান সঞ্জয় রহমান, রাফাতুল বারি লাবিব ও আতেফ হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের ‘প্রথম’ সোনা কেনাবেচার অ্যাপ ‘গোল্ড কিনেন’। সোনা কেনা যেন আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হয় সেই লক্ষ্যেই যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যায়।
এমআই