জাতীয়
তিন কর্মকর্তাকে বদলি করলো ডিএনসিসি
প্রশাসনিক কাজের স্বার্থ ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের কথা উল্লেখ করে তিন জন কর্মকর্তাকে জরুরি ভিত্তিতে বদলি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে তাদের বদলি করেন।
সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, বদলি করা কর্মকর্তাদের আদেশ জারির তিন কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ডিএনসিসির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সচিবকে বদলি করে ১ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। একইভাবে অঞ্চল ২ এর রাজস্ব বিভাগের হিসাব সহকারীকে ওয়ার্ড ৩ এর ওয়ার্ড সচিব এবং ১ নম্বর ওয়ার্ড সচিবকে অঞ্চল ৮ এর প্রশাসন শাখায় বদলি করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন উৎস থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (মে ০৭) সকালে গণভবনে আইওএম এর মহাপরিচালক অ্যামি পোপ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
আন্তর্জাতিক যে অংশীদাররা রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিচ্ছিল তার পরিমাণ অনেকটা কমে গেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যাতে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে সে জন্য আইওএমকে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ তার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে ক্যাম্পগুলো অত্যাধিক ঘণবসতিপূর্ণ। মিয়ানমারে সংঘাত চলছে, ক্যাম্পগুলোর ভেতরে নানা দল উপদল আছে, গ্রুপিং আছে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত আছে। সে কারণে অনেক সময় তাদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কক্সবাজারের পরিবেশের কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, কক্সবাজারে এখন স্থানীয় জনগণই সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। রোহিঙ্গারাই সংখ্যায় বেশি। সেখানে যে সীমিত সম্পদ আছে তা নিয়ে অনেক সময় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে।
ভাষাণচরে অধিকতর ভালো আবাসন ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভাষাণচরে সব ধরনের সুবিধা সম্বলিত অবকাঠামো তৈরি করেছি। সেখানে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা, বাচ্চাদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আছে। ওখানে আরও মানুষের আবাসনের সুযোগ আছে। সেখানে ১ লাখ মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা আছে।
ভাষাণচরে আরও রোহিঙ্গা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।
প্রবাসী শ্রমিকরা দুই দেশের অর্থনীতি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা যেহেতু দুই দেশেরই অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে, উভয়েরই দায়িত্ব তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা।
প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থাসহ বাংলাদেশ সরকারের অনেকগুলো কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি।
আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ অভিভাসী শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন, ভাষা-সংস্কৃতি শিক্ষা এবং যে দেশে যাবে সেই দেশের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বিদেশগামী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাদের দক্ষ করে বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এ লক্ষ্যে সারা দেশে প্রায় ১১২টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেখানে নানা ধরনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। আমাদের নদী ভাঙন, বন্যাসহ বিভিন্ন কারণে মাইগ্রেশন হয়। তবে আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের আবাসনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, উপকূল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধী বাড়িঘর, বন্যাপ্রবণ এলাকায় ভাসমান বাড়িঘর করে দেওয়া হচ্ছে।
জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য খুরুশকুলে বহুতল ভবন নির্মাণ করে প্রায় ৪ হাজার ক্ষতিগ্রস্তকে আবাসন ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
দারিদ্র্যের সঙ্গে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যদি আমরা দারিদ্র্য কমাতে পারি তাহলে অভিবাসনের তীব্রতা কমে যাবে।
দেশে দারিদ্র কমাতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কথা তুলে ধরে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে দারিদ্র্যের হার উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমিয়ে এনেছি। এখন অতিদারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হয়, এজন্য আমরা সচেষ্ট থাকব। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
শিলাবৃষ্টিতে হাওরের ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘হাওরের ৯৮-৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। শুকিয়ে তা ঘরে তুলে রাখা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ করা যাবে। হাওরকে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে ধানের বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষক যাতে হয়রানি না হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আছেন, যাদের ব্লক সুপারভাইজার বলা হতো, তাদের কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার দেওয়া আছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কৃষক যদি গোডাউনে ধান নিয়ে আসেন, যার আর্দ্রতা ১৫ বা ১৬ শতাংশ আছে, তাহলে সেই ধান শুকাতে কৃষককে হয়রানি হতে হবে। এজন্য কৃষি দপ্তরের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তারা আর্দ্রতার যন্ত্র দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন।’
আর গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো লেবার যাতে কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেদিকে জেলাপ্রশাসক (ডিসি) এবং আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। যারা লেবার সাপ্লাই দেন, সেই ল্যান্ডিং ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হয়, এজন্য আমরা সচেষ্ট থাকব। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
এ সময়ে ধান ও চালের গুণগতমান যাতে ভালো হয়, সেক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পণ্য সরবরাহ ঠিক থাকলে কমবে কারসাজি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে পারলে কেউ কারসাজি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি পণ্য যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেজন্য টিসিবি কাজ করছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর বারিধারা এলাকায় টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক কোটি পরিবার প্রায় ৪-৫ কোটি লোক, এই তালিকাটা একটু সংশোধন করা দরকার। কারণ প্রত্যেক জায়গায় কিছু লোক মারা গেছেন, কিছু লোক স্থান পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলব আপনারা তালিকা সংশোধন করে যারা পাওয়ারযোগ্য তাদেরকে রাখবেন।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে এটাই ছিল টিসিবির উদ্দেশ্য। আমি নিজেও ছোটবেলায় রেশন কার্ড নিয়ে ন্যায্যমূল্যের দোকানে যেতাম, বিভিন্ন জিনিস আমরা সেখান থেকে এনেছি। কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে নিজস্ব উৎপাদিত অনেক পণ্য ছিল না। টিসিবির মাধ্যমে এটা আসত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় ছিল। বিশেষ করে সামরিক সরকার ক্ষমতায় থেকে টিসিবিকে একেবারে ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। সেই টিসিবিকে আবার ঘুরে দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি জিনিস যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি সেজন্য টিসিবি কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রোববার (৫ মে) ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।
জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এ সফর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন।
২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন। এর আগে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডেঙ্গু মশা নির্মূলে সবাই একত্রে কাজ করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ডেঙ্গু হওয়ার আগেই আমরা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নির্মূলে আমরা সবাই একত্রে কাজ করবো।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমার চিন্তা আছে। ডেঙ্গুতে মা হারিয়েছি। আমি বিশেষভাবে কাজ করবো যাতে আর কারো মা এতে মারা না যায়।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০২৪ সালের ডেঙ্গু নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যাতে রোগটি কারো হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ডেঙ্গুকালীন কোনোভাবেই স্যালাইন সংকট দেখা না দেয় এবং স্যালাইনের দামও না বাড়ে। এছাড়া হাসপাতালগুলোকে খালি রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে করে পরে সার্জারি বা ভর্তি না করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়, এমন যারা আছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি না করে যাদের প্রয়োজন তাদের ভর্তি করা হয়।
এছাড়া আমাদের ফগিং বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে। এ বিষয়ে আলোচনা করবো। এর সঙ্গে সিটি করপোরেশনের সঙ্গেও খোলামেলা আলোচনা করবো।
এমআই