Connect with us

স্বাস্থ্য

রোজায় অন্তঃসত্ত্বা মায়ের করণীয়

Published

on

দরবৃদ্ধি

মায়ের গর্ভে শিশুর বেড়ে ওঠা এবং মেধাবিকাশ অনেকাংশেই নির্ভর করে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের যথাযথ পুষ্টি প্রাপ্তির উপর। গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা কতটা নিরাপদ—তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় কাজ করে। প্রকৃতপক্ষে মা ও গর্ভস্থ শিশু উভয়েই যদি সুস্থ থাকে এবং মায়ের যদি কোনো গর্ভজনিত জটিলতা না থাকে তাহলে অন্তঃসত্ত্বা মা রোজা রাখতে পারবেন।

সর্বোপরি রোজা পালনের কারণে মা ও শিশুর যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। গর্ভকালীন নয় মাস সময়কে তিন মাস করে করে মোট তিনটি ট্রাইমেস্টারে ভাগ করা হয়েছে। তিনটি ট্রাইমেস্টার ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্ব বহন করে।

১ম ট্রাইমেস্টার (১-১২ সপ্তাহ)
এই সময় গর্ভস্থ শিশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গঠিত হয়ে থাকে। তাই এ সময় পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাছাড়া গর্ভের প্রথম তিন মাস খাবারে অরুচি ও বমিভাব থাকার কারণে রোজা পালন করা কষ্টকর হতে পারে। খুব বেশি শারীরিক সমস্যা করে এই তিন মাস রোজা না রাখাই ভালো।

২য় ট্রাইমেস্টার (১৩-২৬ সপ্তাহ)
মায়ের জন্য এই সময়টি তুলনামূলকভাবে স্বস্তিদায়ক। তবে এই সময় ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ শনাক্ত হওয়ার সময়। সাধারণত কোনো জটিলতা না থাকলে এই তিনমাস রোজা রাখায় কোনো বাধা নেই। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো জটিলতা থাকলে রোজা রাখতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

৩য় ট্রাইমেস্টার (২৭-৪০ সপ্তাহ)
এই সময়ে গর্ভস্থ শিশুর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে থাকে। শিশুর সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে কিছুক্ষণ পরপর ঘন ঘন খাদ্যগ্রহণ প্রয়োজন। পানিশূন্যতা দেখা দিলে বা বাচ্চার নড়াচড়া কমে গেলে রোজা না রাখাই ভালো হবে। মা ও শিশুর কোনো জটিলতা না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে রোজা রাখা যেতে পারে।

রোজা রাখলে অন্তঃসত্ত্বা মা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন

১. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও ক্লান্তভাব বা দুর্বল লাগা।
২. বমিভাব বা মাথাব্যথা হওয়া।
৩. প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণসমূহ যেমন- জ্বরজ্বরভাব,তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা পায়খানা হওয়া।
৫. মায়ের ওজন কমে যাওয়া।
৬. গর্ভস্থ শিশুর ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া।
৭. গর্ভের শিশুর নড়াচড়া কমে যাওয়া।
৮. গর্ভস্থ পানি বা অ্যামনিওটিক ফ্লুইড কমে যাওয়া।

ওপরের যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

রোজা রাখলে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের অবশ্য করণীয়
১. প্রশান্ত ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন।
২. বেশি হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করবেন না।
৩. পরিশ্রমের মাত্রা কমিয়ে দিন।
৪. ভাজাপোড়া ও তেলচর্বিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করুন।
৫. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
৬. পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৭. রাতে পরিপূর্ণ ঘুম নিশ্চিত করুন।
৮. সেহেরি ও ইফতারে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সহজপাচ্য খাবার রাখুন।
৯. রোজা ভাঙার পর থেকে জেগে থাকা পর্যন্ত ফলমূল, শরবত, স্যুপ ইত্যাদি সহজপাচ্য খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।

গর্ভকালীন সময় প্রতিটি নারীর জীবনে অতুলনীয় অভিজ্ঞতার সময়। গর্ভাবস্থা নিরাপদ রাখতে সঠিক পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই। পানাহার, ঘুম থেকে শুরু করে পোশাক বাছাইকরণ পর্যন্ত সবকিছুতেই সুষ্ঠু পরিচালনা প্রয়োজন। অনাগত শিশুর সুস্থতা ও বেড়ে ওঠা অনেকাংশেই মায়ের উপর নির্ভরশীল। তাই যেকোনো সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নিতে সতর্ক হওয়া উচিত। মনে রাখবেন, একজন সুস্থ মা-ই পারেন সুস্থ শিশু জন্ম দিতে।

লেখক: ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, সহকারী অধ্যাপক (গাইনি), চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৮ জন

Published

on

দরবৃদ্ধি

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের বাইরে পাঁচজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এক হাজার ৯৭৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ১১১ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৩০২ জন পুরুষ ও ৮৯০ জন নারী রয়েছেন। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী রয়েছেন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

করোনা শনাক্ত আরও ১৬ জনের

Published

on

দরবৃদ্ধি

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের।

এদিন নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৬ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ জনে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৩৬৫ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩৩৫টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ০৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন আইসোলেশনে এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৭২ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

তাপপ্রবাহে অতি উচ্চঝুঁকিতে বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ

Published

on

দরবৃদ্ধি

দেশে মাসজুড়ে চলা টানা তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যগত উচ্চঝুঁকিতে আছে শিশুরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান এই তাপপ্রবাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনের আরও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়। অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় আমাদের আগে শিশু ও সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে।

ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ রয়েছে শিশুরা। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে শিশুদের জন্য। বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিটস্ট্রোক ও পানি শূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চতাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশব্যাপী বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও ক্রমে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এমনিতে এপ্রিল বছরের উষ্ণতম মাস। তবে অন্যান্য যে কোনো বছরের চেয়ে অনেক বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবারের মাসটি। অসহনীয় গরমে এক পশলা বৃষ্টির জন্য হাঁসফাঁস করছে জনজীবন।

মাসের এখনও বাকি সপ্তাহখানেক, এরই মধ্যে কয়েক দফায় হিট অ্যালার্ট জারি হয়েছে দেশে। মাসের মাঝামাঝি এসে প্রতিদিন মরুর দেশগুলোর তাপমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা।

টানা এই তাপপ্রবাহকে অস্বাভাবিক বলছেন দেশের আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেছেন, গত এক দশক থেকেই এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকছে তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসের গড় স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.২। তবে এবার এপ্রিলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির ওপরে থাকছে।

এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের ওপর অসহনীয় গরমের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে সারা দেশে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জলবায়ুর ক্রমবর্ধমান বিরূপ পরিবর্তনে শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফও।

তাপপ্রবাহ থেকে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুরক্ষার জন্য সম্মুখসারির কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, পরিচর্যাকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের বসা ও খেলার জন্য ঠান্ডা জায়গার ব্যবস্থা করুন। তপ্ত দুপুর ও বিকেলের কয়েক ঘণ্টা তাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো থেকে বিরত রাখুন। শিশুরা যেন হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সারা দিন তারা যেন প্রচুর পানি পান করে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা
যদি কোনো শিশু বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মধ্যে ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার উপসর্গ দেখা দেয় (যেমন, মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাংসপেশিতে টান, ডায়াপার পরার জায়গাগুলোতে ফুসকুড়ি) তাহলে তাকে একটি ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান, যেখানে ছায়া এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের সুযোগ আছে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিন বা গায়ে ঠান্ডা পানি দিন। তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন পান করতে দিন। হিট স্ট্রেসের (তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতার) উপসর্গ তীব্র হলে (যেমন কোনকিছুতে সাড়া না দিলে, অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তীব্র জ্বর, হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেলে, খিঁচুনি দেখা দিলে এবং অচেতন হয়ে পড়লে) তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিতে হবে।

প্রতিবেশীদের প্রতিও খেয়াল রাখার পরামর্শ
তাপপ্রবাহ চলাকালে অসহায় পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিরাই সবার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি মৃত্যুর উচ্চঝুঁকিতেও তারাই বেশি থাকেন। আপনার প্রতিবেশী, বিশেষ করে যারা একা থাকেন, তাদের খোঁজ নিন ও খেয়াল রাখুন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে আরও ৩৩ জন আক্রান্ত

Published

on

দরবৃদ্ধি

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি এবং সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রামের বিভাগের (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১০ জন, ঢাকা বিভাগের (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) আটজন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশোনে চারজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে নয়জন এবং খুলনা বিভাগের (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ৪২ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট এক হাজার ৯৪৯ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৮৪ জন। এর মধ্যে এক হাজার ২৮৩ জন পুরুষ এবং ৮০১ জন নারী রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং জন ১৩ জন নারী রয়েছেন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

আরও ২৩ জনের করোনা শনাক্ত

Published

on

দরবৃদ্ধি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯৭ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৩৪৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৫০৬ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
দরবৃদ্ধি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার1 hour ago

শূন্যপদের পছন্দ নিয়ে এনটিআরসিএ’র নতুন নির্দেশনা

দরবৃদ্ধি
আবহাওয়া1 hour ago

বৃষ্টি নিয়ে সুসংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

ব্লকে লেনদেন ৪৪ কোটি টাকা
পুঁজিবাজার2 hours ago

সপ্তাহজুড়ে ব্লকে প্রাইম ব্যাংকের সর্বোচ্চ লেনদেন

অলিম্পিক
পুঁজিবাজার2 hours ago

সপ্তাহজুড়ে অলিম্পিক এক্সেসরিজের সর্বোচ্চ দরপতন

দরবৃদ্ধি
পুঁজিবাজার3 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় ‘এ’ ক্যাটাগরির আধিপত্য

দরবৃদ্ধি
পুঁজিবাজার3 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ

দরবৃদ্ধি
জাতীয়4 hours ago

ভুটানকে বিবিআইএনএ’তে চায় বাংলাদেশ

দরবৃদ্ধি
জাতীয়4 hours ago

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলক চালু অক্টোবরে

দরবৃদ্ধি
রাজধানী4 hours ago

রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ

দরবৃদ্ধি
কর্পোরেট সংবাদ5 hours ago

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন

দরবৃদ্ধি
কর্পোরেট সংবাদ5 hours ago

ওয়ালটন এসি কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন সেনেটারি ব্যবসায়ি আব্দুল আলী

দরবৃদ্ধি
আন্তর্জাতিক5 hours ago

এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম কমলো

দরবৃদ্ধি
জাতীয়5 hours ago

শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

দরবৃদ্ধি
পুঁজিবাজার14 hours ago

পুঁজিবাজার নিয়ে কারসাজি-গুজব রটনাকারী চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

দরবৃদ্ধি
রাজনীতি15 hours ago

জনগণের জন্য কাজ করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

দরবৃদ্ধি
সারাদেশ15 hours ago

তীব্র তাপপ্রবাহে বেঁকে গেলো রেললাইন

দেশে মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধি
অর্থনীতি16 hours ago

বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না

দরবৃদ্ধি
জাতীয়16 hours ago

এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: মন্ত্রী

দরবৃদ্ধি
জাতীয়16 hours ago

তিন কর্মকর্তাকে বদলি করলো ডিএনসিসি

দরবৃদ্ধি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার17 hours ago

চাকরির সুযোগ দিচ্ছে মেঘনা গ্রুপ

দরবৃদ্ধি
জাতীয়17 hours ago

শেরে বাংলা ছিলেন গণমানুষের নেতা: রাষ্ট্রপতি

দরবৃদ্ধি
আন্তর্জাতিক17 hours ago

ফিউচার মার্কেটে কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম

দরবৃদ্ধি
আবহাওয়া18 hours ago

তাপমাত্রা কমাতে হিট অফিসারের নতুন উদ্যোগ

দরবৃদ্ধি
জাতীয়18 hours ago

চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

দরবৃদ্ধি
জাতীয়19 hours ago

সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০