পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের গতি ফেরাতে ডিবিএ’র সাত প্রস্তাব
দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন অনেক ভাল। যার প্রতিফলন শিগগির শেয়ারবাজারে পড়বে বলে মনে করে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। ফলে পুঁজিবাজারের সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সাত প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় সাম্প্রতিক শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত শীর্ষ ত্রিশ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময়কালে এ দাবি জানানো হয়।
পুঁজিবাজারের গতি ফেরাতে ডিবিএ’র সাত প্রস্তাব তুলে ধরে ডিবিএর প্রতিনিধিরা জানান- শেয়ারের দরে পুনরায় ফ্লোর আরোপ করা হতে পারে বলে বাজারে যে গুজবটি রয়েছে, তা শতভাগ গুজব, মিথ্যা, ভিত্তিহীন। ফ্লোর প্রাইসের পূনরাবৃ্ত্তি ঘটবে বলে ডিবিএ আদৌ মনে করেনা। বর্তমান মর্জিন বিধিমালা-১৯৯৯ এর যুগোপযোগী ও সংস্কার প্রয়োজন।
তারা বলেন, ভাল কোম্পানির আইপিও বাজারে তালিকাভূ্ক্ত করতে হবে। কোম্পানি তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে সকল প্রকার আইন ও বিধি-বিধানের সঠিক পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক নির্ভরতা কমাতে মিউচুয়াল ফান্ডের উপর জোর দিতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। কোম্পানির ক্যাটাগরি ডিভিডেন্ডের উপর না করে উহার ক্যাপিটাল সাইজের উপর করাই যৌক্তিক।
ডিবিএর প্রতিনিধিরা বলেন, সাধারন শেয়ারহোল্ডার, স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার কিংবা অন্য কোন শেয়ারহোল্ডারদের না জানিয়ে ভিন্ন কোন উপায়ে কোন কোম্পানির শেয়ার বৃদ্ধি করা উচিৎ নয়। দ্বৈত করের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তা সমাধান করতে হবে।
আলোচনায় অংশ নেয়া প্রতিনিধিরা সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা মনে করেন, বাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার মত উল্লেখযোগ্য কোন কারন নেই। তবে কারো কারো মতে, শেয়ার দরের উপর থেকে ফ্লোর তুলে নিলে এমনিতেই কিছুটা প্রাইস এডজাস্টমেন্ট হয়ে থাকে। এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক। খুব শিগগির বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে বলে ইঙ্গিত করেছেন শীর্ষ এই ব্রোকার প্রতিনিধিরা। তবে আগামীদিনে বাজারের সার্বিক স্বার্থে উপস্থিতি প্রতিনিধিগণ এসব দাবি তুলেছেন, যা বাস্তবায়নের ফলে বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং বাজার দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল ও টেকসই হবে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী শীর্ষ বোকারেজ কোম্পানিগুলো হলো- লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, সিটি ব্রোকারেজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ, শান্তা সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, ইউনাইটেড ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডিং কোং, এমটিবি সিকিউরিটিজ, আইসিবি সিকউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এনআরিবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস, গ্লোব সিকিউরিটিজ, এবি সিকিউরিটিজ, কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ এন্ড ইন্ভেস্টমেন্ট, ফার্স ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ, এনসিসিবি সিকিউরিটিজ এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, মিকা সিকিউরিটিজ, আকিজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি’ রোজারিও, ডিবিএর সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদ রশীদ লালী, বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সিইও মোস্তফা জামানুল বাহার প্রমূখ।
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট বৈঠকে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাজারের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ করে সভা শেষ করেন। ডিবিএ প্রেসিডেন্ট বিনোয়গকারীদের কোনরুপ গুজবে কান না দিয়ে বিনিয়োগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন এবং বাজারের প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ করেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় ‘এ’ ক্যাটাগরির আধিপত্য
বিদায়ী সপ্তাহে (২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে ৫৭টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে টপটেপ গেইনার বা সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পাওয়া ১০ কোম্পানির তালিকায় ৮টিই শেয়ারবাজারে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা কোম্পানি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা কোহিনূর কেমিক্যালের শেয়ারদর বেড়েছে ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারপ্রতি দর বৃদ্ধি পাওয়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফার্মা এইডস লিমিটেড।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ই-জেনারেশন, আইটি কনসালটেন্টস, আরডি ফুড, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, শাশা ডেনিমস, গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড এবং বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
বিদায়ী সপ্তাহে (২১ এপ্রিল-২৫ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৪ কোম্পানির ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৩১ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ অবদান এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ২৬ কোটি ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা তাওফিকা ফুডস এন্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসির বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিলো ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৫০ টাকা।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সাপ্তাহজুরে প্রতিদিন গড়ে গোল্ডেন সনের ২০ কোটি ৮৩ লাখ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৬ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার, বেস্ট হোল্ডিংসের ১৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার, মালেক স্পিনিংয়ের ১৩ কোটি ৬৪ লাখ, স্যালভো ক্যামিকেলের ১২ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার, কোহিনূর কেমিক্যালের ১২ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার এবং বিচ হ্যাচারির ১১ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার নিয়ে কারসাজি-গুজব রটনাকারী চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার
অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশের পুঁজিবাজার, পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও বিভিন্ন শেয়ারের দাম নিয়ে কারসাজিকারী এবং গুজব রটনাকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর একাধিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- (১) মো. আমির হোসাইন ওরফে নুরনুরানী (৩৭), (২)নুরুল হক হারুন (৫২), এবং (৩)আব্দুল কাইয়ুম (৩৯)।
তিনি বলেন, সম্প্রতি পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাধারণ গ্রাহককে তাদের শেয়ার বিক্রি করে লাভের চাইতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বেশি। এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি এই শেয়ারের দাম নিয়ে কারসাজি করছেন। আবার কেউ কেউ গুজব রটাচ্ছেন। এসব অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আগামীকাল শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, পুঁজিবাজার একটি স্পর্শকাতর জায়গা। দেশের অর্থনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখানে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তাদের সর্বস্ব নিয়ে এসে বিনিয়োগ করে থাকেন। অল্পতেই এখানে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, কমিশনের চেয়্যারম্যান সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, টেলিগ্রাম এ গোপনীয় গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা, ভূয়া এবং প্রতারণা মূলক তথ্য সরবরাহ করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধীর জন্য সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের প্রতারিত করে আসছে। সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিসস্থিতি ক্সতরী করে আসছে। এ বিষয়ে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় উক্ত মামলায় তদন্ত
করে মামলা সংশ্লিষ্ট ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে লেনদেন বাড়লেও দরপতন অব্যাহত
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল) সব মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। একইসাথে কমেছে বাজার মূলধন। তবে আলোচ্যে সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে বেড়েছে লেনদেন।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৮৫২ কোটি ৮ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। আর সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬১ কোটি টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৬ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।
গেল সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ১৬৮ দশমিক ২১ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অপর দুই সূচকও কমেছে। শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ২৯ দশমিক ২৯ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএস ৩০’ এক সপ্তাহে ১০ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমেছে।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৯৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০ কোম্পানির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ৩২৭টির, বিপরীতে ৫৭ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইর পর্ষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান
বর্তমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি ও বাজারের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বৈঠকে পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকট ও বাজার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য ব্যতিত ১২জন সবাই উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁওস্থ বিএসইসির কার্যালয়ে ডিএসইর পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে এই বৈঠক করেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, স্থিতিশীল শেয়ারবাজার রাখতে ডিএসইর পর্ষদকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে বিএসইসি চেয়ারম্যান নির্দেশ দেন। এসময় ডিএসইর পর্ষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এক পর্যায়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি উত্থাপন করা হয়। সম্প্রতি শেয়ারের সর্বনিম্ন ৩ শতাংশ দর কমার যে সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বিএসইসি তা স্থগিত করতে অনুরোধ করা হয়। বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয় দেশের পুঁজিবাজারের স্বার্থে বিভিন্ন সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনেক বিষয়েই হস্তক্ষেপ করে। যদিও এটি ডিএসইর কাজ, কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন করে? বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডিএসইকে কমিশন থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।
এবিষেয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ডিএসইর চেয়ারম্যান হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু অর্থসংবাদকে বলেন, বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে ডিএসইর পর্ষদের যে বৈঠক হয়েছে তা খুবই ফলপ্রসূ। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও বাজারের এই খারাপ সময় কিভাবে দ্রুত কাটিয়ে উঠা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিএসইকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে কিভাবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে আমরা শিগগিরই ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন সিইও ফোরামের সঙ্গে বসবো বলে জানান ডিএসইর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো আইপিও আসলে মার্কেটের অবস্থা ভালো হবে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। তাই কিভাবে ভালো আইপিও আনতে পারি তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বড় বড় যেসব কোম্পানি ও গ্রীন ফ্যাক্টরি এখনো পুঁজিবাজারে আসেনি সেসব কোম্পানিগুলোকে কিভাবে আমরা আনতে পারি তা নিয়ে পরিকল্পনা করেছি। তারা কেনো পুঁজিবাজারে আসছে না তা নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করতে পারি।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপত্বিতে উপস্থিত ছিলেন- ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. আফজাল হোসেন, রুবাবা দৌলা, মো. শহীদুল ইসলাম, কাওসার আহমেদ, শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, শরীফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি’ রোজারিও, ওয়াং হাই এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান।
এসএম