অর্থনীতি
টাকা ছাপাতেই বছরে খরচ ৩৮৪ কোটি টাকা
দেশে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে প্রচলিত বিভিন্ন মূল্যমানের টাকার (মুদ্রা) ব্যবহারগত পদ্ধতির কারণে স্থায়িত্ব কমছে। ফলে কয়েক মাস না যেতেই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে কাগুজে নোট। এতে প্রতিবছরই সরকারকে নতুন নোট ছাপাতে হয়। তাতে প্রতি বছর টাকা মুদ্রণে খরচ হয় ৩৮৪ কোটি টাকা। এই খরচ কমিয়ে আনতে ক্যাশলেস লেনদেন বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি সার্বজনীন ক্যাশলেস লেনদেন বাস্তবায়ন করতে হলে ডিজিটাল পেমেন্টে জড়িত সব ব্যাংক, পেমেন্ট সার্ভিস প্রভাইডার (পিএসপি), পেমেন্ট সার্ভিস প্রভাইডার (পিএসও) ও এমএফএসসহ স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে এক সভার আয়োজন করা হয়।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইসিটি সেল ‘ক্যাশলেস লেনদেন বাস্তবায়ন’ সংক্রান্ত ওই সভার আয়োজন করে। এ সময় ক্যাশলেস লেনদেন বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হককে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সভার কার্যবিবরণী পর্যালোনায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।
সরকার আশা করছে, ক্যাশলেস লেনদেন বাস্তবায়ন হলে নগদ অর্থ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিস্ট এই খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সেই সঙ্গে সহজে আয়-ব্যয়ের হিসাব ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। ফলে আয়কর ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা কমে আসবে এবং মানিলন্ডারিং অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ‘ ভিশন, বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে আনয়নের উদ্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের আওতায় ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের ৭৫ শতাংশ লেনদেন ডিজিটাল করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের পক্ষ থেকেও ক্যাশলেস লেনদেন বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত ৩০ জানুয়ারি সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইসিটি সেল কর্তৃক ‘ক্যাশলেস লেনদেন বাস্তবায়ন’ সংক্রান্ত এক সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় ক্যাশলেস বাংলাদেশের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক। এতে ক্যাশলেস লেনদেন কী, এর উপকারিতা ও ঝুঁকি, ক্যাশলেস লেনদেনের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
সভায় বলা হয়, বর্তমানে দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট করার জন্য যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, যেমন কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কিউআর কোড, এমএফএস এবং মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ডিজিটাল পেমেন্ট সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দেশে শহরভিত্তিত কিছু বড় দোকান ও মার্চেন্ট আউটলেট রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সেবার ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবস্থা থাকলেও দেশের বেশিরভাগ স্থানে ডিজিটাল পেমেন্টের সুযোগ সৃষ্টি হয়নি বা পর্যাপ্ত অ্যাকসেস পয়েন্ট নেই। ফলে ব্যাংক, এমএফএস ও পিএসপি’র অধিকাংশ ই-মানিকে পুনরায় নগদে রূপান্তর করে লেনদেন করতে হচ্ছে। সব ধরনের পেমেন্টের ক্ষেত্রে ই-মানি ব্যবহার করা গেলে এ ধরনের কনভারসন প্রয়োজন হতো না। এমন অবস্থায় ক্যাশলেস লেনদেন বাস্তবায়নে যে বিষয়গুলো বেশি প্রয়োজন তা হচ্ছে পরিষেবা দানকারীর সক্ষমতা, সেবাদানকারীদের মধ্যে ইন্টার-অপারেবিলিটি ও ডিজিটাল পেমেন্ট করার জন্য পর্যাপ্ত অ্যাকসেস পয়েন্ট তৈরি। এছাড়া ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করাও প্রয়োজন।
মেজবাউল হক বলেন, ক্যাশলেস লেনদেন বাস্তবায়নে দেশব্যাপী সব স্থানে ডিজিটাল অ্যাকসেস পয়েন্ট তৈরিতে বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। এসব পয়েন্ট ব্যবহার করে ক্যাশলেস লেনদেনে জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে। দেশের সব হাট-বাজার, দোকান ও অন্যান্য স্থানে ক্যাশলেস লেনদেনের ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্যাশলেস লেনদেনকারী ব্যবসায়ী ও সেবাগ্রহীতাদের প্রণোদনা দেয়া যেতে পারে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
এখন থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ নিতে হলে লাগবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র। সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো- ইকোনমিক জোন বা সরকার নির্ধারিত শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য কোনো স্থানে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ প্রদান না করা। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে।
এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩-এর ৪১(২)(ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককেও একই নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভিসার নতুন কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ
পেমেন্ট প্রযুক্তিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাব্বির আহমেদ। এখন তিনি ঢাকা অফিসে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে তিনটি দেশে ভিসার সামগ্রিক কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেবেন।
সাব্বির আহমেদ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে ভিসায় যোগদান করেন। সেখানে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব ওয়েলথ অ্যান্ড রিটেইল ব্যাংকিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে তিনি এইচএসবিসিতে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের সিনিয়র লিডারশিপ অবস্থানে কাজ করেন। এছাড়া তিনি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতেও (বিএটি) কাজ করেছেন। দেশের ব্যাংকিং খাতে ২৭ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে সাব্বির আহমেদের।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হিটস্ট্রোকে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ২০ কোটি টাকার মুরগি
ঈদের পর থেকে শুরু হওয়া চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকের কারণে সারা দেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। মারা যাওয়া এই মুরগির আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা।
বিপিএ বলছে, এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদন ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি করা হয়েছে বিপিএর পক্ষ থেকে।
বিপিএ’র সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে— গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারা দেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ছিল ব্রয়লার মুরগি এবং ১০-১৫ শতাংশ ছিল লেয়ার মুরগি। এছাড়া সোনালীসহ অন্যান্য মুরগির ৫ শতাংশ মারা গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২০০ কোটি টাকা। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
বিপিএ আশঙ্কা করছে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্পোরেট ডিম মুরগি সরবরাহকারী ও তেজগাঁও ডিম সিন্ডিকেট ডিম ও মুরগির সংকট তৈরি করবে। জুন থেকে তারা দাম বাড়াতে শুরু করবে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম মারাত্মকভাবে বাড়বে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক দিনের ব্যবধানে আবারও কমলো স্বর্ণের দাম
এক দিনের ব্যবধানে আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। এর আগে, যার দাম ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বেড়েছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।
এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিল বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভরিতে স্বর্ণের দাম কমেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে বাড়লো সুতার দাম
নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে বিভিন্ন প্রকার সুতার দাম বেড়েছে। প্রকারভেদে ২-১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পণ্যটির দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার বাড়তি দাম, দেশীয় বাজারে ডলার সংকট ও এলসি খুলতে নানা জটিলতার কারণে পণ্যটির দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, ১০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি পাউন্ড ৫২-৮০ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫-৭৫ টাকা। ২০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে কেনাবেচা হচ্ছে প্রতি পাউন্ড ৯৭-১২০ টাকায়, যা সপ্তাহ দুয়েক আগে ছিল ৮৫-১১৭ টাকা। ২৪ ও ২৬ কাউন্টের সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে পাউন্ডপ্রতি ১৫০-১৫২ টাকা দরে। এক মাস আগেও এ সুতা বেচাকেনা হয়েছে ১৪৮-১৫০ টাকায়। ২৮ ও ৩০ কাউন্টের সুতা বর্তমান বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৫-১৬৫ টাকা দরে, যা কিছুদিন আগে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা দরে।
এদিকে ২৬, ২৮ ও ৩০ সিভিসি কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা পাউন্ড দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১২০-১২২ টাকা। ৪০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ১৬০-১৭৫ টাকা পাউন্ড দরে, কিছুদিন আগে যা ছিল ১৬০-১৭২ টাকা। ৫০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ১৭৫-১৯৫ টাকা পাউন্ড দরে, দুই মাস আগে যা ছিল ১৭০-১৯০ টাকা।
৬০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে প্রতি পাউন্ড বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২৫ টাকা কেজি দরে। একই সুতা গত মাসে বেচাকেনা হয়েছে ২০৫-২২০ টাকায়। ৮০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে প্রকারভেদে ৩০৫-৩১০ টাকা পাউন্ড দরে, যা কয়েক সপ্তাহ আগে ছিল ২৯০-৩০০ টাকা।
এমআই