আন্তর্জাতিক
জার্মানিতে বাড়ছে করপোরেট দেউলিয়াত্ব
কয়েক বছর ধরে নিম্ন প্রবৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও সুদহার নিয়ে নাকাল ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ জার্মানি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতিরক্ষা ব্যয়। অর্থনৈতিক টানাপড়েনের এ প্রভাব পড়েছে করপোরেট খাতেও, বছরওয়ারি বেড়ে চলছে দেউলিয়াত্বের হার। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ডেস্ট্যাটিসের তথ্যের বরাতে রয়টার্সে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, জার্মানিতে ২০২৩ সালে বছরওয়ারি করপোরেট দেউলিয়াত্ব বেড়েছে ২২ দশমিক ১ শতাংশ। ওই বছরের জুন থেকে দেউলিয়াত্ব বৃদ্ধির হার টানা ডাবল ডিজিটে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর দেশটিতে প্রায় ১৭ হাজার ৮১৪টি কোম্পানি দেউলিয়াত্বের জন্য আবেদন করে। ফেডারেল পরিসংখ্যান অফিসের তথ্যানুযায়ী, করপোরেট দেউলিয়াত্বের আবেদনকারী এসব কোম্পানির কাছে ঋণদাতাদের দাবির পরিমাণ ছিল প্রায় ২ হাজার ৬৬০ কোটি ইউরো।
করপোরেট দেউলিয়াত্বের এ সংখ্যা ২০১৯ সালের প্রাক-মহামারী বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি ছিল। অবশ্য ২০০৯ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময়ের চেয়ে এ সংখ্যা কম। ওই সময় ৩২ হাজার ৬৮৭টি কোম্পানি দেউলিয়াত্বে উপনীত হয়।
গত বছর আর্থিক অসচ্ছল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল সুপরিচিত কিছু সংস্থাও। বিশেষ করে ফ্যাশন খাতের খুচরা বিক্রিতে এর প্রভাব পড়েছে বেশি। এ সময় দেউলিয়া ঘোষিত হয় পিক অ্যান্ড ক্লপেনবার্গ, গেরি ওয়েবার, রেনো, সালামান্ডার ও গোয়ের্টজের মতো ব্র্যান্ড।৷
পরিসংখ্যান অফিসের তথ্যানুসারে, ১৯৭৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে ১ হাজার ৬৬৩ দশমিক ৪২টি কোম্পানি দেউলিয়াত্বের আবেদন করেছে। সেখানে গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এ আবেদন হয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৫১৩ ও ১ হাজার ৫৫০টি। অর্থাৎ দেশটিতে প্রতি মাসে করপোরেট দেউলিয়াত্বের আবেদন এখন বার্ষিক গড়ের কাছাকাছি চলে এসেছে। তবে সবচেয়ে বেশি দেউলিয়াত্বের আবেদন এসেছিল ২০০৪ সালের মার্চে। ওই মাসে ৩ হাজার ৭৫৫টি কোম্পানি আবেদন করেছিল। রেকর্ড সর্বনিম্ন ছিল ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে ৪১৬টি।
চলতি বছরে পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে জার্মানির ডিআইএইচকে চেম্বার্স অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স। সংগঠনটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে আরো বেশি কোম্পানি একই পথ অনুসরণ করতে পারে। এক জরিপে দেখা গেছে, এক-চতুর্থাংশ কোম্পানি ক্রমবর্ধমান মন্দ ঋণের সঙ্গে লড়াই করছে।
ডিআইএইচকের মাঝারি আকারের ব্যবসাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ মার্ক এভারস বলেন, ‘আগামী মাসগুলোয় করপোরেট অসচ্ছলতা আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ এরই মধ্যে সে নজির দেখাও যাচ্ছে। জানুয়ারিতে দেউলিয়াত্বের সংখ্যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে বৃদ্ধির হার ১৮ দশমিক ১ শতাংশ।
অবশ্য জার্মানির করপোরেট দেউলিয়াত্বের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অনেক আগে থেকেই পূর্বাভাস ছিল। আন্তর্জাতিক বীমা প্রতিষ্ঠান অ্যালায়েন্স ট্রেডের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে জার্মানিতে দেউলিয়াত্বের পূর্বাভাস প্রাক-কভিড স্তরের ওপরে রয়েছে।
২০২৩ সালের অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জোহান জিওরমস বলেছিলেন, ‘আমরা পরিষেবা খাতে কিছুটা পুনরুদ্ধার দেখছি। তবে আগামী ছয় মাসে জার্মানির শিল্প খাতে মন্দার আশঙ্কা করছি, যা গ্রীষ্মের পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হতে পারে। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিকভাবে মন্থর বছর হবে ২০২৩ সাল। ২০২৪ সালেও পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হবে না।’
জার্মানির অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিতি পারিবারিক সংস্থাগুলোও দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলে ব্লুমবার্গের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, আনুমানিক ৩০ লাখ পারিবারিক ব্যবসার মালিকরা নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের ব্যর্থতায় ভুগছেন। এ চ্যালেঞ্জিং অবস্থার কারণে অনেকে কোম্পানি বিক্রির বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
জার্মানির সাংবিধানিক আদালত ২০২৩ সালে ক্ষমতাসীন জোটকে অত্যধিক অফ-বাজেট তহবিল বন্ধ করার নির্দেশ দেয়ার পরে পরিস্থিতি আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। এতে ব্যবসায়িক তহবিলের জন্য বার্লিনকে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি মন্দায় আক্রান্ত হয়ে জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের অবস্থান থেকে ছিটকে পড়ে। দুর্বল অর্থনীতি হয়েও সেই স্থান দখল করে জার্মানি। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতিটির আকার গত বছর দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও দুর্বল বৈদেশিক চাহিদা দেশটির অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম কমলো
অবশেষে চলতি সপ্তাহে এশিয়ার স্পট মার্কেটে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম কমেছে। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে গত ২ মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথম জ্বালানি পণ্যটির দর কমলো।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হতে পারে। সঙ্গত কারণে এলএনজির সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ হ্রাস পেয়েছে। ইতোমধ্যে এশীয় অঞ্চলে চাহিদা দুর্বল হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দরপতন ঘটেছে।
আলোচ্য সময়ে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় আগামী জুনের এলএনজির গড় সরবরাহ মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে। এই সপ্তাহে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের (এমএমবিটিইউ) দর স্থির হয়েছে ১০ ডলার ২০ সেন্টে।গত সপ্তাহে যা বিগত ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল। সেখান থেকে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য হ্রাস পেলো।শিল্প কারখানা সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি মাসে এশিয়ার স্পট মার্কেটে বিগত ১৫ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল এলএনজির দাম। গত মার্চের পর থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহে জ্বালানিটির দর বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশেষে এবার তা কমলো।
শিল্প-কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এলএনজির বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ফলে এশীয় ক্রেতাদের কাছে চাহিদা কমেছে।
ক্রেতাদের উদ্দেশে লেখা এক নোটে বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাইস্টাড এনার্জির বিশ্লেষকরা বলেন, প্রত্যাশা করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাত প্রশমিত হবে। ফলে এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজির দরপতন ঘটেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ফিউচার মার্কেটে কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম
ফিউচার মার্কেটে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম। প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলের দামে নিম্নমুখী প্রবণতার পাশাপাশি শীর্ষ দেশগুলোয় উৎপাদন বাড়ার খবর পাম অয়েলের দাম কমার পেছনে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে গতকাল জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম ৯২ রিঙ্গিত বা ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৮৫০ রিঙ্গিতে (৮০৫ ডলার ২৭ সেন্ট)।
ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে গতকাল ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। সেখানে পাম অয়েলের দাম কমেছে ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় পাম অয়েলের। বিপুল সরবরাহ ও প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য তেলের তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ায় ব্যবসায়ীদের কাছে এর কদর বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি দাম কমে যাওয়ায় পাম অয়েলের চাহিদা কমছে। পাম অয়েল ক্রেতারা দামের সুবিধা নিতে প্রতিদ্বন্দ্বী এসব তেলের বাজারে ঝুঁকছেন। এতে পণ্যটির মূল্য পুনরুদ্ধার ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ফিলিস্তিন ইস্যুতে স্থায়ী সমাধান চায় চীন
বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে কথা বলেছে। তারা চায় দেশটির বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুর দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধানে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে কাজ করতে চায় চীন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেইজিংয়ে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসানের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এই কথা জানান। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
এর আগেও এমন উক্তি করেছেন ওয়াং ই। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেশটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা থামানোর দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস খবরে জানায়, ফিলিস্তিনে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত বৈঠকে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি চার দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছেন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন আবারও নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি তুলে ধরবে এবং একটি বিবৃতি দিতে যেনও সবাই সম্মত হয় সেই চেষ্টা করবে।
চীনা মন্ত্রী নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেন, উভয় পক্ষের শান্তি আলোচনার শুরুর পক্ষে চীন, যেটির ভিত্তি হবে দুই রাষ্ট্র সমাধান। যত দ্রুত সম্ভব স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে যে রাষ্ট্রের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন থাকবে। ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুসারে নির্ধারিত হবে সীমান্ত।
ওয়াং জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিন ইস্যুতে একই সুরে কথা বলতে পারছে না। মূলত ফিলিস্তিনে ইসরাইলি সহিংসতার ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের বাধা দেওয়াকে ইঙ্গিত করে চীনা কূটনীতিক এ মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার এবং অবস্থান সমন্বয় করার আহবান জানাই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইলন মাস্কের টেসলার মুনাফায় ধস
উৎপাদন ও সরবরাহ হ্রাস, প্রতিযোগিতায় থাকতে মূল্যহ্রাস ও কর্মী ছাঁটাইসহ একাধিক কারণে বারবার খবরের শিরোনাম হয়েছে টেসলা। এসব চ্যালেঞ্জ ইলন মাস্ক মালিকানাধীন বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) প্রস্তুতকারক কোম্পানিটির আয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে। আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় মুনাফা অর্ধেকেরও বেশি কমেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বিবিসি।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) টেসলা মুনাফা করেছে ১১৩ কোটি ডলার। অথচ ২০২৩ সালের একই প্রান্তিকে এর পরিমাণ ছিল ২৫০ কোটি ডলার। অর্থাৎ, মুনাফা কমেছে প্রায় ৫৫ শতাংশ।
অবশ্য বিক্রির পরিমাণ কমে যাওয়া ও পণ্যের মূল্য কমানোসহ অন্যান্য কারণে মুনাফা কমতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বিশ্লেষকরা। চলতি বছর কোম্পানির শেয়ারদরও কমে প্রায় ৪৩ শতাংশ।
বছরের প্রথম তিন মাসে ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার আয় করেছে টেসলা, যা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস থেকে প্রায় বিলিয়ন ডলার কম। পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এ ইভি নির্মাতার আয় হবে ২ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বেশি।
এদিকে পূর্বপরিকল্পিত মডেলগুলো বাজারে আনা হবে বলে বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিত করেছেন ইলন মাস্ক। এ ঘোষণা দেয়ার পর পরই কোম্পানির শেয়ারদর ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে গেছে।
গাড়ির নতুন মডেল আনার ঘোষণা দিলেও উল্লেখযোগ্য হারে কর্মী ছাঁটাই করছে টেসলা। আগামী জুনের মাঝামাঝি থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩ হাজার ৩৩২ ও টেক্সাসে ২ হাজার ৬৮৮ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ‘স্বাস্থ্যকর পানীয়’র তালিকা থেকে বাদ হরলিক্স
ভারতে স্বাস্থ্যকর পানীয়ের তালিকায় বর্নভিটার পর এবার বাদ পড়ল হরলিক্স। পানীয়টির প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘হিন্দুস্তান ইউনিলিভার’ হরলিক্সের বোতল থেকে ‘হেল্থ ফুড ড্রিঙ্কস’ ট্যাগটি সরিয়ে নিচ্ছে। এর বদলে লেখা হয়েছে, ফাংশনাল ন্যাশনাল ড্রিঙ্ক (এফএনডি)।
হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার রীতেশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, হরলিক্স এখন থেকে ‘এফএনডি’ বিভাগভুক্ত। তবে পরিবর্তন এলেও গ্রাহক বৃদ্ধি এবং গ্রাহকদের হরলিক্সের প্রতি আস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে নজর দেওয়া হচ্ছে।
বিভাগ বদলে যাওয়ায় হরলিক্সকে কি আর স্বাস্থ্যকর পানীয় বলা যাবে না? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দেশটির জনগণের মাঝে। তবে ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটিভ নিউট্রিশন বলছে, ‘এফএনডি’ কারও জীবনযাপন অনুসারে পুষ্টির চাহিদা মেটায়। এই ধরনের পানীয় প্রোটিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি পূরণ করে।
জানা গেছে, বর্নভিটা, হরলিক্সের মতো পানীয়তে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। এই ধরনের পানীয় সাধারণত শিশু এবং বয়স্করাই খেয়ে থাকে। ফলে বাড়ন্ত বয়সে এবং বার্ধক্যে অত্যধিক চিনি শরীরে প্রবেশ করলে ক্ষতি হতে পারে বলেই অনেকের মত।
এমআই