কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের চুক্তি
নারী উদ্যোক্তা এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ উদ্যোক্তাদের ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সহায়তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের অধীনে এই সুবিধাটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে জড়িত নারী উদ্যোক্তাদের ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।
সম্প্রতি ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি বিভাগের পরিচালক নাহিদ রহমান এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন।
নারী উদ্যোক্তারা ৩ হাজার কোটি টাকা এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ উদ্যোক্তারা ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা পাবে। এর ফলে নারী উদ্যোক্তা এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উদ্যোক্তারা কোনো প্রকার জামানত ছাড়াই ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা পাবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক কুমিল্লায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হানসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ওয়ালটন এসি কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন সেনেটারি ব্যবসায়ি আব্দুল আলী
ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের দেশব্যাপী চলমান ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’ এর আওতায় এবার এয়ার কন্ডিশনার কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন গাজীপুরের সেনিটারি ব্যবসায়ী মো. আব্দুল আলী। মাত্র ১৫ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তিতে এসি কিনে তিনি পেয়েছেন নগদ ১০ লাখ টাকা। এ নিয়ে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন গ্রাহক।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল, ২০২৪) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী বাজারের ওয়ালটন প্লাজার সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আব্দুল আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং বাংলা চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানে ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।
এরই আওতায় চলতি মাসের ২১ তারিখে রাজাবাড়ী বাজারের ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৭৬ হাজার ৯৯০ টাকা মূল্যের ১.৫ টনের একটি এসি কিস্তিতে কেনেন আব্দুল আলী। এসি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নাম্বার দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার ম্যাসেজ যায়। এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ায় মহাখুশি আব্দুল আলী।
অনুষ্ঠানে আব্দুল আলী বলেন, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মেয়ের রুমে ব্যবহারের জন্য একটি এসি কিনেছি। বাসায় অধিকাংশ পণ্যই ওয়ালটন থেকে নেওয়া। এসব পণ্য খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। এই ভরসায় এবার এসিও কিনেছি ওয়ালটনের। তবে, ওয়ালটনের এসি কিনে যে ১০ লাখ টাকা পাবো, তা কোনোদিন কল্পনাও করিনি। ওয়ালটনকে ধন্যবাদ। ওয়ালটন থেকে পাওয়া টাকা এলাকার মসজিদের উন্নয়নকাজে লাগাবো। এছাড়া, এই টাকায় ওমরা হজ পালনের ইচ্ছা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সবাইকে ওয়ালটনের পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ‘ওয়ালটন আমাদের দেশের পণ্য। ওয়ালটন স্বনামধন্য ব্র্যান্ড। সারা দেশে সফলতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ওয়ালটনের ফ্রিজ, টিভি, এসি, মোবাইলসহ সব পণ্যেরই মান খুবই উন্নত। আমি ওয়ালটনের সঙ্গে আছি, আপনারাও থাকুন। এখন পর্যন্ত ৩৪ জন মানুষকে তারা মিলিয়নিয়ার বানিয়েছেন। এ দিয়ে সহজেই বোঝা যায়, তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।’
চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ওয়ালটন মুখে যা বলে, তা-ই করে। অনেক ব্র্যান্ড গ্রাহককে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখে না। কিন্তু, ওয়ালটন গ্রাহককে দেওয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে। দেশে উৎপাদিত পণ্য কিনলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের মুখ উজ্জ্বল হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- শ্রীপুর থানা যুবলীগের সভাপতি মো. কমরুদ্দীন, ওয়ালটনের সিনিয়র এডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর শাহাদৎ হোসেন, সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর সালেহ আহমেদ, ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার আজিজুর রহমান এবং ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
পালস টেকে এক কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড আইসিটি বিভাগের অধীনে প্রধান সরকার-সমর্থিত ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম পালস টেক লিমিটেডে এক কোটি টাকার বিনিয়োগ ঘোষণা করেছে। এই বিনিয়োগ দেশে ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা খাতকে শক্তিশালী করার একটি বড় মাইলফলক।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকায় এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিনিয়োগের এ ঘোষণা দেয়া হয়। স্টার্টআপ বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আরেফিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ এবং আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পালস টেক লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরেফিন রাফি আহমেদ এবং পালস টেক লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কাজী আশিকুর রসুল উপস্থিত ছিলেন।
পালস টেক লিমিটেড বাংলাদেশের খুচরা ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের জন্য তার ট্রেলব্লাজিং সমাধানের জন্য প্রশংসিত। তারা একটি অল-ইন-ওয়ান B2B SaaS প্ল্যাটফর্মের সাথে খুচরা ফার্মেসিগুলোকে ইনভেন্টরি পরিচালনা করতে নির্বিঘ্নে পণ্যের উত্স এবং ঝামেলামুক্ত ডিজিটাল পরিবেশে সমস্ত লেনদেন ট্র্যাক করতে সরবরাহ করছে। কোম্পানী একটি এন্ড-টু-এন্ড সমাধান স্থাপন করে বাজার থেকে জাল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য অপসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে। তাদের প্রাথমিক ফোকাস হলো ডিজিটাল সমাধানগুলোর সাহায্যে সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজনের জন্য খুচরা ফার্মেসিকে একটি ওয়ান-স্টপ হাবে রূপান্তর করা। তারা ইতিমধ্যেই খুচরা ফার্মেসিকে ডায়াগনস্টিক টেস্ট বুকিং, টেলিমেডিসিন এবং আশেপাশের এলাকায় ওষুধ সরবরাহের জন্য সক্ষম করেছে এবং পাশাপাশি কিছু অন্যান্য পরিষেবাতেও কাজ করছে। কোম্পানি দ্রুত বৃদ্ধি এবং তার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য একটি অবিচল উত্সর্গ প্রদর্শন করেছে।
স্টার্টআপ বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আরেফিন বিনিয়োগের কৌশলগত প্রকৃতির উপর জোর দিয়ে বলেন, পালস টেক লিমিটেডে বিনিয়োগ আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো উন্নত করার জন্য একটি গণনামূলক পদক্ষেপ। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে, আমরা পালস টেককে খুচরা ফার্মা শিল্পে আরও উদ্ভাবন এবং তার পরিষেবাগুলোকে আরও বিস্তৃত করার জন্য ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্য রাখি। যা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অংশীদারিত্বের বিষয়ে স্টার্টআপ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ বলেন, আমরা প্রযুক্তির রূপান্তরকারী শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং পালস টেকের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে গর্বিত কারণ তারা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমাদের বিনিয়োগ তাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আমাদের আস্থা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্টার্টআপ লালন-পালনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
পুঁজির এই নতুন প্রবাহের সাথে, পালস টেক তাদের প্রযুক্তির বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে এবং সারা দেশে খুচরা ফার্মেসিগুলির কার্যকারিতা এবং খাঁটি ওষুধের অ্যাক্সেসযোগ্যতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এর কার্যক্রম প্রসারিত করতে প্রস্তুত। স্টার্টআপ বাংলাদেশের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে অত্যাধুনিক সমাধান প্রদান করে স্বাস্থ্যসেবা খাতে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পালস টেক লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরেফিন রাফি আহমেদ বলেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশকে আমাদের নতুন বিনিয়োগকারী হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তাদের নির্দেশনা এবং সমর্থন আমাদের সাংগঠনিক লক্ষ্য অর্জনে এবং বাংলাদেশের খুচরা ওষুধ শিল্প ও স্বাস্থ্যসেবা ল্যান্ডস্কেপে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
স্টার্টআপ বাংলাদেশ এবং পালস টেক লিমিটেডের মধ্যে এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও প্রযুক্তিগতভাবে সজ্জিত এবং স্বাস্থ্য-সচেতন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির ইঙ্গিত দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন
বাংলাদেশে ৩০ বছরের গৌরবময় যাত্রা উদযাপন করেছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। এ উদযাপনের জন্য বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও গ্র্যান্ড বলরুমে দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গৌরবের এই ৩০ বছরের পথচলায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বিগত তিন দশক ধরে একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও মানবিক সংস্থা হিসেবে সারা বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে দেশের ৪০টি জেলায় কাজ করছে। ১৯৯৪ সালে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে তার উন্নয়ন প্রচেষ্টা শুরু করে এবং সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের; বিশেষত কন্যাশিশু ও যুব নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, তাদের শিক্ষায়, সুরক্ষায়, তাদের দক্ষতা ও নেতৃত্ব বিকাশে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে চলেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠানের কাজ শুধু রুটিন কাজ করে যাওয়া নয়, প্রতিষ্ঠানের কাজ সমাজ পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করা। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সেই কাজটাই করে চলেছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম সিমিন হোসেন (রিমি); ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী; মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ; প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া রিজিওনাল অফিস, রিজিওনাল ডিরেক্টর ভাগ্যশ্রী ডেঙ্গলে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর অব সাব রিজিওন এশিয়া প্যাসিফিক শ্যারন কেইন এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দের বিশিষ্ট প্রতিনিধিরা, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ও কমিউনিটি-ভিত্তিক সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস বলেন, এখনো প্রতি ৩ জন নারীর একজন তার পরিবার থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। জাতিসংঘের জরিপ অনুযায়ী আমরা জানি এই বৈষম্য দূর করতে ১৩১ বছর লাগবে। বাংলাদেশের সকল স্তরে সমতা ও সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। বিগত ৩০ বছরের অর্জিত অভিজ্ঞতায় আমরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিভিন্ন সফলতা ও অর্জনের গল্প তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ৩০ বছরের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষ্য, রূপান্তরের গল্প: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের অবদান। এ আয়োজনে আরও ছিল প্রকাশনা উন্মোচন, প্রাক্তন প্ল্যান কর্মীদের স্মৃতিচারণ।
উদযাপনের অংশ হিসাবে, বিশিষ্ট প্যানেলিস্টদের সাথে একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল, যা উদযাপনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তন, মেয়ে ও যুব নারীদের ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন।
বিগত ৩০ বছরে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নিবেদিতপ্রাণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশব্যাপী ও কমিউনিটির সাথে শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করেছে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী কিশোরী এবং যুব নারীদের নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করতে, চলমান স্টেরিওটাইপকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত এ দেশে বাল্যবিবাহ রোধ, শিক্ষা, জেন্ডার সমতা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও কিশোরী ও নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য সাফল্যের সাথে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে, যা এই প্রতিষ্ঠানটির কাজের মূল ক্ষেত্র। বিশেষত, গত ১০ বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকার, দূতাবাস, দাতা ও অংশীদার সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক, সমর্থক, সহযোগী যুব ও যুব গোষ্ঠীর সহায়তায় কন্যাশিশুর অধিকার ও চাহিদা পূরণে নিজেদেরকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছে।
রেজিলিয়েন্স এবং মানবিক উৎকর্ষতা গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্ল্যান বাংলাদেশ, দূর্যোগ ও মানবিক সংকটের সময় নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ যে তৎপর কার্যক্রম চালু রেখেছে তা ক্ষতিগ্রস্তদের চাহিদা পূরণ করে সংকটের জন্য একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ প্রদর্শন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সহায়তায় অন্তর্ভুক্তিমূলক মানসম্পন্ন শিক্ষা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং যুব কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তার জন্য দক্ষতা এবং সুযোগের মাধ্যমে সারা দেশে মানবিক কর্মসূচিতে মানসম্পন্ন পরিষেবা প্রদান করছে প্রতিনিয়ত। সরকার, দূতাবাস, দাতা ও অংশীদার সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক, সমর্থক, সহযোগী যুব ও যুব গোষ্ঠী প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে নিরলসভাবে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে সম্ভব হয়েছে এই সাফল্য।
৩০ বছর ধরে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এ দেশের সরকার, স্থানীয় সহযোগী সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবার এবং কমিউনিটির সাথে মেলবন্ধনের সাথে কাজ করে আসছে। প্ল্যান বিশ্বাস করে যে, এই সমন্বিত প্রচেষ্টাই বাল্যবিবাহ সমূলে নির্মূলের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে যা ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য দেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতকরণে সহায়তা করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবির লালবাগ উপশাখা উদ্বোধন
সব ধরনের আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের অঙ্গীকার নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) ‘লালবাগ’ উপশাখা।
সম্প্রতি এই উপশাখার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ট্রানজেকশন ব্যাংকিং এবং ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের প্রধান মো. সিকান্দার-ই-আজম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. সিকান্দার-ই-আজম বলেন, ইউসিবি নতুন এই উপশাখার মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ও উদ্যোক্তা উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বাবুল।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির বিভিন্ন শাখা প্রধান, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।