আবহাওয়া
বজ্রবৃষ্টি নিয়ে যে তথ্য দিলো আবহাওয়া অফিস
ঢাকাসহ দেশের ৫ বিভাগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলাসহ খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আরও বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া আগামীকাল শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে আজ রাত ও শনিবার দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে শনিবার রাত ও পরদিন রোববার (১৭ মার্চ) দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
তাপমাত্রা কমাতে হিট অফিসারের নতুন উদ্যোগ
দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।
নগরীর ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে জলকামান ব্যবহার করা হলেও এবার তা তাপপ্রবাহ কমিয়ে রাখার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বুশরা আফরিন বলেন, নগরে বনায়ন বাড়িয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময়ের প্রয়োজন। তবে তার জন্য এখন কিছু না করে বসে থাকার মানে নেই। তাই স্বল্প সময়ের জন্য হলেও দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এতে গরমে নগরবাসীর ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে পানীয় জলের সুব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য। একই সঙ্গে ‘কুলিং স্পেস’-এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পান। আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।
উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বলেন, গত এক বছরে আমরা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ, তারা অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। এসব জায়গায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে এবং এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া অধিদফতরসহ বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি এবং এনজিওর সঙ্গে আমরা শিগগিরই যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা ‘নগর বন’ তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ুদূষণ রোধ এবং মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।
জানা গেছে, নিষ্প্রাণ প্রকৃতিতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ দেখা মিলবে প্রতিদিনই। তীব্র দাবদাহে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টা ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ দেখা পাবে নগরবাসী। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, ফার্মগেট, আগারগাঁও সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’দেখা মিলবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগরীর তাপপ্রবাহ কমাতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ তৈরির জন্য ব্যবহার করছে বড় বড় জলকামান। প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ পানি ছিটিয়ে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরিতে প্রয়োজন হয়েছে দুইটি স্প্রে ক্যানন ও ১০টি ব্রাউজার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
চুয়াডাঙ্গায় বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড
বৈশাখের শুরু থেকেই কখনো মৃদু থেকে মাঝারি, আবার কখনো তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে। কিন্তু চলতি মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে এ জেলার তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাপপ্রবাহ বইছে অতি তীব্র আকারের। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে সবাই।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১১ শতাংশ। যা দুপুর ৩টা পর্যন্ত সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
দিনের শুরু থেকেই উত্তাপ ছড়ায় সূর্য। বেলা বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে এ তাপের মাত্রা তীব্র হতে থাকে। সন্ধ্যা গড়ালেও উত্তাপ প্রশমিত হয় না সহসাই। সারাদিনই যেন আগুন ঝরে আকাশ থেকে। বাতাসে বয়ে যায় আগুনের হল্কা। সড়কে কমে যানবাহনের চাপ। গরমের নাভিশ্বাসে হা হুতাশ করে সাধারণ মানুষ।
শহরের ইজিবাইক চালক আলমগীর আলম জানান, রাস্তা থেকে যেন মনে হচ্ছে আগুনের আঁচ উঠছে। আবার মাথার ওপরে সূর্য সবকিছু তাঁতিয়ে দিচ্ছে। একটু গাড়ি চালালেই ক্লান্ত হয় পড়তে হচ্ছে। গাছের নিচে বিশ্রাম করে আবার কাজ শুরু করতে হয়।
এদিকে রোদের প্রখরতা এতা বেশি যে রাস্তার পিচ গলতে শুরু করেছে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। এ অবস্থা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে। তবে এখনই বৃষ্টি বা ঝড়ের আভাস নেই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙল চলমান তাপপ্রবাহ
চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল এবং ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড শুক্রবার ভাঙতে চলেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক। টানা অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে গত ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর পর ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগে তাপমাত্রা বাড়ে এবং দুই দিন তা অব্যাহত থাকে। ৮ এপ্রিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ৯ ও ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল।
৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও জলবায়ু সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে বোঝা যায়, গত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশে উষ্ণতার মাত্রা ও এর স্থায়িত্ব বাড়ছে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি।
সম্প্রতি আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন’ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দুটোই বাড়লেও দ্রুত বাড়ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির জুলি অ্যান রাইগলি গ্লোবাল ফিউচারস ল্যাবরেটরির সিনিয়র গ্লোবাল ফিউচার সায়েন্টিস্ট অধ্যাপক রাশেদ চৌধুরী বলেন, এল নিনো লা নিনায় পরিণত হচ্ছে এবং চলতি বছর সর্বোচ্চ উষ্ণতম হিসেবে রেকর্ড হতে পারে।
এল নিনোর সময় মৌসুমী বায়ু দুর্বল হয়ে যায়, প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিভাগের পানি উষ্ণ হয়ে ওঠে এবং পূবের বাতাস স্বাভাবিকের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে।
লা নিনার সময় সমগ্র প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বাতাস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শক্তিশালী থাকে। একই সঙ্গে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগই স্বাভাবিকের চেয়ে শীতল থাকে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের গত ৪ এপ্রিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ুবিদ ও আবহাওয়া ইতিহাসবিদ ম্যাক্সিমিলিয়ানো হেরেরার মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে একটি ‘ঐতিহাসিক তাপপ্রবাহ’ অনুভব করা হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
বৃষ্টি নিয়ে যে পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস
সিলেট অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা থেকে পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, আগামী তিন দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে স্বস্তির খবর, আগামী ৩ দিনে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়ে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
দিনের তাপমাত্রা ফের ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো
দেশে দিনের তাপমাত্রা ফের ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কয়েকটি স্থানে অতি তীব্র হয়েছে তাপপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। দুপুরে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মোংলায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ২০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে। এটিই ছিল চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ওইদিন দিনের তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৪ ও পাবনার ঈশ্বরদিতে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছিল। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা কমে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ দূর হলেও জনজীবনে স্বস্তি ফেরেনি।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিন বর্তমান অবস্থা থেকে তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়বে না। তবে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।