অর্থনীতি
কোটি টাকার হিসাবে ব্যাংকের ৪২.৩৯ শতাংশ আমানত
দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকা রয়েছে, এমন হিসাবের (অ্যাকাউন্ট) সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। বিশেষ করে আর্থিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতি চাপের মধ্যেও বড় অঙ্কের জমার হিসাব সংখ্যা বাড়ছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী— ব্যাংকে কোটি টাকার বেশি রয়েছে; এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ছুঁইছুঁই।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পিষ্ট। সাধারণ মানুষ এখন সংসারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে ব্যাংকে টাকা জমানোর চেয়ে অনেকে আগের জমানো অর্থ ভেঙে খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতেও একটি শ্রেণির মানুষের আয় বেড়েছে। এরা হচ্ছে বিত্তশালী বা বড় প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (১৩ মার্চ) সবশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরভিত্তিক হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৭টি। এসব হিসাবে জমা আছে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে— এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা রয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৯০৮টি। কোটি টাকার উপরের এসব হিসাবে জমা আছে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ৪২ দশমিক ৩৯ শতাংশ কোটি টাকার হিসাবধারীদের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাবও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
এদিকে গত বছরের (২০২৩) তৃতীয় প্রান্তিকে জুলাই-সেপ্টেম্বরে এক কোটি টাকার বেশি আমানতের ব্যাংক হিসাব ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৬টি। ওই প্রান্তিকে এসব ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৩ মাসের ব্যবধানে (অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে) কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৩২২টি। একই সময়ে এসব হিসাবের বিপরীতে জমা টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১৫ হাজার ৯১২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ হাজার ৫১৬টি। যেখানে জমা ছিল এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি ১ টাকা থেকে ১০ কোটির ১২ হাজার ৬৫২টি হিসাবে জমার পরিমাণ ৮৯ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা। এছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা রয়েছে চার হাজার ৮২টি, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে ২ হাজার ২টি, ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ৩৪৫টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৯১২টি আমানতকারীর হিসাব। আর ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৫১২টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৪৮০টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৭৩৮টি। তাছাড়া ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা এক হাজার ৮১২টি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ৫ জন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতিদের হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এরপর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪ জন, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি।
২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে এ আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে তা দাঁড়ায় ১ লাখ ১৯৭৬টিতে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি। সবশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সেই হিসাবের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৯০৮টিতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
এখন থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ নিতে হলে লাগবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র। সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো- ইকোনমিক জোন বা সরকার নির্ধারিত শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য কোনো স্থানে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ প্রদান না করা। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে।
এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩-এর ৪১(২)(ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককেও একই নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভিসার নতুন কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ
পেমেন্ট প্রযুক্তিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাব্বির আহমেদ। এখন তিনি ঢাকা অফিসে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে তিনটি দেশে ভিসার সামগ্রিক কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেবেন।
সাব্বির আহমেদ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে ভিসায় যোগদান করেন। সেখানে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব ওয়েলথ অ্যান্ড রিটেইল ব্যাংকিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে তিনি এইচএসবিসিতে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের সিনিয়র লিডারশিপ অবস্থানে কাজ করেন। এছাড়া তিনি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতেও (বিএটি) কাজ করেছেন। দেশের ব্যাংকিং খাতে ২৭ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে সাব্বির আহমেদের।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হিটস্ট্রোকে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ২০ কোটি টাকার মুরগি
ঈদের পর থেকে শুরু হওয়া চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকের কারণে সারা দেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। মারা যাওয়া এই মুরগির আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা।
বিপিএ বলছে, এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদন ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি করা হয়েছে বিপিএর পক্ষ থেকে।
বিপিএ’র সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে— গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারা দেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ছিল ব্রয়লার মুরগি এবং ১০-১৫ শতাংশ ছিল লেয়ার মুরগি। এছাড়া সোনালীসহ অন্যান্য মুরগির ৫ শতাংশ মারা গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২০০ কোটি টাকা। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
বিপিএ আশঙ্কা করছে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্পোরেট ডিম মুরগি সরবরাহকারী ও তেজগাঁও ডিম সিন্ডিকেট ডিম ও মুরগির সংকট তৈরি করবে। জুন থেকে তারা দাম বাড়াতে শুরু করবে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম মারাত্মকভাবে বাড়বে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক দিনের ব্যবধানে আবারও কমলো স্বর্ণের দাম
এক দিনের ব্যবধানে আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। এর আগে, যার দাম ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বেড়েছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।
এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিল বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভরিতে স্বর্ণের দাম কমেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে বাড়লো সুতার দাম
নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে বিভিন্ন প্রকার সুতার দাম বেড়েছে। প্রকারভেদে ২-১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পণ্যটির দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার বাড়তি দাম, দেশীয় বাজারে ডলার সংকট ও এলসি খুলতে নানা জটিলতার কারণে পণ্যটির দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, ১০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি পাউন্ড ৫২-৮০ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫-৭৫ টাকা। ২০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে কেনাবেচা হচ্ছে প্রতি পাউন্ড ৯৭-১২০ টাকায়, যা সপ্তাহ দুয়েক আগে ছিল ৮৫-১১৭ টাকা। ২৪ ও ২৬ কাউন্টের সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে পাউন্ডপ্রতি ১৫০-১৫২ টাকা দরে। এক মাস আগেও এ সুতা বেচাকেনা হয়েছে ১৪৮-১৫০ টাকায়। ২৮ ও ৩০ কাউন্টের সুতা বর্তমান বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৫-১৬৫ টাকা দরে, যা কিছুদিন আগে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা দরে।
এদিকে ২৬, ২৮ ও ৩০ সিভিসি কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা পাউন্ড দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১২০-১২২ টাকা। ৪০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ১৬০-১৭৫ টাকা পাউন্ড দরে, কিছুদিন আগে যা ছিল ১৬০-১৭২ টাকা। ৫০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ১৭৫-১৯৫ টাকা পাউন্ড দরে, দুই মাস আগে যা ছিল ১৭০-১৯০ টাকা।
৬০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে প্রতি পাউন্ড বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২৫ টাকা কেজি দরে। একই সুতা গত মাসে বেচাকেনা হয়েছে ২০৫-২২০ টাকায়। ৮০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে প্রকারভেদে ৩০৫-৩১০ টাকা পাউন্ড দরে, যা কয়েক সপ্তাহ আগে ছিল ২৯০-৩০০ টাকা।
এমআই