জাতীয়
যানবাহনে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে বিমা
যানবাহনের বিমা ফের বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বুধবার (১৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী, তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা বাধ্যতামূলক ছিল এবং এর অধীনে ১৫৫ ধারায় দণ্ডের বিধানও ছিল। তবে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে তৃতীয়পক্ষের বিমা তুলে দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে যানবাহনের বিমা ছেড়ে দেওয়া হয় মালিকের ইচ্ছার ওপর। অর্থাৎ, একজন ইচ্ছা করলে তার যানবাহনের বিমা করতে পারেন, আবার না করলেও কোনো সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে ২০২০ সালের অক্টোবরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এর পর ওই বছরের ডিসেম্বরে তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা তুলে দেয় বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
এর পর থেকেই মূলত মালিকরা পরিবহনের বিমা করা প্রায় বন্ধ করে দেন। বর্তমানে যেসব পরিবহন চলাচল করছে তার সিংহভাগেরই কোনো বিমা নেই। বিশেষ করে বিমা ছাড়াই চলাচল করছে মোটরসাইকেল।
তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা তুলে দেওয়ার পর যানবাহনের বিমা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান বিমা ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তবে কম্প্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্সে বাধ্যতামূলক করার সুযোগ না থাকায় বিকল্প পথ খুঁজতে থাকেন বিমা সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে বিমা মালিকদের অংশগ্রহণে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়।
সেখানে তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমার আদলে নতুন একটি বিমা প্রোডাক্ট চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে এখনো সেই বিমা প্রোডাক্ট চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যেই ‘সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিলো মন্ত্রিসভা।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, মোটরযান মালিককে বিমা করতে হবে বলে একটি ধারা যোগ করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী মোটরযান মালিককে যথা নিয়মে বিমা করতে হবে। বিমা না করলে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে তৃতীয়পক্ষের বিমা তুলে দেওয়া হয় এবং যানবাহনের বিমার বিষয়টি মালিকের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন তাহলে মালিকরা যানবাহনের কোন ধরনের বিমা করবেন?- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তার কোনো উত্তর দেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এদিকে যানবাহনের বিমা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইনে আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, ১২টি ধারায় বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি কমানো হয়েছে। বেশিরভাগই আর্থিক জরিমানার পরিমাণ কমানো হয়েছে। আগে তিনটি ধারায় অপরাধ অজামিনযোগ্য রাখা হলেও সেখানে এখন একটি ধারা অজামিনযোগ্য রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কারিগরি নির্দেশ না মানলে এতদিন তিন বছর জেল দেওয়ার বিধান ছিল। এই অপরাধের সাজা আগের মতো রাখা হলেও এটিকে অজামিনযোগ্য থেকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বা ওভারলোড করে গাড়ি চালানোর পর দুর্ঘটনা হলে সেটিকে অজামিনযোগ্য থেকে জামিনযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র দুর্ঘটনায় মারা গেলে বা গুরুতর আহত হলে তা অজামিনযোগ্য অপরাধ হবে।’
২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন করা হয় জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল এই আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে আইন সংশোধন করা হচ্ছে।’
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত সংক্রান্ত অপরাধ করলে এতদিন ২ বছর জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল, সেটিকে কমিয়ে ২ বছর জেল ও ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। লাইসেন্স বাতিলের পরেও যানবাহন চালালে বর্তমান আইনে ৩ মাস কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এখন তা কমিয়ে ৩ মাস জেল ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া কন্ডাক্টরের দায়িত্ব পালন করলে এক মাস কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানার সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এই ধারায় এখন কন্ডাক্টরের সঙ্গে সুপারভাইজর শব্দটি যোগ করা হয়েছে। ভাড়ার তালিকা না দেখালে বা বেশি ভাড়া নিলে এতদিন এক মাস জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। দুটো অপরাধ একসঙ্গে করলে এতদিন এই শাস্তি দেওয়া হতো। এখন ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন না করলে বা বেশি ভাড়া দাবি করলে এই সাজা দেওয়া হবে।’
মিটার টেম্পারিং করলে ৬ মাসের জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতো। এখন এই অপরাধের জন্য তিন মাসের কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে, সঙ্গে এক পয়েন্ট কাটা যাবে- জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত হারের থেকে টার্মিনাল চার্জ বেশি নিলে তা চাঁদাবাজি হিসেবে আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান আইন অনুযায়ী ট্রাফিক সাইন ও সংকেত না মানলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। এখন জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতিরিক্ত ওজন বহন করলে ৩ বছর জেল ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হতো। এখন সেটিকে বদলে এক বছর জেল, এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। এর সঙ্গে চালকের এক পয়েন্ট কাটা যাবে। পরিবেশ দূষণকারী মোটরযান চালালে এতদিন ৩ মাস জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। এটিকে কমিয়ে এক মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করালে বর্তমান আইনে ৫ হাজার টাকা জরিমানার সঙ্গে চালকের এক পয়েন্ট কাটা হতো। এটিকে বদলে শুধু এক হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। কী অবস্থায়, কীভাবে গাড়ি চালাতে হবে সেই নির্দেশনা অমান্য করলে এতদিন ৩ মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। সেটিকে বদলে এক মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভুটানকে বিবিআইএনএ’তে চায় বাংলাদেশ
ভুটানকে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসাবাণিজ্য সহজ করার লক্ষ্যে বিবিআইএন এমভিএ কাঠামোতে পুনরায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশ-ভুটান ৯ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এই আহ্বান জানান। জবাবে ভুটান বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ৯ম বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা ২৪-২৫ এপ্রিল থিম্পুতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ভুটান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভুটানের শিল্প বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান সচিব তাশি ওয়াংমো। উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধিদলে দুদেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে বিশেষ করে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর এবং রপ্তানি সুবিধা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ, ট্রানজিট এবং যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন, কাস্টমস ও ল্যান্ড পোর্টের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ দূর করার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলক চালু অক্টোবরে
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী বছর এই প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। তবে এরআগে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০২৫ সালে প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সব কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে চলেছে। পরে দ্বিতীয় ইউনিটটি উৎপাদনে যাবে পরের বছর ২০২৬ সালে।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, এ প্রকল্পটি চালু করার সময় যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে, তা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে নেওয়া হবে। প্রকল্প এলাকায় এই বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে চলছে। এর প্রথম অংশের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। অক্টোবরের আগে বাকি কাজও শেষ হবে। চূড়ান্তভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার আগে আগামী অক্টোবরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার দিকে যাচ্ছি। অক্টোবরে প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।
রাশিয়ার প্রযুক্তি ও আর্থিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন (রোসাটম)। এই প্রকল্পে রাশিয়ার উদ্ভাবিত থ্রিজি(+) ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জ্বালানিও সরবরাহ করবে রাশিয়া। গত বছর অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি ও তাদের প্রশিক্ষণের কাজও করছে রাশিয়া। প্রকল্পটি চালুর পর ৫-৬ বছর বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরাই এটি পরিচালনা করবেন। পরে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
ইতোমধ্যে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আরও প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য রাশিয়ায় প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর এর পরিচালনার কাজে যুক্ত হবেন।
এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমাদের টিম ওয়ার্ক ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে জ্বালানি আসা পর্যন্ত সব কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আরও বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য লোক পাঠানো হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর তারা কাজ করবেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুইটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট অর্থাৎ দুইটি ইউনিট থেকে মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
এদিকে, প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর পর এই একই স্থানেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় প্রকল্পটিও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিচ্ছে রাশিয়া। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোসটামের প্রধানের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আলোচনাও শুরু হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
এখন থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ নিতে হলে লাগবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র। সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো- ইকোনমিক জোন বা সরকার নির্ধারিত শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য কোনো স্থানে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ প্রদান না করা। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে।
এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩-এর ৪১(২)(ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককেও একই নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: মন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আবাসন ব্যবস্থা প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। কেবল সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা নয়।
মধ্যবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষের নিজস্ব আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে বর্তমান সরকার অঙ্গিকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মডেল মসজিদ মিলনায়তনে জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে পরিকল্পিত নগরায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নদী ও খালকে দূষণমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেজন্য সোয়ারেজ (এসটিপি) ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়া নতুন কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত ও জাতীয় গৃহায়ন দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক এমন মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।