প্রবাস
মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার টেলরস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের সহযোগিতায় ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে বহুভাষিকতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন করেছে।
মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্র্যান্ড হলে’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা, প্যানেল আলোচনা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং নয়টি দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ধারণকৃত বক্তব্য প্রচার করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ স্মরণে বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আয়োজিত ভিন্নমাত্রিক এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মাতৃভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছে। তিনি ঐতিহাসিক মাতৃভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন সারা বিশ্বে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপনের দিনে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাসহ শহীদদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচনা সভায় অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, পরিচালক, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস, বাংলাদেশ এবং, মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনেস্কো আঞ্চলিক অফিস, জাকার্তার ধারণকৃত বক্তব্য প্রচারিত হয়। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত, বিভাগীয় প্রধান-স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, টেলরস ইউনিভার্সিটি। এ পর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া তাদের ধারণকৃত বক্তব্যে বহুভাষিকতা রক্ষা ও প্রচারের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত তার সমাপনী বক্তব্যে, শিক্ষায় মাতৃভাষার ব্যবহার এবং ভাষা সংরক্ষণে প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ইয়াং হুই, এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ফিউচার ইন এডুকেশন অ্যান্ড সোসাইটির (এপিজেএফইএস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ড. কালাই ভানি রাজন্দ্রাম এবং স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ব্যাঙ্গালোরের শিক্ষক গৌথম কুমার।
এসময় আলোচকরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সব ভাষাভাষীর ঐক্যের চেতনার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে তারা ঐক্যের একটি শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণামূলক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেন। বক্তারা বহুভাষিকতার প্রসারে প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের পাশাপাশি হাই কমিশনার শামীম আহসান বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীতে ’৫২ -র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ধারাবাহিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে, নয়টি দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, রাশিয়ান ফেডারেশন, সুদান, তানজানিয়া, নেপাল এবং বাংলাদেশ হাই কমিশন পরিবারের সদস্যরা এবং শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দর্শকদের বিমোহিত করে। একই মঞ্চে বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের বর্ণিল পরিবেশনা এক অনন্য সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
এছাড়াও আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরু হাইকমিশন প্রাঙ্গণে প্রভাতফেরির মাধ্যমে হাইকমিশনের অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে হাইকমিশনার শামীম আহসানের নেতৃত্বে হাইকমিশন পরিবারের সদস্যরা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মালয়েশিয়ায় সফররত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্সের সদস্যরা, স্থানীয় কমিউনিটির নেতারা এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্থার সদস্যরা পর্যায়ক্রমে পুস্পস্তবক অর্পণ করে।
এরপর বাংলাদেশের হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। দিবসের মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং এ দিবস উপলক্ষ্যে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অত:পর হাইকমিশনে কর্মরত তামিল, ম্যান্ডারিন ও মালয় ভাষাভাষীর সদস্যগণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় মূল বক্তব্যে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ গঠনে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো এবং প্রবাসী পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সফল করার জন্য তাদের সহযোগিতা কামনা করে।
অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
১৭ বাংলাদেশি বন্দিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সময়ে আটক ১৭ বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, সাজা শেষ করে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) জোহর অভিবাসন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) থেকে পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টার (রবিবার, ২১ এপ্রিল) থেকে ১৭ বাংলাদেশী আটককে সরাসরি তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত ১৮ই এপ্রিল ভারত, ফিলিপিন ও পাকিস্তানের আরও ২৫ জনকে একইভাবে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে তারা যেন ফের মালয়েশিয়া প্রবেশে করতে না পারে সেজন্য তাদেরকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হয়। মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩-এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য তাদের সাজা শেষ হওয়ার পর আকাশপথে নিজ খরচে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এছাড়া ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও রমজানে পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপো থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় ২৩ বাংলাদেশি আটক
মালয়েশিয়ার জোহর বারু প্রদেশের ইমিগ্রেশন বিভাগ ১৫টি দোকানে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ২৬ জন নথিবিহীন বিদেশি নাগরিককে আটক করেছে।
ইমিগ্রেশন পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির বলেন, সেখানে অনেক অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। স্থানীয়দের থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, অভিযানে ১১৫ জন বিদেশির মধ্যে বাংলাদেশের ২৩ জন, ভারতের দুজন এবং ইন্দোনেশিয়ার একজনকে আটক করা হয়েছে।
২১ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সন্দেহভাজনদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর অধীনে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ। তবে এর মাঝেও থেমে নেই ধরপাকড় অভিযান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
চীনে ঈদ পুনর্মিলনী ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন
লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে চীনে ঈদ পুনর্মিলনী এবং বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) গুয়াংঝু শহরের সানইউয়ালি পার্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি গুয়াংঝু (বিসিজি) এর আয়োজনে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটি কয়েকটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।
গোলাম কাদের সিদ্দীকি এবং আবু সায়েদ সায়েম এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ড. মিরাজ আহম্মেদ, হুমায়ন কবির দুলাল, কল্লোল কান্তি দেবনাথ, মামুন শিকদার, সাখাওয়াত হোসেন, আতিকুল্লাহ, মাহাদী অমিতসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাই সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এ সময় প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি ও চীনা নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
হাজার মাইল দূরে থেকেও এই আয়োজনে বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কোনো কিছুরই কমতি ছিলো না। আড়ম্বর আয়োজনে ছিল- নববর্ষের র্যালি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বড়দের দেশীয় ঘরোয়া খেলা, কবিতা আবৃত্তি, বাংলা লোকসঙ্গীত পরিবেশন, আলোচনা সভা এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি নানা পদের খাবারের মাধ্যমে মধ্যাহ্নভোজ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ও লোক সংগীতে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মিশরে প্রবাসীদের ঈদুল ফিতর উদযাপন
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) উৎসবমুখর পরিবেশে পিরামিড, নীলনদ আর সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবীর দেশ মিশরে উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এদিন ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদ থেকে ধ্বনি আসতে থাকে ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ’।
ভোরের আলো ফোটার আগেই দেখা যায় সব বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুরা হাতে জায়নামাজ নিয়ে ছুটে চলেছেন মসজিদ ও মাঠের দিকে। সূর্য ওঠার ঠিক ২০ মিনিটের মাথায় রাজধানী কায়রোসহ দেশের সকল মসজিদ ও খোলা ময়দানে একযোগে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। এতে মিশরের নাগরিক ছাড়াও সামিল হয়েছেন দেশটিতে অবস্থানরত মুসলমান প্রবাসীরা।
মিশরে বাংলাদেশের মতো ঈদের নামাজের জন্য আলাদা কোনো ঈদগাহ মাঠ নেই। ছোট-বড় সব মসজিদের ভেতর, স্কুল, বিভিন্ন ক্লাব সংলগ্ন মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
দেশটির রাজধানীর ইসলামিক কায়রো এলাকায় অবস্থিত হযরত হোসাইন (রা.) হযরত অমর ইবনুল আস (রা.), ইমাম শাফী (রা.), আল-আজহার, সাঈদা জয়নব (রা.) সাইদা নাফিজা (রা.) মসজিদসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় মসজিদে দেশের দূরদূরান্ত থেকে এসে বাংলাদেশি প্রবাসীরাও মিশরীয় মুসল্লিদের সাথে যোগ দেন ঈদের জামাতে। তাদের নিজ নিজ এলাকায় মসজিদ ও মাঠে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজ প্রবাসী বাংলাদেশি, তাদের পরিবারবর্গ ও মিশরীয় নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বানীতে মুসলিম উম্মার শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত সকল ধর্মের সকলের প্রতি সম্প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে গাজার ভাই ও বোনদের জন্য বিশ্বের সকলের সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সমর্থন আশা প্রকাশ করেন।
পিরামিডের দেশটিতে এবার ঈদে ৪ দিনের ছুটির সঙ্গে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৬ দিনের ছুটি। এবারও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অনেক বন্দিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
ইতালিতে স্পন্সর ভিসার অনলাইন আবেদন শুরু
ইতালিতে এ বছরের স্পন্সর ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আওতায় আগামী ১৮, ২১ এবং ২৫ মার্চ হবে পূর্বনির্ধারিত ক্লিক ডে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে আবেদন কার্যক্রম শুরু হলেও ঢাকার ভিএফএস গ্লোবাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভিসা ইস্যুতে নানা জটিলতা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এদিকে, অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালাল চক্র। সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালিয়ে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। অন্যদিকে শ্রমিক সংকটে চরম বিপাকে রয়েছেন ইতালির কৃষি ব্যবসায়ীরা। আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তাদের।
বিভিন্ন দেশের ভিসা জটিলতা দূর করতে ইতালি সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।
২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত শ্রমিক সংকট দূর করতে ৪ লাখ ৫২ হাজার প্রবাসী নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি সরকার। এর মধ্যে চলতি বছরই এক লাখ ৫১ হাজার শ্রমিক দেশটিতে পাড়ি জমানোর সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে।