Connect with us

চিত্র-বিচিত্র

পৃথিবীতে যে ৭ ভাষায় সবচেয়ে বেশি মানুষ কথা বলে

Published

on

পুঁজিবাজার

ছোটবেলা থেকে আমরা শুনে আসছি, মনের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম হলো ভাষা। কিন্তু পৃথিবীর একেক অঞ্চলের মানুষ একেক ভাষায় কথা বলার মাধ্যমে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামার ইন্সটিটিউট অফ লিঙ্গুইস্টিক্‌স (এসআইএল) ইন্টারন্যাশনাল-এ র ভাষা নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ‘এথনোলগ’ বলছে, পৃথিবীতে বর্তমানে সাত হাজার ১৬৮টি ভাষা আছে। কিন্তু, এর ৪২ শতাংশ ভাষাই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় আছে; অর্থাৎ, তিন হাজার ৪৫টি ভাষা এখন বিলুপ্তির পথে।

এর আগেও সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক ভাষা চিরতরে হারিয়ে গেছে।

তবে যেসব ভাষা পৃথিবীতে এখনও বহাল তবিয়তে টিকে আছে, সেগুলোর মাঝে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ভাষা কোনগুলো, আমরা কী তা জানি? কিংবা, পৃথিবীতে কোন ভাষায় মানুষ সবচেয়ে বেশি কথা বলে? এবং কোন কোন দেশে এসব ভাষা ব্যবহার করা হয়?

আজ আমরা এমন সাতটি ভাষার বিষয়ে জানবো, যেগুলোর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।

ইংরেজি বা ইংলিশ

যদি বহুল ব্যবহৃত ভাষার কথা বলতে হয়, তবে নিঃসন্দেহে প্রথমেই সেখানে ইংলিশের নাম উঠে আসবে। পৃথিবীতে খুব অল্প কয়েকটি দেশের মাতৃভাষা ইংরেজি, কিন্তু পৃথিবীতে এমন দেশ বিরল যেখানে মাতৃভাষার পর ইংলিশকে প্রাধান্য দেয়া হয় না।

এথনোলগ-এর তথ্য অনুযায়ী, ৮০০ কোটি মানুষের পৃথিবীতে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষই ইংলিশে কথা বলে। যদিও পৃথিবীর মাত্র ৩৮ কোটি মানুষের মাতৃভাষা ইংলিশ এবং মাতৃভাষাভাষীর সংখ্যার বিচারে এর অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। এই ভাষার আঁতুড়ঘর হলো যুক্তরাজ্য, অর্থাৎ ইউনাইটেড কিংডম।

বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা না হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী জুড়ে ইংলিশের এত বিস্তৃতির পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে কয়েকশো বছর ধরে পৃথিবীজুড়ে চলা ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ। ঐ সময় ব্রিটিশরা আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের উপনিবেশ স্থাপন করে। সাধারণত উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে উদ্দেশ্য থাকে ঐ অঞ্চলে ওপর অর্থনৈতিক আধিপত্য তৈরি করা।

ভারতীয় উপমহাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলো থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবসান ঘটলেও উপনিবেশবাদের প্রভাব রয়ে গেছে। ইংলিশের জনপ্রিয়তা হিসেবে এই প্রভাবকে উদাহরণ হিসেবে দেখা হয়। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতনের পর সারাবিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র একক আধিপত্য বিস্তার করে। যুক্তরাষ্ট্রের মাতৃভাষাও ইংলিশ হওয়ায় মার্কিন সংস্কৃতির অংশ হিসেবেই সেটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও প্রভাবশালী হয়ে উঠে।

এথনোলগ অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট ১৪৬টি দেশে ইংলিশ ভাষাভাষী মানুষ পাওয়া যায়। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক দেশ। উল্লেখ্য, ইংলিশ বা ইংরেজি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের একটি ভাষা।

ম্যান্ডারিন চাইনিজ

চীনের অধিকাংশ মানুষ কথা বলে ম্যান্ডারিন চাইনিজ ভাষায়। যদি শুধুমাত্র মাতৃভাষার কথা বিবেচনা করা হয়, তাহলে পৃথিবীতে ম্যান্ডারিন চাইনিজ ভাষাভাষীর সংখ্যাই সর্বোচ্চ। এথনোলগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর ৯৪ কোটি মানুষের মাতৃভাষা ম্যান্ডারিন চাইনিজ। এছাড়া, পৃথিবীর প্রায় ১১০ কোটি মানুষ ম্যান্ডারিন চাইনিজে কথা বলে। সেক্ষেত্রে, ইংলিশের পরেই এর অবস্থান।

ম্যান্ডারিন ভাষাভাষীর সংখ্যা এত বেশি হওয়ার কারণ, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ চীন। ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিসটিকস অব চায়না-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটির একটু বেশি।

এথনোলগ বলছে, চীনের ৮১ শতাংশ মানুষ ম্যান্ডারিন চাইনিজে কথা বলে। এছাড়া, কানাডা, মিয়ানমার, মঙ্গোলিয়া, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ মোট ৩৭টি দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ম্যান্ডারিন ভাষাভাষী রয়েছে।

বলা হয়ে থাকে যে চীনে জন্ম নেয়া ম্যান্ডারিন চাইনিজ পৃথিবীর অন্যতম কঠিন ভাষা। ৫০০০ বছরের বিবর্তনে তৈরি এই ম্যান্ডারিন চাইনিজ সিনো-তিব্বতীয় ভাষা পরিবারের একটি ভাষা।

হিন্দি

জনসংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছে হিন্দি ভাষাভাষীরা। এথনোলগ-এর তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় ৬০ কোটি ৯০ লাখ মানুষ হিন্দিতে কথা বলে। এদের মাঝে ৩৫ কোটি মানুষের মাতৃভাষা হিন্দি। হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের বসবাস ভারতেই বেশি। তবে ১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে হিন্দি ছাড়াও আরও অনেক ভাষা আছে। সেই হিসেবে করলে, দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা হিন্দি।

ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মোট ২২টি দাপ্তরিক ভাষার মাঝে হিন্দি অন্যতম।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৪৯ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর ভারতে হিন্দিকে সরকারি ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এ দিনটি হিন্দি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। হিন্দির সাথে আরও কিছু ভাষার উচ্চারণগত মিল রয়েছে। যেমন, বাংলা, উর্দু, নেপালি, ভোজপুরি, রাজস্থানি ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের পর থেকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি, অর্থাৎ বলিউড সিনেমার উত্থানও হিন্দি ভাষাকে বিশ্বব্যাপী নতুন করে পরিচয় করে দিয়েছে।

স্প্যানিশ

পৃথিবীতে প্রায় ৫৬ কোটি মানুষ স্প্যানিশে কথা বলে। সে হিসেবে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ভাষা স্প্যানিশ। মাতৃভাষা হিসেবে পৃথিবীর প্রায় ৪৯ কোটি মানুষ স্প্যানিশে কথা বলে। এদিক দিয়ে ম্যান্ডারিনের পরেই স্প্যানিশের অবস্থান। অর্থাৎ, মাতৃভাষা হিসেবে এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা।

এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকোতে স্প্যানিশ ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরপরই আছে কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেন। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের রোমান্স শাখার ভাষা স্প্যানিশ বর্তমানে মোট ১৮টি দেশের দাপ্তরিক ভাষা।

তবে স্প্যানিশ কিন্তু শুরুতেই এতটা বহুল ব্যবহৃত ভাষা ছিল না। ব্রিটেনের মতো স্পেনও এক সময় পৃথিবীর অনেক দেশকে নিজেদের কলোনি করে রাখে এবং পরবর্তীতে সেইসব কলোনিতে ভাষাটির প্রভাব রয়ে যায়। যার প্রায় সবগুলোই ল্যাটিন আমেরিকায়।

উল্লেখ্য, ইংলিশসহ মোট ছয়টি ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বলা হয়। সেই ছয়টি ভাষার একটি স্প্যানিশ।

ফরাসি

ফরাসি বা ফ্রেঞ্চও জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইংরেজির পাশাপাশি ফ্রেঞ্চকে তাদের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহার করে। এথনোলগ অনুযায়ী, বর্তমান পৃথিবীতে ফ্রেঞ্চ বা ফরাসি ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা ৩০ কোটির চেয়ে কিছুটা বেশি।

ব্রিটানিকা বলছে, বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে এর ব্যবহার আছে। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো- ফ্রান্স এবং কানাডা। এর বাইরে রয়েছে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ। এছাড়া সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে প্রচুর ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষী পাওয়া যায়।

স্প্যানিশের মতো ফ্রেঞ্চের বিস্তৃতির পেছনেও অন্যতম কারণ উপনিবেশবাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের কলোনি বিস্তার করেছিলো ফ্রান্স, যার অধিকাংশই আফ্রিকা মহাদেশে। ‌এই কারণেও ফরাসি ভাষা মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।

আরবি

এথনোলগের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীতে আরবি ভাষাভাষীর সংখ্যা ২৭ কোটির কিছুটা বেশি। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনের মতো মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষের মাতৃভাষা হচ্ছে আরবি। আবার অনেক দেশের মাতৃভাষা না হলেও সেখানে ব্যাপক হারে আরবির প্রচলন রয়েছে।

বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৩০টি দেশের দাপ্তরিক ভাষা আরবি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলজেরিয়া, মিশর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, মরক্কো, ওমান, সৌদি আরব, সুদান, সিরিয়া ইত্যাদি। ধর্মীয় কারণে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় অনেকে কম-বেশি আরবি লিখতে, পড়তে, বলতে জানেন।

সেমেটিক ভাষা পরিবারের বৃহত্তম ভাষা এই আরবি জাতিসংঘের অন্যতম একটি দাপ্তরিক ভাষাও। আরবি ভাষার সাথে অন্যান্য ভাষার একটি বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। আরবি লিপি লেখা হয় ডান থেকে বামে।

বাংলা

এথনোলগ অনুযায়ী, বর্তমান পৃথিবীতে বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা ২৭ কোটির কিছুটা বেশি। পৃথিবীর বহুল ব্যবহৃত ভাষাগুলোর মাঝে বাংলা সপ্তম। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করে বাংলাদেশে এবং এরপর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে।

১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ ভাগের আগে থেকেই ভাষা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিলো। ১৯৪৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার নির্দেশ দেয় এবং পাকিস্তান সরকারের এমন ঘোষণার বিরোধিতা করে বর্তমান বাংলাদেশের জনগণ।

তৎকালীন পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশে এই নিয়ে আন্দোলন চলতে থাকে। সেটি সংঘাতে রূপ নেয় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীরা মিলে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।

কিন্তু সেই মিছিল যখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি যায়, তখন পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। সেই গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ আরও অনেকে শহীদ হন। তবে ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর কারণে সেদিন সারাদেশে বিদ্রোহ শুরু হয়।

ক্রমবর্ধমান আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত ১৯৫৪ সালের ৭ মে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর বাংলাকে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করা হয়।

সবশেষে, বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য আন্দোলন এবং ভাষার অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

চিত্র-বিচিত্র

মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস পেলেন ১৫ সাংবাদিক

Published

on

পুঁজিবাজার

বারো ক্যাটাগরিতে ১৮তম মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস পেলেন ১৫ সাংবাদিক। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শিশুদের প্রয়োজনগুলো সবার সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিশু সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে তাদের অন্তর্দৃষ্টিমূলক বিশ্লেষণ, সমাজ ও নীতিনির্ধারক উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে। যার ফলে শিশু অধিকারগুলো নিশ্চিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হয়।

তিনি বলেন, পুরস্কারবিজয়ী ও পুরস্কারের জন্য মনোনীত সাংবাদিকেরা যে গল্প তুলে ধরেছেন, তাতে শিশু ও তাদের জীবনের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী নানা জরুরি বিষয় উঠে এসেছে। যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর পরিস্থিতি; পিরিয়ডকালীন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলার ক্ষেত্রে কন্যাশিশুদের চ্যালেঞ্জসমূহ; পথশিশুদের অবস্থা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের গল্প।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট বলেন, আমরা শিশুদের কথাগুলো শোনা, তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দেওয়া এবং তাদের অধিকারগুলোর নিশ্চিত করার যে অঙ্গীকার রয়েছে তা পুনর্ব্যক্ত করছি।

ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ বিজয়ীরা (১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব) প্রিন্ট সাংবাদিকতা- শিক্ষা ও শিশু ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন প্রথম আলোর আহমাদুল হাসান, ঢাকা পোস্টের মো. রাকিবুল হাসান তামিম, মো. জসীম উদ্দীন, মুছা মল্লিক, নজরুল ইসলাম, ঢাকা নোটের রবিউল আলম, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ এর সাধন কুমার সরকার, সিভয়েস ২৪ ডটকমের শারমিন রিমা, ট্রিবিউনের উদিসা ইসলাম।

ফটো সাংবাদিকতায় প্রথম আলোর মো. সাজিদ হোসেন এবং ভিডিও সাংবাদিকতায় যমুনা টেলিভিশনের মো. বনি আমিন ও ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের মো. সবুজ মাহমুদ পুরস্কার পেয়েছেন।

১৮ বছরের নিচে ইউনিসেফ চিলড্রেনস মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ বিজয়ীরা হলেন- আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় দৈনিক আজকের সুন্দরবনের মো. সাফায়েত হোসেন শান্ত, ভিডিও সাংবাদিকতায় এটিএন বাংলার মো. মুজাহিদ ইসলাম, প্রিন্ট সাংবাদিকতায় ইকোনোমিক নিউজ২৪ ডটকমের মো. নাঈম ইসলাম।

বিচারক প্যানেলের একজন সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতিআরা নাসরিন বলেন, মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস প্রতি বছর আমাদের শিশুদের অধিকার রক্ষার গুরু দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, সম্ভাবনাময় শিশু সাংবাদিকসহ আমাদের সাংবাদিক কমিউনিটি, বাংলাদেশে শিশুদের জীবনের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী জরুরি বিষয়গুলো নিয়ে তাদের এই লেখা চালিয়ে যাবেন।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দ্যা ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম; বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম; শিক্ষাবিদ, ঔপন্যাসিক ও শিশুদের গল্প লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল; ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পাঠশালা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক শামীম আখতার। এ ছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের ন্যাশনাল অ্যাম্বাসেডর বিদ্যা সিনহা মীম ইউনিসেফের চাইল্ড অ্যাডভোকেটস এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

চিত্র-বিচিত্র

কেএনএফ এত শক্তিধর হয়ে উঠলো যেভাবে

Published

on

পুঁজিবাজার

বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানে চলতি মাসের শুরুতে ষোল ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় ডাকাতির ঘটনার পর কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ-এর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। এ ঘটনার দু বছর আগেই সামাজিক মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলো সরকারের দৃষ্টিতে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ’। তবে এক পর্যায়ে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগে র‍্যাবের বড় ধরনের অভিযানের মুখে পড়ে তারা।

এরপর নানা ঘটনা প্রবাহের পর বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় চলতি মাসের শুরুতে রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণ ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর এ প্রশ্নও উঠছে যে হুট করে এ শক্তি কোথায় পেলো কেএনএফ।

সংগঠনটি তাদের আনভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, প্রতিবেশী একটি দেশে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদের সদস্যরা। যদিও এটি আদৌ তাদের বক্তব্য কি-না তা নিরপেক্ষ কোন সূত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন অর্থ সংকটে পড়েই দেশি অস্ত্র নিয়ে ওই হামলা করেছে কেএনএফ। শান্তি আলোচনা চলাকালে বান্দরবানে ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শিথিলতা’ আসাটাও তাদের হামলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

যদিও বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে আঞ্চলিক কিছু গোষ্ঠীর সহায়তা পেয়ে শক্তি সঞ্চয় করাটাও কেএনএফ-এর জন্য অস্বাভাবিক নয় বলেও তারা কেউ কেউ মনে করেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের চিন প্রদেশের কুকি চিনদের দিকেই ইঙ্গিত করেন বিশ্লেষকরা।

২০২২ সালের অক্টোবর থেকে কেএনএফ ও জঙ্গি বিরোধী যে ব্যাপক অভিযান র‍্যাব পরিচালনা করেছিলো তাতে সংগঠনটি দুর্বল হয়ে পড়েছিলো বলেই মনে করা হচ্ছিলো। র‍্যাব তখন সংগঠনটির বিরুদ্ধে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগ এনেছিলো। যদিও কেএনএফ তাদের আনভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

কিন্তু এতো বড় অভিযানের পর শান্তি আলোচনার মধ্যে এভাবে দিনে দুপুরে হামলার শক্তি কেএনএফ কীভাবে পেতে পারে– এমন এক প্রশ্নের জবাবে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলছেন, “পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। অপরাধীদের আটক করা হচ্ছে। তারা কীভাবে করলো বা কেউ তাদের সহায়তা করেছে কি-না সবকিছুই খতিয়ে দেখা হবে”।

এর আগে ঘটনার পরে গত সাতই এপ্রিল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন ‘শান্তি আলোচনা শুরুর পর তাদের (কেএনএফ) বিশ্বাস করেছিলাম, কিন্তু তারা যেহেতু বিশ্বাসভঙ্গ করেছে, সুতরাং আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই’।

কেএনএফের হুট করে আক্রমণ যেভাবে

গত নভেম্বর থেকে সরাসরি শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছিলো কেএনএফ। এর মধ্যেই হুট করে ব্যাংকে হামলা করে ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণ ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় বিস্মিত করেছে অনেককেই। তবে বিশ্লেষকরা কেউ কেউ মনে করেন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো অনেক সময় আলোচনার টেবিলে নিজেদের গুরুত্ব বোঝাতে এমন ঘটনা ঘটান, যার নজির এই অঞ্চলের দেশগুলোতে আছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শামীম কামাল বলছেন অনেক জায়গা থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের পর অনেকদিন ধরেই সেখানে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি, এমনকি এপিবিএন যাওয়ার কথা থাকলেও সেটিও হয়নি। তাদের প্রায় চারশো লোকের ভরণ পোষণসহ নানা খরচের জন্য টাকার জন্যই তারা ডেসপারেট হয়ে ব্যাংকে হামলা করেছে বলে আমি মনে করি। সেনাবাহিনী থাকলে হয়তো এত সহজে এটি করতে পারতো না তারা।

আবার শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে আলোচনার পর সেখানে নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি থাকলে তারও সুযোগ নেয়ার চিন্তা থেকে হামলাটি হতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু তাদের শক্তিটা এলো কোথা থেকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তারা তো স্থানীয় মানুষ। কোথায় কোথায় নিরাপত্তা বাহিনী আছে সব তাদের জানা। কোথায় পুলিশ বা আনসার কাজ করছে, কতজন আছে সব তারা দেখছে। হামলার ভিডিওতে তো দেখা গেছে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে তারা। স্বয়ংক্রিয় কোন অস্ত্র নেই। তার মানে শক্তির চেয়ে সময় ও কৌশল এখানে বেশি ভূমিকা রেখেছে”।

এদিকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক রোয়ান লিন বম ও চেওসিম বমকে গত সাতই এপ্রিলই আটকের খবর দিয়েছে র‍্যাব। এর আগে ও পরে আরও অনেককে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও কেএনএফ তাদের আনভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় আটককৃতদের সাধারণ বম জনগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে দাবি করেছে। শামীম কামাল বলছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বৈশিষ্ট্যই হলো সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকা।

আরেকজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. বায়েজিদ সারোয়ার বলছেন যে অভিযানের সঙ্গে জড়িতদের এ কারণেই খুব সতর্ক থাকা দরকার যাতে মানুষের মধ্যে মিশে থাকা অপরাধীকে সঠিকভাবে যাচাই করে আটক করা সম্ভব হয়। তার মতে হুট করে কেএনএফ যে শক্তি প্রদর্শন করতে চেয়েছে তার কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। এগুলো হলো আলোচনার টেবিলে নিজেদের শক্তি বোঝানোর চেষ্টা, আঞ্চলিক শক্তির প্রভাব কিংবা নিরাপত্তায় শিথিলতা।

“তারা হয়তো এসেস করে দেখেছে যে শান্তি আলোচনা চলছে তা নিরাপত্তা কিছুটা শিথিল। আবার এটিও কিছুটা সত্য যে ভিন্ন ধরনের ভূ প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে ওই অঞ্চলে বিদ্রোহী বা গেরিলারা ইচ্ছে করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে,” বলছিলেন মি. সারোয়ার।

তিনি বলেন, “শো অফ করার জন্যও হতে পারে। আবার অনেক সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো আলোচনার টেবিলে শক্তি দেখানোর জন্য এ ধরনের কাজ করে থাকে। এমন নজির আছে। অবশ্য আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন এ ধরনের আলোচনা হতো তখন বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হতো”।

তবে গত দু’বছরের বেশি সময় ধরে কেএনএফ ফেসবুকে তাদের তৎপরতার বিবরণ দিয়ে আসছে। সেখানে তারা দাবি করেছে তারা কীভাবে কোথা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সশস্ত্র দল তৈরি করেছে।

মিয়ানমারের চীন প্রদেশের তৃতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হলো কুকিরা। অর্থ ও রসদ সরবরাহ না থাকলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পরিচালনা কঠিন। সে কারণেই কেএনএফ এর হুট করে শক্তি সঞ্চয়ের পেছনে অনেকে আঞ্চলিক সহায়তার কথাও বলে থাকেন। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদী এই সংগঠনের নামে থাকা আনভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় অবশ্য দাবি করা হয়েছে যে কেএনএফ শুরুতে সরকারের নিবন্ধিত একটি সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও ২০১৭ সালে ‘সশস্ত্র শাখায়’ রূপ নেয়।

তারা আরও দাবি করেছে যে, “পরবর্তীতে মনিপুর রাজ্যের এবং মিয়ানমারের বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়ন হয়। অতঃপর একই বছরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি সংগঠনের কয়েক শত সদস্যকে মনিপুর রাজ্যে সামরিক প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়। পরবর্তীকালে শতাধিক সক্রিয় সদস্য কাচিন, কারেন প্রদেশ এবং মনিপুর রাজ্যে আবার প্রশিক্ষণে পাঠায়”।

তবে বিবিসি কোন নিরপেক্ষ সূত্র থেকে গত আটই এপ্রিল কেএনএফ এর ফেসবুক পাতায় দেয়া এই বিবৃতির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

শক্তি প্রদর্শন নাকি দুর্বলতা প্রকাশ

শামীম কামাল বলছেন তিনি মনে করেন হুট করে হামলার মাধ্যমে শক্তির চেয়ে নিজেদের দুর্বলতার বেশী বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে কেএনএফ। তিনি বলেন, দেখুন হামলাকারীরা বেথেলপাড়া পাড় হয়ে রুমা পাহাড়ে চলে গেলে তাদের খুঁজে পাওয়া কঠিন হতো। ভিডিওতে দেখুন কারও হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নেই। সব দেশী অস্ত্র। আবার এত বড় ঘটনার পর লুকালো বান্দরবান শহরে। এসব কিছু বিশ্লেষণ করলে মনে হয় তাদের প্রকট সাংগঠনিক দুর্বলতাই ফুটে উঠেছে এবারের হামলায়।

এছাড়া বারই এপ্রিল বিজু বা বৈসাবি উৎসব শুরুর আগে ব্যাংকে হামলার ঘটনা পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মধ্যেও কেএনএফকে কিছুটা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে বলে মনে করেন অনেকে। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় নদী-হ্রদের পানিতে ফুল ভাসিয়ে বা ‘ফুল বিজু’ উদযাপনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার তিন দিনের এ বিজু উৎসব শুরু হয়েছে।

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী খুমিদের সাংক্রাই, ত্রিপুরাদের বৈসু, চাকমাদের বিজু, মারমাদের সাংগ্রাই, ম্রোদের চানক্রান, খিয়াংদের সাংগ্রান ও তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষুর আদ্যাক্ষর নিয়ে দাঁড়িয়েছে ‘বৈসাবি’। তাই এই উৎসবকে সম্মিলিতভাবে ‘বৈসাবি’ বলে অনেকেই।

বায়েজিদ সারোয়ার বলছেন বৈসাবি উৎসব ওই অঞ্চলের মানুষের জন্য খুবই আবেগের ও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কেএনএফ -এর হামলার জের ধরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির কারণে মানুষ এবার এই উৎসব ঠিক মতো করতে পারছে না।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

চিত্র-বিচিত্র

ক্যালেন্ডারের পাতা মাটিতে পুঁতলেই গাছ!

Published

on

পুঁজিবাজার

ক্যালেন্ডারের পাতা মাটিতে পুঁতে দিলে গাছ জন্মাবে এমন কথা হয়তো আগে কেউ শুনেনি। তবে কল্পিত এই ভাবনাকে বাস্তবে ফেসবুক ও অনলাইনে দেশি গয়নাসহ বিভিন্ন দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যের বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ‘হরপ্পা’।

জানা যায়, ‘বনকাগজ’ নামের ভিন্ন এক কাগজে বাংলা বর্ষপঞ্জিকা তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। হাতে তৈরি রিসাইকেল করা বিশেষ ধরনের এ কাগজের ভেতর থাকে গাছের বীজ। ফলে মাস শেষ হওয়া ক্যালেন্ডারের পাতা কেউ ছিঁড়ে ফেলে দিলে এই পাতা থেকে গাছ জন্ম নিবে।

বনকাগজ উৎপাদনের খরচ বেশি, তাই ক্যালেন্ডারের দামও কিছুটা বেশি। কিন্তু, প্রকৃতি-পরিবেশের কথা চিন্তা করে এমন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে এ অনলাইন প্রতিষ্ঠান।

বনকাগজ কী

বনকাগজ হলো পুরোনো কাগজ রিসাইকেল করে উৎপাদিত এক কাগজ। যেখানে গাছের বীজ থাকে। ব্যতিক্রমী পদ্ধতিতে বনকাগজ বানাতে হয়। বনকাগজ থেকে বানানো হয় বিশেষ ক্যালেন্ডার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বনকাগজ তৈরিতে পরিত্যক্ত কাগজ টুকরো করে পানিতে ভিজিয়ে পুরোপুরি গলিয়ে মণ্ড তৈরি করতে হয়। পরে মণ্ড থেকে কাগজ তৈরির সময় বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে এর ভেতরে বীজ দেওয়া হয়। এভাবে তৈরি হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে কাগজ মাটিতে পুঁতে দিলে গাছ জন্মায়।

এ ধরনের কাগজেই ক্যালেন্ডার ছাপানো ভালো, কারণ ক্যালেন্ডারের ব্যবহার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। তেরো পাতার একটি ক্যালেন্ডারের প্রতিটির পাতার আয়ু এক মাস। মাস শেষে অপ্রয়োজনীয় হয়ে যাওয়া পাতাটি থেকে গাছের জন্ম হতে পারে।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

চিত্র-বিচিত্র

সোমালিয়ার জেলেরা যেভাবে জলদস্যু হয়ে উঠল

Published

on

পুঁজিবাজার

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কুখ্যাতি বিশ্বব্যাপী শ্রুত। কিন্তু দরিদ্র এ দেশটির অনেকের দস্যুবৃত্তিকে প্রায় পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে এমভি আবদুল্লাহ নামক একটি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালি জলদস্যুরা। চট্টগ্রামের কবির (কেএসআরএম) গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন এ জাহাজে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ’র নাবিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে কবে তাদের উদ্ধার করা যাবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।

২০১০ সালেও একই শিপিং কোম্পানির মালিকানাধীন এমভি জাহান মনি সোমালি জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিল। ওইসময় জাহাজে ২৫ ক্রু এবং ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ মোট ২৬ ব্যক্তি ছিলেন। ১০৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ১০০ দিন পর ওই ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনা হয়।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কুখ্যাতি বিশ্বব্যাপী শ্রুত। কিন্তু দরিদ্র এ দেশটির অনেকের দস্যুবৃত্তিকে প্রায় পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।

জীর্ণ পোশাক, ভারী অস্ত্র, জিপিএস ফোন তাদের এ বেশভূষা দেখে মনে করার উপায় নেই তারা কেবল মরিয়া হয়ে দস্যুবৃত্তির পথে নেমেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সোমালিয়ায়, বিশেষ করে সোমালি উপকূলে যথাযথ আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি না থাকারই সুযোগ নেয় এ জলদস্যুরা।

তবে টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, সোমালিয়ায় করুণ পরিস্থিতির সুযোগ কিন্তু কেবল এ জলদস্যুরাই নেয়নি। বরং বাকি বিশ্বের অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতাও এ দস্যুবৃত্তি উত্থানের একটি অন্যতম কারণ।

১৯৯১ সালে গৃহযুদ্ধের ফলে সোমালিয়ায় সর্বশেষ কার্যকর সরকারটিরও পতন ঘটে। আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় উপকূলের মালিক সোমালিয়া। সরকারি বিধিনিষেধ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তিন হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ উপকূলীয় অঞ্চলের সমুদ্রে বিদেশি নৌযানের লুটাপাটের বিপুল নজির রয়েছে।

সেই ২০০৬ সালেই জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, সোমালিয়ায় কোনো সক্রিয় কোস্টগার্ড না থাকায় দেশটির জলসীমায় এসে বিদেশি নৌযান মাছ ও সিফুড আহরণ করে নিয়ে যায়। আর প্রতি বছর সোমালিয়ার সমুদ্র থেকে কেবল ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরই সিফুড লুট করে বিদেশি গোষ্ঠীগুলো।

এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছিলেন উপকূলীয় এলাকায় বাস করা সোমালি জনগণ। নিজেদের সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে তাদেরকে সারাক্ষণ সতর্ক থাকতে হতো বহিঃশত্রুর আক্রমণের বিরুদ্ধে। এভাবে বিদেশি ট্রলারের হামলা থেকে রক্ষা পেতে ১৯৯০-এর দশকে সোমালিয়ায় প্রথম জলদস্যুদলের বিস্তার ঘটে।

কোনো একসময়ে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, স্পেনের মতো দেশের মাছ ধরার ট্রলারও সোমালিয়ার জলসীমায় এসে মাছ ধরে নিয়ে যেত। বলা বাহুল্য, এসব ট্রলারের সোমালি উপকূলে মাছ ধরার কোনো বৈধতা বা লাইসেন্স থাকত না। প্রায় দুই দশকের মতো সময় সোমালিয়ার সমুদ্র এলাকায় এভাবে শোষণ চালিয়েছে এসব বিদেশিরা।

এ ধরনের অবৈধ ট্রলার সোমালিদের জলদস্যু হওয়ার পেছনে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। অতীতে এসব ট্রলার আটক করার পর দ্রুতই মুক্তিপণের অর্থ পেয়ে যেত দস্যুরা। কারণ বিদেশি এসব গোষ্ঠীগুলোও চাইত না তারা যে আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করেছে তা প্রকাশ্যে আসুক।

এভাবেই ছোট ছোট ট্রলার জিম্মি করার মাধ্যমে নিজেদের কৌশলগত নেটওয়ার্ক বাড়িয়ে তোলে দস্যুরা। একসময় মাছ ধরার ট্রলারের পাশাপাশি পণ্যবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের দিকে নজর পড়ে তাদের।

এছাড়া দারিদ্র্য, অরাজকতা, আইনের শাসনের অভাবের পাশাপাশি গৃহযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা, সহিংসতাও এ ধরনের অপরাধের পেছনে বড় কারণ হিসেবে কাজ করছে।

শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী না থাকায় এ জলদস্যুরা দেশটির অনেক প্রতিষ্ঠানের ওপরই ছড়ি ঘোরাতে পারে। মুক্তিপণের টাকা বিনিয়োগ করে নিজেদের অপরাধের পরিসরও বাড়ায় তারা। বেকার সোমালি তরুণদের বড় অঙ্কের অর্থের লোভ দেখিয়ে নিজেদের দলে ভেড়ায় এ জলদস্যুরা।

তবে গত ১৫ বছর ধরে সোমালি উপকূলে দস্যুবৃত্তি কমানোর চেষ্টাও কম হয়নি। ছয়টি আন্তর্জাতিক শিপিং প্রতিষ্ঠান মিলে ২০১২ সালে ঘোষণা দেওয়া হয়, সোমালি উপকূলে জলদস্যু সমস্যা বৈশ্বিক শিপিংয়ের জন্য আর কোনো ঝুঁকি নয়।

২০২৩ সালেও সংস্থাটি জানায়, ভারত মহাসাগরেও দস্যুবৃত্তির আর বড় ঝুঁকি নেই। কারণ ২০১৮ সালে সোমালি জলদস্যুরা এ মহাসাগরে আর কোনো আক্রমণ চালায়নি। কিন্তু এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর আফ্রিকার এ সমুদ্রপথটি দিয়ে বাণিজ্য আবার ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হলো।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

চিত্র-বিচিত্র

পাঁচ মিনিটে ২ হাজার টাকা আয়, ফোনকলে নতুন প্রতারণা!

Published

on

পুঁজিবাজার

অনলাইনে নানান প্রলোভন আর প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে টাকা খোয়াচ্ছেন দেশের নানান শ্রেণির মানুষ। একইসাথে প্রতারকের নানান চক্র চতুর্মুখীভাবে সক্রিয় হয়ে উঠছে। দেশে নতুন করে আলোচনায় আসছে ‘ফোনকল’ প্রতারক চক্র। স্বল্প সময়ে মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে মানুষ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি।

নতুন চক্রের শুরুটাও ভিন্নভাবে। স্থানীয় নম্বর থেকে ফোন কল দিয়ে শুরু হয়। কোন পরিচয় কিংবা অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই আসে কাজের কথায়। ওপার থেকে বিদেশি কণ্ঠে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘বাসায় বসে হাজার ডলার উপার্জন করতে আগ্রহী কিনা?’ আগ্রহী না হলে সেখানেই কলের সমাপ্তি। কিন্তু মোটা অঙ্কের উপার্জনের লোভ সামলাতে না পেরে যারা আগ্রহ দেখান তারাই পড়েন ফাঁদে।

আগ্রহী ব্যক্তিকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করা হয়। সেখানেও উপার্জনের লোভ দেখালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় টেলিগ্রাম চ্যানেলে। সেখানে থাকে ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করার মতো বিভিন্ন কাজ। প্রতি চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করার বিনিময়ে ফাঁদে পড়ার ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে জমা হয় ১০০ টাকা করে। তারপর নতুন চুক্তি আঁকে প্রতারক চক্র। নির্ধারিত অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের নামে থাকে দ্বিগুণ ফেরতের লোভনীয় অফার।

তিনি যদি এই সুযোগ না গ্রহণ করেন, তাহলে তাকে ভিডিও সাবস্ক্রাইব করার জন্য কোন অর্থ প্রদান করা হবে না। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ প্রতারকদের জালে পা দিয়ে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

বিনিয়োগে আগ্রহ দেখালে একটি বিকাশ মার্চেন্ট নম্বর দেওয়া হয়। সেখানে বিনিয়োগ করে প্রতারণার প্রাথমিক ধাপে পা দেয় আগ্রহী ব্যক্তিরা। পর্যায়ক্রমে নানান বাহানায় প্রতারক চক্র আরও টাকা আদায় করে। একটা সময় বিনিয়োগের নামে স্বর্বস্বান্ত হওয়া লোকটা বুঝতে পারেন তিনি প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কলের মাধ্যমে প্রতারক চক্র ফিশিং স্ক্যামের জন্য একজন ব্যক্তির পুরো নাম, মায়ের নাম, জন্ম তারিখ এবং ফোন নম্বরসহ নানান তথ্য নিয়ে থাকে। এতে তারা বিভিন্ন উপায়ে মানুষকে ফাঁদে জড়িয়ে ক্ষতি করে।

এছাড়া, ব্যক্তির ফোন কলগুলো রেকর্ড করে অন্যান্য মানুষের কাছে (আত্মীয়) একই কণ্ঠস্বরকে নকল করে উপস্থাপন করা হয়। এতে অনেকেই তাদের প্রতারণা ফাঁদে পড়ে অর্থ খুঁইয়েছে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার27 mins ago

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির সম্পৃক্ততা পেলো গোয়েন্দা সংস্থা, গ্রেপ্তার-৩

পুঁজিবাজার
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার2 hours ago

শূন্যপদের পছন্দ নিয়ে এনটিআরসিএ’র নতুন নির্দেশনা

পুঁজিবাজার
আবহাওয়া2 hours ago

বৃষ্টি নিয়ে সুসংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

ব্লকে লেনদেন ৪৪ কোটি টাকা
পুঁজিবাজার3 hours ago

সপ্তাহজুড়ে ব্লকে প্রাইম ব্যাংকের সর্বোচ্চ লেনদেন

অলিম্পিক
পুঁজিবাজার3 hours ago

সপ্তাহজুড়ে অলিম্পিক এক্সেসরিজের সর্বোচ্চ দরপতন

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার4 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় ‘এ’ ক্যাটাগরির আধিপত্য

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার4 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ

পুঁজিবাজার
জাতীয়5 hours ago

ভুটানকে বিবিআইএনএ’তে চায় বাংলাদেশ

পুঁজিবাজার
জাতীয়5 hours ago

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলক চালু অক্টোবরে

পুঁজিবাজার
রাজধানী5 hours ago

রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ

পুঁজিবাজার
কর্পোরেট সংবাদ6 hours ago

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন

পুঁজিবাজার
কর্পোরেট সংবাদ6 hours ago

ওয়ালটন এসি কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন সেনেটারি ব্যবসায়ি আব্দুল আলী

পুঁজিবাজার
আন্তর্জাতিক6 hours ago

এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম কমলো

পুঁজিবাজার
জাতীয়6 hours ago

শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার15 hours ago

পুঁজিবাজার নিয়ে কারসাজি-গুজব রটনাকারী চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

পুঁজিবাজার
রাজনীতি16 hours ago

জনগণের জন্য কাজ করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

পুঁজিবাজার
সারাদেশ16 hours ago

তীব্র তাপপ্রবাহে বেঁকে গেলো রেললাইন

দেশে মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধি
অর্থনীতি16 hours ago

বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না

পুঁজিবাজার
জাতীয়17 hours ago

এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: মন্ত্রী

পুঁজিবাজার
জাতীয়17 hours ago

তিন কর্মকর্তাকে বদলি করলো ডিএনসিসি

পুঁজিবাজার
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার17 hours ago

চাকরির সুযোগ দিচ্ছে মেঘনা গ্রুপ

পুঁজিবাজার
জাতীয়18 hours ago

শেরে বাংলা ছিলেন গণমানুষের নেতা: রাষ্ট্রপতি

পুঁজিবাজার
আন্তর্জাতিক18 hours ago

ফিউচার মার্কেটে কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম

পুঁজিবাজার
আবহাওয়া19 hours ago

তাপমাত্রা কমাতে হিট অফিসারের নতুন উদ্যোগ

পুঁজিবাজার
জাতীয়19 hours ago

চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০