আইন-আদালত
দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
দেশের ২৬ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে নতুন প্রধান বিচারপতির শপথগ্রহণের কথা রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ১৯৬১ সালের ১৮ মে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত এএফএম আবদুর রহমান চৌধুরীও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স ও এলএলএম ডিগ্রি নেওয়ার পর যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক আইনের ওপর আরেকটি মাস্টার্স করেন।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ১৯৮৫ সালে জজ কোর্টে ও ১৯৮৭ সালের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট জুবায়ের রহমান চৌধুরী অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগে তার নিয়োগ স্থায়ী হয়।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন এবং ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট তিনি শপথ পাঠ করেন।
এমকে
আইন-আদালত
প্রধান বিচারপতি হলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী
বাংলাদেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। বঙ্গভবনে ২৮ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, আপীল বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। এ নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, বিদায়ী বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। ওইদিন তার ৬৭ বছর পূর্ণ হবে।
উল্লেখ্য, জুবায়ের রহমান চৌধুরী ১৯৮৫ সালে জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট জুবায়ের রহমান চৌধুরী অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগে তার নিয়োগ স্থায়ী হয়। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স ও এলএলএম ডিগ্রি নেয়ার পর যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক আইনের ওপর আরেকটি মাস্টার্স করেছেন।
আইন-আদালত
হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে র্যাবের টিএফআই সেলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার দিন আজ।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারিক প্যানেল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। একই সঙ্গে আসামিপক্ষের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন নিয়েও আদেশ দেওয়া হবে।
এই মামলায় মোট ১৭ জন আসামির মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁরা সবাই সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম ও কে এম আজাদ। এ ছাড়া কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন এবং অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে থাকা আনোয়ার লতিফ খান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন ও মো. সারওয়ার বিন কাশেমও গ্রেপ্তার তালিকায় রয়েছেন।
অন্যদিকে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সাতজন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।
এর আগে, আওয়ামী লীগ আমলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত ৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা, তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বানের পানির মতো জারার একাউন্টে ঢুকছে টাকা!বানের পানির মতো জারার একাউন্টে ঢুকছে টাকা!
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানায়, দুই মামলার ৩০ আসামির মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে নয়জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন এলপিআরে এবং ১৫ জন তখনো কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
পরবর্তী সময়ে, ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করে। ফৌজদারি কার্যবিধি ও প্রিজন অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারার ক্ষমতা প্রয়োগ করে ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন এমইএস ভবন নম্বর ৫৪-কে অস্থায়ী কারাগার হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া সেনা কর্মকর্তাদের পরবর্তীতে সেখানে রাখা হয়।
আইন-আদালত
চাঁদপুর-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী জালাল উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থ বৈধ করার চেষ্টা এবং বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে চাঁদপুর-২ (মতলব) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিনসহ পাঁচজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ড. জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে সপরিবারে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন।
তিনি বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে চলে গেলে চলমান অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে জটিলতা তৈরি হতে পারে। জনস্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন হওয়ায় আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
দুদক মহাপরিচালক জানান, ড. জালাল উদ্দিন ছাড়াও মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- তার পরিবারের সদস্য শাহানাজ পারভিন, সাঈদ মোহাম্মদ রিজভী, সাঈদ মোহাম্মদ আলভী এবং আয়েশা তাসিনীমা তানিভী।
আদালতে দাখিল করা আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা এস এম মামুনুর রশীদ উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা বিধিবহির্ভূতভাবে অর্থ উপার্জন করে তা নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, গোপন সূত্রে জানা গেছে- অভিযুক্তরা দেশত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দুদকের পক্ষে উপস্থিত পাবলিক প্রসিকিউটরের বক্তব্য এবং দাখিল করা নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আদালতের আদেশে বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন-প্রশাসন), স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ, মালিবাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, আদেশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্তদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ আদেশের অনুলিপি দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব, পরিচালক (পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন), সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইন-আদালত
হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ এ আদেশ দেন।
আদালতে দেওয়া আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড সংশ্লিষ্ট হওয়ায় আসামি দেশত্যাগ করলে তদন্ত কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে প্রধান আসামির বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দেন।
মামলার নথিতে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) হাদির মরদেহ দেশে আনা হয়। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে শরিফ ওসমান হাদিকে দাফন করা হয়।
এমকে
আইন-আদালত
হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পেছালো
আওয়ামী লীগের শাসনামলে র্যাবের টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৩ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জন।
আসামিপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল নতুন দিন ঠিক করেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আদালতে আজ আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও তাবারক হোসেন ভূইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এর আগে আওয়ামী লীগের শাসনামলে র্যাবের টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য ২১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু সেনা কর্মকর্তাদের আইনজীবীরা সময় আবেদন করে। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে তাদের পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী ২৩ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেন আদালত।
নির্ধারিত দিনে গ্রেফতার আসামি ও সেনা কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ প্রিজন ভ্যানে করে ক্যান্টনমেন্ট কারাগার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এর আগের শুনানিতে ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতার ১০ আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও ব্যারিস্টার তবারক হোসেন ভূইয়া। পলাতক সাত আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম, সুজাদ মিয়া ও মো. আমির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য নতুন দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জন গ্রেফতার আছেন। তারা হলেন- কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কর্নেল কে এম আজাদ, কর্নেল মো. কামরুল হাসান, কর্নেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারোয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
পলাতক সাত আসামি হলেন- ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ হাসিনার নিরাপত্তা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশিদ হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. হারুন অর-রশিদ এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. খায়রুল ইসলাম।




