অর্থনীতি
সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক
বেসরকারি খাতের ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে সমস্যাগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক লিমিটেড। আজ সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংকের এই একীভূত হবে স্বেচ্ছায়। এ নিয়ে বেসরকারি খাতের দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে আরেকটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক। আগামীতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
এর আগে গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পর্ষদকে বেসিক ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপর সিটি ও বেসিক ব্যাংকের পর্ষদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই ব্যাংকের কমকর্তারা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। ব্যাংক দুটি একীভূত হলেও আগামী তিন বছর পৃথক আর্থিক প্রতিবেদন করবে।
সিটি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, সিটি ও বেসিক ব্যাংক একীভূত হচ্ছে স্বেচ্ছায়। এখানে কেউ কাউকে চাপিয়ে দিচ্ছে না। আমরা সবল ব্যাংক হিসেবে দেশসেরা। সে হিসেবে কোনো দুর্বল ব্যাংককে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা যায়। আমরাও সেটা খতিয়ে দেখছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ নিয়ে মোট আটটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এর মধ্যে সরকারি ব্যাংক দুটি আর বেসরকারি ব্যাংক দুটি। গত মার্চ মাসে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চুক্তি করেছে পদ্মা ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে ব্যাংক একীভূত করার ধারা শুরু হয়। এ ছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বেসিক-সিটি ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, একীভূত করা নিয়ে অনেক ব্যাংকের বিষয়ে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত আলোচনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সবাইকে আসতে হবে। তবে এক্সিম ও পদ্মা ছাড়া এখনো কোনো ব্যাংককে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে দেশের দুর্বল ব্যাংক ও সবল ব্যাংকের স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো ব্যাংক স্বেচ্ছায় না হলে, তাদের জোরপূর্বক একীভূত করা হবে বলে জানানো হয়। তবে যে প্রক্রিয়ায়ই একীভূত হোক না কেন, এতে আমানতকারীদের স্বার্থের কোনো হানি হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সিদ্ধান্তে গত ১৮ মার্চ প্রথমবারের মতো একীভূত হয় পদ্মা ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কমলো এলপি গ্যাসের দাম
ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অটো গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা।
এর আগে এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সৌদি থেকে বিলম্বিত অর্থে তেল কিনতে চায় বাংলাদেশ
সৌদি আরব থেকে বিলম্বিত অর্থে বাংলাদেশ তেল কেনার যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী ইঞ্জি. মোহাম্মদ আল ইব্রাহিমের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সেখানে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী ইঞ্জি. মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম বাংলাদেশকে তাদের জ্বালানি সহযোগিতার আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিলম্বিত অর্থপ্রদান পদ্ধতিতে অপরিশোধিত তেল কেনার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা সৌদি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। বৈঠকে তারা জেভি ডেএপি সার প্ল্যান্ট নিয়েও আলোচনা করেছেন।
সৌদি সহকারী মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তারা এখন কারিগরি বিষয় নিয়ে কাজ করছে এবং বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
একই দিনে উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের চিফ অব স্টাফ এবং বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের সেক্রেটারি জেনারেল সাদ আল কোরডের সাথেও তার অফিসে বৈঠক করেন।
এসময় পিআইএফ মহাসচিব উপদেষ্টাকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মহাসচিব পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এছাড়াও তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কোম্পানির তালিকা শেয়ার করেন এবং পিআইএফ তাদের কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক যাত্রায় যোগ দেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করে।
সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এসব দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফরিদপুরে ২০০ কোটি টাকার ভুট্টা উৎপাদন
পদ্মা নদীর ফরিদপুরের চরাঞ্চলকে শত শত একর জমি পড়ে থাকত অনাবাদি, চাষ হতো না তেমন কোনো ফসল। তবে পশুখাদ্যের চাহিদা মেটাতে কয়েক বছর আগে চরাঞ্চলে ভুট্টা চাষ শুরু হলেও সম্প্রতি বছরগুলোয় ভুট্টার আবাদ বেড়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
তথ্যমতে, গত রবি মৌসুমে ফরিদপুরে ছয় হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। শস্যটি উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টন, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। আর খরিপ-১ মৌসুমে ৪৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এরই মধ্যে তা দুই হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে গেছে। আবাদ এখনো চলমান। আবাদের অধিকাংশই পদ্মা নদীর চরাঞ্চলকেন্দ্রিক বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জেলার চরগুলোয় বছরের প্রায় সাত-আট মাস পানি থাকে না। উঁচু এলাকায় বেড়ে ৯-১০ মাস পর্যন্ত গড়ায়। ফলে জমিভেদে এখন বছরে দুই-তিনবার ভুট্টার আবাদ হচ্ছে চরাঞ্চলে। এতেই বাড়ছে ১২০ দিনের ফসলটির আবাদ ও উৎপাদন।
কৃষকরা জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে ১০ টনের বেশি ভুট্টা উৎপাদন হয়। মণপ্রতি বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। হেক্টরপ্রতি চাষাবাদ খরচ ১০-১২ হাজার টাকা হলেও গড়ে ৪০-৪৫ হাজার টাকার ভুট্টা উৎপাদন হয়। এতে অন্য ফসলের তুলনায় যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলপি গ্যাসের নতুন দাম জানা যাবে কাল
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে)। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরামকো ঘোষিত মে (২০২৪) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ঘোষণা করা হবে।
এর আগে টানা আট মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয় এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া, গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এপ্রিলের ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ১৯০ কোটি ডলার
সদ্য সমাপ্ত এপ্রিল মাসের প্রথম ২৯ দিনে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ১৯০ কোটি ৮০ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে প্রবাসী আয়ের এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র মতে, এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে এসেছিল ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে পরের ১০ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। তাতে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে ছয় কোটি ডলার।
সাধারণত, ঈদের মাসে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ স্বাভাবিক মাসের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। এবার, এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছে। কিন্তু এ মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ না বেড়ে বরং সাম্প্রতিক সময়ের অন্য মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় শেষ পর্যন্ত খানিকটা কম হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে বাড়তি প্রবাসী আয় আসার প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও এবার তেমনটা দেখা যায়নি।
এর আগে মার্চ মাসে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার ও ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল।
বেশির ভাগ ব্যাংক এখন ১১৫ থেকে ১১৬ টাকা দরে প্রবাসী আয় কিনছে। তবে সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক বেশি দামেও ডলার কিনছে বলে জানা গেছে। যদিও ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকা। ফলে আমদানিকারকদেরকে অতিরিক্ত দামে ডলার কিনে আমদানি দায় মেটাতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তার ওপর। দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার এখনো উচ্চ রয়ে গেছে।
এমআই