শিল্প-বাণিজ্য
ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা
তৈরি পোশাক থেকে শুরু করে কৃষি, চামড়াসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প। অথচ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে এখনো নানান সমস্যার ভুগছে এ খাত। সরাসরি রপ্তানির সুযোগ না থাকায় নানান চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই শিল্প। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন এই খাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও শেনজেন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক ওমর ফারুক। প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সভায় মো. আমিন হেলালী বলেন, পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য আগে শতভাগ উপকরণ আমদানি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যের উপকরণগুলোর দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি কোভিডের সময় আমদানি বাধাগ্রস্ত হলেও আমাদের রপ্তানি বন্ধ ছিল না।
বিশ্বে প্যাকেজিং খাতের বিরাট বাজারে ধরার আহ্বান জানিয়ে মো. আমিন হেলালী বলেন, আমাদের উদ্যোক্তা আছে, দক্ষ কারিগরও আছে। তারপরও যেসব কারণে আমরা প্যাকেজিং খাতের এত বড় বাজার ধরতে পারছি না সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সেগুলো সমাধানে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআই পরিচালক তপন কুমার মজুমদার বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার পেছনে বিরাট ভূমিকা রেখেছে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজসহ দেশীয় শিল্পকে বিকশিত করার কোনো বিকল্প নেই।
এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি ড. যশোধা জীবন দেবনাথ বলেন, ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এখন বাংলাদেশের। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির যাত্রায় ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের উন্নয়নে কাজ করার বিকল্প নেই।
বৈঠকে ব্যবসায়ীরা রাজস্ব ও বন্দর কর্মকর্তাদের হয়রানি, মাত্রাতিরিক্ত লাইসেন্স ও নবায়নের বিধান ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশে অন্যতম বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেন। এসময় তৈরি পোশাকশিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, আমির হোসেন নূরানি, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান, সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
সংবাদপত্র শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে: মাহবুবুল আলম
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রেস ও মিডিয়াকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এজন্য সংবাদপত্র শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে সংগঠনটির প্রেস ও মিডিয়া বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ দাবি জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে দেশের গণমাধ্যম। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রেস ও মিডিয়াকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এজন্য সংবাদপত্র শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম মালিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদমাধ্যমের চ্যালেঞ্জগুলোকে চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানে এই শিল্পের সব অংশীজনকে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সম্পৃক্ত করে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির তাগিদ দেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী। সংবাদ মাধ্যমের মালিক, সংবাদকর্মী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এম. শোয়েব চৌধুরী বলেন, অন্যান্য শিল্পের মতো সংবাদ মাধ্যমকেও ব্যবসা করে টিকে থাকতে হয়। কাজেই অন্যান্য খাতের ন্যায় সংবাদ মাধ্যমকেও কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়া উচিত। তাই কাগজ, কালি, ছাপার যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত কর কমিয়ে আনা দরকার। টেলিভিশনের ব্যান্ডউইথের ওপরও বিদ্যমান কর কমানো প্রয়োজন। সম্পূরক বাজেটে প্রেস ও মিডিয়ার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখাসহ এই শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের সংকট দূর করতে কমিটির উদ্যোগে একটি কৌশলপত্র তৈরি করে তথ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক এবং অংশীজনদের নিয়ে শীঘ্রই সেমিনার আয়োজন করা হবে বলেন জানান কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মো. রাকিবুল আলম (দিপু)। এজন্য কমিটির সদস্যদের সুনির্দিষ্ট মতামত লিখিত আকারে জমা দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের জন্য কর সহনীয় করা, সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন-বোনাস ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত, এ খাতে ব্যবহৃত উপকরণ ও যন্ত্রাংশ প্রাপ্তি সহজীকরণ, ক্রোড়পত্র ও বিজ্ঞাপন প্রাপ্তিতে পত্রিকাগুলোর সম-অধিকার নিশ্চিতকরণ, সরকারের কাছে বিজ্ঞাপন বাবদ প্রাপ্ত বিল দ্রুত পরিশোধ করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব মুক্ত আলোচনায় তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এফবিসিসিআই’র উদ্যোগে প্রতি ৩ মাস পর পর সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের মালিক, সম্পাদকসহ, ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়মিত সৌজন্য সভা আয়োজনের আহ্বান জানান তারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পর্যটন খাতে অবদানে পুরস্কার দেবে টোয়াব
বাংলাদেশের পর্যটন খাতে অবদানের জন্য ট্যুর অ্যাজেন্সিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সাংবাদিকদের ‘টিটা অ্যাওয়ার্ড’ দেবে দেশের পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
সোমবার (২০ মে) রাজধানীর একটি তারকা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ‘টোয়াব’ সভাপতি শিবলুর আযম কোরেশী জানান, আগামী ২৯ মে বনানীস্থ হোটেল শেরাটন ঢাকায় এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি এতে প্রধান অতিথি থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িতদের জন্য এ জাতীয় একটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে দেশের পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন টোয়াবের সবার উদ্যোগে টিটা অ্যাওয়ার্ড প্রদান প্রোগ্রামটি করতে যাচ্ছি। এই অ্যাওয়ার্ড এমন ব্যক্তি, সংস্থা ও উদ্যোগকে সম্মান জানানোর একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে যারা স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মূল্যবান অবদান রেখে চলেছেন। তাদের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করাই আমাদের উদ্দেশ্য। প্রথম আসরে প্রায় ২০টি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে পর্যটন সেবার বিভিন্ন খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী বলেন, সরকারসহ সবাই ট্যুরিজমের প্রতি ফোকাস করছেন। টোয়াবের নেতারা আছেন যারা এই সেক্টরকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আমি মনে করি, এটা আন্তর্জাতিক মানের হওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের যে মান তার উন্নয়নে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে পুরস্কার দিয়ে সেটার স্বীকৃতি প্রদান করবেন। কারা ট্যুরিজমে অবদান রাখছে, কিভাবে তারা কমপ্লায়েন্সে অবদান রাখছে, সব বিষয়ে পুরস্কার থাকবে। আমি অনুরোধ করব, যারা ডেডিকেশন দিয়ে কাজ করছে পুরস্কারের তালিকায় তাদের নাম থাকা উচিত। এর মাধ্যমে সবার মাঝে একটি প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। এর ফলে জিডিপিতে এ খাত আরো বেশি অবদান রাখবে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ‘আমরা যারা ট্যুরিজম বিভাগে যারা কাজ করি তাদের কিন্তু একটা স্বপ্ন থাকে। যখন কাউকে পুরস্কার দেয়া হয় তখন তার কাজের গতি বেড়ে যায়। এ খাতে আমরা শুধু সেফটি সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করি। তবে যারা আমাদের হেল্প করছে তাদের সাথে চুক্তি করছি। রেস্টুরেন্টগুলোতে যাতে নিরাপদ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত হয় এবং পর্যটকরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সে জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ একটি অ্যাপস তৈরির কাজ করছে।’
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা আকতার আহমেদ বলেন, ‘টোয়াব সবসময় আমাদের নতুন কিছু দেয়। তাদের কাছ থেকে যেসব আইডিয়া আসে সব ইনোভেটিভ আইডিয়া। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।’
টোয়াবের সদ্য সাবেক সভাপতি মো: রাফেউজ্জামান টোয়াব ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড (টিটা) সম্পর্কে আলোচনা করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বিএসটিআইকে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা হচ্ছে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-কে একটি আন্তর্জাতিকমানের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিএসটিআই’র সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে দক্ষ জনবল নিয়োগ, যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন, বিশ্বমানের ল্যাবরেটরি স্থাপন, ওয়ানস্টপ সেবা চালু ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হলে বিএসটিআই একটি আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে।
সোমবার (২০ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআই সভাকক্ষে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই আয়োজিত ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আজকের পরিমাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসটিআই’র মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিএসটিআই’র পরিচালক (মেট্রোলজি) প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আইএসও-এর সদস্য পদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের ভোক্তা সাধারণের জন্য মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা বিধানে অত্যন্ত সুনাম ও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্ব ও আঞ্চলিক ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে বিএসটিআই’র আধুনিকায়নে বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বিএসটিআই’র জন্য ল্যাবরেটরি সমৃদ্ধ ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন। আমদানি ও রপ্তানি-বাণিজ্যে সহায়তা দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম ও খুলনা বিএসটিআই কার্যালয়কে আধুনিক ল্যাবরেটরি সমৃদ্ধ কার্যালয়ে রূপান্তর। বিএসটিআই’র পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষণ ল্যাবরেটরি সম্প্রসারণের জন্য আরও ৬৮টি নতুন ল্যাব স্থাপন ও বিদ্যমান ল্যাব আধুনিকায়ন। দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বিএসটিআই হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া। ওজন ও পরিমাপের আধুনিক সেবা নিশ্চিতকরণে ২১টি নতুন ল্যাব স্থাপন ও বিদ্যমান ল্যাব আধুনিকায়ন এবং প্রয়োজনীয় জনবল সৃজন। ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিএসটিআই’র কার্যক্রম বিভাগ থেকে জেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতিসংঘ যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো সঠিক পরিমাপ। সে বিবেচনায় এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়টি গুরুত্ব বহন করে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ু দূষণের মতো পরিবেশের জটিল চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ ও মোকাবিলা করার জন্য সঠিক পরিমাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক পরিমাপ গণনা ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পরিবেশের কার্বনের পরিমাপ জানা যাবে, যা প্রকারান্তরে কার্বন দূষণ রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, পবিত্র কোরআনের সুরা আর রাহমানের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর আয়াতে ন্যায্য ওজন ও পরিমাপের কথা বলা হয়েছে। আর এটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই। এজন্য বিএসটিআই’র কর্মকর্তাদের সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই পণ্যের ভোক্তা ও গ্রাহকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে ও তারা প্রতারিত হবেন না।
তিনি আরও বলেন, পণ্যের সঠিক মান ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে পারলে মানুষ একটু বেশি দামে হলেও গুণগত পণ্য কিনতে উৎসাহিত হবেন। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের ফুড ও মেডিকেল ল্যাবরেটরিগুলোর অ্যাক্রেডিটেশন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সিনিয়র সচিব এ বিষয়ে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পোশাকখাতে ইইউর সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান বিজিএমইএর
পোশাক খাতের উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
রবিবার (১৯ মে) সংগঠনটির সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, স্পেন এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এই আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস-মোলার, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দো, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের চার্জ ডি’ অ্যাফেয়ার্স থিজস ওয়াউডস্ট্রা, ইউ ডেলিগেশনের উপপ্রধান (ডেপুটি হেড অব মিশন) ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার, স্প্যানিশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল অ্যাটাশে এসথার পেরেজ তাহোসেস এবং বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধি দলের বাণিজ্য উপদেষ্টা আবু সৈয়দ বেলাল। বৈঠকে বিজিএমইএ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল (দীপু), সহ-সভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন দিকগুলো বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের কল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিল্পের অর্জনগুলো তুলে ধরেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা, বিশেষ করে চলমান ইবিএ স্কিম থেকে জিএসপি প্লাস এ উত্তোরণের সময়কাল বৃদ্ধি করে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তোরণের পরও বাংলাদেশ যাতে করে তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য এই সম্প্রসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিউ ডিলিজেন্স ডিটেকটিভ ও অন্যান্য আসন্ন প্রটোকলগুলো অনুসরণ করার ক্ষেত্রে শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ইইউ এর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সবচেয়ে বড় বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ইইউ-এর সহযোগিতা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য ইইউ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি পণ্যের ন্যায্য মূল্য এবং এথিক্যাল সোর্সিং নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ক্রেতাদের আহ্বান জানানোর জন্য রাষ্ট্রদূতদের অনুরোধ করেন। বিজিএমইএ নেতারা অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ইইউর সাথে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ব্যাংকগুলো ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয় না: এফবিসিসিআই সভাপতি
দেশের ব্যাংকগুলো ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয় না, বড় ব্যবসায়ীদের দেয় বলে অভিযোগ করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) পণ্য মেলা ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, করোনার সময় ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। তখন ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তখন প্রণোদনা না দিলে ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারতেন না।
এসএমইকে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখাতে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ। বিশেষ করে নারীরা। এখাতে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে দেশের ব্যাংকগুলো গ্রামপর্যায়ের অনগ্রসর, অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে ঋণ প্রদানে এগিয়ে আসলে এসএমই খাত আরও দ্রুত সমৃদ্ধ হবে বলেও জানান মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, কিন্তু দেশের বেশিরভাগ ব্যাংকই ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে চায় না। তারা ঋণ দেয় বড় বড় করপোরেট গ্রুপকে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক বড় ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়, তাতে সমস্যা নেই। তবে ছোট ব্যবসায়ীদেরও দিতে হবে। কারণ এসএমই সমৃদ্ধ হলে দেশ এগিয়ে যাবে।
এসময় দেশকে এগিয়ে নিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। নিজে চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণদের উদ্যোক্তা হয়ে অন্যকে চাকরি দিতে হবে। নারীদের আরও উদ্যোক্তা হতে হবে। নারীদের গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
কাফি