অর্থনীতি
১০০ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া তথ্য বলছে, দেশটির বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে গত ডিসেম্বরেই। অর্থাৎ ডলার প্রতি মূল্য ১১০ টাকা করে হিসেব করলে বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে নেয়ার ঋণের পরিমাণ প্রায় এগারো লাখ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৃহস্পতিবার ২০শে মার্চে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ঋণের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঋণের পরিমাণ একশো বিলিয়ন ডলার ছাড়ালেও তা জিডিপির তুলনায় বেশি নয়, বরং আরও ঋণ নেয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন জিডিপির তুলনায় একশো বিলিয়ন ডলার ঋণ বেশি না হলেও রাজস্ব আয়, রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স না বাড়াতে পারলে এবং একই সাথে বিদেশি ঋণের প্রবাহ কমিয়ে না আনতে পারলে এ ঋণই বিশাল চাপ তৈরি করতে পারে আগামী কয়েক বছরে।
বিশেষ করে ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এমনিতেই চাপের মধ্যে রয়েছে এবং এর মধ্যেই চলতি বছর থেকেই বড় বড় কিছু প্রকল্পের ঋণের কিস্তি শোধ করাও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি রপ্তানি ও রেমিট্যান্সও কাঙ্ক্ষিত আকারে বাড়ানো যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের সরবরাহ না বাড়ানো গেলে বিদেশি ঋণকে ঘিরে সংকট জোরালো হওয়ার আশংকা তৈরি হতে পারে বলছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে যখন মেগা প্রকল্পগুলোর মূল অর্থ পরিশোধ শুরু হবে তখন পরিস্থিতি কেমন হয় তা নিয়েই উদ্বিগ্ন অনেকে।
ঋণের মূল অর্থ দিতে হবে কখন
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কিছু মেগা প্রকল্পের মূল অর্থ পরিশোধ শুরু হবে ২০২৬-২৭ অর্থবছরে এবং সেই বছরে ৫৩১ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার কথা রয়েছে। এরপর ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৫১৯ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২৮-২৯ সালে ৫০৭ মিলিয়ন ডলার শোধ করার আশা করছে সরকার। অন্যদিকে, ২০২২-২৩ বছর থেকেই যে বৈদেশিক ঋণ শোধ করা শুরু হয়েছে সেগুলো মূলত ঋণের সুদ।
সরকারি হিসেব মতে আগামী জুলাই থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরে বিদেশি ঋণ হিসাবে চার দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার শোধের পরিকল্পনা আছে সরকারের। এরপর ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সুদসহ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ দাঁড়াবে অন্তত সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে মূলত ভারত, চীন এবং রাশিয়ার কাছ থেকেই ঋণ নিয়েছে বেশি। এসব প্রকল্প সময়মত শেষ না করতে পারলে ঋণ আরও বাড়তে পারে। তবে সব মিলিয়ে একটি দেশের বিদেশি ঋণ হচ্ছে, ওই দেশটি বিভিন্ন দেশ, বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে যে ঋণ নেয় সেটি।
বাংলাদেশ সাধারণত বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকে।
‘এটি সংকট নয়, তবে অস্বস্তির’
ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলছেন, জিডিপির অনুপাতে বিদেশি ঋণ এখনও কম- এটি সত্যি, কিন্তু এ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কোন অবকাশ নেই। “মনে রাখতে হবে ঋণের ব্যবহার কেমন হচ্ছে এবং সেখান থেকে ডলারের অংকে উৎপাদনশীলতা আসছে কি-না -এটি নিশ্চিত করতে না পারলে সংকট তৈরি হবে সামনে,” বলছিলেন তিনি।
অর্থনীতিবিদদের হিসেবে জিডিপির অনুপাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ এখন ২৩ থেকে ২৫ শতাংশের মতো। আবার বিদেশি ঋণ হিসেবে যে অর্থ বাংলাদেশ নিয়েছে তার মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ঋণ আছে। মি. হোসেন বলছেন, সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক ঋণ বেশী বেড়েছে। এগুলোর মেয়াদ কম কিন্তু খরচ বেশি। যেমন রূপপুর পরিমাণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে এবং পদ্মা সেতুতে রেল লাইন সংযোগ প্রকল্পের জন্য চীন বাণিজ্যিক চুক্তিতে শর্তযুক্ত ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ।
“এখন ধরুন, রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ আসলো এবং সেটি অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখলো। দেশের রপ্তানিও বাড়লো। তাহলে সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি প্রকল্প পেছাতে থাকে এবং সময়মত রিটার্ন না আসে – তাহলেই ঋণটা চাপ হয়ে উঠবে,” বলছিলেন মি. হোসেন।
আবার ডলার প্রবাহ না থাকলে সেটাও বহি:বাণিজ্যিক ভারসাম্যে যেমন চাপ তৈরি করবে, তেমনি বাজেটেও চাপ তৈরি করবে। সেক্ষেত্রে রাজস্ব আদায় না বাড়লেও ঋণ পরিশোধ কিন্তু সরকারকে করতেই হবে। সে কারণে পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলছেন, বিদেশি ঋণ জিডিপির তুলনায় যেমনই হোক দেখতে হবে সেটি রপ্তানির বিবেচনায় কেমন।
“এভাবে দেখলে বিষয়টি হবে অস্বস্তির, কারণ সত্যিকার অর্থে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি এখন কম। অথচ ঋণটা দ্রুত বাড়ছে,” বলছিলেন তিনি। তবে তা সত্ত্বেও একশো বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ হয়ে গেছে বলে এতে ঠিক ‘সংকট’ বলতে চান না তিনি। বরং তার ভাষ্য হলো- ‘এটি অস্বস্তির’।
উত্তরণের উপায় কী
আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, বিদেশি ঋণ নিয়ে এ অস্বস্তি মোকাবেলা করতে হলে এখনই ঋণ প্রবাহ কমিয়ে আনতে হবে, বিশেষ করে বাণিজ্যিক শর্তে ঋণ নেয়া অর্থাৎ সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট কমাতে হবে। “রাজস্ব আয়, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। তবে বাস্তবতা হলো রপ্তানি নির্ভরশীল হয়ে আছে একটি পণ্যের ওপর, যা অত্যন্ত ঝুঁকির বিষয়।
আবার রেমিট্যান্স প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে না। অর্থ পাচারের কারণে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। তবে আমরা যদি দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারতাম তাহলে এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি অনেক বাড়তো,” বলছিলেন তিনি। জাহিদ হোসেনও বলছেন যে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স না বাড়াতে পারলে বিদেশি ঋণ ভবিষ্যতে সংকটের জন্ম দিতে পারে।
“রাজস্ব আয় না বাড়ালে সরকারের ব্যয় কমানো একটি বিকল্প হতে পারে। এছাড়া নতুন ঋণ দিয়ে পুরনো ঋণ পরিশোধ অর্থাৎ রিফাইনান্সিংও অন্য একটি বিকল্প হতে পারে। তবে যেসব ব্যয় এখনই দরকার নেই, সেগুলো থেকে সরকার বিরত থাকলে ঋণের চাপ কমবে,” বলছিলেন মি. হোসেন।
এই দুইজন অর্থনীতিবিদই মনে করেন, বিদেশি ঋণের বিপরীতে টাকায় অর্থাৎ স্থানীয় মুদ্রায় রিটার্ন আসার কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ার কারণেও বিদেশি ঋণের ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। সেজন্য বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য যে বিদেশি ঋণ অপেক্ষমাণ আছে সেগুলোর অতিরিক্ত সুদের ব্যয় এড়াতে দ্রুত ব্যবহার দরকার বলেও মনে করেন তারা। তবে, এত সতর্কতা ও উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও আগামী দুটি অর্থ বছরে সরকারের বিদেশি ঋণের পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এর বিপরীতে রাজস্ব আদায়ে যে লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরে নির্ধারণ করা হয়েছিলো সেটি কতটা অর্জিত হয় তা নিয়েও অর্থনীতিবিদদের মনে সংশয় আছে।
চলতি অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাঁচ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলো সরকার। এ সময়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায় করার কথা। আর বাকি অর্থ অন্য উৎস থেকে সংগ্রহ করার কথা রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফ্রান্সের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহী এফবিসিসিআই
ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার ও দক্ষতা উন্নয়নে দেশটির সহযোগিতা চায় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। বাণিজ্য জোরদারে ফ্রান্সের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন মেদেফের সঙ্গে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনেও আগ্রহের কথা জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় অবস্থানরত ফ্রান্স দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জনান এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। ফ্রান্স দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে আমিন হেলালী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম রফতানি পণ্যের বাজার হিসেবে ধরা হয় ফ্রান্সকে। দেশটিতে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্যসহ বেশ কয়েকটি পণ্য রফতানি করছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য জোরদারে বাংলাদেশ রফতানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে আমিন হেলালী ফরাসি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করতে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান (টিটো), এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর ও ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যাটাচে ইয়ান রিগেলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৮ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
তথ্য মতে, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
গত মার্চ মাসে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টানা পঞ্চম দফায় কমলো সোনার দাম
চলতি মাসে টানা পঞ্চমবারের মতো সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৩১৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে হচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৭ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা এবং ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা কমানো হয়।
সবশেষ আজ (২৮ এপ্রিল) ভালো সোনার ভরি ৩১৫ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলো বাজুস। পাঁচ দিনে ভরিতে সোনার দাম কমেছে মোট ৬ হাজার ৮১৩ টাকা।
তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়েছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।
সোনা ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান
গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা-২০২০ এর আওতায় ১২টি সেক্টরের ২৯টি কারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করা হচ্ছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
তৈরি পোশাক (ওভেন): এআর জিনস প্রডিউসার লি., মাহমুদা এ্যাটার্স লিমিটেড, ইভিটেক্স ড্রেস শার্ট লিমিটেড, ডিজাইনার ফ্যাশন লিমিটেড, সাউদার্ন গার্মেন্টস লি., জিরাবো। তৈরি পোশাক (নিট): পাকিজা নিট কম্পোজিট লিমিটেড, ইপিলিয়ন নীটওয়্যারস লিমিটেড, লায়লা স্টাইল লি., জিএমএস টেক্সটাইল লিমিটেড, জেনেসিস ফ্যাশন্স লিমিটেড, অকো টেক্স লিমিটেড। টেক্সটাইল: ফোর এইচ ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড, পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস।
চা: মির্জাপুর চা বাগান, চাতলাপুর চা কারখানা, জেরিন চা বাগান, গাজীপুর চা বাগান। ৫. চামড়া (ফিনিশড গুডস): বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লি., এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, এফ বি ফুটওয়্যার লিমিটেড। চামড়া (ট্যানারি): এস এ এফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সিমেন্ট: লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড।
প্লাস্টিক: বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেড। ফার্মাসিউটিক্যালস: বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। টাইলস অ্যান্ড সিরামিক: শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড। ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক: ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসি। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ: আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফের কমলো সোনার দাম
দেশের বাজারে আরও কমানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৬৩০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার প্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।
আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল এবং ২৩ এপ্রিল তিন দফা সোনার দাম কমানো হয়। ২৫ এপ্রিল ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল দুই হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে চার দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ছয় হাজার ৪৯৭ টাকা কমলো।
শনিবার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।
কাফি