অর্থনীতি
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন জানুয়ারিতে
হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইল ফোনে ঘরে বসে খোলা যায় হিসাব। শহর থেকে গ্রামে মুহূর্তেই পাঠানো যাচ্ছে অর্থ। কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, ঋণ গ্রহণসহ যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন পরিষেবা। বিদেশ থেকে আসছে রেমিট্যান্স। ফলে বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) ওপর মানুষের আগ্রহের পাশাপাশি বাড়ছে নির্ভরশীলতা। গ্রাহকের সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও।
বুধবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে— বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই অঙ্ক এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। জানুয়ারিতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা।
এর আগে একক মাসে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত বছরের জুনে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেলেন সঙ্গে দিনদিন বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা। বর্তমানে বিকাশ, রকেটের, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। ২০২৪ সালের জুন মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৩ হাজার জন। গ্রাহক বেশি হওয়ার কারণ অনেক গ্রাহক একাধিক সিম ব্যবহার করছে। লেনদেনের সুবিধার্থে একাধিক সিমের হিসাব খুলছে।
নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৭১ লাখ ৮১ হাজার ও নারী ৯ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩২১টি।
এখন গ্রাহক ঘরে বসেই ডিজিটাল কেওয়াইসি (গ্রাহকসম্পর্কিত তথ্য) ফরম পূরণ করে সহজেই এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে হিসাব খুলতে পারছেন। ফলে গ্রাহক ঝামেলামুক্তভাবে হিসাব খুলতে পারছেন।
২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসের(এমএফএস) যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপর ‘নগদ’-এর অবস্থান।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এখন গাড়িচালক, নিরাপত্তাকর্মী ও গৃহপরিচারিকাদের বেতনও এখন দেওয়া হচ্ছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো সেবা মাধ্যম ব্যবহার করে। পোশাকখাতসহ শ্রমজীবীরা এমএফএস সেবার মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাচ্ছেন। যার ফলে দিনে দিনে নগদ টাকার লেনদেন কমে আসছে। এই প্রবণতা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানুয়ারি মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানো হয়েছে ৪০ হাজার ২২৮ কোটি টাকা আর উত্তোলন হয়েছে ৩৭ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। এসময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩৫ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ৪ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ২ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৫ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এছাড়া ৫৯৩ কোটি টাকার প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৮ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
তথ্য মতে, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
গত মার্চ মাসে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টানা পঞ্চম দফায় কমলো সোনার দাম
চলতি মাসে টানা পঞ্চমবারের মতো সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৩১৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে হচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৭ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা এবং ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা কমানো হয়।
সবশেষ আজ (২৮ এপ্রিল) ভালো সোনার ভরি ৩১৫ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলো বাজুস। পাঁচ দিনে ভরিতে সোনার দাম কমেছে মোট ৬ হাজার ৮১৩ টাকা।
তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়েছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।
সোনা ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান
গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা-২০২০ এর আওতায় ১২টি সেক্টরের ২৯টি কারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করা হচ্ছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
তৈরি পোশাক (ওভেন): এআর জিনস প্রডিউসার লি., মাহমুদা এ্যাটার্স লিমিটেড, ইভিটেক্স ড্রেস শার্ট লিমিটেড, ডিজাইনার ফ্যাশন লিমিটেড, সাউদার্ন গার্মেন্টস লি., জিরাবো। তৈরি পোশাক (নিট): পাকিজা নিট কম্পোজিট লিমিটেড, ইপিলিয়ন নীটওয়্যারস লিমিটেড, লায়লা স্টাইল লি., জিএমএস টেক্সটাইল লিমিটেড, জেনেসিস ফ্যাশন্স লিমিটেড, অকো টেক্স লিমিটেড। টেক্সটাইল: ফোর এইচ ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড, পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস।
চা: মির্জাপুর চা বাগান, চাতলাপুর চা কারখানা, জেরিন চা বাগান, গাজীপুর চা বাগান। ৫. চামড়া (ফিনিশড গুডস): বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লি., এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, এফ বি ফুটওয়্যার লিমিটেড। চামড়া (ট্যানারি): এস এ এফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সিমেন্ট: লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড।
প্লাস্টিক: বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেড। ফার্মাসিউটিক্যালস: বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। টাইলস অ্যান্ড সিরামিক: শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড। ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক: ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসি। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ: আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফের কমলো সোনার দাম
দেশের বাজারে আরও কমানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৬৩০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার প্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।
আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল এবং ২৩ এপ্রিল তিন দফা সোনার দাম কমানো হয়। ২৫ এপ্রিল ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল দুই হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে চার দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ছয় হাজার ৪৯৭ টাকা কমলো।
শনিবার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
এখন থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ নিতে হলে লাগবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র। সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো- ইকোনমিক জোন বা সরকার নির্ধারিত শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য কোনো স্থানে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ প্রদান না করা। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে।
এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩-এর ৪১(২)(ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককেও একই নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।