পুঁজিবাজার
ডিএসইর ফিক্স সার্টিফিকেশন পেল চার ব্রোকারেজ হাউজ
৭১ বছরে পদার্পণ করল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি। পুঁজিবাজারের ইতিহাসে আজকের দিনটি খুবই অর্থবহ ও গৌরবের৷ ডিএসইর ৭১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে চারটি ব্রোকারেজ হাউজকে ডিএসইর ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড রুমে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করেন ডিএসইর প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ইনচার্জ) সাত্বিক আহমেদ শাহ।
ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- প্রোডেনশিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড, রিলিফ এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, রয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার ও সিটিও (ইনচার্জ) মো. তারিকুল ইসলাম, ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়ের, আইসিটি ডিভিশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসানুল করিম, প্রোডেনশিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল ইসলাম, রিলিফ এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানজির নেওয়াজ খান, রয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. মনির আহমেদ এবং শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন খান।
সাত্বিক আহমেদ শাহ বলেন, ডিএসইর ৭১ বছরে পদার্পণে আমি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে চারটি ব্রোকারেজ হাউজকে ডিএসইর ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করতে পেরে আনন্দিত৷ এ জন্য নিজেকে গর্বিত মনে করছি। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ৭১ সংখ্যাটা আমাদের অন্তরের সঙ্গে গেঁথে রয়েছে৷ এই ৭১ বছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সনাতনী ক্রাইআউট থেকে অটোমেশন, অটোমেশন পরবর্তী সিডিএস, সিডিএস পরবর্তী ডিমিউচুয়ালাইজেশন হয়ে অত্যাধুনিক স্টক এক্সচেঞ্জে পরিণত হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জটির ৭১ বছর পদার্পণকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে ‘স্মার্ট পুঁজিবাজার’ রূপান্তর করব- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আধুনিক স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে তাল মিলিয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলো যদি পর্যায়ক্রমে এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করে তাহলে গ্রাহক সেবার মান অধিকতর উন্নতি হবে। যা পুঁজিবাজার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ের সাথে তাল মিলিয়ে পুঁজিবাজারে সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের বিশেষ অঙ্গীকার। সে লক্ষ্যেই দেশের পুঁজিবাজারকে ডিজিটাল পুঁজিবাজার থেকে স্মার্ট পুঁজিবাজার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আমরা সব সময় মনে করি শেয়ারবাজার যদি তার প্রাথমিক লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে চায়, সেক্ষেত্রে উন্নত ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প কিছু নেই। এ বিষয়টি প্রথম থেকেই আমরা গুরুত্ব দিয়ে আসছি। ফিক্স সার্টিফিকেশনের এই বিষয়টি আমাদের অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং একটি দক্ষ পুঁজিবাজার গড়ে উঠবে।
মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের পক্ষে উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়ের স্বাগত বক্তব্যে বলেন, একজন নতুন ট্রেকহোল্ডার নিজস্ব ওএমএসের মাধ্যমে ট্রেড পরিচালনা করতে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ২০২১ সাল থেকে এপিআই ভিত্তিক (বিএইচওএমএস) চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই প্রেক্ষিতে ৫২টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করে। ইতোমধ্যে ৯টি ব্রোকারেজ হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন গ্রহণ করেছে এবং ৬টি ব্রোকার হাউজ নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেনও শুরু করেছে।
আইসিটি বিভাগের পক্ষে উপ-মহাব্যবস্থাপক এ এন এম হাসানুল করিম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, তিনি উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজস্ব ওএমএস চালু করায় সাধুবাদ জানিয়ে যথাযথ বিজনেস ও আইসিটি কমপ্লাইয়েন্স মেনে চলার অনুরোধ জানান।
তিনি আরো বলেন, এই সার্টিফিকেশন প্রদানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ট্রেকের ওএমএস এক ধাপ এগিয়ে মূল ট্রেডিং সিস্টেম এ ট্রেড করার যোগ্যতা অর্জন করলেও সিস্টেমটি সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক বেশি যত্নশীল থাকতে হবে।
আইসিটি ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার ও সিটিও (ইনচার্জ) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের যে সেন্ট্রাল অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) রয়েছে সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ফিচার কাঠামো রয়েছে। এটা সকল ব্যবহারকারীর জন্য সমান। ব্রোকার হোস্টেড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) এর মাধ্যমে একজন ব্রোকার তার বিনিয়োগকারীদের নিজের সুবিধামত ভ্যালু এডেড সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) কাছ থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন প্রোডেনশিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল ইসলাম, রিলিফ এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানজির নেওয়াজ খান, রয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. মনির আহমেদ এবং শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন খান।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত ব্রোকারেজ হাউজ ও ভেন্ডর কোম্পানি কুয়ান্ট ফিনটেক লিমিটেড এবং নিরুপন লিমিটেডের প্রতিনিধিবৃন্দ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ মার্চ,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোমবার (১৩ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৭২ পয়সা।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি অর্থের প্রবাহ বা ক্যাশ-ফ্লো ছিলো মাইনাস ৫ পয়সা, যা আগের বছরে ছিলো ২৩ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৫১ টাকা ৭৬ পয়সা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিএটিবিসির আয় কমেছে ৯ শতাংশ
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৪- মার্চ’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি)।
সোমবার (১৩ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ৮ টাকা ৪৪ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় কমেছে ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৯৮ পয়সায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে যে কোন পলিসি তৈরি করতে হবে: ডিএসই চেয়ারম্যান
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষিত করে যে কোন পলিসি তৈরি করতে হবে। স্বার্থ সংরক্ষণ মানে এই না যে, মার্কেটকে উন্মুক্ত করে দেয়া। এটা হলো মার্কেটকে সিকিউর করা। আবার সিকিউর করতে গিয়ে যেন ভালো বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
সোমবার (১৩ মে) নিকুঞ্জে ডিএসইর নিজস্ব কার্যালয়ে সিইও ফোরামের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট মোঃ ছায়েদুর রহমান ও সংগঠনটির ৩০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি ডিএসই’র প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্বিক আহমেদ শাহ, প্রধান রেগুলেটরী কর্মকর্তা খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বহুজাতিক কোম্পানি, ভালো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, আরএমজি সেক্টরের গ্রীন ফ্যাক্টরি কোম্পানিগুলো ও ইন্স্যুরেন্স খাতসহ অনেক ভালো খাত রয়েছে, যাদের বাজার আনার জন্য সুযোগ রয়েছে। শুধু ভালো কোম্পানিকে বাজারে আনতে একটি রিসার্স সেল তৈরি করে কাজ করতে হবে। পুঁজিবাজারকে ক্রান্তিকাল পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেজন্য বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিলে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্তির জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর এই দূরদর্শী নির্দেশনা পুঁজিবাজারের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক ও সময়োপযোগী৷ প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ স্টক এক্সচেঞ্জের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল৷ প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজারের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক বিধায় তার দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকারি লাভজনক কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে বিষয়ে আমরা সম্মিলিতভাবে কিভাবে কাজে লাগাতে পারি সে বিষয়ে আজকে সিইও ফোরামের সাথে বৈঠক। পর্যায়ক্রমে আমরা মার্কেট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন, ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় বসবো। যা পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে৷ এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে৷ আমাদের সকলের উদ্দেশ্য হলো পুঁজিবাজারকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা সকলে এক সাথে কাজ করবো। যা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কর নিয়ে ড. হাসান বাবু বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে অবশ্যই ট্যাক্স-এর একটা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকতে হবে। এ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছি। এনবিআর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমরা কিছুটা সমাধান পাব বলে আশা করি। আর একটা বিষয় হলো দ্বৈতকর। দ্বৈতকর একজন বিনিয়োগকারীকে পুঁজিবাজারে আসতে নিরুৎসাহিত করে। আর একটি বিষয় হলো পলিসি সম্পর্কিত বিষয়। তাই রেগুলেটরের সাথে আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা কয়েকমাস আগে বিজিএমই’র প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক করি৷ সেখানে গ্রীণফ্যাক্টরীগুলো তালিকাভুক্তির জন্য আলোচনা হয়। এছাড়াও আমরা বিকেএমই’র সাথে একই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারাও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরা একই উদ্দেশ্যে ইন্স্যুরেন্স সেক্টরের সাথে বসব। এজন্য আমরা সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে একটি গঠনমূলক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে বসবো৷
ড. হাসান বাবু আরও বলেন, বিএসইসি’র চেয়ারম্যান আইপিও’র ক্ষেত্রে যে ইতিবাচক মন্তব্য করেছে তা আমাদের কাজে অনুপ্রেরণা দিবে। আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করবো। পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আমাদের কাজ করতে হবে। একইসাথে আমাদের ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়াও পুঁজিবাজারের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোকে মূল কোম্পানিগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে।
সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্টসহ অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দরা বলেন, বাজারের উন্নয়নে এর আগে আমরা অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। আমার মনে হয় সবার কাছে আমরা পৌঁছাতে পারিনি আমাদের বিষয়গুলো। অনেক আগে থেকে আমরা তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে করের ব্যাবধান বৃদ্ধি করতে বলে আসছি। কিন্তু এর কোনো প্রতিফলন আমরা দেখতে পায়নি। যদি করের ব্যবধান বাড়ানো না হয়, তাহলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনতে পারব না।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারের লভ্যাংশের উপর আকৃষ্ট হচ্ছেন না এর অন্যতম কারণ হল দ্বৈত কর। লভ্যাংশে একবার কর্পোরেট ট্যাক্স দেওয়া হচ্ছে এরপর আবার বিনিয়োগকারীদেরকে পুনরায় কর দিতে হয়। বাংলাদেশে ব্যাংক ঋণ অত্যন্ত সহজলভ্য হবার কারণে ভালো ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে না। এছাড়া আমাদের বাজার ইক্যুইটি কেন্দ্রিক হওয়ায় এখানে উত্থান-পতন বেশি দেখা যায়। তাই বাজারে কিভাবে পণ্য বৈচিত্র্যতা বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোমবার (১৩ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৬৩ পয়সা।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি অর্থের প্রবাহ বা ক্যাশ-ফ্লো ছিলো ৫৩ পয়সা, যা আগের বছরে ছিলো ৯২ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২২ টাকা ২৪ পয়সা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারকে দেশের অর্থনৈতিক হাবে প্রতিষ্ঠিত করবো: ডিএসই চেয়ারম্যান
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন,পুঁজিবাজারকে আমরা দেশের অর্থনৈতিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করবো।
সোমবার (১৩ মে) নিকুঞ্জে ডিএসইর নিজস্ব কার্যালয়ে সিইও ফোরামের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্থনীতিতে সুবাতাস নিয়ে আসতে এবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কোম্পানিগুলো যাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এ বিষয়ে কাজ করতে অর্থবিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য পুঁজিবাজার দেশের ইতিহাসে এখনো অর্থনীতিতে কোন অবদান রাখতে পারেনি।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হলো কীভাবে দেশের অর্থনীতে অবদান রাখা যায় এবং পুঁজিবাজার গতিশীল করা যায়। একটা রোডম্যাপে আগাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে সিইও ফোরামের সাথে আমরা বৈঠক করেছি। লং-টার্ম বিনিয়োগ ছাড়া পুঁজিবাজার গতিশীল হবে না। এজন্য আমরা এই বিষয়ে কাজ করছি। আমাদের মানি মার্কেট থেকে ক্যাপিটাল মার্কেটের দিকে ধাবিত হতে হবে।
ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, বিএসইসির চেয়ারম্যানের আইপিওর ক্ষেত্রে যে ইতিবাচক মন্তব্য করেছে তা আমাদের কাজে অনুপ্রেরণা দিবে। আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করব। পুঁজিবাজারের এই নেতিবাচক সময়ে সংকট কাটিয়ে উঠতে সিইও ফোরাম কর নীতি, বাজারে পণ্য বৃদ্ধি সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। অপরদিকে সমস্যা সমাধানে বিএসইসির সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানিয়েছে ডিএসই চেয়ারম্যান।
হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, চলতি বছরের শুরুতে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হলে ধারাবাহিক পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। পরে শেয়ারদর সর্বনিম্ন তিন শতাংশ কমার সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এতে ধীরে ধীরে কিছুটা গতি আসে পুঁজিবাজারে।
তিনি বলেন, ডিএসই কখনো চায়না বিনিয়োগকারীরা নিরাশ হোক। আমরা কখনো আর্টিফিশিয়ালি মার্কেট পছন্দ করিনা। বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের পরামর্শ আমরা পজিটিভলি দেখছি। তার বক্তব্য ও নির্দেশনা আমাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। সবশেষ পুঁজিবাজারকে আমরা দেশের অর্থনৈতিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করবো।