অর্থনীতি
মুডিস রেটিংয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ‘নেতিবাচক’ থেকে ‘স্থিতিশীল’
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা বা ঋণমান নিরূপণকারী সংস্থা মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিস বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ‘নেগেটিভ’ থেকে ‘স্থিতিশীল’ রেটিং দিয়েছে সংস্থাটি। মুডিস হলো বিশ্বের তিনটি বড় রেটিং এজেন্সির অন্যতম।
দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে যখন দেশে-বিদেশে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে তখনি এমন একটি সংবাদ আসে দেশের ব্যাংক খাতের জন্য। এ রেটিংয়ের ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চাপ থেকে মুক্তি দেবে।
মুডিস একটি প্রতিবেদনে জানায়, চলমান সম্পদ-গুণমানের অসুবিধা সত্ত্বেও লাভজনক এবং তারল্যের চাপ হ্রাস পেয়েছে যা আমাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়েছে। স্থির নেট সুদের মার্জিন এবং ক্রেডিট খরচের কারণে লাভজনক স্থিতিশীল হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলধনও স্থিতিশীল হবে কারণ অভ্যন্তরীণ মূলধন উৎপাদন মূলধন ব্যবহারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এটি বলেছে যে ঋণদাতাদের তহবিল এবং তারল্য শক্ত স্থিতিশীল হবে।
‘যখন সিস্টেমিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রয়োজন তখন ব্যাংকগুলোকে সরকার সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন’ রিপোর্টে বলা হয়।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, মুডির সর্বশেষ রেটিং বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি ইতিবাচক লক্ষণ। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী আস্থার ক্ষয় হয়েছে। তবে সর্বশেষ দৃষ্টিভঙ্গি এটিকে প্রতিরোধ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ঋণ কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং খাতে বেশ কয়েকটি সংস্কার পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। সংস্কারগুলি নেওয়ার পর এক বছর হয়ে গেছে এবং কিছু উন্নতি ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। তিনি বলেন, তারা আরও অগ্রগতি আশা করছে। মুডির সর্বশেষ দৃষ্টিভঙ্গি সংস্কারের প্রতিফলন হতে পারে।
গত বছরের মার্চে যখন বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণ কর্মসূচির জন্য গিয়েছিল তখন মুডিসের রেটিং স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক পর্যায়ে নামিয়ে এনেছিল।
মুডিস তার সাম্প্রতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে উল্লেখ করেছে,অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে যাওয়া এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে অর্থনীতির পরিচালন পরিবেশের অবনতি ঘটবে।
বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল। ২০২৪ সালের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে ৬ শতাংশ এবং ২০২৫ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে ধীর হবে বলে ধারণা করছে মুডিস।
মুডিস জানান, বাহ্যিক চাহিদার দুর্বলতা এবং ক্রমাগত উচ্চ আমদানি মূল্য এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সংযম হবে। ফলে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি মাঝারি আকারে প্রসারিত হবে।
ব্যাংকিং সেক্টরে নিয়ে মুডিস বলছে, সম্পদের ঝুঁকি বাড়তে থাকা সত্ত্বেও, ঋণ-ক্ষতির বিধানগুলো বিস্তৃতভাবে স্থির থাকবে কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যাংকগুলোকে সক্রিয়ভাবে পুনর্গঠন বা সমস্যা এক্সপোজারগুলো পুনঃনির্ধারণ করতে এবং ঋণগুলোকে পারফরম্যান্স হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে চালিয়ে যাচ্ছে৷ এটি ব্যাংকের মূলধন স্থিতিশীল হওয়ার পূর্বাভাস দেয়।
মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিসেসর আশা বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ মূলধন উৎপাদন মূলধন খরচের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে। তবে, ব্যাংকগুলোর বর্তমান মূলধনের মাত্রা পরিমিত থাকবে। তবে তুলনামূলকভাবে দুর্বল মূলধন বাংলাদেশী ব্যাংকগুলোকে বড় এবং অপ্রত্যাশিত ঋণ ক্ষতির বিরুদ্ধে সীমিত বাফার দেবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো উচ্চ স্তরের অকার্যকর ঋণ এবং সরকারী মূলধনের অনুপস্থিতির কারণে তাদের দুর্বল উপার্জন ক্ষমতার কারণে পুঁজিবদ্ধ থাকবে।
মুডিস বলেছে, ব্যাংকগুলোর তহবিল এবং তারল্য স্থিতিশীল হবে কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানি সীমাবদ্ধ করার পদক্ষেপ এবং ঋণপত্র খোলার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বহিঃপ্রবাহ কমাতে সাহায্য করেছে৷ রেমিট্যান্সের জন্য সরকার এবং ব্যাংকগুলোর প্রদত্ত প্রণোদনা বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে কিন্তু তাদের কার্যকারিতা সীমিত থাকবে।
বাংলাদেশী ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রার তারল্যের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও দেশের ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তাদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। কারণ প্রয়োজনের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ডলারে তাদের প্রবেশাধিকার সীমিত হবে বলেও জানানো হয় মুডিসের প্রতিবেদনে।
সরকার ব্যাংকগুলোকে সমর্থন করবে বলে মুডিস আশা ব্যক্ত করেছে। বিশেষ করে বৃহত্তরগুলো, যখন প্রয়োজন হয় তখন নিয়ন্ত্রক সহনশীলতা এবং তারল্য ব্যবস্থার মাধ্যমে।
কাঠামোগত দুর্বলতা, শিথিল প্রবিধান এবং দুর্বল কর্পোরেট গভর্নেন্স, সম্পদের ঝুঁকি তৈরি করবে। ফলস্বরূপ, স্ট্রেসড লোন, যার মধ্যে অপারফর্মিং লোনের পাশাপাশি পরিবর্তিত অর্থপ্রদানের শর্তাবলীসহ লোনগুলোও উচ্চতর থাকবে বলে জানানো হয়।
জাহিদ হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্মার্ট সুদের হার ব্যবস্থা চালুসহ কিছু নীতিগত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এছাড়া ডলারের অবস্থারও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এটি মুডিসের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সহায়ক হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফরিদপুরে ২০০ কোটি টাকার ভুট্টা উৎপাদন
পদ্মা নদীর ফরিদপুরের চরাঞ্চলকে শত শত একর জমি পড়ে থাকত অনাবাদি, চাষ হতো না তেমন কোনো ফসল। তবে পশুখাদ্যের চাহিদা মেটাতে কয়েক বছর আগে চরাঞ্চলে ভুট্টা চাষ শুরু হলেও সম্প্রতি বছরগুলোয় ভুট্টার আবাদ বেড়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
তথ্যমতে, গত রবি মৌসুমে ফরিদপুরে ছয় হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। শস্যটি উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টন, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। আর খরিপ-১ মৌসুমে ৪৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এরই মধ্যে তা দুই হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে গেছে। আবাদ এখনো চলমান। আবাদের অধিকাংশই পদ্মা নদীর চরাঞ্চলকেন্দ্রিক বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জেলার চরগুলোয় বছরের প্রায় সাত-আট মাস পানি থাকে না। উঁচু এলাকায় বেড়ে ৯-১০ মাস পর্যন্ত গড়ায়। ফলে জমিভেদে এখন বছরে দুই-তিনবার ভুট্টার আবাদ হচ্ছে চরাঞ্চলে। এতেই বাড়ছে ১২০ দিনের ফসলটির আবাদ ও উৎপাদন।
কৃষকরা জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে ১০ টনের বেশি ভুট্টা উৎপাদন হয়। মণপ্রতি বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। হেক্টরপ্রতি চাষাবাদ খরচ ১০-১২ হাজার টাকা হলেও গড়ে ৪০-৪৫ হাজার টাকার ভুট্টা উৎপাদন হয়। এতে অন্য ফসলের তুলনায় যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলপি গ্যাসের নতুন দাম জানা যাবে কাল
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে)। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরামকো ঘোষিত মে (২০২৪) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ঘোষণা করা হবে।
এর আগে টানা আট মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয় এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া, গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এপ্রিলের ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ১৯০ কোটি ডলার
সদ্য সমাপ্ত এপ্রিল মাসের প্রথম ২৯ দিনে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ১৯০ কোটি ৮০ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে প্রবাসী আয়ের এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র মতে, এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে এসেছিল ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে পরের ১০ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। তাতে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে ছয় কোটি ডলার।
সাধারণত, ঈদের মাসে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ স্বাভাবিক মাসের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। এবার, এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছে। কিন্তু এ মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ না বেড়ে বরং সাম্প্রতিক সময়ের অন্য মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় শেষ পর্যন্ত খানিকটা কম হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে বাড়তি প্রবাসী আয় আসার প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও এবার তেমনটা দেখা যায়নি।
এর আগে মার্চ মাসে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার ও ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল।
বেশির ভাগ ব্যাংক এখন ১১৫ থেকে ১১৬ টাকা দরে প্রবাসী আয় কিনছে। তবে সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক বেশি দামেও ডলার কিনছে বলে জানা গেছে। যদিও ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকা। ফলে আমদানিকারকদেরকে অতিরিক্ত দামে ডলার কিনে আমদানি দায় মেটাতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তার ওপর। দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার এখনো উচ্চ রয়ে গেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আন্তর্জাতিক মে দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বুধবার (১ মে) সকালে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুর রহমান লিটন।
তিনি বলেন, আজ আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ফলে সরকারিভাবে ছুটি থাকায় দিবসটি উদযাপনে দুই দেশের পরিবহন শ্রমিক, মালিক ও ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এ কারণে আজ বুধবার সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে বলে জানান তিনি।
এ দিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুল বলেন, মে দিবস উপলক্ষে বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনের মতো আজও হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসায় যাত্রীরা চলাচল করছেন।
প্রসঙ্গত, ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওইদিন তাদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনার্জিপ্যাকের সাথে চীনের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
চীনের আনহুই প্রাদেশিক গণ-কংগ্রেসের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসির করপোরেট অফিস এনার্জি সেন্টার পরিদর্শন করে। আনহুই প্রাদেশিক গণ-কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়েই জিয়াওমিংয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ও চীনের সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে। পাশাপাশি চীনা প্রতিনিধিদল জাতীয় সংসদ, বিসিসিসিআই (বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি) ও ডিএনসিসি (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন) পরিদর্শন করে।
উৎপাদন খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এনার্জিপ্যাকের কমিটমেন্ট হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষায়িত যানবাহন (স্পেশাল পারপাস ভেহিকল) ও বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) অ্যাসেম্বল ও উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে জ্যাক ও হেলির মতো বৃহৎ চীনা প্রতিষ্ঠানের একমাত্র পরিবেশক হিসেবে এনার্জিপ্যাকের চলমান প্রকল্পগুলোর খুঁটিনাটি প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরা হয়।
এ বিষয়ে এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ূন রশিদ বলেন, বাংলাদেশে আমরা জ্যাক ও হেলির একমাত্র পরিবেশক। আমরা গত প্রায় দুই দশক ধরে তাদের সঙ্গে কাজ করছি এবং প্রতিনিয়ত তাদের নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আমাদের বাজারে নিয়ে আসছি। আমরা ইতোমধ্যে বিশ্বখ্যাত হেলি ব্র্যান্ডের ইলেক্ট্রিক লিফটিং মেশিনারিজ আনতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতে আরও নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। শিগগিরই আমরা পরিবেশবান্ধব টেকসই বিদ্যুৎ চালিত (ইলেকট্রিক) বাস ও ট্রাক বাজারে আনতে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ পরিদর্শনের অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরিদর্শনে বাংলাদেশে বিশেষ করে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি, বাণিজ্যিক যানবাহন ও কৃষিপ্রযুক্তির মতো উৎপাদন খাতে আনহুই প্রদেশের বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ওয়েই জিয়াওমিং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বাংলাদেশের চীনা দূতাবাস ও বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সমন্বয় ও প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ও আনহুই প্রদেশের মধ্যে ২০২৩ সালে ৩১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে এবং সামনে এই সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে চীনা বিনিয়োগকারীদের প্রবল আগ্রহের বিষয়টি আনহুই প্রতিনিধিদলের এনার্জিপ্যাক অফিস পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই পক্ষই তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করে, আগামীতে যা দুই দেশেরই আর্থিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে।
এমআই