ব্যাংক
শিক্ষার্থীদের আমানতের ৬৬ শতাংশ দুই বিভাগে
ব্যাংকিং সেবায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে ও তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবার সঙ্গে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে স্কুল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। তাতে সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে তাদের ব্যাংকিং হিসাবে জমা রাখে। তবে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়া আমানতের ৬৬ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশই বড় দুই বিভাগ ঢাকা ও চট্টগ্রামের।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মোট ব্যাংক হিসাবের ৪৫ শতাংশও খোলা হয়েছে এ দুই বিভাগে। দুই বিভাগের মধ্যে আমানত ও হিসাব সংখ্যার দিক থেকে আবার এগিয়ে আছে ঢাকা। মোট আমানতের ৪২ শতাংশ আর হিসাবের ২৩ শতাংশ ঢাকা বিভাগের শিক্ষার্থীদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের শেষে শিক্ষার্থীদের ৪০ লাখ ৪৫ হাজার ব্যাংক হিসাবে মোট জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য বিশেষ সুবিধাযুক্ত এই ব্যাংক হিসাবে ঢাকা বিভাগের শিক্ষার্থীদের আমানত রয়েছে ৯৭৩ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বিভাগের শিক্ষার্থীদের আমানত ৫২৮ কোটি টাকা। এই দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের আমানতের পরিমাণ ৬৬ শতাংশ।
আমানতের দিক থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পেছনে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের আমানতের পরিমাণ ১৯৭ কোটি টাকা। এর পরের অবস্থানগুলোতে আছে যথাক্রমে খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ। তালিকার তলানিতে থাকা ময়মনসিংহ বিভাগের শিক্ষার্থীদের আমানতের পরিমাণ মাত্র ৭৭ কোটি টাকা। আমানত ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম হলেও হিসাব সংখ্যার দিক থেকে সবার পেছনে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এই বিভাগে ২ লাখ ৩৫ হাজারের মতো শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব রয়েছে।
স্কুল শিক্ষার্থীদের মোট আমানতের ৭০ শতাংশ শহরের শিক্ষার্থীদের। মাত্র ৩০ শতাংশ গ্রামের শিক্ষার্থীদের। শহরের শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবে আছে ১ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। আর গ্রামের শিক্ষার্থীদের আমানতের পরিমাণ ৬৬৫ কোটি টাকা। অথচ মোট হিসাব সংখ্যার ৫৫ শতাংশ গ্রামের শিক্ষার্থীদের নামে খোলা হয়েছে। শহরের শিক্ষার্থীদের হিসাব সংখ্যা ৪৫ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
তিন ইসলামী ব্যাংকের ‘ঋণ কেলেঙ্কারি’ তদন্তের নির্দেশ বাতিল
ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্তের আদেশ বাতিল করেছে হাইকোর্ট। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রয়োজন মনে করলে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত জানান।
এর আগে বিদেশে এস আলম গ্রুপের সম্পদের অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত রুল চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ হাইকোর্ট তিন ইসলামি ব্যাংকের বিরুদ্ধে তদন্তের আদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন। এস আলম গ্রুপ এই তিনটি ব্যাংকের প্রধান শেয়ার হোল্ডার।
এ বিষেয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ ও সিআইডি চাইলে তিন ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্ত করতে পারে।
ওই তিন ইসলামি ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা উচিত হবে না এবং কেন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রুল জারি করেন।
অর্থ, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান এবং বিএফআইইউ এবং সিআইডির প্রধানদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত এ রুল জারি করেছিলেন আদালত।
২০২২ সালের নভেম্বরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর হাইকোর্ট বেঞ্চ তিন ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদক, বিবি, বিএফআইইউ ও সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্পদ কমেছে ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি
এক মাসের ব্যবধানে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল নিলামের মাধ্যমে ৩২টি ব্যাংক ও চারটি এনবিএফআই রেপো ও তারল্য সহায়তা সুবিধার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ধার নেয়। তারল্য সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া অব্যাহত রেখেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
ওই সময় জানা যায়, নিলামের মাধ্যমে ১৮টি ব্যাংক ও চারটি এনবিএফআই সাতদিন মেয়াদি রেপো সুবিধার মাধ্যমে ৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা ধার নেয়। আর একদিনের তারল্য সহায়তা সুবিধার মাধ্যমে ৫ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা ধার নিয়েছে ১৪টি ব্যাংক। সুদের হার ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ ও ৮ শতাংশ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হতে চায় না ন্যাশনাল ব্যাংক
এসবের মধ্যেই এবার ইউসিবির সঙ্গে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, একীভূতকরণ নিয়ে ব্যাংক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে অর্থ তুলে নিচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে গত ১৫ই এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিকদের ডেকে জানায় আপাতত পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে কোনো একীভূতকরণের আবেদন নেয়া হবে না।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিমের সঙ্গে পদ্মা একীভূত হওয়ার বিষয়ে এমওইউ সই করেছে। এছাড়া সিটির সঙ্গে বেসিক, সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএল, ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করা হবে। যদিও এর আগে গভর্নর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, ৮ থেকে ১০টি ব্যাংক একীভূত করা হবে।
আর্থিক খাতের দুরবস্থা কাটাতে কয়েক ব্যাংক বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতের জন্য দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক জারি করে। এর আলোকে একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, মূলধন পরিস্থিতি, ব্যবস্থাপনা ও তারল্য পরিস্থিতি এই ৪টি সূচকের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিধিনিষেধের চূড়ান্ত পর্যায়ে দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত না হলে মার্চ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এক করার কথা। এরপর গত ৪ঠা এপ্রিল ব্যাংক কিভাবে একীভূতকরণ করা হবে সে বিষয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালা অনুসরণ না করে কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এভাবে চাপিয়ে দেয়া নিয়ে ব্যাংক খাতে অস্বস্তি শুরু হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
মোংলায় রূপালী ব্যাংকে আগুন
বাগেরহাটে মোংলায় রূপালী ব্যাংক পিএলসির শাখায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে পৌর শহরের নিউমেইন রোড এলাকার তৃতীয় তলার ভবনের ওই ব্যাংকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ কাইমুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পৌর শহরের নিউমেইন রোড এলাকায় তৃতীয় তলার একটি ভবনে ওই ব্যাংকের পিএলসির শাখায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট একঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ি
সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা অবাধে প্রবেশ করে থাকেন। তবে গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারছেন না সাংবাদিকরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ জন্ম নেয়। এতে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বেলা ১১টার দিকে অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত মতে এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছেই আসতে পারবেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা যদি সাংবাদিকদের পাস দেন, সে ক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন, অন্য কোনো ফ্লোরে যেতে পারবেন না।
তবে আগের মতো তারা (সাংবাদিক) অবাধে কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।