আন্তর্জাতিক
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চম গ্লোবাল হজ সম্মেলন
আগামী ৯ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত “মক্কা থেকে বিশ্বে” শীর্ষক থিমে পঞ্চম গ্লোবাল হজ কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন আয়োজন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব।
এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়, যা অনুষ্ঠিত হবে জেদ্দা সুপারডোমে। এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী হজযাত্রীদের জন্য হজ ব্যবস্থাপনা ও সেবার মানোন্নয়নে সৌদি আরবের অব্যাহত প্রচেষ্টা তুলে ধরা।
হজ সম্মেলনটি হজযাত্রা উন্নয়নে জাতীয় উদ্যোগসমূহ উপস্থাপন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে—যেখানে ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আলোচনা হবে, যার মাধ্যমে হজ ব্যবস্থার গুণগত মান আরও উন্নত করা সম্ভব হবে।
এই আয়োজন সৌদি সরকারের বৃহত্তর কৌশলের অংশ, যার মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনায় অপারেশনাল, সংগঠনগত ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে হজযাত্রীদের জন্য আরও নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও প্রযুক্তিনির্ভর হজ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে।
৫২ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এই প্রদর্শনীতে ১৩টি খাতের ২৬০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে, যার মধ্যে রয়েছে পর্যটন, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচালনা খাত। সম্মেলনে থাকবে ৯৫ জন আন্তর্জাতিক বক্তা, ৮০টি প্যানেল আলোচনা, ৬০টি কর্মশালা, এবং ১০০টিরও বেশি উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন। আশা করা হচ্ছে, ইভেন্টটিতে ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী অংশ নেবেন, যারা সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসবেন।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এ সময় বেশ কয়েকটি নতুন উদ্যোগও উন্মোচন করবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:“এ’আশা-থন” – হজযাত্রীদের জন্য নমনীয় ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক খাবার সরবরাহের নতুন মডেল। “পবিত্র স্থানগুলিকে মানবিকীকরণ করা” – পবিত্র স্থানগুলোকে আরও আরামদায়ক ও মানবিক অভিজ্ঞতায় পরিণত করার উদ্যোগ। “টেকসই সমাধান” – পরিবেশবান্ধব শক্তি, স্মার্ট কুলিং প্রযুক্তি ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা। এছাড়া “উদ্ভাবন অঞ্চল”-এ ১৫টি প্রযুক্তি স্টার্টআপ অংশ নেবে, যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে ভিড় ব্যবস্থাপনা ও অপারেশন উন্নয়নে প্রতিযোগিতা করবে।
সম্মেলনের সময় হজ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কৌশলগত চুক্তি ও অংশীদারিত্ব স্বাক্ষরিত হবে, যা ডিজিটাল রূপান্তর, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং সেবার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
সম্মেলনে আলোচিত হবে তিনটি মূল বিষয়—ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, স্মার্ট ম্যানেজমেন্ট ও অপারেশনাল সাসটেইনেবিলিটি। এই বিষয়গুলো সৌদি ভিশন ২০৩০ ও “পিলগ্রিম এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রাম”-এর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত, যার লক্ষ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে হজযাত্রাকে আরও সহজ, নিরাপদ ও টেকসই করে তোলা।
সর্বোপরি, এই গ্লোবাল হজ কনফারেন্স ও এক্সিবিশন সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। এটি বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করে নবপ্রযুক্তি, স্মার্ট ব্যবস্থাপনা ও উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে হজ অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ ও আধ্যাত্মিকভাবে অর্থবহ করে তুলবে।
কাফি
আন্তর্জাতিক
ইউক্রেন এক বছরে ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে: রাশিয়া
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে প্রায় ৫ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলৌসোভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বোর্ড মিটিংয়ে এ দাবি করেন।
যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইউক্রেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম রাশিয়ান টেলিভিশন (আরটি) জানায়, বুধবার অনুষ্ঠিত ওই বোর্ড মিটিংয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বেলৌসোভ বলেন, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে প্রায় ৫ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এত বিপুল ক্ষতির কারণে নিকট ভবিষ্যতে কিয়েভের পক্ষে বাহিনী পুনর্গঠন করা কঠিন হবে। কারণ এই প্রাণহানির ফলে দেশটির বেসামরিক জনগণ সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানে আগ্রহ হারাচ্ছে।
তিনি আরও দাবি করেন, চলতি বছরে ইউক্রেন এক লাখ তিন হাজারের বেশি সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান, যেগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় ইউক্রেন পেয়েছিল।
উল্লেখ্য, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করা এবং ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কিয়েভের তদবিরকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
যুদ্ধ শুরুর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি একটি ডিক্রি জারি করেন। ওই ডিক্রির মাধ্যমে ইউক্রেনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
যুদ্ধের শুরুতে বেসামরিকদের জন্য ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগদানের সর্বনিম্ন বয়স ছিল ২৭ বছর। পরে তা কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়।
এমকে
আন্তর্জাতিক
রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আমিরাত
নতুন বছর সামনে রেখে পবিত্র রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি জানিয়েছে, ১৪৪৭ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদ মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি দেখা যেতে পারে। সে হিসাবে রমজান শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি। আর ২০২৬ সালে ঈদুল ফিতর শুরু হতে পারে শুক্রবার, ২০ মার্চ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, রমজান যদি ৩০ দিনে পূর্ণ হয়, তাহলে শেষ দিনটি ঈদের ছুটির সঙ্গে যুক্ত হয়। সে ক্ষেত্রে ১৯ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত টানা চার দিনের ছুটি পেতে পারেন দেশটির বাসিন্দারা।
২০২৬ সালে ঈদুল আযহা হতে পারে বছরের সবচেয়ে দীর্ঘ সরকারি ছুটি। এই ছুটি শুরু হবে আরাফাত দিবস (জিলহজ ৯) দিয়ে, এরপর জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ ঈদুল আযহা পালিত হবে।
ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিজ ডিপার্টমেন্টের (আইএসিএডি) সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আরাফাত দিবস পড়তে পারে মঙ্গলবার, ২৬ মে, আর ঈদুল আযহা শুরু হতে পারে বুধবার, ২৭ মে। ছুটি চলতে পারে শুক্রবার, ২৯ মে পর্যন্ত। এর সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হলে, বাসিন্দারা টানা ছয় দিনের ছুটি উপভোগের সুযোগ পেতে পারেন।
অন্যান্য ইসলামি উৎসবের মতোই, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ নির্ভর করবে সরকারি চাঁদ দেখার ঘোষণার ওপর। কর্তৃপক্ষ সময় ঘনিয়ে এলে আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটির তারিখ নিশ্চিত করবে। দেশটির সরকারি ১২ দিনের ছুটির বড় অংশই পড়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে।
দেশটির সরকারি আইন অনুযায়ী, ঈদের তারিখ পরিবর্তনযোগ্য নয়। ইসলামিক হিজরি ক্যালেন্ডার ও চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করেই ঈদের দিন নির্ধারিত হয়। তবে জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাব অনুযায়ী সম্ভাব্য তারিখ আগেভাগে অনুমান করা যায়।
আন্তর্জাতিক
হাসনাতের হুঁশিয়ারিতে আসামের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের ভারতবিরোধী মন্তব্য এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারির বিরুদ্ধে কঠোর সুরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে সংযুক্ত করা বা আলাদা করার ধারণা সম্পূর্ণ অরুচিকর, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বিপদজনক।
শর্মা বলেন, গত এক বছরে বারবার বলা হয়েছে যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করা উচিত। কিন্তু ভারত একটি বড় দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন কথা ভাবতে পারে? তিনি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি এমন শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব চলতে থাকে, ভারত চুপ থাকবে না। প্রয়োজনে সঠিক শিক্ষা দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে, টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি সেভেন সিস্টার্স খ্যাত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে সম্মান না করে—তাহলে বাংলাদেশ ভারতবিরোধী শক্তি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিতে পারে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) শর্মা এই মন্তব্যের জবাবে জানান, বাংলাদেশের রাজনীতিকরা যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে অনধিকার চর্চা অব্যাহত রাখে, তবে ভারতও চুপ থাকবে না, উচিত শিক্ষা দেবে।
ঘটনায় প্রতিক্রিয়ায়, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনকে হুমকি এবং বাংলাদেশি নেতাদের ভারতবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানানোর জন্য।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশ সীমান্তের ৮০ শতাংশ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিলো ভারত
দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে পাকিস্তান সীমান্তের ৯৩ শতাংশ এলাকা এবং বাংলাদেশ সীমান্তের ৮০ শতাংশ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া বসিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
মঙ্গলবার ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সঙ্গে ২ হাজার ২৮৯ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ৪ হাজার ৯৬ দশমিক ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে ভারতের। মঙ্গলবার লোকসভা অধিবেশনে নিত্যানন্দ রায় জানিয়েছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাকিস্তান সীমান্তের ২ হাজার ১৩৫ দশমিক ১৩৬ কিলোমিটার (শতকরা হিসেবে ৯৩ দশমিক ২৫ শতাংশ এলাকা) এবং বাংলাদেশ সীমান্তের ৩ হাজার ২৩৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার (শতকরা হিসেবে ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ এলাকা) এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া বসানো হয়েছে।
লোকসভা অধিবেশনে নিত্যানন্দ রায় আরও বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে ভঅরতের যে ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থল সীমান্ত রয়েছে, সেখানেও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ দশমকি ২১৪ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া বসানোর কাজ শেষও হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, চীন, মালদ্বীপ-এই আট দেশের সঙ্গে স্থল ও জলসীমান্ত আছে ভারতের।
এই স্থল ও জলসীমান্তের সম্মিলিত দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১৫ হাজার ১০৬ দশমিক ৭ বর্গকিলোমিটার এবং ৭ হাজার ৫১৬ বর্গকিলোমিটার। স্থল সীমান্তের হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সবচেয়ে দীর্ঘ।
লোকসভা অধিবেশনে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকানো এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত রাখতে সীমান্ত এলাকায় কড়াকড়ি আরোপকে গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র: এনডিটিভি।
এমকে
আন্তর্জাতিক
ফিলিস্তিনিসহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনি সহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই দেশগুলো হলো বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, সিয়েরা লিওন, লাওস এবং সিরিয়া।
গতকাল ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াই হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, “জাতীয় ও জন নিরাপত্তাজনিত হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা নিশ্চিত করতে স্ক্রিনিং, যাচাই-বাছাই এবং তথ্য ভাগাভাগির ক্ষেত্রে প্রদর্শিত, স্থায়ী এবং গুরুতর ঘাটতি থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।”
২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
এর আগে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই ১৯টি দেশ হলো আফগানিস্তান, মিয়ানমার, বুরুন্ডি, শাদ, কিউবা, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, সিয়েরা লিওন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।
পরে গত ৪ ডিসেম্বর দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এই তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা অন্তত ৩২টিতে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বাকি ১৩টি দেশের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী সিডনির বন্ডি সমুদ্রসৈকতে বন্দুক হামলায় ১৫ জন ইহুদি নিহত হন। এ ঘটনার জেরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যে ট্রাম্প প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে— তা তেমন অপ্রত্যাশিত ছিল না।
তবে সিরিয়ার নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারটি সেভাবে প্রত্যাশিত ছিল না। কারণ এই অল্প কিছুদিন আগেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ শারা হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করে গেছেন। সাবেক আলকায়দা জঙ্গি শারা’র এর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ছিল, হোয়াইট হাউসে তার সফরের আগে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক ইসলামপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের একজন দোভাষী নিহতের ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত শনিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প এই হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন এবং এর প্রতিক্রিয়ায় গুরুতর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
হোয়াইট হাউসের গতকালের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সিরিয়া দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ ও আভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে বেরিয়ে আসছে। যদিও দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে তার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করছে, তবুও সিরিয়ার পাসপোর্ট বা নাগরিক নথিপত্র প্রদানের জন্য দক্ষ ও পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের অভাব রয়েছে এবং তাদের যথাযথ স্ক্রিনিং এবং যাচাই-বাছাই ব্যবস্থা নেই।” সূত্র : রয়টার্স
এমকে




