Connect with us

বীমা

জেনিথ লাইফের ব্যয় কমেছে, বেড়েছে লাইফ ফান্ড-বিনিয়োগ

Published

on

আইডিএলসি ফাইন্যান্স

সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় কমেছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের। অপরদিকে বেড়েছে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ও বিনিয়োগের পরিমাণ। বছর শেষে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১০২ শতাংশ, বিনিয়োগ বেড়েছে ১৫ শতাংশ। আর ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমেছে ১৪ শতাংশ। কোম্পানিটির সমাপনী হিসাবে এ তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার (৩০ মার্চ) কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সমাপনী হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৩ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফ মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৩০ কোটি ৩ লাখ টাকা। এই প্রিমিয়াম সংগ্রহে ব্যয় হয়েছে ১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে মোট প্রিমিয়ামের ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

এর আগে ২০২২ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ৩০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর এই প্রিমিয়াম সংগ্রহে কোম্পানিটির ব্যয় হয়েছিল ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সে বছর কোম্পানিটি মোট প্রিমিয়ামের ৭০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ব্যয় করেছিল ব্যবস্থাপনা খাতে।

এই হিসাবে ২০২৩ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমেছে ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তবে অনুমোদিত ব্যয়সীমার চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

২০২৩ সালে বীমা কোম্পানিটির সংগৃহীত মোট প্রিমিয়ামের মধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় বর্ষ ৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং তৃতীয় ও তদুর্ধ্ব বর্ষের প্রিমিয়াম ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এর মধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয়ের দ্বিতীয় বর্ষ নবায়ন সংগ্রহের হার বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রিমিয়াম তামাদির হার কমেছে। ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম হওয়ায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে। সংগৃহীত প্রিমিয়াম ও বিনিয়োগ আয় থেকে বীমা দাবি পরিশোধ করার পর ২০২৩ সালে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে নতুন তহবিল যুক্ত হয়েছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

এর আগে ২০২২ সালে কোম্পানিটির সমাপনী তহবিল ছিল ৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ফলে ২০২৩ সাল শেষে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২৩ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১০২ শতাংশ।

সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছরে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২২ সালে ছিল ২৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২৩ সালে বীমা কোম্পানিটির বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ১৫.৩৫ শতাংশ। কোম্পানিটির মোট তহবিলের ওপর সরকারি খাতে বিনিয়োগ রয়েছে ৩৬.২৯ শতাংশ, যার পরিমাণ ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমরা গ্রাহক স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। এ জন্য আমাদের কোন গ্রাহকের বীমা দাবি পেন্ডিং নেই। ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের হারও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আশা করছি চলতি বছরে আমাদের ব্যবস্থাপনা ব্যয় সীমার নিচে চলে আসবে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার

সোনালী লাইফে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত

Published

on

আইডিএলসি ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর আগে ১৮ এপ্রিল কোম্পানির পর্ষদ স্থগিত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুলসহ এ বিষয়ে আদেশ দেন। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

১৮৮ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে আইডিআরএ সোনালী লাইফের পর্ষদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম এম ফেরদৌসকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। গত রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। প্রশাসক এম এম ফেরদৌস রোববারই যোগ দেন বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে।

প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার পর গতকাল সোমবার কোম্পানিটির স্বতন্ত্র পরিচালক কাজী মনিরুজ্জামানের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেন। কোম্পানিটির আগের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের পদত্যাগের পর গত জানুয়ারি থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন কাজী মনিরুজ্জামান।

সোনালী লাইফের পরিচালক ছিলেন ২০ জন। এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ, অর্থাৎ সাতজনই এক পরিবারের। অর্থ আত্মসাতের প্রধান ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। অন্যরা তাঁরই স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পুত্রবধূ ও মেয়ের জামাতা। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে নিরীক্ষক নিয়োগ, নিরীক্ষা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ, মালিকপক্ষের সশরীর শুনানি গ্রহণ ইত্যাদি প্রক্রিয়া শেষ করেই আইডিআরএ প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

আইডিআরএর মুখপাত্র ও পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, আইডিআরএর সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হলে যে কেউ আদালতে যেতেই পারেন। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইডিআরএ সোনালী লাইফের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে আইডিআরএর প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্তও হাইকোর্ট স্থগিত করে দিয়েছিলেন। কিন্তু চেম্বার জজ আদালত পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিলে আইডিআরএর সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে এবং প্রশাসক নিয়োগ হয়।

আইডিআরএর পক্ষ থেকে সোনালী লাইফকে ১৮ এপ্রিল চিঠি দিয়ে জানায়, কোম্পানির স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি দেশি বা বিদেশি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে সোনালী লাইফের ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা করা হবে প্রশাসকের দায়িত্ব।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

কর্পোরেট সংবাদ

ব্যাংকান্স্যুরেন্স ব্যবসা শুরুর অনুমতি পেল প্রাইম ব্যাংক

Published

on

আইডিএলসি ফাইন্যান্স

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকান্স্যুরেন্স ব্যবসা শুরুর অনুমতি পেয়েছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরীর হাতে অনুমোদনের এ চিঠি হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিআরপিডি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক আশরাফুল আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রাইম ব্যাংকের চিফ ব্যাংকান্স্যুরেন্স অফিসার মিয়া মোহাম্মদ রবিউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকাস্যুরেন্স মূলত ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব, যেখানে ব্যাংক কর্পোরেট এজেন্ট হিসেবে বীমা কোম্পানীর পণ্যগুলো তাদের নিজস্ব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে বিক্রয় করবে। গ্রাহকদের বিস্তর পরিসরে বিভিন্ন সেবা সরবরাহ এবং সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে প্রাইম ব্যাংক।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক হিসেবে ব্যাংকান্স্যুরেন্স সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্রাহকদের ইন্স্যুরেন্সের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সক্ষম হবে প্রাইম ব্যাংক।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বদলে যাচ্ছে বিমার নিয়ম, এক ছাদের নিচে ভারতের সব বিমা

Published

on

আইডিএলসি ফাইন্যান্স

বদলে যাচ্ছে বিমা। জীবন বিমা। স্বাস্থ্যবিমা বা অন্য যে কোনো বিমা। এবার থেকে ইন্স্যুরেন্স করালে আপনি আর কোনও কাগজের সার্টিফিকেট বা বন্ড পাবেন না। পহেলা এপ্রিল থেকেই ভারতে শুরু হয়ে গেছে নতুন নিয়ম। বিমা রাখা থাকবে ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্টে। তবে বিষয়টা এখনও অনেকে জানেন না। অনেকে আবার শুনে থাকলেও ঠিক ধারণা নেই।

যারা শেয়ার কেনা-বেচা করেন তাঁরা জানেন ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টে সমস্ত সংস্থার শেয়ার একসঙ্গে রাখা থাকে। এবার সেই ব্যবস্থাই সব ধরনের বিমার ক্ষেত্রেও চালু হতে চলেছে। ভারতের বিমা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আইআরডিএআই) নির্দেশ দিয়েছে এখন থেকে বিমা সংস্থাগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে গ্রাহককে ডিজিটাল মাধ্যমে পলিসি ডকুমেন্ট দিতে হবে। সমস্ত বিমা জমা থাকবে একটিমাত্র বৈদ্যুতিন ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্টে।

১লা এপ্রিল থেকেই যে নিয়ম চালু হয়ে গেছে। ফলে এবার আপনি কোনও বিমা কিনতে গেলে প্রথমেই ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এজন্য কোনও টাকা লাগবে না। ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্ট খোলার পর যতবার যে কোনও সংস্থার যে কোনও বিমা কেনা হবে, তা সবই ওই একটা অ্যাকাউন্টে জমা থাকবে। বিমাকারী সেখানে গিয়েই পলিসির সব তথ্য দেখতে পারবেন।

জীবন বিমা। স্বাস্থ্যবিমা। গাড়িবিমা। সবক্ষেত্রে একই নিয়ম। তবে যাদের কাছে এখনই পুরনো বিমার কাগজ আছে। মানে যারা কোনও পলিসি কন্টিনিউ করছেন। তাদের ক্ষেত্রে ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্ট খোলাটা বাধ্যতামূলক নয়। পুরনো পেপার ডকুমেন্ট দেখিয়েই তাঁরা ক্লেম করতে পারবেন।

তবে কেউ যদি চায় যে পুরনো বিমা ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্টে রাখবেন তাহলে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে তা রাখতে পারবেন। আরেকটা বিষয় হল নতুন বিমার ক্ষেত্রে ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে তো হবে। তবে বিমাকারী চাইলে কাগুজে নথি দিতে বাধ্য থাকবে বিমা সংস্থা। এই অধিকার বিমাকারীর থাকছে।

আর আইআরডিএআই’র নির্দেশ অনুযায়ী যে সংস্থার কাছে নতুন বিমা করানো হবে, তারাই বিমাকারীর ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্ট খোলানোর ব্যবস্থা করবে। এজন্য বিমাকারীকে ঝামেলা পোয়াতে হবে না। ডিজিটাল মাধ্যমে বিমা রাখার জন্য রিপজিটরি হিসাবে চারটে সংস্থাকে বাছাই করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বিমাকারীর কোনও সরাসরি লেনাদেনা থাকবে না। তারা বিমাকারীর ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্টটার দেখভাল করবে।

এবার দেখা যাক-এ ব্যবস্থায় সুবিধা কী হবে। বিমা শিল্পমহল বলছে সুবিধা অনেক। অনেক সময় কাগজের পলিসি বন্ড হারিয়ে যাওয়ায় টাকা পেতে সমস্যায় পড়েন বিমাকারী বা তাঁর পরিবার। নয়া ব্যবস্থায় সেই হয়রানি কমবে। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার ব্যবহার করে যে কেউ তার পলিসির স্টেটাস চেক করতে পারবেন। নতুন বিমা কিনলে আপনা থেকেই তা ই-অ্যাকউন্টে জুড়ে যাবে। সহজে বদলানো যাবে ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও নমিনি সংক্রান্ত তথ্য। একাধিক পলিসির ক্ষেত্রে তথ্য সংশোধনের জন্য আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে হবে না।

আরেকটা বিষয় হলো- যে সংস্থার কাছ থেকে বিমা কেনা হবে, বিমাকারীকে সেই সংস্থার কাছে যেতে হয়। আইআরডিএআই একটা অনলাইল ইন্যুরেন্স মার্কেটপ্লেস নিয়ে আসছে যার নাম Bima Sugam. এখানে এক ছাদের নীচেই যে কোনও সংস্থার যে কোনওরকম বিমা কেনা যাবে। অভিযোগ জানানো যাবেন। প্রিমিয়াম দেওয়া যাবে। ক্লেম করা যাবে। এনিয়ে বিমা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আইআরডিএআই’র কথাবার্তা শেষ হলেই দ্রুত চালু হয়ে যাবে নতুন ব্যবস্থা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজার

সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যানের আর্থিক অনিয়ম তদন্তে প্রমাণিত

Published

on

আইডিএলসি ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের সদস্য অন্যান্য পরিচালকদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিলো। এ অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষ (আইডিআরএ) নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘হুদাভাসি চৌধুরী এন্ড কোং’ কে নিয়োগ দিয়েছিলো। অবশেষে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও অন্যান্য পরিচালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

সম্প্রতি আইডিআরএ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সোনালী লাইফের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণে আইডিআরএ’র চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে সাসপেন্ড করে প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তা আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। অথবা মৌখিকভাবে শুনানি করতে চাইলে আগামী ১৮ এপ্রিল সকাল ১১টায় আইডিআরএ হাজির হয়ে মৌখিকভাবে শুনানি করতে পারবে।

এতে আরও বলা হয়, কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধির জন্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের মধ্যে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ১ কোটি ৫ লাখ শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০২৮ সালের ১৪ জুন নগদ অর্থের বিনিময়ে উক্ত শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন প্রদান করে। কিন্তু পরিচালক নূর এ হাফজা, ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, শাফিয়া সোবহান চৌধুরী ও শেখ মোহম্মদ ড্যানিয়েলের কাছ থেকে কোনো টাকা গ্রহণ না করেই তাদের নামে প্রতিটি ১০ টাকা করে মোট ৯ লাখ ১৬ হাজার ৫০ হাজার টাকার শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে। অন্যদিকে মায়া রাণী রায়, আহমেদ রাজীব সামদানী ও হোদা আলী সেলিমের কাছ থেকে শেয়ার প্রতি ২০ টাকা মূল্য গ্রহণ করা হয়েছে।

অপরদিকে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এফডিআরের বিপরীতে সাউথ বাংলা ব্যাংকে বিনা প্রয়োজনে এসওডি হিসাব খুলে ঋণের ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে। পাশাপাশি একই ব্যাংকে কোম্পানির সঞ্চয়ী হিসাব থেকে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকাসহ মোট ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সাউথ বাংলা ব্যাংকেই কোম্পানির আরেকটি হিসাবে জমা করা হয়। এই টাকা উল্লেখিত পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়ের মূল্য হিসেবে দেখানো হয়।

অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে চিঠিতে আরও বলা হয়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস তার ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান ও মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়ার কাছে থেকে ২৬ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার, মোস্তফা কামরুস সোবহানের স্ত্রী শাফিয়া সোবহান চৌধুরীর কাছ থেকে ৩ লাখ শেয়ার, তাসনিয়া কামরুন অনিকার স্বামী শেখ মোহম্মদ ড্যানিয়েলের কাছ থেকে ১২ লাখ এবং ফজিলাতুননেসা রুপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে ৬ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার লাভ করে পরিচালক হন।

পরবর্তীতে মোস্তফা গোলাম কুদ্দস ১৪ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার তার মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়াকে ও ২ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার স্ত্রী ফজিলাতুননেসাকে হস্তান্তর করে। একইসঙ্গে শাফিয়া সোবহান চৌধুরী তার স্বামী মোস্তফা কামরুস সোবহানকে ৬ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার হস্তান্তর করে কোম্পানির আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের ৯০(জে) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ন্যূনতম শেয়ার বজায় রাখেন। এর মাধ্যমে পরিবারের ৭ জন সদস্য কোম্পানির বোর্ডে পরিচালক রেখে পারিবারিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস অনিয়মের সুযোগ তৈরি করেছেন বলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস প্রতি মাসে ৩ কোটি টাকা হিসেবে মোট ১৮ কোটি টাকা নিয়েছেন। এই টাকা তিনি নিয়েছেন তার নিজের প্রতিষ্ঠান ড্রাগন সোয়েটারের নামে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই তিনি অবৈধভাবে এসব টাকা নিয়েছেন। এছাড়া মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন কম্যুনিকেশন লিমিটেড, ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেড, ড্রাগন ইনফরমেশন টেকনোলজি, ইম্পেরিয়াল সোয়েটার লিমিটেড ও ড্রাগন সোয়েটার ও স্পিনিং লিমিটেডকে বিভিন্ন সময়ে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, আইডিআরএ’র অনুমোদনের আগে এ ধরনের টাকা পরিশোধ অবৈধ। প্রকৃতপক্ষে কোম্পানির ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি জমি বা ভবন ক্রয়ের অগ্রিম হিসেবে বৈধতা দেয়ার অপপ্রয়াস নেয়া হয়েছে।

এদিকে সোনালী লাইফের তহবিল থেকে ২০২১-২৩ মেয়াদে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন ইম্পেরিয়াল স্যুটস এন্ড কনভোকেশন সেন্টারকে আপ্যায়ন বাবদ ১ কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৫৯২ টাকা, ড্রাগন ইনফরমেশন টেকনোলজি ও কম্যুনিকেশন লিমিটেডকে ইআরপি মেইনটেনেন্স ও সোয়েটার ক্রয় বাবদ ৩ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ২২৫ টাকা এবং ড্রাগন সোয়টার লিমিটেডকে সোয়েটার ক্রয় বাবদ ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। অর্থাৎ এই তিন বছরের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠঅনে অবৈধভাবে মোট ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা দেওয়া হয়েছে।

আইডিআরএ’র চিঠিতে বলা হয়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস নিজে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা অবৈধভাবে বেতন নিয়েছেন। একইসঙ্গে তার পরিবারের ৬ সদস্য যথা- ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান প্রতি মাসে ৩ লাখ টাকা, ছেলের বউ শাফিয়া সোবহান চৌধুরী প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা, স্ত্রী ফজলুতুননেসা প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা, মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা, মেয়ে তাসনিয়া কামরুন অনিকা প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা ও মেয়ের জামাই শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা এবং আরেকজন সাবেক চেয়ারম্যান নুর এ হাফজা প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে ৮ পরিচালক অবৈধভাবে বেতন হিসাবে এ পর্যন্ত মোট ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। যা নগদ উত্তোলন করে তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়া হয়েছে।

নিজ পরিবারের সদস্য পরিচালকদের মাসিক বেতন বাবদ নেয়া হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অবৈধভাবে বিলাসবহুল অডি কার ক্রয়ে খরচ করা হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বোর্ডের অনুমোদন নেই। এছাড়া গাড়ির ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কোম্পানির অর্ধবার্ষিক সভায় আলোচনা ও এজিএমে পেশ করার বিধান থাকলেও তা করা হয়নি বলেও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

অপরদিকে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য পরিচালকদের অতিরিক্ত ডিভিডেন্ড দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার ৭৫০ টাকা। বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষা, ভ্রমণ ব্যয় ১ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৮শ’ টাকা। গ্রুপ বীমা পলিসি থেকে ড্যানিয়েলকে অবৈধ কমিশন দেয়া হয়েছে ৯ লাখ টাকা।

আইপিও খরচ, ঋণ সমন্বয়, অনুদান, এসি ক্রয়, কোরবানির গরু ক্রয়, বিদেশ ভ্রমণ, পলিসি নবায়ন উপহারের নামে নেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫৯ টাকা। অফিস ভাড়ার নামে ড্রাগন আইটিকে প্রদান করা হয়েছে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ১৭ টাকা। সম্পূর্ণ ইম্পেরিয়েল ভবনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ১ কোটি ৭২ লাখ ৪২ হাজার ২২৩ টাকা। ড্রাগন সোয়েটার ও স্পিনিং লিমিটেডের ট্যাক্স পরিশোধ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্ত কার্যক্রম কার্যপরিধির মধ্যে সীমিত রেখে নমুনা ভিত্তিক যাচাইয়ের ফলে সকল অনিয়মের তথ্য এ প্রতিবেদনে আসেনি। পূর্ণাঙ্গ চিত্রের জন্য কোম্পানিটির বিস্তারিত নিরীক্ষা প্রয়োজন। কোম্পানির অসম্পূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ বা তথ্য গোপন, অস্বচ্ছ হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি, অভ্যন্তরীণ কন্ট্রোল সিস্টেমের অনুপস্থিতি কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের সহায়ক অবস্থা তৈরী করেছে।

বছরে গড়ে ২২ কোটি বা মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা পেটি ক্যাশ হিসেবে ব্যয় হয়েছে এবং অনেক এককালীন বড় অংকের লেনদেন ক্যাশ চেকে হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অর্থ তছরুপের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ব্যাংক সিগনেটরিরা প্রায় সকলেই একই পরিবারের সদস্য যার ফলে তাদের স্বাক্ষরিত চেকের মাধ্যমে বেশিরভাগ অবৈধ লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া আরও বলা হয়, অবৈধভাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির তহবিল থেকে বের করে নেয়া অর্থের পরিমাণ মোট ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা। এর মধ্যে পরিচালকদের নামে শেয়ার ক্রয় করতে তহবিল থেকে নেয়া হয়েছে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জমি বা ভবন ক্রয়ের অগ্রিম দেখিয়ে অবৈধভাবে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে সোনালী লাইফের তহবিল থেকে অবৈধভাবে দেয়া হয়েছে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আপ্যায়ন, ইআরপি মেইনটেনেন্স এবং সোয়েটার ক্রয় বাবদ সাবেক এ চেয়ারমানের প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

বীমা

স্বদেশ ইসলামী লাইফের সিইওর দায়িত্ব পালন করতে পারবে না ইখতিয়ার

Published

on

আইডিএলসি ফাইন্যান্স

স্বদেশ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনের নিয়োগ নবায়নে আইডিআরএর না-মঞ্জুরের আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে উচ্চ আদালত। তবে সাবেক সিইও ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ও আদালতের স্থগিতাদেশ’র আগেই কোম্পানির পর্ষদ সভায় নতুন সিইও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন সিইও পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।

বুধবার (৩ এপ্রিল) এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ)।

চিঠিতে বলা হয়, মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন কর্তৃক ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে পলিসিহোল্ডারের প্রিমিয়াম জমাকরণের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও বিআইনীভাবে ইনসেনটিভ বোনাস গ্রহণের মাধ্যমে বীমা আইন লঙ্ঘন এবং বীমাকারী ও বীমাগ্রহীতার স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করে। ফলে গত বছরের ৩ আগস্ট ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন এর বিরুদ্ধে বীমা আইন ২০১০ এর ৫০ ধারার ১(খ) উপ-ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তিনি এ পদে কাজ করতে পারবেন না বলে নির্দেশনা জারি করা হয়। সেই সঙ্গে তার পুনঃনিয়োগ প্রস্তাব না-মঞ্জুর করা হয়। তবে আইডিআরএর এ সিদ্ধান্তের বিপরীতে রিট করেন ইখতিয়ার উদ্দিন।

এতে আরও বল হয়, রিটের শুনানিতে স্বদেশ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনের নিয়োগ নবায়নে আইডিআরএর না-মঞ্জুরের আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে উচ্চ আদালত। তবে সাবেক সিইও ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ও আদালতের স্থগিতাদেশ’র আগেই কোম্পানির পর্ষদ সভায় নতুন সিইও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন সিইও পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। সেই সঙ্গে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ একটি চুক্তিভিত্তিক পদ, তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে উক্ত পদে আসীন থাকার সুযোগ নেই বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, স্বদেশ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় ২০২৩ সলের ৮ জুন। কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন কর্তৃক ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে পলিসিহোল্ডারের প্রিমিয়াম জমাকরণের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও বিআইনীভাবে ৬০ লক্ষ ৭০ হাজার সাতশত টাকা ইনসেনটিভ বোনাস গ্রহণ করে। বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ এ টাকা কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে জমা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন ২৮ হাজার ৭৫ হাজার টাকা কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে জমা করেন এবং তার নিয়োগ নবায়নে আইডিআরএর না-মঞ্জুরের বিপক্ষে রিট করেন।

জানা গেছে, কোম্পানির সিইও পদে ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনের নিয়োগ নবায়নে আইডিআরএর না-মঞ্জুরের আদেশ হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিতাদেশ প্রদানের পূর্বেই তার মেয়ার শেষ হয়। সেই সঙ্গে কোম্পানির ৪৪তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর এ পদে মো. জাহাঙ্গীর আলম মোল্লাকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। এমতাবস্থায়, কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনকে দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে আইডিআরএ।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
আইডিএলসি ফাইন্যান্স
আন্তর্জাতিক16 mins ago

ভারতীয় মশলায় ক্ষতিকর উপাদান, দেশে দেশে পদক্ষেপ

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
কর্পোরেট সংবাদ17 mins ago

চট্টগ্রামে ‘হ্যাপি মার্ট’র ২৭তম শোরুম উদ্বোধন

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
আন্তর্জাতিক31 mins ago

ইউরোপে প্রতিদিন নিখোঁজ হচ্ছে ৪৭ জন অভিবাসী শিশু

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
জাতীয়40 mins ago

টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে: স্পিকার

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
টেলিকম ও প্রযুক্তি57 mins ago

গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন রিচার্জের মেয়াদ বাড়লো

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি1 hour ago

আবারও কমলো সোনার দাম

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
আন্তর্জাতিক1 hour ago

আরব আমিরাতে ভারী বর্ষণে ১৩ ফ্লাইট বাতিল

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
আন্তর্জাতিক1 hour ago

টানা দরপতনের পর ঊর্ধ্বমুখি জ্বালানি তেলের দাম

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার2 hours ago

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
আন্তর্জাতিক2 hours ago

বৈধ হজযাত্রীদের গায়ে ডিজিটাল ট্যাগ বসাবে সৌদি সরকার

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি2 hours ago

এপ্রিলে রপ্তানি আয় ৩৯২ কোটি ডলার

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
জাতীয়2 hours ago

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে ইউরোপ বাংলাদেশের পাশে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
জাতীয়2 hours ago

পঁচাত্তরের পর এবারই সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে: ওবায়দুল কাদের

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
সারাদেশ2 hours ago

তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৬ জনের

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স গ্রহণে গাড়ী জিতল কাপাসিয়ার মুঞ্জিল

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
জাতীয়3 hours ago

সংসদ অধিবেশন শুরু

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি3 hours ago

ঢাকায় ডেনিম এক্সপো শুরু ৬ মে

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
জাতীয়3 hours ago

আইন পেশায় সফলতার সংক্ষিপ্ত কোন পথ নেই: প্রধান বিচারপতি

ব্লকে লেনদেন ৪৪ কোটি টাকা
পুঁজিবাজার3 hours ago

ব্লকে ৭০ কোটি টাকার লেনদেন

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
জাতীয়3 hours ago

উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে পর্যবেক্ষক পাঁচ হাজার

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
আবহাওয়া3 hours ago

চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

শনিবার খুলবে মাধ্যমিক, রবিবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
পুঁজিবাজার3 hours ago

আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
খেলাধুলা4 hours ago

ক্যাপ্টেন হিসেবে জিম্বাবুয়ে সিরিজটা জিততে চাই: শান্ত

আইডিএলসি ফাইন্যান্স
লাইফস্টাইল4 hours ago

মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে যেসব কারণে

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১