রাজনীতি
নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি: এনসিপিতেই যাচ্ছেন দুই সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। এরপর থেকেই তারা কোন দলে যোদ দিবেন তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। তারা বিএনপি, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ বা স্বতন্ত্রভাবে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলেও শোনা গেছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এনসিপিতে যোগ দিচ্ছেন এই দুই সাবেক উপদেষ্টা, তাদের একাধিক ঘনিষ্ট সূত্রে তা জানা গেছে।
তথ্যমতে, মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। এছাড়া লক্ষীপুর-১ আসন থেকে মাহফুজ আলম প্রার্থিতা করবেন বলেও তার ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এর আগে ১২৫ আসনে এনসিপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও এ দুজনের আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি দলটি।
দুই সাবেক উপদেষ্টার এনসিপিতে যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, শেখ হাসিনার পতন ঘটানো চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দুই ছাত্রনেতা গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত দলে যোগ দেওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিপিতে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা কয়েক দিনের মধ্যে তাদের পক্ষ থেকেই আসবে।
এর আগে দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের পর গণমাধ্যমে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, আসিফ মাহমুদ জনতার কাতারে এসেছেন, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। তিনি কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন এটি তার সিদ্ধান্ত। তিনি যদি জাতীয় নাগরিক পার্টি—এনসিপিতে আসেন আমরা তাকে স্বাগত জানাব। এর আগে নাহিদ ইসলাম যখন উপদেষ্টার দায়িত্ব ছেড়ে এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তখন আমরা তাকে যেভাবে স্বাগত জানিয়েছিলাম, তেমনিভাবে দুজন ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং মাহফুজ আলম এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে আমরা তাদের স্বাগত জানাব।
গত ফেব্রুয়ারিতে উপদেষ্টার পদ ছেড়ে এনসিপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন আহ্বায়কের দায়িত্ব নিয়েছেন অভ্যুত্থানের আরেক নেতা নাহিদ ইসলাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন অন্যতম নীতিনির্ধারণী নেতা জানিয়েছেন, আসিফ দলটিতে যোগ দিতে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার নিশ্চয়তা চান। আহ্বায়কের পরের পদমর্যাদা চান। উপদেষ্টার পদ ছাড়তে অনিচ্ছুক মাহফুজ সাংগঠনিক ক্ষমতা না চাইলেও দলে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান চান। এসব বিষয়ে দরকষাকষির কারণেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এ দুজন এনসিপিতেই আসছেন তা নিশ্চিত।
এমকে
রাজনীতি
মির্জা আব্বাসের কাছে চাঁদা দাবি, ঢাকার আদালতে মামলা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মির্জা আব্বাসের কাছে চাঁদা দাবি এবং মানহানির অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান ভূইয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় দৈনিক আজকের কণ্ঠ পত্রিকার এডমিনসহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের আসামি করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩৮৫, ৫০০ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করা এবং সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্যে আসামিরা জেনে-বুঝে মিথ্যা তথ্য জনসমক্ষে প্রচার করছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এ ঘটনার সুযোগ নিয়ে মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী ফলাফল ক্ষুণ্ন করা এবং তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্যে গত ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ অনলাইন পোর্টালে ‘মির্জা আব্বাসের ক্যাডারদের গুলিতে বিদ্ধ ওসমান হাদি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, মির্জা আব্বাস ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত ও সম্ভাবনাময় প্রার্থী হওয়ায় তার ব্যক্তিগত চরিত্র ও আচরণ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
রাজনীতি
সন্ত্রাসী-মাফিয়া ও খুনিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ভারত: হাসনাত
ভারত সন্ত্রাসী, ভোট জালিয়াত, মাফিয়া ও খুনিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় জড়িত দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে হাদিকে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত সেই দুই সন্দেহভাজনের অবস্থান নিয়ে বার্তা দিয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করার ঘটনার সাথে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরবাইক চালক আলমগীর হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় (১২ ডিসেম্বর) সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্ত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
এর আগেও জুলাই গণআন্দোলনে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত শেখ হাসিনাসহ অন্যরাও ভারতে আশ্রয় নেয় বলে জানা যায়। জানা যায়, নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার নানা ষড়যন্ত্র করছে।
রাজনীতি
দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: বিশাল জনসমাগমের পরিকল্পনা বিএনপির
১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনটিকে ‘অবিস্মরণীয়’ করে রাখতে চায় দলটি। এ জন্য তারেক রহমানের ফেরার দিন রাজধানী ঢাকায় স্মরণকালের বৃহত্তম জনসমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সার্বিক কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সমন্বয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।
২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত শুক্রবার রাতে এই সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পর দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসবেন। বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে গুলশান-বনানী পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় জনসমাগম ঘটবে।
এই প্রস্তুতির ইঙ্গিত সম্প্রতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব নিজেও। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক দলীয় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন, সেদিন যেন সারা বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে।’ বিএনপি সেদিন দেশের রাজনৈতিক চেহারা বদলে দিতে চায় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও ঢাকা-১৬ আসনে দলীয় প্রার্থী আমিনুল হক জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে কর্মসূচি নিয়ে দলে আলোচনা চলছে। শিগগির তা চূড়ান্ত হবে। ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি। এরপর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ছুটির দিনেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
তারেক রহমানের আগমন ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত ‘চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) ’ পুনর্গঠন করা হয়েছে। সিএসএফের সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে সিএসএফের দায়িত্ব নিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামসুল ইসলাম।
ঢাকায় ফেরার পর তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তায় সিএসএফ কাজ করবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করে তাঁর জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) মোতায়েন করেছে।
তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। এর পর থেকে তিনি যুক্তরাজ্যেই আছেন। তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ৫ ডিসেম্বর দেশে আসেন হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ তাঁর শাশুড়ি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। মা খালেদা জিয়া গত মাসের শেষ দিকে গুরুতর অসুস্থ হয় পড়লে তারেক রহমানের দেশে ফেরা কবে, সে আলোচনা আরও জোরদার হয়। গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দেশে ফেরার তারিখ ঘোষণা করা হয়।
তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে দলের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও আবেগঘন ঘটনা হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দীপ্ত করবে। এর প্রভাব নির্বাচনী মাঠে পড়তে পারে। এ কারণেই তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিন ঢাকায় বৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী ঢেউ তুলতে চায় দলটি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব ও ঢাকা-৪ আসনে দলের প্রার্থী তানভীর আহমেদ (রবিন) বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফেরা শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি একটি বড় আবেগের বিষয়। আমরা মনে করি, সেদিন সারা দেশ থেকেই মানুষ ঢাকায় আসবে। একটি ঐতিহাসিক দিন সৃষ্টি হবে।’
তারেক রহমানের দেশে ফেরার আনুষ্ঠানিক তারিখ ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলীয় নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। অনেকেই ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসার প্রস্তুতির কথা জানাচ্ছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘তারেক রহমানের আগমনের প্রভাব সর্বস্তরে পড়বে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে, বিভ্রান্তি দূর হবে। তারেক রহমানের প্রতি আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে।’
এমকে
রাজনীতি
নির্বাচন বন্ধ করাই আ. লীগের লক্ষ্য, আরও সহিংসতা হবে: জয়
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে, তখন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি হাসিনার ছেলে ও সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন বন্ধ করতে আন্দোলনে নামবে এবং সেই আন্দোলন ঢাকায় সহিংসতায় রূপ নিতে পারে।
এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন-পরিকল্পিত সহিংসতা, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে।
তাঁদের মতে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা, হামলার অভিযোগ ও নাশকতার আশঙ্কা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের ঝুঁকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবেই শরীফ ওসমান হাদীকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
এছাড়াও, আরও বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় হুমকি হলো পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের লুকিয়ে থাকা তাদের সহোযোগী দোসররা।
সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হলো নির্বাচন বন্ধ করা।”
তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে এবং রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও দাবি করেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজনকে কেন্দ্র করে যে বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, তাতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সম্ভাবনা কম। জয় বলেন, “আওয়ামী লীগ নির্বাচন বন্ধ করতে প্রতিবাদ করবে এবং সেটি ঢাকায় সহিংসতায় রূপ নেবে।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো জয়ের মন্তব্যকে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বানচালের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে এবং এটিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি বলে আখ্যা দিচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যের এমন প্রকাশ্য মন্তব্য নির্বাচনের আগমুহূর্তে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। তাঁদের মতে, এই ধরনের বক্তব্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য বাড়তি চাপ ও চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জয়ের বক্তব্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা বা অবস্থান দেওয়া হয়নি। তবে দলটির একাধিক নেতার দাবি, নির্বাচন নিয়ে চলমান সংকটের জন্য সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকাই দায়ী।
এই প্রেক্ষাপটে কিছু নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক দাবি করছেন, দেশে পরিকল্পিত নাশকতা, অরাজকতা ও সহিংসতার ঝুঁকি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি সহিংস ঘটনার পেছনে সংগঠিত পরিকল্পনা থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এই অবস্থায় ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
এমকে
রাজনীতি
নতুন করে শত্রুরা হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে: মির্জা ফখরুল
নতুন করে শত্রুরা হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে। আমরা আশঙ্কা করছি, সামনে আরও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ আবারও একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। আমরা যে কোনো মূল্যে স্বাধীনতাকে রক্ষা করব এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখব।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসের হাতে নিহত হোন দেশের অনেক বুদ্ধিজীবী।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, ছাত্র, যুব, নারী সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন সংগঠনের আলোচনা সভা ইত্যাদি।
এমকে




