পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে। দিনভর কোম্পানিটি ৬ হাজার ৪৯৬ বার লেনদেনের মাধ্যমে মোট ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৩১৭টি শেয়ার হাতবদল করেছে, যার বাজারমূল্য ২৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড, যার শেয়ার দর ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিটি ৮৩১ বার লেনদেনের মাধ্যমে ১ লাখ ১ হাজার ২৫০টি শেয়ার লেনদেন করেছে, যার বাজারমূল্য ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, যার শেয়ার দর ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোম্পানিটি ২ হাজার ৩৭ বার লেনদেনের মাধ্যমে ৫ লাখ ১ হাজার ৮৩১টি শেয়ার হাতবদল করেছে, যার বাজারমূল্য ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে — ক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড–ওয়ান বেড়েছে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট বেড়েছে ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ, মনোস্পুল বাংলাদেশ বেড়েছে ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড বেড়েছে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, গ্রীন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড বেড়েছে ৩ দশমিক ১২ শতাংশ, এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার দর বেড়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ।
পুঁজিবাজার
পরিচালন লোকসানেও পরিচালক-চেয়ারম্যানের ভাতা বাড়ালো ডিএসই
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল ব্যবসায় বড় লোকসান করেছে। লেনদেন খরায় ডিএসইর পরিচালন লোকসান হয়েছে ৪৯ কোটি টাকা। এক্সচেঞ্জটির রাজস্ব আয় কমেছে। এমন মন্দা অবস্থায় পরিচালনা পর্ষদ পরিচালক ও চেয়ারম্যানের যেকোনো সভায় উপস্থিতির ভাতা বাড়িয়েছে ডিএসই। যা অযৌক্তিক ও অবিবেচিত সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে ডিএসইর ১১০২তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মনোনয়ন ও পারিশ্রমিক কমিটির (এনআরসি) সুপারিশের ভিত্তিতে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় এবং বোর্ড কর্তৃক গঠিত যেকোনো কমিটির সভায় উপস্থিত প্রতিটি পরিচালকের জন্য সম্মানী ভাতা ২০ হাজার টাকা (ভ্যাট এবং কর বাদে) করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের জন্য মাসিক সম্মানী ভাতা ৫০ হাজার টাকা (ভ্যাট এবং কর বাদে) করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছে, নিয়মিত পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের হাহাকার বাড়ছে। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর লেনদেন খরায় পরিচালন লোকসান হয়েছে ৪৯ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। এক্সচেঞ্জটির রাজস্ব আয় কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ। ব্যবসা মন্দা চরমে থাকা অবস্থায় ডিএসইর পরিচালক ও চেয়ারম্যানের ভাতা বাড়ানোর অযৌক্তিক ও অবিবেচিত সিদ্ধান্ত।
এদিকে গত ২ নভেম্বর ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে দেড় লাখ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। সেই হিসাবে বছরের ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। আলোচিত অর্থবছরে এক্সচেঞ্জটিতে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৪৭২ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে যা হয়েছিল ৬২২ কোটি টাকা। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে ডিএসইতে একদিনের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১০ কোটি টাকা এবং সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে ১৫৯ কোটি টাকা।
এছাড়াও, আলোচ্য হিসাববছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে ডিএসইর রাজস্ব আয়। লেনদেনে বড় ভাটা পড়ায় আলোচ্য অর্থবছরে এক্সচেঞ্জটির রাজস্ব আয় কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএসইর মোট রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ১০০ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে যা হয়েছিল ১২৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির রাজস্ব আয় কমেছে ২৭ কোটি টাকা বা প্রায় ২১ শতাংশ।
আলোচিত অর্থবছরে ডিএসইর পরিচালন লোকসান হয়েছে ৪৯ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে এক্সচেঞ্জটির পরিচালন লোকসান হয়েছিল ২১ কোটি টাকা কম। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ডিএসইর পরিচালন লোকসান বেড়েছে ২৮ কোটি টাকা বা ১৩৩ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএসইর অপরিচালন খাত থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এফডিআরের সুদ ও বন্ডের বিনিয়োগ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা এবং ভবন ভাড়া দিয়ে আরও ১০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। এই আয়ের সুবাদে আলোচিত অর্থবছরে এক্সচেঞ্জটি ৩৩ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আগের অর্থবছরে যেখানে ডিএসইর নিট মুনাফা হয়েছিল ৬১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মুনাফা কমেছে ৪৭ শতাংশ।
২০২১-২২ অর্থবছরের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে কমছে ডিএসইর মুনাফা। করোনাকালীন মহামারির পরিস্থিতির মধ্যেও এক্সচেঞ্জটির ১২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা নিট মুনাফা হয়েছিল। পরের অর্থবছরে এই মুনাফা কমে ৮০ কোটি ৬০ লাখ হয়। সর্বশেষ দুই অর্থবছরে ডিএসইর মুনাফা আরও কমলো।
এদিকে, সামান্য মুনাফা করায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে ডিএসই। এ হিসাবে এক্সচেঞ্জটির মোট ১৮০ কোটি ৩৮ লাখ শেয়ারের বিপরীতে ৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন করতে হবে।
এসএম
পুঁজিবাজার
শ্যামপুর সুগারের সর্বোচ্চ দরপতন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৪ টাকা ৬০ পয়সা বা ৮.৪০ শতাংশ কমেছে।
দরপতনের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল নূরানী ডায়িং। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫ শতাংশ কমেছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা নর্দার্ণ জুটের শেয়ার দর ৩.৬৭ শতাংশ কমেছে।
এছাড়াও, ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ইয়াকিন পলিমার, ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, জুট স্পিনার্স, আইসিবি ইমপ্লয়ি প্রভিডেন্ড এমএফ ওয়ান: স্কিম ওয়ান, জিলবাংলা সুগার মিল এবং মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসি।
এসএম
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে মুন্নু এগ্রো
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড মেশিনারি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ টাকা ৭০ পয়সা বা ৮ দমমিক ৭৪ শতাংশ।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা রহিম টেক্সটাইলের শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর তৃতীয় স্থানে থাকা আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে থাকা থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সায়হাম কটন, জেমিনি সি ফুড, খান ব্রাদার্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স এবং মনোস্পুল বাংলাদেশ পিএলসি।
এসএম
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি লেনদেনের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে।
লেনদেনের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল সায়হাম কটন। কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আর তৃতীয় স্থানে থাকা কে অ্যান্ড কিউয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
এছাড়াও, ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো- রহিমা ফুড, খান ব্রাদার্স, স্কয়ার ফার্মা, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সামিট এলায়েন্স পোর্ট, ডমিনেজ স্টিল এবং মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড।
এসএম
পুঁজিবাজার
তিন শতাধিক শেয়ারের দরবৃদ্ধি, বেড়েছে সূচক-লেনদেন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষে হয়েছে। সেই সঙ্গে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমান বেড়েছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিন শতাধিক কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৪৮ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৭৪ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৭ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে ১০০৬ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৮৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ ডিএসইতে ৩৯৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ২৯২ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩০২টি কোম্পানির, বিপরীতে ৩৭ কোম্পানির দর কমেছে। আর ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এসএম




