জাতীয়
যে কারণে ঢাকায় আসতে পারছেন না জাকির নায়েক
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা হচ্ছে না। আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর দুদিনের জন্য ঢাকায় আসার কথা ছিল তার। আপাতত তাকে ঢাকায় আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় নির্বাচনের পর ইসলামি স্কলার জাকির নায়েক ঢাকায় আসতে পারেন। তবে নির্বাচনের আগে নয়।
জানা যায়, জাকির নায়েক বাংলাদেশে এলে অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটবে।
এর ফলে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের প্রয়োজন হবে। তবে সামনে নির্বাচন, এই মুহূর্তে এত সদস্য মোতায়েন সম্ভব নয়।
আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় অন্যদের মধ্যে গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
অর্থ আত্মসাৎ: জয়-পুতুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের নামে একটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আসামিদের বিরুদ্ধে সিআরআইয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার আশ্বাসে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতি সাধন, অর্থ আত্মসাৎ, কর ফাঁকি ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন। দুদকের সহকারী পরিচালক মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় মামলাটি দায়ের করবেন।
মামলায় অন্যদের মধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া, এনবিআর সদস্য রওশন আরা আক্তার ও সিআরআইয়ের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাব্বির বিন শামসকে আসামি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আয়কর আইনের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিআরআইকে আয়কর মওকুফ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত না হয়েও এসআরও জারি করে কর-সুবিধা গ্রহণ ও প্রদান করেছে। এছাড়া অবৈধভাবে চাপ প্রয়োগ করে ২৩টি কোম্পানির কাছ থেকে ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
২০১৩-১৪ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত সিআরআই মোট ১০০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৬ টাকা অবৈধভাবে আয় করে। গ্রহণযোগ্য ব্যয় হিসেবে ২৯ কোটি ৫০ লাখ ৯৮ হাজার ৯৬ টাকা বাদ দিলে সিআরআইয়ের হিসাবে থাকার কথা ছিল ৭০ কোটি ৮০ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ টাকা। কিন্তু বাস্তবে হিসাব অনুযায়ী স্থিতি পাওয়া গেছে ৫৫ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ টাকা। অর্থাৎ ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫২১ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
দুদক জানায়, সিআরআই এর ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ২৪৭ কোটি ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭০ টাকা জমা এবং ১৯১ কোটি ২১ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৯ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৪৩৯ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া আয়কর আইন লঙ্ঘন করে ৩৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৪২ টাকা আয়কর প্রদান না করার মাধ্যমে সরকারকে আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলা হয়েছে।
জাতীয়
ইন্টারনেট বন্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রস্তুত করেছে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া, যা সর্বসাধারণের মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খসড়াটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে, যাতে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ জনগণ এতে মতামত জানাতে পারেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিমালায় বেশ কিছু মৌলিক ও যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খসড়া অধ্যাদেশের ওপর মতামত পাঠানো যাবে নিচের ঠিকানায়—
- ই-মেইল: secretary@ptd.gov.bd
- ঠিকানা: সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
অংশীজন ও সাধারণ জনগণকে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাতীয়
শাপলা কলি প্রতীকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি
আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনে শাপলা কলি প্রতীকে এনসিপি প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা সারাদেশে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরি করেছি, বিচারের জন্য কথা বলে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শাপলা কলি মার্কায় ইনশাআল্লাহ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবো। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আপনার-আমার সবার দল।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের জন্য এনসিপি মনোনীত হওয়ায় মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যারা নতুন করে রাজনীতি করতে চান, বাংলাদেশটাকে নতুন করে গড়তে চান- আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা সব জেলায়, সব আসনে সৎ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দেখতে চাই। সারাদেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যেই আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করবো। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেবো। আমরা মানুষের কাছ থেকে যে সাড়া এবং সমর্থন পেয়ে এসেছি, আগামী নির্বাচনে সেটি পাবো বলে প্রত্যাশা করি।’
তিনি বলেন, অনেক দিনের চেষ্টার মাধ্যমে আজ আমরা নিবন্ধন পেয়েছি। এনসিপি এখন থেকে একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। শাপলা কলি প্রতীকে আমরা নিবন্ধন পেয়েছি। নিবন্ধন পাওয়ার পেছনে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় এবং তৃণমূলের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সেজন্য আপনাদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মানুষ একটি নতুন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেছিল, সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রতিষ্ঠা করি। প্রতিষ্ঠার পর মার্চ মাস থেকে আমরা নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু করি এবং জুন মাসে আমাদের নিবন্ধনের সব কাগজপত্র জমা দেই। নির্বাচন কমিশনে সবকিছু জমা হওয়া সত্ত্বেও আমাদের প্রত্যাশিত মার্কা শাপলা দিতে গড়িমসি করে। তারপর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের এক ধরনের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
সারাদেশে আমাদের যেসব অফিস রয়েছে, নেতাকর্মী রয়েছেন, কমিটি রয়েছে- সেগুলোতে নির্বাচন কমিশন তাদের অবজারভেশন করে এবং দেড় মাস আগে আমরা জানতে পারি আমরা নিবন্ধন পেতে যাচ্ছি। তবে আমাদের প্রতীক আটকে ছিল। অবশেষে আমরা শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছি। সেজন্য আন্তরিকভাবে আবারও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। যারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যারা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন- এই পুরোটা সময় আমরা মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করেছি। জুলাই পদযাত্রায় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি, মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি।’: নাহিদ ইসলাম
জাতীয়
এনসিপিসহ ৩ দল নিয়ে দাবি-আপত্তি আহ্বান ইসির
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে দলগুলো নিয়ে আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে দাবি-আপত্তি আহ্বান করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘হ্যান্ডশেক’ মার্কায় বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, ‘শাপলা কলি’ মার্কায় এনসিপি ও ‘কাঁচি’ মার্কায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। দলগুলোর নিয়ে কারও কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে তা ১২ নভেম্বরের মধ্যে ইসির সিনিয়র সচিবের কাছে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে ৫৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। এছাড়া ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
জাতীয়
চূড়ান্ত নিবন্ধন পেলো এনসিপিসহ তিন দল
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) নতুন করে তিনটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পাচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব বলেন, নতুন করে তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দলগুলোর ওপর দাবি আপত্তি জানিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলে জানান ইসি সচিব।
১২ তারিখ পর্যন্ত দাবি আপত্তি জানানো যাবে উল্লেখ করে নির্ধারিত সময় পরেই গেজেট হবে বলে জানান তিনি।



