জাতীয়
আজ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা
দীর্ঘ প্রায় নয় মাসের বিরতির পর অবশেষে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণে যেতে পারবেন পর্যটকেরা। তবে সেক্ষেত্রে মানতে হবে ১২ নির্দেশনা। এসব নির্দেশনা মেনে আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রবালসমৃদ্ধ এ দ্বীপে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন। আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিন যাতায়াত করবে।’
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনে যাতায়াতের জন্য পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। সেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে।
কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে। এসব নিশ্চিত করার জন্য ট্যুরিজম বোর্ডের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত বছরের মতো এবারও কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনে যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ। আইনগত বিধি নিষেধ থাকায় উখিয়ার ইনানী থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে নীতিগত সম্মতি প্রদান বিষয়ে পাঠানো চিঠিতে এমন সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিনও বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
সেন্ট মার্টিন যেতে যে ১২ নির্দেশনা মানতে হবে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ১২টি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিআইডব্লিউটিএ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান চলাচলের অনুমতি দিতে পারবে না।
পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে।
দ্বীপে ভ্রমণের সময়সূচি এবং পর্যটক উপস্থিতিও এবার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। নভেম্বরে পর্যটকেরা শুধু দিনের বেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন, রাত্রিযাপন করা যাবে না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাত্রিযাপনের অনুমতি থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবেন।
সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে দ্বীপে রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি করা নিষিদ্ধ। কেয়াবনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয়, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ছাড়া সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করা যাবে না এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক, যেমন চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, ৫০০ ও ১০০০ মিলি লিটারের প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি বহনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
দেশে পৌঁছেছে ওসমান হাদির মরদেহ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। তাকে বহনকারী বিমানটি নির্ধারিত সময়মতো অবতরণ করে।
মরদেহ পৌঁছানোর পর সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে। যেখানে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ওসমান হাদিকে রাখা হবে। ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দর থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে জনতা সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করবে এবং শহীদ ওসমান হাদিকে শ্রদ্ধা জানাবে।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টায় মারা যান শহীদ ওসমান বিন হাদি। তার মৃত্যুতে শুক্রবার সারাদেশে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া ও শোক পালন করা হয়েছে।
ওসমান হাদি ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনি প্রচারণা শেষে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। প্রথমে ঢাকার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এমকে
জাতীয়
শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শনিবারে ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পল্লী বিদ্যুতের তাহিরপুর সাব জোনাল অফিসের সহকারী ম্যানেজার আলাউল হক সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাহিরপুর সাব-স্টেশনে বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য শনিবার (২০ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাহিরপুর সদর, বাদাঘাট, দক্ষিণ বড়দল, উত্তর বড়দল, উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর ও বালিজুরী (বালিজুরী গ্রাম ব্যতীত) ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এতে সাময়িক অসুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
এমকে
জাতীয়
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাজুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ও তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার এবং বড়ো ধরনের জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) মার্কিন দূতাবাস এক সতর্কবার্তায় বলেছে, ওসমান হাদির জানাজাকে ঘিরে মানিক মিয়া এভিনিউসহ আশপাশের এলাকায় এবং রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ভারী যানজট সৃষ্টি হতে পারে।
সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে আয়োজিত সমাবেশও কখনো কখনো সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এবং সহিংসতায় রূপ নিতে পারে।
এ অবস্থায় মার্কিন নাগরিকদের বিক্ষোভ ও বড়ো জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি, জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় চলাচলের সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতীয়
বিমানবন্দর থেকে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে হাদিকে
দেশে পৌঁছানোর পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান বিন হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে ইনকিলাব মঞ্চের ভেরিফায়েড পেইজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে- ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুইপাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নেবো।
সেখান থেকে শহিদ ওসমান হাদীকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
এর আগে এক পোস্টে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে শুক্রবার সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে শহীদ ওসমান হাদির লাশ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করা হবে। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
জাতীয়
হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল বায়তুল মোকাররম
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস। এ সময় স্লোগান, বক্তব্য ও মিছিলে জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট উত্তাল হয়ে ওঠে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ২টার দিকে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেন তারা।
এসময় ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, আজাদি না গোলামি, আজাদি আজাদি, আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম ইত্যাদি স্লোগানে প্রকম্পিত হয় আশপাশ।
স্লোগানে তারা আরও বলেন, ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি, আমার সোনার বাংলায় খুনি লীগের ঠাঁই নাই, ফ্যাসিবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, আমরা সবাই হাদি হবো যুগে যুগে লড়ে যাবো।’
এমকে




