জাতীয়
আজ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা
দীর্ঘ প্রায় নয় মাসের বিরতির পর অবশেষে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণে যেতে পারবেন পর্যটকেরা। তবে সেক্ষেত্রে মানতে হবে ১২ নির্দেশনা। এসব নির্দেশনা মেনে আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রবালসমৃদ্ধ এ দ্বীপে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন। আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিন যাতায়াত করবে।’
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনে যাতায়াতের জন্য পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। সেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে।
কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে। এসব নিশ্চিত করার জন্য ট্যুরিজম বোর্ডের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত বছরের মতো এবারও কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনে যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ। আইনগত বিধি নিষেধ থাকায় উখিয়ার ইনানী থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে নীতিগত সম্মতি প্রদান বিষয়ে পাঠানো চিঠিতে এমন সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিনও বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
সেন্ট মার্টিন যেতে যে ১২ নির্দেশনা মানতে হবে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ১২টি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিআইডব্লিউটিএ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান চলাচলের অনুমতি দিতে পারবে না।
পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে।
দ্বীপে ভ্রমণের সময়সূচি এবং পর্যটক উপস্থিতিও এবার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। নভেম্বরে পর্যটকেরা শুধু দিনের বেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন, রাত্রিযাপন করা যাবে না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাত্রিযাপনের অনুমতি থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবেন।
সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে দ্বীপে রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি করা নিষিদ্ধ। কেয়াবনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয়, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ছাড়া সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করা যাবে না এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক, যেমন চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, ৫০০ ও ১০০০ মিলি লিটারের প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি বহনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
জেলেদের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি: মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা, পরিচয় ও তাদের শ্রমের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিকেও মূল্যায়নের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্যকরেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, জলজ জীববৈচিত্র্যে বাংলাদেশ অত্যন্ত সমৃদ্ধ, তাই পরিবেশ মূল্যায়নে শুধু ইকোলজিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করাই যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও জেলেদের সামাজিক সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে।
আজ (শনিবার) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ৭ম সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের প্রাণীজ প্রোটিনের বড় অংশ আসে মাছ, ডিম ও অন্যান্য প্রাণীজাত পণ্য থেকে, যা মূলত ক্ষুদ্র খামারিরা উৎপাদন করছেন এবং তাদের বেশিরভাগই নারী। কিন্তু তাদের এই অবদান নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এখনো যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলসীমা রয়েছে এবং জলজ জীববৈচিত্র্যে আমরা অত্যন্ত সমৃদ্ধ হলেও আমাদের সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ এখনো যথাযথভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এর পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক নির্মাণে পর্যাপ্ত কালভার্ট না থাকায়, বহু স্থানে জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে— যা মাছের বিচরণ ও প্রাকৃতিক উৎপাদন ব্যবস্থাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে।
ফরিদা আখতার আরো বলেন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া ঘোষণার মাধ্যমে মাছ সংরক্ষণের উদ্যোগও চলমান আছে। তবে এসব উদ্যোগ অধিকতর সমন্বিত ও সুসংগঠিতভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক মাছের বৈচিত্র্যে অত্যন্ত সমৃদ্ধ হলেও দূষণ-বিশেষ করে প্লাস্টিক ও শিল্পবর্জ্যের কারণে মাছের জীবন ও খাদ্যনিরাপত্তা ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে। সূত্র: বাসস।
জাতীয়
ত্বকী হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ, শিগগিরই চার্জশিট জমা: র্যাব
নারায়ণগঞ্জে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
শনিবার (০১ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে, গত ১ অক্টোবর র্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুড়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ত্বকী হত্যা মামলায় আব্দুল্লাহ্ আল মামুন (৪০) নামে আরও একজন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে প্রায় ২২ দিনের অভিযান চালিয়ে র্যাব মামলার মূল আসামি আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক মো. জামশেদসহ ৬ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে আজমেরী ওসমানের সহযোগী কাজল হাওলাদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য দুই আসামি শাফায়েত হোসেন (শিপন) ও মামুন মিয়াকে দুই দফায় ৯ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গাড়িচালক জামশেদকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ইয়ার মোহাম্মদও কারাগারে আছেন।
ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বির অভিযোগ, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশে ত্বকীকে অপহরণের পর তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শামীমের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের টর্চার সেলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বের হয়ে স্থানীয় সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। পরবর্তীতে ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জাতীয়
সিলেটে রেলপথ অবরোধ, ট্রেন যাত্রায় বিলম্ব
সিলেটের রেলপথ সংস্কার ও উন্নয়নসহ আট দফা দাবিতে শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সিলেট বিভাগের সব রেলপথে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এদিন সকাল থেকে সিলেটের বিভাগের বেশ কয়েকটি রেলস্টেশনে অবরোধকারীরা অবস্থান নেওয়ায় ট্রেন যাত্রায় বিলম্ব হচ্ছে। বিশেষ করে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনে অবরোধকারীরা রেললাইনে অবস্থান করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে সিলেট রেলস্টেশনে ট্রেন যাত্রায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি। সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। সকাল সাড়ে ১০টার চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি স্টেশনে দেরিতে আসায় দুপুর ১২টায় ছেড়ে গেছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলের রেলসেবা অবহেলিত। রেললাইন জরাজীর্ণ, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নিত্যদিনের ঘটনা। একাধিকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আন্দোলনকারীদের ৮ দফা দাবি হলো- সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুটি স্পেশাল ট্রেন চালু করা, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডাবল লাইন নির্মাণ, আখাউড়া-সিলেট সেকশনে অন্তত একটি লোকাল ট্রেন ও সব বন্ধ স্টেশন চালু করা, কুলাউড়া জংশন স্টেশনে বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, সিলেট-ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী ও পারাবত ট্রেনের যাত্রাবিরতি প্রত্যাহার, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ব্যবহার, যাত্রী অনুপাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা।
ঢাকাগামী যাত্রী মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, আমার দুপুর ১২টার ট্রেনে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে সব ট্রেন বন্ধ। কেউ বলতে পারছে না কখন ছাড়বে। জরুরি কাজে যেতে না পেরে এখন বিপাকে পড়েছি।
আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের দাবি বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, অবরোধের প্রভাব সিলেট রেলস্টেশনে পড়েনি। সকালের কালনী ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। আবার চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেন দেরিতে স্টেশনে আসায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে। ১২টার জয়ন্তিকা ট্রেন একটু দেরিতে ছাড়বে। তবে অন্যকোনো স্টেশনে ট্রেন আটকা পড়লে শিডিউলে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও জানান তিনি।
জাতীয়
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনে প্রস্তুত কমিশন: ইসি আনোয়ারুল
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সর্বত্রভাবে এ বিষয়ে প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ডসহ কোনো বাহিনীর সমস্যা নেই।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্ভোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, এ দেশটি আমাদের, এই দেশে বড় হয়েছি। এই দেশের ভালো-মন্দ আমার আপনার ওপর নির্ভরশীল। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে যদি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া যায়, তাহলে প্রত্যেকটি জেলার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
জাতীয়
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা জারি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালন নিয়ে পরিপত্র জারি করেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এর আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের এক চিঠিতে বিদেশ ভ্রমণ সীমিতকরণসহ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, জারিকৃত পরিপত্রগুলোর নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে।
‘মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একই সময়ে বৈদেশিক সফরে যাচ্ছেন। একই মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন। এ ধরনের প্রস্তাব প্রায়ই এ কার্যালয়ে প্রেরণ করা হচ্ছে যা আগের দেওয়া নির্দেশনাগুলোর পরিপন্থি।’
তাই এর আগে জারি করা সব বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালন এবং এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করার নির্দেশনা দেওয়া হয় নতুন পরিপত্রে।
এ পরিপত্রের কপি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সব উপদেষ্টার একান্ত সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সরকারি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি নির্দেশনা জারি করেছিল সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সেগুলো হলো:
১. মন্ত্রণালয়/দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে কোনো বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সরাসরি পত্র যোগাযোগ না করে মন্ত্রণালয়ের সচিব বা দপ্তর/সংস্থা প্রধানের মাধ্যমে পত্র যোগাযোগ করবেন।
২. মন্ত্রণালয়/দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবেন।
৩. সব কর্মকর্তাকে বিধি মোতাবেক বিদেশ যাত্রার আগে নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
৪. বিদেশি সংস্থার সঙ্গে আমন্ত্রণ বিষয়ক কোনো যোগাযোগের পূর্বে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী দপ্তর/সংস্থা প্রধানের পূর্বানুমতি গ্রহণ করবেন।
৫. বিদেশি সংস্থা থেকে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রের প্রেক্ষিতে বর্ণিত ইভেন্টে/সভা/সেমিনারের সঙ্গে পেশাগত উন্নতি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাজ ও উদ্দেশ্য এবং জনস্বার্থের কোনো সংযোগ রয়েছে কি না সে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে।




