আইন-আদালত
গুমের ঘটনায় হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর নির্দেশ
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুমের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে জেআইসি গুমের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়। শুনানি নিয়ে এ সংক্রান্ত বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের (১৮ ডিসেম্বর) দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানি ও আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারও আগে গত ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দিন ঠিক করেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মাহিন এম রহমান, মাসুদ সালাউদ্দিন ও মো. আমির হোসেন।
এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর থেকে গত বছরের ৬ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ৫টি অভিযোগ রয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজহার সিদ্দিকী। তাদের মধ্যে শেষ তিনজন গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।
আইন-আদালত
কাদের-সাদ্দামসহ ৭ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চব্বিশের হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
অন্য সদস্যরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এদিন সকালে এই সাতজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল-২ এর রেজিস্ট্রারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে এ নিয়ে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান।
এর আগে, ৮ ডিসেম্বর এই সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
আইন-আদালত
১২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ
বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) ২৬ জনকে গুম, নির্যাতনের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং সাবেক-বর্তমান ১১ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ আজ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ আদেশের পর অভিযোগ গঠন করা হবে কি না তা জানা যাবে।
এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনাল ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। তবে সেদিন কোনো আদেশ না দিয়ে আজকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। যদিও ওই দিন মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে পুলিশ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে।
গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন- ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
মামলার পলাতক ১০ আসামির মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন সময়ে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা হলেন—লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
অন্য পলাতক আসামিরা হলেন- শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক।
গত ৭ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জেআইসি সেলে সরকারবিরোধী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গুম ও নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ২৬ জনের ঘটনা উপস্থাপন করেন।
এসব ঘটনার ভিত্তিতে পাঁচটি অভিযোগ এনে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে চার্জ গঠনের আবেদন করেন তিনি। পরে স্টেট ডিফেন্স এবং গ্রেপ্তার তিন আসামির পক্ষ সময় চাইলে ট্রাইব্যুনাল আজকের দিনটি শুনানির জন্য নির্ধারণ করে।
এর আগে ২৩ নভেম্বর পলাতক আসামিদের জন্য স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেয় ট্রাইব্যুনাল। স্বেচ্ছায় আত্মপক্ষ সমর্থনে লড়তে চাইলে শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না নিয়োগ পান। তবে শারীরিক কারণে ৩ ডিসেম্বর তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে শেখ হাসিনার পক্ষে মো. আমির হোসেনকে নিয়োগ করা হয়।
গত ২২ অক্টোবর গ্রেপ্তার এ মামলার তিন সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পাশাপাশি পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য সাত দিনের মধ্যে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
৮ অক্টোবর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এমকে
আইন-আদালত
হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালকে পালানোয় সহায়তাকারী নুরুজ্জামান রিমান্ডে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টা মামলার মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদকে মাইক্রোবাস ভাড়া দিয়ে পালাতে সহায়তা করা মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে বিচারক আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি একটি রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল করে আসা দুজনের একজন তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালানোর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে শনাক্ত করে। তারা হলেন- ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান (প্রধান সন্দেহভাজন শুটার) এবং আলমগীর হোসেন (বাইক চালক)। এ ঘটনায় ফয়সাল করিমের স্ত্রী, প্রেমিকা ও শ্যালককে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিকানা নিয়ে আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামানের আদালত কবিরের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একইদিন মূল অভিযুক্ত ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) এবং মা মোছা. হাসি বেগমকে (৬০) কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতারের পর ডিবির কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। আজ তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
আইন-আদালত
প্রধান বিচারপতির বিদায় সংবর্ধনা আগামীকাল
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিদায় সংবর্ধনা জানানো হবে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সকাল সাড়ে ১০টায় আপিল বিভাগের ১ নম্বর এজলাসকক্ষে প্রধান বিচারপতিকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান দেশের প্রধান বিচারপতিকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করবেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১১ আগস্ট দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সংবিধান অনুযায়ী, বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৭ বছর।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৫৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। প্রধান বিচারপতির বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে ২৭ ডিসেম্বর। ওই দিন ছুটি থাকায় আগামীকাল তার শেষ কর্মদিবস।
প্রথা অনুসারে শেষ কর্মদিবসে বিদায়ী বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয়ে থাকে।
আইন-আদালত
আরও তিন হত্যা মামলায় জামিন পেলেন ছোট সাজ্জাদ
চট্টগ্রামের ডাবল মার্ডারসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ আরও তিনটি হত্যা মামলায় জামিন লাভ করেছেন। উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভের কাগজপত্র ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার কারা সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর আগে হাইকোর্ট থেকে আরও চার মামলায় পেয়েছিলেন ছোট সাজ্জাদ। এ নিয়ে একে একে সাতটি হত্যা মামলায় জামিন পেলেন তিনি। তবে সাতটি মামলায় জামিন পেলেও সহসা মুক্তি পাচ্ছেন না সাজ্জাদ। এর আগে চার মামলায় জামিন লাভের খবর পাওয়ার পর সাজ্জাদকে গত রোববার চান্দগাঁও থানার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হয় আদালতে। অন্যন্য থানা থেকেও সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হাবে বলে সিএমপি সূত্র জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শাহ সৈয়দ শরীফ সাম্প্রতিক সময়ে একে একে সাতটি খুনের মামলা ছোট সাজ্জাদের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছেছে বলে জানান। সর্বশেষ যে তিনটি হত্যা মামলায় জামিনের কাগজপত্র এসেছে এর মধ্যে রয়েছে, চান্দগাঁও থানার তানভীর ছিদ্দিকী হত্যা মামলা, হৃদয় চন্দ্র তারুয়া হত্যা মামলা ও ফজলে রাব্বী হত্যা মামলা। সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ১০টি খুনের মামলাসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে জোড়া খুনসহ আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মামলাও রয়েছে। তার স্ত্রী তামান্না শারমিনের বিরুদ্ধেও একাধিক খুনসহ অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। সাজ্জাদ বর্তমানে রাজশাহী এবং তামান্না ফেনী জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন। চলতি বছরের ১৫ মার্চ ঢাকা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ। নগরীর বায়েজিদ, অক্সিজেন ও চান্দগাঁও থানা এলাকায় ‘ছোট সাজ্জাদ’ নামে পরিচিত। তাকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। গত ১০ মে নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ‘ছোট সাজ্জাদের’ স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী তামান্না ‘কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়ে আদালত ও জামিন’ কিনে নেওয়ার কথা বলে দেশের আইন ও নিরাপত্তা সংস্থাকে অপমান করেন। তার এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছিল। মূলত এর পরই ঢাকা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। আন্ডারওয়ার্ল্ডের এই শীর্ষ সন্ত্রাসী একে একে হত্যা মামলায় জামিন লাভের কারণে পুলিশের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঁপানো এই শীর্ষ সন্ত্রাসী যাতে কারাগার থেকে বের হতে না পারেন সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ওসি জাহেদুল কবির জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে দুই মামলায় গ্রেফতার দেখাতে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। চট্টগ্রাম আদালতের এপিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেছেন, আবেদন দুটি আদালতে অপেক্ষায় রয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ক্ষেত্রে আসামির উপস্থিতিতে শুনানি গ্রহণের বিধান রয়েছে। আসামিরা বর্তমানে বিভিন্ন কারাগারে আটক থাকায়, অনলাইন মাধ্যমে শুনানি গ্রহণের সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এমকে




