জাতীয়
জাতীয় নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারিতেই বইমেলা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরই একুশে বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা একাডেমি। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর সময়-নির্ধারণ বিষয়ে সমিতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কয়েকটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থার পরামর্শও পর্যালোচনা করা হয়। এর মধ্যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপর ফেব্রুয়ারি মাসেই মেলা আয়োজনের প্রস্তাব সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাস্তবসম্মত বলে গৃহীত হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরই মেলার তারিখ ঘোষণা করা হবে— সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়।
এ ছাড়া অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আয়োজনের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে বাংলা একাডেমি নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে বলেও এ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জাতীয়
চিড়িয়াখানায় প্রাণীর প্রতি মানবিক আচরণ করা হয় না: উপদেষ্টা ফরিদা
চিড়িয়াখানায় প্রাণীগুলোর প্রতি মানবিক আচরণ করা হয় না উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জাতীয় চিড়িয়াখানাকে শুধু রাজস্ব বা বিনোদনের মানদণ্ড ভাবা উচিত হবে না। চিড়িয়াখানা দেশের বিশেষ পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে।
‘বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার বর্তমান অবস্থা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের হলরুমে কর্মশালাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
ফরিদা আখতার জানান, চিড়িয়াখানা এখন যে সংকটের মধ্যে রয়েছে তার সমাধান কোনো একক ব্যক্তির, এমনকি ডিজি (মহাপরিচালক) বা পরিচালক একা চাইলে করাও সম্ভব নয়। কারণ এ সমস্যা বহু বছর ধরে চলে আসছে। তাই অধিদপ্তর, চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
কর্মশালা সম্পর্কে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ অনেক পরামর্শ পাওয়া গেছে যা নিজেরা মিটিং করলে হতো না। আমরা আগামীতে এমন একটি কমিটি করবো যেখানে সব শ্রেণির অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে প্রতি মাসে সবাই বসে চিড়িয়াখানার উন্নয়নে কী কী করা যায় তা নির্ধারণ করা হবে।’
উপদেষ্টার মতে, চিড়িয়াখানার প্রাণীদের সংরক্ষণ পরিকল্পনা শুধু চিড়িয়াখানার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ঠিক নয়। কোনো কোনো প্রাণীকে উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থানান্তর করা যায় কি না, সেটিও বিবেচনায় নিতে হবে। যেসব প্রাণীর স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে, সেগুলোকে চিড়িয়াখানায় রাখা হবে কি না বা অন্য কোথাও স্থানান্তর করা হবে কি না, সে বিষয়েও আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন।
ফরিদা আখতার বলেন, অনেক সময় বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চিড়িয়াখানার প্রাণীদের নিয়ে গবেষণার আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে প্রাণীকে গবেষণার জন্য বাইরে পাঠানো হবে না। যদি গবেষণা করতে হয়, তবে গবেষকদের চিড়িয়াখানায় এসে, সেখানকার পরিবেশের মধ্যেই গবেষণা করতে হবে।
কর্মশালায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সংকট প্রাণীগুলোকে যেভাবে রাখার দরকার তা আমরা করতে পারছি না। এর বড় কারণ পর্যাপ্ত জনবলের অভাব। আজকের এ কর্মশালা থেকে যে প্রস্তাবগুলো আসবে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।’
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার। মূলপ্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর ডা. এ বি এম শহীদ উল্লাহ, শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সাইন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।
জাতীয়
জেলহত্যা দিবস আজ
আজ ৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে কলঙ্কময় দিন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ধারাবাহিকতায় তিন মাসের মধ্যে এই জাতীয় চার নেতাকে কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হয়। সে সময় ক্ষমতার লড়াই আর ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের শিকার হন জাতীয় এই চার নেতা। জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনায় ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত থেমে ছিল ২১ বছর। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলা জেলহত্যা মামলা নামে পরিচিতি পায়।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা আট এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিনজন। সাজাপ্রাপ্ত এই ১১ আসামির মধ্যে ১০ জনই ধরাছোঁয়ার বাইরে। এক জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাতেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দেশে ফেরার পর ২০২০ সালের এপ্রিলে তিনি ধরা পড়েন এবং ওই মাসেই তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়।
জাতীয়
চার মন্ত্রণালয়-বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতির পর পদায়ন করা হয়েছে। একজন সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত ছিলেন।
রোববার (২ নভেম্বর) রাতে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরীকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে। অর্থ বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ পেয়েছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত রশীদ চৌধুরী পদোন্নতি পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হয়েছেন। অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কিন্তু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার তাকে যোগ দিতে দেননি। পরে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
জাতীয়
অন্তর্বর্তী সরকারের সংবাদ সম্মেলন দুপুরে
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। এদিন দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই সংবাদ সম্মেলনটি শুধু বৈধ নিরাপত্তা পাসধারী স্বীকৃত সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত।
স্বীকৃত সাংবাদিকদের আগামী সোমবার দুপুর ১২টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাতীয়
বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমের তালিকায় ড. ইউনূস
প্রতি বছরের মতো ২০২৬ সালের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে জর্ডানভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার’। ‘দ্য মুসলিম ৫০০: ৫০০ ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস ২০২৬’ শিরোনামের এই তালিকায় এবার স্থান পেয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তালিকায় তাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৫০তম স্থানে রয়েছেন।
এ বছরের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত মুফতি ও ইসলামি স্কলার শেখ মুহাম্মদ তাকি উসমানি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইয়েমেনি সুফি আলেম শেখ হাবিব উমর বিন হাফিজ।
শীর্ষ দশের তালিকায় এরপরই যথাক্রমে রয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি, জর্ডানের বাদশাহ এইচএম আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ইবনে আল-হুসেইন, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড শেখ ড. আহমদ মুহাম্মদ আল-তায়্যিব, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রজব তাইয়্যেব এরদোগান, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল-আজিজ আল-সৌদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মগুলোর অন্যতম ইসলাম। বিশ্বজুড়ে এ ধর্মের অনুসারী তথা মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটিরও বেশি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। দেশ, জাতি ও গোষ্ঠী পৃথক পৃথক হলেও তারা সবাই এক উম্মাহ তথা বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের অংশ। বিশ্বে মোট ৫৬টি মুসলিমপ্রধান দেশ আছে। বর্তমানে বিশ্বে মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০% এশিয়ায় বসবাস করে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে রাজনীতি, ধর্ম, সমাজসেবা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও মিডিয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বদের এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে ‘দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার’।



