পুঁজিবাজার
উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বিনিয়োগকারীদের খোলা চিঠি
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পুঁজিবাজার সঠিক পথেই আছে। শেয়ারবাজার আমাদের একটা মেজর ফোকাস। কারন আমরা ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল থাকতে চাই না। একইসাথে তিনি বলেন, যারা মিছিল করছে তারা সবাই কিন্তু রেগুলোর লোক না। যারা টাকা বানিয়েছিল এবং মাঝখানে টাকা বানানো বন্ধ হয়ে গেছে। তারা যেটা করছে তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য। শেয়ারবাজারে চুরি সব ওরাই করেছে।
অর্থ উপদেষ্টার এ ব্যক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে খোলা চিঠি দিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। সংগঠনটির সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম মানিক স্বাক্ষরিত খোলা চিঠিতে অর্থ উপদেষ্ঠার ব্যক্তব্যকে প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছেন।
খোলা চিঠিতে বলা হয়, সাধারণ বিনিয়োগকরীদের হাত ধরে গড়ে উঠা বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ) জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে আসছে। সংগঠনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে” পুঁজিবাজরে বিনিয়োকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ প্রয়াসে বিসিএমআইএ বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের অংশগ্রহণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। বিসিএমআইএ পুঁজিবাজারের সকল অংশীজনকে সংগঠিত করে যৌক্তিক দাবি উপস্থাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সকল পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে বলেও দাবি করা হয় চিঠিতে।
এতে উল্লেখ করা হয়, অর্থ উপদেষ্টা আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে সাংবাদিক পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি নিজেদের ব্যর্থতাকে পাশ কাটিয়ে পুঁজিবাজারের আন্দোলনকারী সংগঠনের উপর মিথ্যা অপবাদ দেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে অনুমান নির্ভর মিথ্যাচার জনমনে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। আমরা চাই রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তার বক্তব্যের যথার্থতা যাচাই করা হোক।
চিঠিতে আরও বলা হয়, একজন দায়িত্বশীল উপদেষ্টার দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য এবং মিথ্যাচার বিসিএমআইএ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। দুঃখজনক হলেও সত্য তিনি নিজের এবং বিএসইসি’র ব্যর্থতার দায় না নিয়ে প্রায় এক বছর যাবৎ অনুমান ও গুজব নির্ভর কথা বলে আসছেন। আজ পর্যন্ত বিসিএমআইএ’র দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য এ সংগঠন আন্দোলন করে না। আমাদের আন্দোলন সাধারণ বিনিয়োগকারী ও সু-শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।
সেইসাথে প্রতিনিয়ত আন্দোলনকারী সংগঠনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ অব্যাহত থাকলে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হুশিঁয়ারি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বিনিয়োগকারী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করছি যে, সকল অন্যায়, দুর্নীতি জনস্বার্থ বিরোধী অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরদ্ধে বিসিএমআইএ সর্বদাই সোচ্চার। সর্বোপরি, সরকার, গোয়েন্দা সংস্থা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ দেশের সর্বস্তরের জনগনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আসুন, সু-শাসন, সংস্কার-দেশের উন্নয়নে-অংশগ্রহণে আমরা হই একই পথের পথিক।
পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ৬ হাজার কোটি টাকা
বিদায়ী সপ্তাহে (১৯ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৫৮ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৫৮ কোটি টাকা বা ০.৮৭ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এই মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।
চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩০.৪৭ পয়েন্ট বা ০.৬০ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৩০.১৮ পয়েন্ট বা ১.৫৩ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২.২৬ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ।
তবে সূচকের উত্থানের পরও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৪৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বা ১৮.০৯ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫২২ কোটি ২২ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৭টি কোম্পানির, কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজার
ব্র্যাক ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে ৪৪ শতাংশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৭৫ পয়সা।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৯ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ৪ টাকা ৩৭ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৫১ টাকা ৭৩ পয়সা।
এসএম
পুঁজিবাজার
মতিন স্পিনিংয়ের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান বস্ত্র খাতের কোম্পানি মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারকে ৩৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৬৯ টাকা ৮৯ পয়সা।
আগামী ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ নভেম্বর।
এসএম
পুঁজিবাজার
ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৫৭ শতাংশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৫৬.৮১ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ৪৪ পয়সা।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ১ টাকা ৫৫ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩১ টাকা ৫৯ পয়সা।
পুঁজিবাজার
লোকসান থেকে মুনাফায় হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ পিএলসি গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হলেও আলোচ্য প্রান্তিকে আয় হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ১৪ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ১১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ৭ টাকা ৩১ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৭৪ টাকা ৪৮ পয়সা।
কাফি




