অর্থনীতি
বিনিয়োগ বাড়াতে সিইপিএ চুক্তি চূড়ান্তের পথে বাংলাদেশ ও কোরিয়া
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিএ) চূড়ান্ত করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মণ্ডল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সিউলে এক বৈঠকে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়ো হান-কু সিইপিএ চুক্তিকে সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বৈঠক নিয়ে বিডার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয়পক্ষ বলেছে যে এ চুক্তি বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রাক্কালে নতুন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করবে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা আরও জোরদারে একাধিক বিষয়ে মতৈক্য হয়।
এসময় বিডা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন উন্নয়ন সহযোগী। আমরা চাই সিইপিএ দ্রুত চূড়ান্ত হোক। এই চুক্তি হলে ইলেকট্রনিকস, মবিলিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
আশিক চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমরা কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছি। শুল্ক, রেমিট্যান্স ও কর সংক্রান্ত যেসব বিষয় তারা উল্লেখ করেছেন, সেগুলো আরও সহজ, দ্রুত ও আধুনিক করার লক্ষ্যে আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি। বিডার ৩২ দফা ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট রিফর্ম এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে এগিয়ে যাচ্ছে।’
বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়ো হান-কু বলেন, বাংলাদেশ এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক উৎপাদন ও সেবা খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা এই উন্নয়নযাত্রার অংশীদার হতে আগ্রহী।
বৈঠকে বিডা চেয়ারম্যান দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই কোরিয়ান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসে সরেজমিনে দেখুক কীভাবে অবকাঠামো, ডিজিটালসেবা ও ব্যবসা সংস্কারে আমরা বাস্তব পরিবর্তন এনেছি। বর্তমানে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশে ১৫০টিরও বেশি কোরিয়ান কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে দক্ষিণ কোরিয়া এখন বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম বৈদেশিক বিনিয়োগকারী দেশ।’
আশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলটি বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করছে। দলটি ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবে। সফরকালে দলের সদস্যরা গত ২১ অক্টোবর সিউলে ‘গেটওয়ে টু গ্রোথ: ইনভেস্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিনিয়োগ সেমিনারে অংশ নেন। যেখানে ১৫০ জনেরও বেশি কোরিয়ান বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আইএফসি বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় প্রতিনিধিদলটি কোরিয়ার শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে একাধিক সরকারি-বেসরকারি (জি-টু-বি) বৈঠকও সম্পন্ন করেছে।
অর্থনীতি
৫০ হাজার টাকার বেশি হলে ব্যাংকের মাধ্যমে দিতে হবে
রাজনৈতিক দলকে দান, অনুদান বা চাঁদা হিসেবে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি অর্থ প্রদান করলে তা অবশ্যই ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দিতে হবে। একই সঙ্গে দানকারী ব্যক্তির ট্যাক্স রিটার্ন জমা থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, যারা রাজনৈতিক দলকে টাকা-পয়সা দেবেন, দান, অনুদান বা চাঁদা-যেভাবেই হোক না কেন, ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি হলে তা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দিতে হবে। যিনি দেবেন তার ট্যাক্স রিটার্নও জমা থাকতে হবে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ–২০২৫’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানে এই নতুন বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আসবে।
অর্থনীতি
প্রবাসীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ করলো এনবিআর
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতাদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ই-রিটার্ন সাইটে নিবন্ধনের জন্য করদাতার নিজ নামে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করা বাংলাদেশের মোবাইল সিমে ওটিপি পাঠানো হতো বিধায় বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতাদের ই-রিটার্ন দাখিল করতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে এখন থেকে এই ওটিপি ই-মেইলে পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫-২৬ কর বছরে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতারা বিপুল সাড়া দিয়ে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৫০ হাজারের বেশি আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করেছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ব্যতীত সকল ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। বিশেষ আদেশে যেসব করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এরূপ সকল করদাতা অনলাইনেও ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
অনলাইন রিটার্ন দাখিল সহজ ও ঝামেলাবিহীন হওয়ায় এবং করদাতা তাৎক্ষণিক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-রিটার্ন দাখিলের acknowledgement slip বা প্রাপ্তি স্বীকারপত্র এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখপূর্বক আয়কর সনদ প্রিন্ট নিতে পারেন বিধায় বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতার জন্য বাধ্যতামূলক না হলেও তাদের অনেকেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে চাচ্ছেন। তবে, ই-রিটার্ন সাইটে নিবন্ধনের জন্য করদাতার নিজ নামে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করা বাংলাদেশের মোবাইল সিমে ওটিপি প্রেরণ করা হয় বিধায় বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতার ই-রিটার্ন দাখিল করতে সমস্যা হচ্ছিল। এ সমস্যা সমাধানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতার জন্য মোবাইল ফোনের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব ই-মেইলে ওটিপি পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এনবিআর জানায়, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতার পরিচিতি ও অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য তার পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভিসা-সিলের কপি, ই-মেইল অ্যাড্রেস ইত্যাদি তথ্য এবং ছবি ereturn@etaxnbr.gov.bd ইমেইলে প্রেরণ-পূর্বক আবেদন করলে আবেদনকারীর ই-মেইলে ওটিপি এবং রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হবে। ওই লিংকের মাধ্যমে ই-রিটার্ন পোর্টালে ওটিপি ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা ই-রিটার্ন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করত: সহজেই অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে কোনো প্রকারের কাগজপত্র বা দলিলাদি আপলোড করতে হয় না, তবে যেসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে করদাতা ই-রিটার্নে তার আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য এন্ট্রি করছেন সেসকল কাগজপত্র ও দলিলাদি তিনি নিজ হেফাজতে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সম্মানিত ব্যক্তি করদাতাকে ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে ২০২৫-২০২৬ কর বর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য অনুরোধ করছে।
অর্থনীতি
ডলারের দাম আরও বাড়লো
টাকার বিপরীতে আবারও বেড়েছে মার্কিন ডলারের মান। বুধবার (২২ অক্টোবর) দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলারের বিক্রয়মূল্য সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ৭৫ পয়সায় উঠেছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১২২ টাকা ৩০ পয়সা ছিল।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি এলসি খোলার প্রবণতা বাড়ায় বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দামও ঊর্ধ্বমুখী।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে বুধবার ডলার বিক্রি হয়েছে ১২২ টাকা ৭৫ পয়সায় এবং ক্রয় করা হয়েছে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ১২২ টাকা ৬০ পয়সা, ক্রয়মূল্য ১২১ টাকা ৬০ পয়সা। অন্যদিকে, ঢাকা ব্যাংকে এক ডলার বিক্রি হয়েছে ১২২ টাকা ৫০ পয়সায়, ক্রয় করা হয়েছে ১২১ টাকা ১৫ পয়সায়— যা গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বুধবার আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা, যা মঙ্গলবার ছিল ১২২ টাকা। গত ২০ অক্টোবর এই হার ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সার কাছাকাছি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের আমদানি এলসি খোলা হয়েছে, যা আগস্টের ৫ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমদানির চাপ কিছুটা বাড়ায় ডলারের দাম সামান্য বেড়েছে। তবে এটি অস্বাভাবিক নয়। বাজারে ডলারের সরবরাহ এখনও পর্যাপ্ত রয়েছে।
অর্থনীতি
সোনার দাম ভরিতে কমলো ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা
দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যহ্রাসের সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা ও দাম কমার কারণে নতুন করে দাম কমানো ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা পর্যন্ত কমেছে সোনার দাম। নতুন দামের ফলে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। নতুন এ দাম বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে।
বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা বিক্রি হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১টাকা, ১৮ ক্যারেট এক লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বিক্রি হবে এক লাখ ৪২ হাজার ২০৯ টাকায়।
সোনার দামের সঙ্গে কমানো হয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম থাকছে ৫ হাজার ৪৭০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৫ হাজার ২১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৪৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হবে ৩ হাজার ৩৫৯ টাকায়।
কাফি
অর্থনীতি
রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার
রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিলাম পদ্ধতিতে ডলার কেনার প্রেক্ষাপটে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও দেখা দিয়েছে উত্থান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সোমবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৯ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী যার পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনায় রিজার্ভ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু হয়।
এছাড়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়ছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৮০৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অর্থবছর অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে—জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।




