অর্থনীতি
৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে ৭১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ ও প্রকল্পচুক্তি হয়েছে। ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইন্টিগ্রেটেড সাউথওয়েস্ট প্রজেক্ট ফর ওয়াটার রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এডিবি এ ঋণ দেবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) এ দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্য প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভবপর হবে। এছাড়া প্রকল্প হতে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্তে পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।
এ ঋণটি এডিবির নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।
এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যপদ লাভের পর এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতগুলোয় ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবৎ বাংলাদেশ সরকারকে ৩১৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসন-কে প্রাধান্য দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি বেড়েছে ৮ কোটি টাকা
আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমলেও চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে ভর্তুকি কমছে না। সংশোধিত বাজেটে বরং কৃষি খাতের ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মূল বাজেটে এ খাতে ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা বাবদ ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার মানের অবমূল্যায়ন, জাহাজভাড়া বেড়ে যাওয়া এবং এলএনজির দাম বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরেও ব্যাপক ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকির জন্য ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এ খাতে ভর্তুকি কত রাখা হবে, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
তবে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশ করা বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের প্রতিবেদনের (পিংক শিট) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেশ কম ছিল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন ইউরিয়া সারের দাম ছিল ৩৫১.৩০ ডলার। এছাড়া প্রতি টন ডিএপির দাম ৫৮৩.৮০ ডলার, প্রতি টন টিএসপির দাম ৪৫৪.৪০ ডলার এবং প্রতি টন এমওপির দাম ছিল ২৮৯.৪০ ডলার।
২০২৩-এর এপ্রিলে সরকার ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়ায়। কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপি সারের দাম ২২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ টাকা, ডিএপির দাম ১৬ টাকার পরিবর্তে ২১ টাকা ও এমওপি সারের দাম ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
ওই সময় কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় সারের আমদানি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং সারের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পণ্যটির দাম পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দেশে ২৭ লাখ টন ইউরিয়া সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া টিএসপি ৭.৫ লাখ টন, ডিএপি ১৬ লাখ টন ও এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে ৯ লাখ টন।
এর মধ্যে ১০ লাখ টন ইউরিয়া, ১ লাখ টন টিএসপি ও ১ লাখ টন ডিএপি দেশেই উৎপাদন করে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
চলতি অর্থবছরে গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত ইউরিয়া ১৫.৮৫ লাখ টন, টিএসপি ৬.৭২ লাখ টন, ডিএপি ১৩.০৫ লাখ টন ও এমওপি ১০.৩৪ লাখ টন আমদানি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটবিষয়ক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি বছরই মূল বাজেটে কৃষি ভর্তুকি বাবদ যে বরাদ্দ রাখা হয়, সংশোধিত বাজেটে তা বাড়ানো হয়।
তবে এই বৃদ্ধি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল সবচেয়ে বেশি। ওই অর্থবছরের মূল বাজেটে ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা; কিন্তু অর্থবছর শেষে ব্যয় হয়েছিল ২৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের মূল বাজেটে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়; অর্থবছর শেষে খরচ হয় ১২ হাজার কোটি টাকা। একইভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মূল বাজেটে কৃষি খাতের ভর্তুকি বাবদ ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও বছর শেষে এ খাতে ব্যয় হয় ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার কোটি টাকা, অর্থবছর শেষে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়।
কৃষকদের কম দামে সার সরবরাহ করতে গিয়েই মূলত সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি ব্যয় হয়। এছাড়া কৃষি খাতে পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবহার করে যে সেচ দেওয়া হয়, তার বিলের ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়। এর বাইরে আখ চাষে সামান্য ভর্তুকি রয়েছে।
কৃষি পুনর্বাসন ৬০০ কোটি টাকা সহায়তা
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা বাবদ ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে। এরমধ্যে ৫৩০ কোটি টাকা সার, বীজ ও চারা বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
কৃষকদের নতুন জাতের বীজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা, এক ধরনের ফসল থেকে অন্য ধরনের ফসল চাষে আগ্রহী করতে এ সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। আর ৭০ কোটি টাকা দেওয়া হবে অনুদান। খরা, বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই অনুদান দেওয়া হয়।
২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে সরকার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিল ব্র্যাক ব্যাংক
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ব্র্যাক ব্যাংকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের অভিযান’ শিরোনামে বেশ কিছু খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই খবরগুলোতে পুরো বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন ইকরাম কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল ১৫-এর কর্মকর্তারা ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহক প্রতিষ্ঠান উলকা গেমস লিমিটেডের অ্যাকাউন্ট থেকে করের তহবিল সংগ্রহের জন্য গুলশান শাখায় যান। প্রথমত, এটি কোনো অভিযান ছিল না। কর্মকর্তারা ব্র্যাক ব্যাংকের কাছ থেকে করের অর্থ সংগ্রহের জন্যও যাননি। বরং ব্যাংকের গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের করের টাকা সংগ্রহই ছিল তাদের লক্ষ্য। বিভিন্ন মিডিয়াতে ব্যাংকের কর ফাঁকির উল্লেখ সম্পূর্ণ অসত্য। পুরো ঘটনাটি নিয়ে মিডিয়ার প্রতিবেদনগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্র্যাক ব্যাংক এনবিআর কর্মকর্তাদের উক্ত কোম্পানির করের অর্থ প্রদান করতে পারেনি। এই অনিচ্ছাকৃত অপরাগতার কথা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার লিখিতভাবে এনবিআর কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। এখানে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে অসহযোগিতারও অবকাশ ছিল না। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আদালতের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে ও আদালতের অবমাননা এড়াতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ১ মে একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ ৫ মে তারিখের নির্ধারিত শুনানি পর্যন্ত উলকা গেমসের তহবিল স্থানান্তরের বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করেন। শুনানি পর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্র্যাক ব্যাংক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। করের টাকা আদায়ে এনবিআরকে পূর্ণ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে ব্র্যাক ব্যাংক সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এপ্রিলে প্রবাসী আয় বেড়েছে ২১ শতাংশ
গত একমাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা।
এর আগের মাস মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। তবে ওই মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।
এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয়মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন এবং এপ্রিলে এলো দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সরকার
পেঁয়াজ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, দেশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য পেঁয়াজ উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। এ নিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। বর্তমানে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমাদের দেশে উৎপাদন হয়। কৃষক স্বল্পমূল্যে বীজ পান, চাষাবাদের উপকরণ পান, সেটাই সরকারের লক্ষ্য।
দেশের প্রথম বিশেষায়িত ‘জায়েন্ট এগ্রো পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকার ভরাডোবায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে বছরব্যাপী দেশবাসীকে পেঁয়াজ সরবরাহ করতে পারবে। এমন উদ্যোগের জন্য আমি নেদারল্যান্ডস সরকার ও দেশি-বিদেশি সব অংশীদার প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই।
আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বছরব্যাপী পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে পেঁয়াজের আমদানি-নির্ভরতা কমিয়ে ভোক্তাদের ধারাবাহিকভাবে ভালো মানের পেঁয়াজ যৌক্তিক দামে সরবরাহের লক্ষ্যে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ৫০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আবারও কমলো সোনার দাম
টান অষ্টমবারের মতো দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা শুক্রবার (৩ মে) থেকে কার্যকর হবে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের একভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ভালো মানের একভরি সোনার দাম ৪২০ টাকা কমানো হয়। তার আগে ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমলো।
কাফি