আন্তর্জাতিক
চ্যালেঞ্জের মুখে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল উৎপাদন ও রফতানি
প্রধান আমদানিকারক দেশগুলোয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতির কারণে বিপাকে পড়েছে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল খাত। এরই মধ্যে সেখানে পণ্যটির রফতানি কমতে শুরু করেছে। চাপের মুখে রয়েছে উৎপাদনও। নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে উঠে আসা বিশ্লেষণ অনুযায়ী, চীনসহ শীর্ষ পাম অয়েল আমদানিকারক দেশগুলোর অর্থনীতি ধীর হয়ে পড়ায় পণ্যটির চাহিদা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাছাড়া ঊর্ধ্বমুখী দামও চাহিদা কমার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ। সেখানে উৎপাদন কিংবা রফতানি বাধাগ্রস্ত হলে পণ্যটির বৈশ্বিক বাজার আরো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান ফাদিল হাসান বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ পাম অয়েল ক্রেতা দেশগুলোয় চলতি বছর চাহিদা নিম্নমুখী থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় উৎপাদনও কম থাকবে। এর প্রভাব পড়বে পাম অয়েল থেকে উৎপাদিত পণ্যের বাজারেও।’
ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েলের অন্যতম শীর্ষ ক্রেতা চীন। দেশটি চলতি বছর ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, গত বছর যা ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
কুয়ালালামপুরভিত্তিক আর্থসামাজিক গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক লি হেং গুই চীনের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ বছর দেশটির সরকার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না।’ প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশে নামতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছর সেখানে ৫ কোটি ৪৪ লাখ টন পাম অয়েল উৎপাদন হতে পারে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে রফতানি কমে ২ কোটি ৯৫ লাখ টনে নেমে আসতে পারে, গত বছর যা ছিল ৩ কোটি ২২ লাখ টন।
ফাদিল হাসান জানান, ২০২৩ সালে ইন্দোনেশিয়ায় প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ৯০০ থেকে ১ হাজার ডলারে ওঠানামা করেছে। ওই সময় সেখানে পণ্যটির গড় দাম ছিল টনপ্রতি ৯৬০ ডলার।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইন্দোনেশিয়ায় চলতি বছর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে পাম উৎপাদন। নতুন আবাদ কমে যাওয়া, ফলনে ধস, শ্রমিক ও সারের ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ বেশকিছু বিষয় উৎপাদন কমার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করবে। ফলে বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম আকাশচুম্বী হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।
পূর্বাভাস দাতা প্রতিষ্ঠান অয়েল ওয়ার্ল্ডের নির্বাহী পরিচালক থমাস মাইক জানান, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) পাম অয়েলের বৈশ্বিক উৎপাদন কমেছে। পাশাপাশি মজুদ কমেছে ১২ লাখ টন।
তিনি বলেন, চলতি ও আগামী বছর মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকবে। দেশটি পাম অয়েল উৎপাদন ও রফতানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ। সেখানেও পণ্যটির সরবরাহ সংকোচনের মুখে পড়েছে। আগামী তিন মাসে বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে পাম অয়েলের দাম ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ৩০০ রিঙ্গিতে ওঠানামা করতে পারে।
ইন্দোনেশিয়া গত বছর উৎপাদিত পাম অয়েলের ৫৮ শতাংশই রফতানি করেছে। তবে এটি বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক কম। মূলত স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় রফতানি প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে। এ বছরও রফতানি কমতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে ইরানের নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ইরান। বৃহস্পতিবার ইরানের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির
ইরানের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে সাতজন মার্কিন নাগরিক। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল অপারেশনস কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ব্রায়ান পি ফেন্টন ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের সাবেক কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপারের নাম রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইরান নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস, ব্রিটিশ আর্মি স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের কমান্ডার জেমস হকেনহাল। এর বাইরে লোহিত সাগরে যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনীর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান হিসেবে লকহিড মার্টিন, শেভরনকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে এলবেইট সিস্টেমস, পার্কার মেগিট ও রাফায়েল ইউকে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের আর্থিক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি কোনো লেনদেন করতে পারবেন না। ইরানে তাদের সব সম্পদে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এ ছাড়া ইরানের কোনো অঞ্চলে তারা প্রবেশ করতে পারবেন না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতীয় মশলায় ক্ষতিকর উপাদান, দেশে দেশে পদক্ষেপ
ভারতের এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেসের তৈরিকৃত প্যাকেটজাত গুঁড়া মশলা মশলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী উপাদান ইথিলিন অক্সাইড পাওয়ার ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই এশিয়ায় সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের বাজার থেকে এই দুই ভারতীয় কোম্পানির মশলা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এক বছর আগে আফ্রিকায় ভারতীয় একটি ওষুধ কোম্পানির সর্দি-জ্বরের সিরাপ পানের পর ১৪০ শিশুর প্রাণহানি ঘটে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর পণ্যসামগ্রীর মান সম্পর্কে প্রশ্ন ওঠে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত এপ্রিলে হংকংয়ে ভারতীয় ওই দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়ার তথ্য জানানো হয়। পরে মাছ রান্নায় ব্যবহৃত ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচের তিন ধরনের গুঁড়া মশলা ও এভারেস্টের একটি গুঁড়া মশলার বিক্রি স্থগিত করে হংকং।
হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ এমডিএইচ ও এভারেস্টের মশলার মান নিয়ে সতর্ক সংকেত জারি করায় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোতেও একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এসব দেশে ওই দুই কোম্পানির পণ্যসামগ্রীতে রাসায়নিকের উপস্থিতি আছে কি না তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ভারতের বৃহত্তম দুই মশলা কোম্পানির বিরুদ্ধে অতীতেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করা এমডিএইচের কিছু পণ্যে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া পাওয়া যায়। পরে দেশটির বাজার থেকে সেসব পণ্য প্রত্যাহার করে নেয় এমডিএইচ। আর ২০২৩ সালে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এভারেস্টের গুঁড়া মশলায় ব্যাক্টেরিয়া পায়। ওই সময়ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে এভারেস্টের গুঁড়া মশলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় এফডিএ।
গত ৫ এপ্রিল হংকংয়ের সেন্টার ফর ফুড সেফটি (সিএফএস) এক বিবৃতিতে জানায়, এমডিএইচের তিনটি ও এভারেস্টের একটি গুঁড়া মশলায় উচ্চ-মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযোগী। দীর্ঘসময় ধরে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। পরে এই দুই কোম্পানির মশলা হংকংয়ের বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় সিএফএস।
হংকংয়ের এই সিদ্ধান্তের পর সিঙ্গাপুরও তাদের বাজার থেকে এভারেস্টের গুঁড়া মশলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে রান্নার কাজে এসব মশলা ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয় দেশটির বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিঙ্গাপুর ফুড অ্যাজেন্সি (এসএফএ)। সংস্থাটি বলেছে, সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলো সিঙ্গাপুরেও আমদানি করা হয়েছিল। এসএফএ আমদানিকারক সব প্রতিষ্ঠানকে এমডিএইচ ও এভারেস্টের পণ্য প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে।
ভারতের মশলা রপ্তানি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়া স্পাইস বোর্ড বলেছে, দেশভেদে মশলা পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড ব্যবহারের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যুক্তরাজ্য ও নরওয়ের মতো দেশে প্রতি কেজিতে শূন্য দশমিক ০২ মিলিগ্রাম এবং কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি কেজিতে ৭ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতির সীমা বেঁধে দেওয়া আছে।
ভারতে কৃষি চাষাবাদে কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। আর এসব কীটনাশকের উপস্থিতি প্রায়ই খাদ্য পণ্য পাওয়া যায়। ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালে শেষ হওয়া অর্থবছরে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা চাষাবাদকৃত এলাকার পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৮ হাজার ২১৬ হেক্টরে পৌঁছেছে। যা ২০২৩ সালের কীটনাশক ব্যবহার করে চাষাবাদ করা এলাকার তুলনায় প্রায় সাত গুণ বেশি।
চাষাবাদে কীটনাশক ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে ভারতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান থার্ড আইসাইটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) দেবাংশু দত্ত বলেন, আমরা মশলা পণ্যটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে পারি। আমাদের কীটনাশকের ব্যবহারের বিষয়ে আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন।
বুধবার গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, হংকং এবং সিঙ্গাপুরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভারতের প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপ্তানি বাজার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্বজুড়ে ভারতীয় মশলা পণ্যে ভোক্তাদের আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে দ্রুত তদন্ত এবং ফলাফল প্রকাশ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে ভারতের সরকারি সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে পরিষ্কার যোগাযোগের অভাব বেশ হতাশাজনক।
ইউরোপের বাজারে ভারতীয় খাদ্যপণ্যের বিরুদ্ধে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) রপ্তানি করা ভারতের পাঁচ শতাধিক পণ্যে একই রাসায়নিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ফুড সেফটি অথরিটি। সংস্থাটি বলেছে, ইউরোপে রপ্তানি করা ভারতীয় ৫২৭টি পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড রাসায়নিকের উপস্থিতি মিলেছে। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা এই রাসায়নিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সক্রিয় কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইউরোপে প্রতিদিন নিখোঁজ হচ্ছে ৪৭ জন অভিবাসী শিশু
ইউরোপে পাড়ি জমানো অভিবাসী শিশুদের মধ্যে গত তিন বছরে নিখোঁজ হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি শিশু। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে ৪৭ জন শিশু নিখোঁজ হয়েছে। আন্তর্জাতিক এক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর ইনফোমাইগ্রেন্টস।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সম্মিলিত উদ্যোগ ‘লস্ট ইন ইউরোপ’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইউরোপে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে থাকা অন্তত ৫১ হাজার ৪৩৩ জন সঙ্গীহীন অভিবাসী শিশু ও কিশোর নিখোঁজ হয়েছে।
২০২১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে মাসব্যাপী অনুসন্ধানের পর এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ওই গবেষণা দেখানো হয়েছিল, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ইউরোপে ১৮ হাজারেরও বেশি অভিবাসী শিশু নিখোঁজ হয়েছিল।
সবশেষ অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য বলছে, ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী শিশু নিখোঁজ হয়েছে ইতালিতে। গত তিন বছরে দেশটিতে ২২ হাজার ৮৯৯ জন শিশু নিখোঁজের তথ্য নিবন্ধিত হয়েছে।
এরপর অস্ট্রিয়ায় ২০ হাজার ৭৭ জন, বেলজিয়ামে ২ হাজার ২৪১ জন, জার্মানিতে ২ হাজার ৫ জন এবং সুইজারল্যান্ডে ১ হাজার ২২৬ জন শিশু নিখোঁজের তথ্য নিবন্ধন করা হয়েছে।
‘লস্ট ইন ইউরোপ’ প্রকল্পের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিখোঁজ অভিবাসী শিশুদের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন এবং ইউরোপের কিছু দেশ নিখোঁজ শিশুদের কোনো তথ্য সংগ্রহই করে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আরব আমিরাতে ভারী বর্ষণে ১৩ ফ্লাইট বাতিল
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে মাঝপথ থেকে অনেক বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে রাতের পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কায় বিমানবন্দরে আসার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল আমিরাতে প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় বন্যা হয়। এ সময় ২২ হাজার ফ্লাইট বাতিল করেছিল দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পল গ্রিফথস জানিয়েছেন, গত ১৪ এপ্রিলের বৃষ্টির সময় যে জরুরি প্রটোকল ব্যবহার করা হয়েছিল এবারই সেই একই প্রটোকল ব্যবহার করা হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
টানা দরপতনের পর ঊর্ধ্বমুখি জ্বালানি তেলের দাম
আন্তর্জাতিক বাজারে টানা তিনদিন পতনের পর জ্বালানি তেলের দাম কমে সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছিলো। তবে বৃহস্পতিবার (২ মে) জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে।
এদিন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে ৮৪ দশমিক ২৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে ৭৯ দশমিক ৬৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে গত বুধবার তেলের দাম ৩ শতাংশের বেশি কমে সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়। কারণ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখে।
ফলে চলতি বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কম হতে পারে। পাশাপাশি কমতে পারে তেলের চাহিদাও।
এদিকে এপ্রিলে তেল আমদানি কমেছে এশিয়ার। মার্চে যেখানে দৈনিক ২৭ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আমদানি করে, সেখানে এপ্রিলে করে ২৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল।
অন্যদিকে সেচ্ছায় তেলের উৎপাদন কমানোর সময়সীমা আরও বাড়াতে পারে ওপেক প্লাস। সদস্যভুক্ত দেশগুলো জুনের পরেও এই সুবিধা পেতে পারে।
কাফি