শিল্প-বাণিজ্য
সাতদিন বন্ধ থাকবে সোনামসজিদ স্থলবন্দর
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ বন্দর সাতদিন বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. মামুন উর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় তিনি জানান, আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাতদিন সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে যথাযথ নিয়মে এ বন্দরের সব কার্যক্রম চালু হবে।
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জাফর ইকবাল বলেন, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের যাত্রী পারাপার চালু থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
১০ মাসে রপ্তানি আয় ৪৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৭ দশমিক ৪৭১ বিলিয়ন ডলার। যা কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাত শতাংশ কম।
তবে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানির গতি কিছুটা ধীর হওয়ার কারণে মোট রপ্তানি আয় লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে আছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মাসিক রপ্তানি চিত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশের বেশি জুড়ে রয়েছে তৈরি পোশাক। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে মোট রপ্তানির মধ্যে ৪০ দশমিক ৪৯৪ বিলিয়ন ডলারই তৈরি পোশাক। চলতি বছরে তৈরি পোশাক রপ্তানির গতি কিছুটা কমে গেলে মোট রপ্তানি কমে যায়।
চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দমিক ৯৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। একই সময়ে মোট রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
করোনা মহামারিতে তৈরি পোশাক রিপ্তানি কিছুটা ভাটার টান তৈরি হলেও দ্রুত ঠিক হয়েছে। মহামারির প্রকোপ কমার সাথে সাথে তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনা পরবর্তী প্রায় দুই বছর রপ্তানির গতি অব্যাহত থাকে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আবার ধাক্কা লাগে। তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতির আঘাত লাগে; কমে যায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। এর ফলে আবারও রপ্তানিতে ভাটার টান তৈরি হয়। পরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার জের ধরে লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা শুরু হলে রপ্তানিতে আবারও নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, লোহিত সাগরে সমুদ্রগামী জাহাজে হামলা শুরু হলে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলক কাছের বাজার খুঁজতে থাকে। লোহিত সাগরের এ সমস্যা দূর না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নতুন করে বাড়তি সমস্যা যোগ হবে, যাতে রপ্তানি ব্যাহত হতে পারে; কমবে প্রবৃদ্ধি।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, তুলনামূলক অন্যান্য কম রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানি হয়েছে ৩২১ মিলিয়ন ডলার; পণ্যটি আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি কমেছে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অন্যতম সম্ভাবনাময় চামড়া ও চামড়া পণ্য রপ্তানি কমেছে ১৩ দমমিক ৩২ শতাংশ; রপ্তানি হয়েছে ৮৭২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলারের। এক সময়ের প্রধান রপ্তানি পণ্য পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ৭ শতাংশ; ১০ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের।
আরেক সম্ভাবনাময় হোম টেক্সটাইল ১০ মাসে রপ্তানি সংকুচিত হয়েছে ২৫ শতাংশ; ১০ মাসে পণ্যটির রপ্তানি হয়েছে ৭০২ দমকি ৫৬ মিলিয়ন ডলার।
১০ মাসে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭৭৪ মিলিয়ন ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দমিক ১২ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২০১ মিলিয়ন ডলারের; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। বিশেষ টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২৭০ মিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
সামিট করপোরেশনের নতুন এমডি ফয়সাল খান
সামিট করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফয়সাল খান। তিনি ২০০৭ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, বন্দর ও রিয়েল এস্টেট খাতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপে যোগ দেন। তিনি সামিট গ্রুপের সব কোম্পানির বোর্ড সদস্য এবং বর্তমানে বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ফয়সাল খানের নিয়োগ প্রসঙ্গে সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘ফয়সাল খান সামিট করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন। আমাদের সন্তানরা এমন ভালো মানুষ, সৎ মানুষ এবং ভালো একজন ব্যবস্থাপক হিসেবে বেড়ে উঠেছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’
‘ফয়সাল ১৭ বছর ধরে পেশাগতভাবে আমার সঙ্গে আছেন এবং ২০১৭ সাল থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তিনি এই পদের ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ জানেন। আমি নিশ্চিত, তার হাতেই সামিট আরও এগিয়ে যাবে,’ বলেন তিনি।
নিয়োগ পেয়ে ফয়সাল খান বলেন, ‘সামিটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আজিজ খানের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। তার দিকনির্দেশনা, প্রজ্ঞা এবং অবিচল সমর্থন কেবল আমার পেশাদার যাত্রা নয়, আমার ব্যক্তিগত জীবন গঠনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জটিলতা নিরসনে আমি পরিচালনা পর্ষদ, বিনিয়োগকারী, সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সহকর্মীদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করার প্রত্যাশায় আছি।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পণ্যবৈচিত্র্য না হলে রপ্তানি কমবে: এডিবি
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য কম। দেশের রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে গেলে রপ্তানি পণ্যে যে শুল্ক আরোপিত হবে, তার জেরে দেশের রপ্তানি ৫.৫ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এই বাস্তবতায় দেশের রপ্তানির সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই বলেই মনে করে সংস্থাটি।
এডিবির ‘এক্সপান্ডিং অ্যান্ড ডাইভারসিফাইং এক্সপোর্টস ইন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্যের বৈচিত্র্য না থাকায় এলডিসি গ্রুপের বাইরের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ তুলানমূলক সবচেয়ে কম। বাংলাদেশের চেয়ে কম জনসংখ্যার দেশগুলোর রপ্তানি অনেক বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি যেখানে ৫৫ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ভিয়েতনামের রপ্তানির পরিমাণ ৩৬০ বিলিয়নের বেশি, ইন্দোনেশিয়ার ২৪০ এবং থাইল্যান্ডের রপ্তানি প্রায় ৩২৩ বিলিয়ন ডলার।
এমনকি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে গড়পড়তা শুল্কের হার বেড়ে যেতে পারে। এতে কানাডায় পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ, ভারতে ৮.৬, জাপানে ৮.৭ ও চীনে রপ্তানির ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপিত হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা
তৈরি পোশাক থেকে শুরু করে কৃষি, চামড়াসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প। অথচ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে এখনো নানান সমস্যার ভুগছে এ খাত। সরাসরি রপ্তানির সুযোগ না থাকায় নানান চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই শিল্প। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন এই খাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও শেনজেন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক ওমর ফারুক। প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সভায় মো. আমিন হেলালী বলেন, পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য আগে শতভাগ উপকরণ আমদানি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যের উপকরণগুলোর দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি কোভিডের সময় আমদানি বাধাগ্রস্ত হলেও আমাদের রপ্তানি বন্ধ ছিল না।
বিশ্বে প্যাকেজিং খাতের বিরাট বাজারে ধরার আহ্বান জানিয়ে মো. আমিন হেলালী বলেন, আমাদের উদ্যোক্তা আছে, দক্ষ কারিগরও আছে। তারপরও যেসব কারণে আমরা প্যাকেজিং খাতের এত বড় বাজার ধরতে পারছি না সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সেগুলো সমাধানে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআই পরিচালক তপন কুমার মজুমদার বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার পেছনে বিরাট ভূমিকা রেখেছে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজসহ দেশীয় শিল্পকে বিকশিত করার কোনো বিকল্প নেই।
এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি ড. যশোধা জীবন দেবনাথ বলেন, ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এখন বাংলাদেশের। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির যাত্রায় ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের উন্নয়নে কাজ করার বিকল্প নেই।
বৈঠকে ব্যবসায়ীরা রাজস্ব ও বন্দর কর্মকর্তাদের হয়রানি, মাত্রাতিরিক্ত লাইসেন্স ও নবায়নের বিধান ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশে অন্যতম বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেন। এসময় তৈরি পোশাকশিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, আমির হোসেন নূরানি, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান, সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান ব্যবসায়ীদের
বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আদলে দেশে বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। সেই সঙ্গে, কোস্টাল ট্যুরিজম, নাইট-লাইফ ট্যুরিজম, ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নসহ পর্যটন বহুমুখীকরণ, পর্যটন বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, সেবার মান ও নিরাপত্তা জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে এফবিসিসিআই আইকনে, সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এই এসব কথা উঠে আসে। ওই স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আবুল কালাম মো. আবু রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সুজীব রঞ্জন দাস। এ সময় এফবিসিসিআইর সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. মুনির হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকবৃন্দ, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ পর্যটনকে সম্প্রসারণের পাশাপাশি কমিউনিটি ট্যুরিজম, ইকো-ট্যুরিজম, কোস্টাল ট্যুরিজমসহ পর্যটন পণ্য ও সেবাকে বহুমুখীকরণের মাধ্যমে অর্থনীতিতে এই খাতের অংশীদারত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিদেশি পর্যটক পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে ভিসা জটিলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ভিসা জটিলতা দূরীকরণসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতকরণ, সেবার মান উন্নতকরণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং জোরদার করতে হবে।
এ সময় পর্যটন খাতের টেকসই উন্নয়নে কমিটির সদস্যদের কাছে লিখিত আকারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা আহ্বান করেন তিনি।
বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের আগে খাতের উদ্যোক্তাদের গুণগত সেবা দিয়ে স্থানীয় পর্যটকদের সন্তুষ্টি অর্জনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা কি লোকাল ট্যুরিস্টদের সন্তুষ্ট করতে পেরেছি? বিদেশি পর্যটককে আকৃষ্ট করতে হলে স্থানীয় পর্যটকদের সন্তুষ্টি আগে নিশ্চিত করতে হবে। সেবার মান বৃদ্ধিতে এই খাতের কমপ্লায়েন্সগুলো মেনে চলার কোন বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভার মুক্ত আলোচনায়, পর্যটনকে কেন্দ্র করে অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ, বিমান বন্দরের সংখ্যা বৃদ্ধি, পর্যটন কেন্দ্র সমূহে যোগাযোগ ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, ভিসা ব্যবস্থা ও টিকেট বুকিং সহজিকরণ, দক্ষ জনবল তৈরিতে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সেতুবন্ধন, অঞ্চলভিত্তিক পর্যটনের উন্নয়ন, স্যুভিনিয়র পণ্য উন্নয়ন, প্রমোশনাল কার্যক্রম জোরদার, নিরাপত্তা জোরদার, পর্যটন উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ, পর্যটন সেবায় স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, পর্যটন কেন্দ্র সমূহে পর্যাপ্ত মানি চেঞ্জার বা মানি এক্সচেঞ্জ সেবা চালু, ই-ভিসা এবং অন-অ্যারাইভাল ভিসা সহজ করাসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরে কমিটির সদস্যরা।
এসএম