জাতীয়
হাদির জানাজা দুপুরে, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ বর্তমানে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রয়েছে। আজ দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং থেকে বলা হয়, শনিবার দুপুর দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আরও জানিয়েছে, শহীদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। সেই সঙ্গে এ সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এদিকে, ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক লোক সমাগম হবে। ফলে এ সময় মানিক মিয়া এভিনিউতে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকবে। জানাজা অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে খেজুর বাগান ক্রসিং হতে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়।
বিকল্প সড়কগুলো-
১. মিরপুর রোড টু ফার্মগেট ভায়া মানিক মিয়া এভিনিউগামী যানবাহন মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত ফার্মগেট বা সোনারগাঁও অভিমুখী যানবাহন গণভবন ক্রসিং-লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট এর দিকে গমন করবে।
২. ফার্মগেট টু মানিক মিয়া এভিনিউ ভায়া ইন্দিরা রোডগামী যানবাহন ফার্মগেট হতে খেজুর বাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বামে মোড় নিয়ে লেক রোড-গণভবন ক্রসিং এর দিকে গমন করবে।
৩. ধানমন্ডি হতে ফার্মগেটগামী যানবাহন ধানমন্ডি ২৭ হতে আগত যানবাহন আসাদগেট-গণভবন ক্রসিং ডানে ইউটার্ন করে লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিং এর দিকে গমনাগমন করবে।
৪. আসাদগেট হতে ফার্মগেট ক্রসিংগামী যানবাহন আসাদগেট-বামে মোড় নিয়ে গণভবন ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিং এর দিকে গমন করবে।
৫. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা ইন্দিরা রোড থেকে ধানমন্ডিগামী যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাইন্দিরা রোড হতে আগত যানবাহন খেজুর বাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বামে মোড় নিয়ে লেক রোড-বামে মোড় নিয়ে আসাদগেট-সোজা পথে ধানমন্ডির দিকে গমন করবে।
৬. মিরপুর রোড হতে ধানমন্ডি ২৭ গামী যানাবাহন মানিক মিয়া এভিনিউ হতে ব্লকেড সরিয়ে ফেলা হবে বিধায় মিরপুর রোড হতে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন শ্যামলী-শিশুমেলা-গণভবন-আসাদগেট হতে সোজা ধানমন্ডি ২৭ এর দিকে গমনাগমন করবে।
৭. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েগামী যানবাহন সমূহকে জানাজা নামাজ চলাকালীন সময়ে ফার্মগেট এক্সিট র্যাম্প ব্যবহারের পরিবর্তে এফডিসি (হাতিরঝিল) র্যাম্প ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।
অন্যদিকে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজা ঘিরে রাজধানীর ফার্মগেট ও বিজয় সরণি মেট্রোরেল স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছে এমআরটি পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিতব্য ওসমান গনি হাদির জানাজা নামাজ উপলক্ষে ফার্মগেট ও বিজয় সরণি মেট্রোরেল স্টেশনে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে এমরআরটি পুলিশ।
এতে বলা হয়, ওই এলাকায় কোনো ব্যক্তি ভারি বস্তা বা ব্যাগ বহনে বিশেষভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, উক্ত এলাকায় জনসাধারণের জন্য ড্রোন ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে সবাইকে সচেতন নাগরিক হিসেবে এমআরটি পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদি ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের একজন সম্মুখ সারির নেতা ছিলেন। তিনি ইনকিলাব মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণাকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
এরপর পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সবশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় ওসমান হাদিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। পরে শুক্রবার তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।
জাতীয়
কবি নজরুলের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ওসমান হাদি
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ, ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী এবং পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো শোকাহত মানুষ জানাজায় শরিক হন।
দুপুর আড়াইটার দিকে জানাজা শেষ হওয়ার পর মরদেহ দাফনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে নেওয়া হয়।
শনিবার সকাল থেকেই জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মানুষের ঢল নামে। সকাল ১০টার দিকে মানিক মিয়া এভিনিউতে অপেক্ষমাণ ছাত্র-জনতাকে দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। চীন থেকে আনা আটটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে সারিবদ্ধভাবে হাজারো মানুষ প্লাজায় প্রবেশ করেন। দুপুর ২টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় সকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ মিছিল নিয়ে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হন।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে মরদেহ মর্গে নেওয়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মরদেহের সঙ্গে ছিলেন হাদির স্বজন, সহযোদ্ধা ও সহকর্মীরা।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
জাতীয়
দাফনের জন্য ঢাবি ক্যাম্পাসে হাদির মরদেহ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে পৌঁছেছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে এসে পৌঁছায়। সেখানে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশেই সমাহিত করা হবে হাদিকে।
জাতীয়
৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর জানাজা রবিবার, হবে সামরিক মর্যাদায় দাফন
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর জানাজা রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাদের নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টার যোগে প্রেরণ করে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় তাদের দাফন সম্পন্ন হবে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, আজ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ দেশে আনা হয়েছে। বেলা ১১টা ৫ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের মরদেহবাহী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মরদেহ গ্রহণ করেন।
এসময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান; বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি; আবেইতে মোতায়েনরত জাতিসংঘ মিশন ইউনিসফার ফোর্স কমান্ডারের প্রতিনিধি, চিফ কমিউনিটি লিয়াজো অফিসার; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি (ইউএন); ওভারসিজ অপারেশন পরিদপ্তরের পরিচালক; ঊর্ধ্বতন সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ গ্রহণকালে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সব সামরিক ব্যক্তিরা শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্যালুট প্রদান করেন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রসীদের বর্বরোচিত ড্রোন হামলায় ওই ছয় বাংলাদেশি নিহত হন। এছাড়াও ৯ জন শান্তিরক্ষী আহত হন, যাদের মধ্যে ৮ জন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে (লেভেল–৩ হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত।
জাতীয়
হাদি তুমি আমাদের বুকের মধ্যে আছো: প্রধান উপদেষ্টা
‘প্রিয় ওসামান হাদি তোমাকে বিদায় দিতে আসি নাই। তুমি আমাদের বুকের ভেতর আছো। বাংলাদেশ যতদিন আছে, তুমি বাংলাদেশের মানুষের বুকের মধ্যে আছো।’
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ ওসমান হাদির জানায়ায় অংশ নিয়ে হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে একথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, লাখ লাখ লোক আজ এখানে হাজির হয়েছে। পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে। সারা বাংলাদেশ জুড়ে কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। বিদেশিরাও হাদির কথা জানতে চায়। প্রিয় ওসামান হাদি তোমাকে বিদায় দিতে আসি নাই। তুমি আমাদের বুকের ভেতর আছো। বাংলাদেশ যতদিন আছে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে আছো।
তিনি বলেন, তোমার কাছে ওয়াদা করতে আসছি, তুমি যা বলে গেছো, সেটা যেন পূরণ করতে পারি। শুধু আমরা নয়, বংশানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। তোমার মানবপ্রেম, ভঙ্গি মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সবাই গ্রহণ করেছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তুমি এমন মন্ত্র আমাদের দিয়ে গেছো, সেটা চিরদিন আমাদের কানে বাজবে। তোমার মন্ত্র ছিল- বল বীর চির উন্নত মম শির। আমাদের শির কখনো নত হবে না। আমাদের সব কাজে সেটা প্রমাণ করবো, পূরণ করবো।’
‘প্রিয় হাদি, তুমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলে, কীভাবে নির্বাচন করতে হয়, কীভাবে প্রচারণা চালাতে হয়, কীভাবে কষ্ট না দিয়ে মানুষের কাছে যাওয়া যায়, আমরা সেই শিক্ষা গ্রহণ করলাম। আমরা এভাবেই করতে চাই।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘প্রিয় হাদি, তুমি যুগ যুগ ধরে আমাদের সঙ্গে থাকবে। বল বীর উন্নত মম শির, এই মন্ত্র নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। সবার পক্ষ থেকে ওয়াদা করলাম। তোমাকে আল্লাহর হাতে আমানত রেখে গেলোম। সব সময় তোমার কথা স্মরণ করে জাতির অগ্রগতির পথে চলতে থাকবো।’
জাতীয়
ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় অংশ নেন লক্ষাধিক মানুষ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা পড়ান ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
জানাজায় অংশগ্রহণ করতে আসা লাখো ছাত্র-জনতা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করেন। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দীর্ঘক্ষণ সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়। এসময় চীন থেকে আনা আটটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে ছাত্র-জনতা দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করেন।




