জাতীয়
আগামী নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক নির্বাচন: সিইসি
আগামী নির্বাচন একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। সোমবার রাজধানীর গুলশানে ইউথ ভোটার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, তরুণরা নিজেরা ভোট দেবেন, অন্যদের ভোটদানে উৎসাহ দেবেন। কারণ তরুণরা সাহসের প্রতীক, সৃষ্টির প্রতীক।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের ছাড়া দেশ গড়া সম্ভব নয়, আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, সুন্দর এবং স্বচ্ছ। আপনাদের নিয়েই হবে এবারের ভোট।
সিইসি বলেন, তরুণরা ৬৯, ৭০, ৭১, ৯০ ও ২৪ এ দেখিয়েছে। তরুণরা সাহস ও সৃষ্টির প্রতীক। তরুণদের সৃষ্টিশীলতা, জ্ঞানভিত্তিক ধারণা ও যে শক্তি আছে এটা ছাড়া দেশ গড়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, সুন্দর এবং স্বচ্ছ নির্বাচন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই নির্বাচন হবে একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন। কেন ঐতিহাসিক? পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটের আওতায় এনেছি আমরা, যা গত ৫৪ বছরে হয়নি। আবার যারা নির্বাচনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতেন তারা ভোট দিতে পারতেন না, তারা এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, কারাবন্দি এবং সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও এবার ভোট দিতে পারবেন। এর সঙ্গে গণভোটেরও আয়োজন করতে হচ্ছে। আশা করি, যদি এর সঙ্গে তরুণরা থাকে, তাহলে আমরা আরও এগিয়ে যাবো। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
নির্বাচন নিয়ে কোন শঙ্কা নেই জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই নির্বাচন হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন পর্যন্ত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন সঠিক সময়ে সঠিকভাবেই হবে।
সিইসি বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটি বাংলাদেশে নতুন নয়। নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ২০২৪ সালের চেয়ে অনেক ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, তখন মানুষ ঘুমাতে পারতো না। এখন মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে।
এমকে
জাতীয়
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তার, দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও নিষিদ্ধ দলের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে।
সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যালয়ের সামনে থেকে কর্মসূচি শুরু হয়।
অংশ নেওয়া ছাত্রজনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা দেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম। পরে তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে গেছেন।
এর আগে বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে ছাত্রজনতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে এসে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এরপর তারা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যান।
এরপর ছাত্রজনতা হাইকোর্ট মাজারের সামনে পৌঁছান। বেলা ১টা ২৩ মিনিটে তারা আবার পুলিশের বাধার মুখে পড়েন এবং পুনরায় ব্যারিকেড ভেঙে অগ্রসর হন। বেলা ১টা ২৭ মিনিটে তারা শিক্ষা ভবন সংলগ্ন সচিবালয় অভিমুখী সড়কে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন।
এর আগে গতকাল রোববার ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন। তিনি ছাত্রজনতাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এমকে
জাতীয়
নভেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৫০৭ জনের
গত নভেম্বর মাসে দেশে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৫৭৭টি দুর্ঘটনায় ৫৫৩ জন নিহত এবং ৯০০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সড়ক দুর্ঘটনাতেই ৫২৬টি ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০৭ জন, আহত হয়েছেন ৮৯৯ জন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সংঘটিত সাতটি দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হন এবং চারজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথ মিলিয়ে মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭৭টি।
এই সময়ে সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ছিল উদ্বেগজনক। নভেম্বর মাসে ১৯৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০১ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মোট নিহতের ৪১ দশমিক ১০ শতাংশ এবং আহতের ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় ১৩২ জন নিহত এবং ২৫৭ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে ১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৯ জন।
সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ জন সদস্য, ১১৩ জন চালক, ৯৭ জন পথচারী, ৪১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৫ জন শিক্ষার্থী, ১২ জন শিক্ষক, ৮০ জন নারী, ৬০ জন শিশু, ৫ জন চিকিৎসক, ৫ জন সাংবাদিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৬ জন নেতাকর্মীর পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৪ জন পুলিশ সদস্য, ১ জন র্যাব সদস্য, ১ জন সেনা সদস্য, ৫ জন চিকিৎসক, ১ জন সাংবাদিক, ১০৯ জন চালক, ৯৩ জন পথচারী, ৭১ জন নারী, ৫০ জন শিশু, ৪৩ জন শিক্ষার্থী, ১৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ১২ জন শিক্ষক এবং ৬ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে সংঘটিত দুর্ঘটনায় মোট ৭৪৬টি যানবাহনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৩ শতাংশ বাস, ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭ দশমিক ১০ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯ দশমিক ১১ শতাংশ নছিমন, করিমন, মাহিন্দ্রা, ট্রাক্টর ও লেগুনা এবং ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ কার, জিপ ও মাইক্রোবাস।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনায় ঘটেছে। এছাড়া ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষে, ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ অন্যান্য কারণে, ০ দশমিক ৫৭ শতাংশ ওড়না চাকায় পেঁচিয়ে এবং ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষে ঘটে।
সড়কের ধরন অনুযায়ী দুর্ঘটনার চিত্রে দেখা যায়, ৩৮ দশমিক ০২ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং ৩০ দশমিক ২২ শতাংশ ফিডার রোডে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রেলক্রসিংয়ে ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে গর্ত সৃষ্টি, মহাসড়কে অবাধে ঝুঁকিপূর্ণ যান চলাচল, রোড সাইন ও মার্কিংয়ের অভাব, মিডিয়ান না থাকা, নির্মাণ ও যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য, উল্টোপথে গাড়ি চালানো, চাঁদাবাজি, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং বেপরোয়া ও বিশ্রামহীনভাবে গাড়ি চালানো—এসবই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংগঠনটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার জোরদার, মহাসড়কে আলোকসজ্জা, দক্ষ চালক তৈরি, ডিজিটাল ফিটনেস ব্যবস্থা, সার্ভিস লেন ও ফুটপাত নির্মাণ, চাঁদাবাজি বন্ধ, রোড সাইন ও মার্কিং স্থাপন, সড়ক পরিবহন আইন ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ, আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন স্ক্র্যাপের সুপারিশ করেছে।
এমকে
জাতীয়
হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিতে খরচ দেবে মন্ত্রণালয়: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বাজেট থেকে অর্থ দেওয়া হবে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, হাদিকে বাইরে পাঠাবে কালকে যখন আমাদের মেসেজ দিল আমরা বলেছি টাকা পয়সার কোনো ব্যাপার না। এটা ম্যানেজ করবো।
হাদির জন্য কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, হাদির জন্য যখন বলেছে বাইরে পাঠানো হবে অবভিয়াসলি টাকা ইনভলভ মন্ত্রণালয়কে আমরা বলেছি যে, যাই লাগে আমরা প্রস্তুত। হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিতে হবে। কিন্তু লাকিলি অর্থমন্ত্রালয় তাদের নিজস্ব বাজেট থেকে দিচ্ছে পরে হয়ত অর্থ আমরা হিসাব করব এই ব্যাপারে কোনো দ্বিধা ছিল না। যখন ডিসিশন নিয়েছে বোর্ড; যখন বলেছে ইমিডিয়েটলি সরকার অর্থের মতামত চেয়েছে আমরা বলে দিয়েছি যে কোনো সময় আমরা প্রস্তুত।
গতকাল রোববার ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে জানিয়ে প্রেস উইং বলেছে, গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার দিতে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তার চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার মতিঝিল এলাকায় গণসংযোগ করে ফেরার পথে বেলা ২টা ২৪ মিনিটে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা অবস্থায় তাকে গুলি করা হয়। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এমকে
জাতীয়
সিঙ্গাপুরের পথে ওসমান হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছেড়েছেন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে হাদিকে বহন করে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
এর আগে বেলা ১১টা ২২ মিনিটের দিকে সিঙ্গাপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
গত রোববার শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, দুই দিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। গতকাল এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে জানিয়ে প্রেস উইং বলেছে, এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তার চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, তার চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি।
জাতীয়
বিজয় দিবসে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে ৫০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল চলাচল।
মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্প অনুষ্ঠিত হবে। প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে ১৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে।
সম্মানিত যাত্রিগণের যাত্রী সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এমকে




